হিরাক্লিয়াসের বিদায়

হিরাক্লিয়াসের বিদায়

গল্প মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ্ অক্টোবর ২০২৩

এন্তাকিয়ায় রোমীয় সম্রাটের রাজ দরবার। দরবারে রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তি, পণ্ডিত, সেনাধ্যক্ষ, গোত্রপতিদের সমাবেশ। সম্রাট হিরাক্লিয়াস সিংহাসন ছেড়ে রক্তিম বদনে রাগান্বিত স্বরে সভাসদকে লক্ষ করে প্রশ্ন করলেন, “মুসলমানদের শক্তি এমন কী? সৈন্য সংখ্যাও কম। অস্ত্রশস্ত্রের দিক থেকেও তারা তোমাদের তুলনায় দুর্বল, তবুও তাদের সামনে তোমরা কেন দাঁড়াতে পারছ না? কেনইবা দামেশ্ক, ফাহাল, হেম্স- এর মতো গুরুত্বপূর্ণ নগরী, জনপদ মুসলমানদের দ্বারা পদানত হলো?” 

পুরো দরবারে নীরবতা নেমে এলো। কারো মুখে একটুও শব্দ নেই। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে সবাই। কী করে সম্রাটের প্রশ্নের উত্তর দেবে। অনেকের কাছে অনেক উত্তর জানা থাকলেও বুকে বল পাচ্ছে না। একজন অভিজ্ঞ বৃদ্ধ ব্যক্তি বহু কষ্টে সঞ্চিত সাহস নিয়ে সম্রাটের কাছে নিবেদন করলো, “জাঁহাপনা; মুসলমানদের চরিত্র আমাদের চাইতে অনেক উন্নত। তারা দিনে রোযা রেখে আমাদের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে, আবার সমস্ত রাত আল্লাহ্র ইবাদতে মশগুল থাকে। তারা একে অন্যের হক নষ্ট করে না, পরস্পর ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় না, কারো প্রতি অন্যায়-অবিচার করে না, পরস্পর ভাইয়ের মতো বসবাস করে। অন্যদিকে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের চরিত্র অত্যন্ত কলুষিত। আমরা মদ্যপান করি, ব্যভিচারে লিপ্ত হই, ওয়াদা খেলাফ করি, একে অন্যের ওপর জুলুম করি। এ কারণেই মুসলমানদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই সাহসিকতা পরিলক্ষিত হয়। আর আমাদের প্রত্যেকটি কাজেই সাহস ও দৃঢ়তার অভাব থাকে।’

হিরাক্লিয়াস অভিজ্ঞ বৃদ্ধের কথা শুনে নিজেই লজ্জিত হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, মুসলমানদের শেষ আক্রমণের লক্ষ্য রাজধানী এন্তাকিয়ায়ও নিরাপদে থাকা যাবে না। তিনি গোপনে সিরিয়া রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে চাইলেন। কিন্তু খ্রিষ্টানদের চরম চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। শপথ গ্রহণ করলেন, পালানো যখন যাবে না, তখন শেষ লড়াই করেই যাবেন। এ লড়াইয়ে হয় জয়, নয় মৃত্যু। ঘোষণা করলেন- পুরো রোম সাম্রাজ্যের সব বীর সেনানীরা যেন রাজধানী এন্তাকিয়ায় দ্রুত এসে হাজির হয়। মুসলমানদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, “রোমীয়রা বীরের জাতি, তারা কখনো অন্য কাউকে তাদের ওপর কর্তৃত্বের ভার দিতে রাজি নয়।”

সম্রাটের নির্দেশ পেয়ে সৈন্যবাহিনী এসে এন্তাকিয়ার মাঠ-ঘাট ভরে গেল। মুসলিম সেনাপতি আবু উবায়দা রা. রোমীয়দের ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতির খবর পেলেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য হেম্স ত্যাগ করে দামেশক পৌঁছলেন। সেখানে অন্যান্য বিজিত অঞ্চলের সেনাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন। বৈঠকে অংশ নিলেন বিশিষ্ট সেনাপতি ইয়াজিদ ইবনে আবু সুফিয়ান, শরজীদ ইবনে হাছান, মাআজ ইবনে জাবাল রা. প্রমুখ। বৈঠকের পরামর্শমত জর্দানের নিকটবর্তী প্রশস্ত এবং যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত স্থান দেখে ইয়ারমুক নামক স্থানে রোমীয়দের গতিরোধ করতে শিবির রচনা করলেন। ইতিপূর্বেই মহাবীর খালেদ রা. সৈন্য নিয়ে সেনাপতি আবু উবায়দার সাথে মিলিত হলেন। আবু উবায়দা আমিরুল মু’মিনীন হযরত উমর ফারুক রা.-এর কাছে যুদ্ধ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানালেন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে দূত পাঠালেন।

