হাসির বাকসো
হাসির বাকসো আগস্ট ২০১৫
চীনে বেড়াতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রচন্ড ক্ষুধা পেটে এক পর্যটক দেখলেন মেনু সব চাইনিজ ভাষায় লেখা। আবার না বুঝে শুয়োর-সাপ-ব্যাঙ ইত্যাদি খাওয়া হয়ে যায় কি না সে আশঙ্কায় লোকটা মেইন কোর্স বাদ দিয়ে শুধু স্যুপের অর্ডার দিলেন। কিন্তু স্যুপ আসার পর দেখেন তাতে মাছি পড়ে আছে। রেগে লোকটা চিল্লাচিল্লি শুরু করলেন। রেস্টুরেন্টের একমাত্র ইংরেজি জানা মানুষ ম্যানেজার দৌড়ে এলেন। বললেন, ‘কী সমস্যা স্যার?’ পর্যটক : ‘আমার স্যুপে মাছি ভাসছে, তিন তিনটা।’ ম্যানেজার মেনু চেক করে ওয়েটারকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘মাছির স্যুপে কেউ এতো কম মাছি দেয়?’ একদিন ক্লাসে শিক্ষক তার সোনার আংটিটা একটা গ্লাসের পানিতে ডুবিয়ে এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন- শিক্ষক : বল তো, এই আংটিতে মরিচা ধরবে কি না? ছাত্র : ধরবে না স্যার। শিক্ষক : গুড, ভেরি গুড। আচ্ছা বলতো, কেন ধরবে না? ছাত্র : স্যার, আপনি জ্ঞানী মানুষ। যদি পানিতে রাখলে মরিচা ধরতো, আপনি কখনই আপনার সোনার আংটি পানিতে রাখতেন না। সংগ্রহে : হাসান মাহমুদ বুড়িচং, কুমিল্লা বল্টু আর হাবলু কবরস্থানে তাদের আত্মীয়ের কবরে প্রার্থনা করে ফিরছিলো। এমন সময় পাথরে পাথরে ঘষার কর্কশ আওয়াজ শোনা গেলো। ভয়ে দুই বন্ধুর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাড়াতাড়ি কবরস্থান থেকে বের হতে গিয়ে তারা দেখলো এক বৃদ্ধ কবরের নামফলক ঘষছেন। এই না দেখে দুই বন্ধুর ভয় কমে গেলো। তারা বৃদ্ধকে বললো : আপনি আওয়াজ করে আমাদের খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমরা মনে করেছিলাম আপনি ভূত। বৃদ্ধ বললেন : আর বলো না। বোকার হদ্দ মিস্ত্রিগুলো কবরের নামফলকে আমার নামটা ভুল লিখেছে। সংগ্রহে : মাইনুদ্দিন সাইদ ? দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন- প্রথম বন্ধু : দোস্ত তোরে এমন একটা কথা কমু, একদম হাসতে হাসতে মইরা যাবি! দ্বিতীয় বন্ধু : দোস্ত তোর পা ধরি আমারে কইস না। প্রথম বন্ধু : কেন? কী হয়েছে? দ্বিতীয় বন্ধু : দোস্ত তুই কি চাস আমি মইরা যাই? সংগ্রহে : মো: মনোয়ার হোসাইন পশ্চিম নলডগী চৌরাস্তা, সদর, লক্ষ্মীপুর ভিক্ষুক : ভিক্ষা দেন আপা, আমি ল্যাংড়া মানুষ, কাম করতে পারি না। মহিলা : ঠিক আছে। এই নাও। তুমি তো পঙ্গু কিন্তু অন্ধদের তো আরো কষ্ট। ভিক্ষুক : হ আপা। আমি তাদের দুঃখ বুঝি। মহিলা : কিভাবে? ভিক্ষুক : আমি আগে কানা সাইজা ভিক্ষা করতাম তো। লোকেরা ছিঁড়া-বিড়া, চাইর-আনা, আট-আনা দিত। হেইর লাইগ্যা হেই পদ্ধতি ছাইড়া দিছি। সংগ্রহে : মুহাম্মদ মাহবুব আলম নড়িয়া সরকারি কলেজ, শরীয়তপুর দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে- প্রথম বন্ধু : চল বন্ধু আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই। দ্বিতীয় বন্ধু : কেন? গ্রাম কি শহরের চেয়ে আলাদা? গ্রামে এসে রাতে জোনাকি পোকা দেখে দ্বিতীয় বন্ধু চিৎকার করে উঠে, ‘ও মাগো মশা লাইট নিয়ে এসে আমারে কামড়াতে আসছে।’ সংগ্রহে : মো: তারিকুজ্জামান তারিক শ্রীপুর, হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহ সেনাবাহিনীতে চাকরি না হওয়ায় ফারাবি গেছে নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য। ফারাবি আর প্রশ্নকর্তার মধ্যে কথোপকথন- প্রশ্নকর্তা : আপনি কি সাঁতার জানেন? ফারাবি : সাঁতার শেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি, স্যার! প্রশ্নকর্তা : তাহলে কী ভেবে আপনি নৌবাহিনীতে যোগ দিতে এসেছেন? ফারাবি : মাফ করবেন স্যার; তাহলে কি আমি মনে করবো যে, বিমানবাহিনীর আবেদনকারীরা উড়তে শেখার পর বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়? সংগ্রহে : তরিকুল ইসলাম শান্ত নিঝুমদ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখলী এক অচেনা ব্যক্তির সাথে চেংকু মিয়ার কথোপকথন- চেংকু মিয়া : এই যে আপনি কোথায় থাকেন? অচেনা ব্যক্তি : আমার বড় ভাইয়ের সাথে! চেংকু মিয়া : আপনার বড় ভাই কোথায় থাকেন? অচেনা ব্যক্তি : আমার সাথে! চেংকু মিয়া : না মানে দু’জনে কোথায় থাকেন? অচেনা ব্যক্তি : কেন এক সাথে! সংগ্রহে : সাজিদুর রহমান (সাকিব) শিক্ষক ছাত্রকে বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন। হঠাৎ এক ছাত্র শিক্ষককে বললো, ‘মানুষ নাকি চাঁদের দেশে গিয়েছে, স্যার?’ শিক্ষক : হ্যাঁ কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? ছাত্র : আমি এর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী হবো। শিক্ষক : কিভাবে? ছাত্র : আমি সূর্যের কাছে যাবো। শিক্ষক : সূর্যের তাপ অনেক বেশি, তুমি গলে যাবে। ছাত্র : তাহলে আমি রাত্রে যাবো স্যার। সংগ্রহে : মাহফুজ হোসাইন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রোগী : ডাক্তার সাব, বিল একটু কম কইরা ধরেন। আমি গরিব মানুষ। পারলে ভবিষ্যতে আপনার উপকারে আসুম। ডাক্তার : তা আপনি কী কাজ করেন? রোগী : জি মানে, মানুষের কবর খুঁড়ি। বস : কলিংবেলটা ঠিক করতে লোক পাঠাতে বলেছিলাম, পাঠাননি কেন? কর্মচারী : পাঠিয়েছিলাম তো, কিন্তু কলিংবেল টিপে কারো সাড়া না পেয়ে চলে গেছে। সংগ্রহে : মো: মাহমুদুল হাসান জয়াগ, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী
আরও পড়ুন...