হাসির বাকসো
হাসির বাকসো মার্চ ২০১৬
কাজের লোক ও মালিকের মধ্যে কথোপকথন- মালিক : রহিম বাগানে পানি দিতে যা। কাজের লোক : আজ তো বৃষ্টি। মালিক : তাহলে ছাতা নিয়ে যা। সংগ্রহ : মাহবুবুর রহমান সবুজ তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় এক হারকিপ্টে লোক চিরুনি কিনতে গিয়ে দোকানদারকে বলল, ভাই একটা চিরুনি দেনতো, চিরুনিটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে। দোকানদার : একটা কাঁটা ভেঙেছে তাতেই নতুন একটি কিনবেন? লোক : ওটাই যে চিরুনির শেষ কাঁটা! সংগ্রহ : মরিয়ম জামিলা তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় চোর এবং পুলিশের কথোপকথন- পুলিশ : তুমি চুরি করলে কেন? চোর : মানুষের বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য। পুলিশ : মানে? চোর : স্যার, কথায় আছে না চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে। সংগ্রহ : শাহাদাত হোসাইন আরিফ নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা মশার বাচ্চা উড়তে শিখেছে। যখন ওড়া শেষে ফিরে এলো তখন তার বাবা বলল, কী বাবা উড়তে কেমন লাগে? মশার বাচ্চা বলল, খুব মজা পাইছি বাবা, যেখানেই গেছি লোকে শুধু হাততালি দিছে। সংগ্রহ : মেহেদী হাসান নোবেল রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও শিক্ষক : বলোতো সজিব, ঘড়ির ব্যাটারি খুলে ফেললে ঘড়ির কাঁটা থেমে যায় কিন্তু সময় থেমে থাকে না কেন? ছাত্র : সময়তো আর ব্যাটারি দিয়ে চলে না স্যার। সংগ্রহ : আসাদুল্লাহ আকন্দ রুমডো ইনস্টিটিউট, ময়মনসিংহ প্রথম রাতে- নবাব : শিয়ালগুলো ডাকছে কেন? মন্ত্রী : শীতের রাত তো তাই। নবাব : তাহলে ওদেরকে রাজকোষ থেকে কম্বল দেয়া হোক। মন্ত্রী : জি হুজুর, আগামীকালই দেবো। দ্বিতীয় রাত্রেÑ নবাব : মন্ত্রী, শিয়ালগুলোর ডাক থামেনি কেন? মন্ত্রী : কম্বল পেয়ে ওরা আপনার শোকর গুজারি করছে। নবাব : ওরা কত দিন শোকর গুজারি করবে? মন্ত্রী : যত দিন ওরা আপনার দেয়া কম্বল ব্যবহার করবে। সংগ্রহ : মামুনুর রশীদ দেবীনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে দুই আরশোলার কথোপকথন- ১ম বন্ধু : বন্ধু তুমি কেন হাসপাতালে এসেছ? ২য় বন্ধু : আরে বন্ধু আমি তো এমনি এমনি আর এখানে আসিনি। আসলে আমাকে দেখে একটা মেয়ে এমন চিৎকার দিলো যে আমার হার্টফেল হয়ে গেল। শীতের সকালে দুই বন্ধুর কথোপকথন- ১ম বন্ধু : বন্ধু কী করি আর ভেবে পাচ্ছি না। হাত, পা সব কিছু ফেটে যাচ্ছে শীতে। ২য় বন্ধু : তাহলে ভ্যাসলিন ব্যবহার কর। ১ম বন্ধু : ভ্যাসলিনে কোনো কাজ হয়নি। ২য় বন্ধু : তাহলে সুপারব্লু আঠা ব্যবহার কর সব ফাটা একদম বন্ধ হয়ে যাবে। সংগ্রহ : নাসির উদ্দিন নাবিল শেরপুর, বগুড়া রাস্তায় দুই বন্ধুর দেখা। ১ম বন্ধু দিনের বেলায় রাস্তায় টর্চ জ্বালিয়ে হাঁটছে। ২য় বন্ধু বলল, কিরে তুই দিনের বেলা টর্চ জ্বালিয়ে কোথায় যাচ্ছিস? তোকে তো সবাই পাগল বলবে। ১ম বন্ধু : নারে এক জ্যোতিষী বলেছে, আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সংগ্রহ : আব্দুল জব্বার সিদ্দিক পাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্যার : সাহিব বলো তো, যদি এমন সময় আসে যখন আগুন জ্বালানোর কিছুই না পাওয়া যায়, তখন কিভাবে আগুন জ্বালাবে? সাহিব : স্যার এটাতো খুব সহজ। স্যার : কিভাবে? সাহিব : স্যার চুলার মধ্যে রবি সিম দিয়ে বলবো, জ্বলে উঠো আপন শক্তিতে! সংগ্রহ : সাহিব হাসান রামডুবি হাট, দিনাজপুর যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে- শিক্ষক : এই যে আমি টেবিলটা ছুঁয়েছি। টেবিল মাটি ছুঁয়েছে। সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি। (তোমরা এমন একটি যুক্তি দেখাওতো) ছাত্র : ধরুন, আপনি আজ মুরগি খেয়েছেন। মুরগি কেঁচো খেয়েছে। সুতরাং আপনি কেঁচো খেয়েছেন। শিক্ষক : ওয়াক থু! কী বললি? সংগ্রহ : কামরুজ্জামান রাতুল মাতৃছায়া কিন্ডারগার্টেন, চাঁদপুর এক টাকার ভাঙতি না থাকায় দোকানদার একটি লজেন্স ধরিয়ে দিলো। কাস্টমার (রসিকতা করে) বলল, ভাগ্যিস! শায়েস্তা খাঁর আমলে ছিলাম না, তাহলে তো আট মণ চাল মাথায় উঠিয়ে দিত। শাহরিয়ার হোসাইন সয়ন ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর শিক্ষক : তোমার বাবার নাম্বারটা দাও তো! ছাত্র : নিন স্যার-১৯১১২৫৬৬২৮ শিক্ষক : মোবাইল নাম্বার হতে হলে তো প্রথমে ০ (শূন্য) লাগে ছাত্র : স্যার, গত ক্লাসে আপনিই তো বললেন বাম পাশের শূন্যের কোনো দাম নেই। সংগ্রহ : সৈয়দ মুয়িদ হাসান কালিহাতা আলিম মাদরাসা দুই বন্ধুর কথোপকথন- রবিউল : বলতো নজরুল, ভাতের অভাব-এটার এক কথায় প্রকাশ কী হবে? নজরুল : হাভাত। এবার তুই বল পানির অভাব- কী হবে? রবিউল : কেন, হাপানি! সংগ্রহ : আরিফ বিল্লাহ শ্রীবরদী, শেরপুর পুলিশ অফিসার : তুমি চোরটাকে ধরতে পারলে না? হাবিলদার : না স্যার, তবে ওর হাতের ছাপ ধরে রেখেছি। পুলিশ অফিসার : কই দেখি? হাবিলদার : এই যে স্যার আমার গালে। সংগ্রহ : মাহমুদুল হাসান সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী শাকিল : কিরে তোর পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন? জাফর : আর বলিস না, এখনও সবই বাকি পড়ে আছে। শাকিল : বলিস কী আমার তো একটা বাকি আছে। জাফর : কোনটা। শাকিল : কলম, পেন্সিল, ইরেজার, স্কেল, ক্যালকুলেটর, পরিচয়পত্র, প্রবেশপত্র- সব প্রস্তুত শুধু পড়াটা বাকি আছে।
আরও পড়ুন...