হযরত উমর রা.-এর দরবার। জরুরি প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ আনসার ও মুহাজির সাহাবিদের ডেকে পাঠালেন। সবারই মনে উৎকণ্ঠা, খলিফার পক্ষ থেকে হঠাৎ কোন্ নির্দেশ এসে পড়ে। কোনো সুসংবাদ না দুঃসংবাদ? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন সাহাবিদের মনে উঁকিঝুঁকি দিতে লাগলো। খলিফা সেনাপতির পত্রটি বের করে পড়তে শুরু করলেন : রোমীয়গণ জল-স্থল প্রকম্পিত করে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসছে। তাদের বিপুল সৈন্যবাহিনীর সাথে সংসার ত্যাগী পাদ্রিগণ পর্যন্ত গির্জা ছেড়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। 

পত্র শুনে সমবেত সকলে অশ্রু সংবরণ করতে পারলো না। তাঁরা চিৎকার করে বলে উঠলেন : আমিরুল মু’মিনীন! আমাদের যুদ্ধে যাবার অনুমিত দিন; আমরা আমাদের বিপন্ন ভাইদের রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করবো। আল্লাহ্ না করুন, যদি তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তবে আমাদের বেঁচে আর লাভ কী? হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রা. দাঁড়িয়ে আবেগের সাথে বললেন : “আমিরুল মু’মিনীন! আপনি সেনাপতি হউন, আমরা আপনার সহযাত্রী হয়ে আমাদের ভাইদের রক্ষা করবো জালিম রোমীয়দের হাত থেকে।” বিভিন্ন প্রস্তাবের পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো, খলিফার প্রয়োজনীয় নির্দেশ নিয়ে দূত ইয়ারমুক যাবে। আরো রসদ- সৈন্যসহ সাহায্য পাঠানো হবে।

ইয়ারমুক ময়দানে সত্য আর মিথ্যার সম্মুখ লড়াই। একদিকে মুসলিম সেনাপতি হযরত আবু উবায়দা রা., অন্যদিকে রোমীয় খ্রিষ্টান সেনাপতি বাহানা। মুসলিম পক্ষে ৩৫ হাজার সৈন্য। পক্ষান্তরে রোমীয়দের দু’লক্ষ সৈন্য। যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ঠিক সে মুহূর্তে আমর-বিন-সাইদ এক হাজার মুজাহিদ নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে হাযির হলেন। এদের দেখে মুসলমানরা নতুন প্রেরণা লাভ করলেন। ঠিক সে সময় কাসেদ (দূত) যুদ্ধ ময়দানের প্রতিটি সারিতে গিয়ে উচ্চস্বরে খলিফার বাণী পড়ে শুনালেন। খলিফা লিখেছেন, “হে মুসলিম মুজাহিদগণ! তোমরা বীরবিক্রমে শত্রুর সম্মুখীন হও, মরণপণ জিহাদ করে তাদের চরম শিক্ষা দাও। আমি সুনিশ্চিত যে, ইনশাআল্লাহ্ তোমরাই বিজয়ী হবে।” মুজাহিদদের মনে খলিফার বাণী নব-উদ্দীপনায় উৎসাহ জোগালো।

প্রথমে বীর খালেদ রা. পদাতিক বাহিনীর একটি দল নিয়ে শত্রুর সম্মুখীন হলো। রোমীয়দের এক বিশালদেহী পাদ্রি হাতির পিঠ থেকে মুসলমানদের মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানালো। পাদ্রির আহ্বানে বৃদ্ধ সাবরা ইবনে মসরুক্ অগ্রসর হলেন। কিন্তু খালেদ তাঁকে নিষেধ করে কায়েসের প্রতি নির্দেশ দিলেন। নির্দেশপ্রাপ্তির সাথে সাথে কায়েস ক্ষিপ্রগতিতে পাদ্রির মস্তক ভূতলে নিপতিত করলো। পাদ্রি অস্ত্র কোষমুক্ত করার সুযোগও পেলো না। প্রথম জয়ে ৩৫ হাজার মুজাহিদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হলো। যুদ্ধের শুভ সূচনায় মুসলমানরা উৎসাহ বোধ করলো। সারাদিন একক, দ্বৈত, জোটভুক্ত যুদ্ধ হলো। রোমীয়রা চরমভাবে পরাজিত হয়ে সন্ধ্যায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলো।

রোমীয় সেনাপতি বাহানা বুঝতে পারলেন, যুদ্ধ করে মুসলমানদের ঠেকানো যাবে না। তাই মুসলমানদের অসচ্ছলতার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রচুর অর্থ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চালালেন। জর্জ নামক এক দূত দ্বারা আবু-উবায়দার প্রতি সন্ধির আলোচনার জন্য একজন প্রতিনিধি প্রেরণের আমন্ত্রণ জানালেন। জর্জ মুসলিম শিবিরে গিয়ে দেখলো, সমস্ত মুসলমানরা এক কাতারে মাগরিবের নামাজ আদায় করছেন। তাঁদের মনে নেই কোনো শঙ্কা, নেই কোনো ব্যস্ততা; এক ইমামের নেতৃত্বে একাগ্রচিত্তে সুশৃঙ্খলভাবে আল্লাহর ইবাদত করছেন। এ দৃশ্য জর্জের মনেও তোলপাড় সৃষ্টি করলো। নামায শেষে সাধারণ বেশে সেনাপতি আবু উবায়দা রা.-কে দেখে আরো আশ্চর্য হলো। জর্জ উবায়দার হাতে বাহানার পত্র দিয়ে জানতে চাইলো হযরত ঈসা আ. সম্বন্ধে, তাঁর ধর্মের মত কী? আবু উবায়দা রা. কুরআনের আয়াত দিয়ে তাকে বুঝিয়ে বললেন, ঈসা আ. আল্লাহ্র নবী। আমরা তাঁকে মান্য করি। তাওরাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, তাঁর পর পৃথিবীতে যে নবী আসবেন তিনি আহমদ, শেষ নবী। আমরা নবী মুহাম্মদ সা.-এর উম্মত। সাথে সাথে জর্জ আবু উবায়দা রা.-এর হাতে হাত রেখে ইসলাম কবুল করলো। সে আর রোমান শিবিরে ফিরে যেতে চাইলো না। আবু উবায়দা বুঝালেন, “তুমি যদি ফিরে না যাও তবে রোমীয়রা আমাদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে। এখন তুমি ফিরে যাও আপন শিবিরে। কাল সন্ধির আলোচনার জন্য আমাদের দূত গেলে তার সাথে চলে এসো।” সেনাপতির পরামর্শ অনুযায়ী জর্জ ফিরে গেল।

পরদিন যুদ্ধ হলো না। সন্ধির আলোচনার জন্য মহাবীর খালিদ রা. রোমীয় শিবিরে বাহানার সাথে দেখা করলেন। বাহানা নানা কথা শেষে প্রস্তাব দিলেন, “তোমরা যাযাবর বেদুইন গরিব আরব জাতি। অর্থের লোভে আমাদের সাথে শুধু শুধু যুদ্ধ করছ। তোমাদের মুসলিম সেনাধ্যক্ষকে দশ হাজার, তাঁর অধীন সেনাপতিদেরকে এক হাজার এবং সাধারণ সৈন্যদের প্রতিজনকে একশত স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে। তারা যেন যুদ্ধ না করে আরবে ফিরে যায়।”

মহাবীর খালিদও দৃঢ়কণ্ঠে জবাব দিলেন, “মুসলমানরা গরিব হতে পারে, তাঁদের আল্লাহ্ ও রাসূল সা. গরিব নয় যে, তাঁরা অর্থের বিনিময়ে কখনো নিজের ঈমানকে বিক্রি করে দেবে না। তোমাদের সাথে যুদ্ধ হবে কি হবে না সে জন্য আমাদের তিনটি শর্ত রয়েছে- এক. আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনো; দুই. মুসলমানদের বশ্যতা স্বীকার করে জিযিয়া কর দাও, আর ঐ দু’টি শর্ত না মানলে; তিন. তোমাদের বিরুদ্ধে ইসলামের শাণিত তলোয়ার প্রস্তুত রয়েছে। ময়দানই তার ফয়সালা দেবে।”

আলোচনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। খালেদ রা. নিজ শিবিরে ফিরে এসে বাহানার প্রস্তাব শুনালেন মুজাহিদদের। প্রস্তাব শোনামাত্র মুজাহিদবৃন্দ ক্রুদ্ধভাবে জবাব দিলেন, “আমরা আল্লাহ্র পথে হাসিমুখে জীবন দেব কিন্তু কোনো প্রকার অপমান সহ্য করবো না।”

তৃতীয় দিন হক আর বাতিলের চূড়ান্ত জিহাদ। খালিদ সাইফুল্লাহ রা. ৩৫ হাজার সৈন্যকে ৩৫ সারিতে ভাগ করে সম্মুখে-পেছনে, ডানে-বামে বিভিন্ন বীরসেনানিকে দায়িত্বে নিয়োজিত করলেন। অস্ত্র এবং সৈন্যের শ্রেণি অনুযায়ী নতুন কৌশল অবলম্বনে আক্রমণের পরামর্শ দিলেন।

জিহাদী বক্তা, কবি এবং গায়কদেরকে নিযুক্ত করলেন উদ্দীপনামূলক বক্তৃতা, কবিতা ও গান দিয়ে মুজাহিদদের উৎসাহ জোগাতে। অনেকে সূরা আনফালের জিহাদের আয়াত পড়ে মুজাহিদদের প্রেরণা দান করতে লাগলেন। মহিলা মুজাহিদরা সেবা ছাড়াও কোষমুক্ত তরবারি, তাঁবুর খুঁটি নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় তৎপর থাকলেন।

রোমীয়রা মুসলমানদের ওপর মরণ কামড় বসানোর জন্য দু’লক্ষ সৈন্যের পুরো বাহিনী নিয়ে ময়দানে হাজির হলো। তারা সম্মুখে ৩০ হাজার পায়ে শেকল বাঁধা সৈন্য মোতায়েন করলো। যারা মারবে, নয় মরবে কিন্তু পালাতে পারবে না। হস্তী, অশ্ব, তীরন্দাজ, পদাতিক নানা সুসজ্জিত বাহিনীর সমারোহ ঘটলো অভূতপূর্ব কৌশলে।

যুদ্ধের শুরুতে শত্রুর ব্যূহ ভেদ করতে মুসলমানদের দারুণ কষ্ট স্বীকার করতে হলো। শহীদ হলো অনেকে। কিছু সৈন্য ক্ষণিকের জন্য পশ্চাৎপদ হলো। কিন্তু খালিদ বিন ওয়ালিদ, সাঈদ-ইবনে-যায়েদ, ইয়াজিদ-ইবনে-সুফিয়ান, আমর-ইবনে-আস, শুরাহ্বিল-ইবনে-হাসান প্রমুখ জিন্দাদিল মুজাহিদের মরণপণ লড়াইয়ে যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল। তাঁরা বারবার শত্রুর ব্যূহ ভেদ করে কচুকাটার মতো রোমীয়দের লাশের স্তূপ সৃষ্টি করলো। স্বয়ং সেনাপতি বাহানা রুমালে মুখ ঢেকে গোপনে প্রাণ বাঁচালো।

ভেঙে পড়লো রোমীয়দের মনোবল। শত্রুরা জীবন নিয়ে পালাতে লাগলো। যুদ্ধ-ময়দানের পাশে ছিল বিশাল জলাশয়। মুজাহিদরা শত্রুদের সমতলে পালানোর গতিপথ রোধ করে জলাশয়ের দিকে ধাবিত করলো। এক নিমেষে শত্রুর লাশে জলাশয় পরিপূর্ণ হয়ে গেল। শত্রুমুক্ত হলো ইয়ারমুক ময়দান। যুদ্ধে প্রায় তিন হাজার মুজাহিদ শহীদ হলেন, শত্রু নিধন হলো সত্তর হাজার থেকে এক লক্ষ। ইসলামের বিজয় নিশান পতপত করে মরু বাতাসে আন্দোলিত হতে থাকলো। সেনাপতি আবু-উবায়দা রা. দ্রুত বিজয় সংবাদ নিয়ে দূত পাঠালেন খলিফার দরবারে।

এন্তাকিয়ায় অবস্থানকারী স¤্রাট হিরাক্লিয়াসের বুকে যুদ্ধ পরাজয়ের শেল বিঁধলো। নিজের জান বাঁচানোর জন্য দ্রুত কনস্টান্টিনোপলের দিকে পা বাড়ালো। বিদায় বেলায় হিরাক্লিয়াস পরাজয়ের গ্লানিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে সিরিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো : বিদায় সিরিয়া, বিদায়...!

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