শরৎ ও মাহে রমযান : এক ব্যাগ কবিতা

শরৎ ও মাহে রমযান : এক ব্যাগ কবিতা

ছড়া-কবিতা আগস্ট ২০১০

শরৎ ছবি আঁকে 
নাছির উদ্দিন সরদার

নাচন নাচন আলোর নাচন
নীল আকাশের বাঁকে
রৌদ্র ছায়ার দারুণ খেলা
শরৎ ছবি আঁকে।
এ প্রান্তরে তেপান্তরে
সাদা মেঘের ঘুড়ি
শরৎ রানীর লাটাই ধরে
করছে ওড়াউড়ি।
মাছ রাঙা বক চখাচখি
হাওর-বাঁওড় ঝিলে
ঘাপুস ঘুপুস ট্যাংরা পুঁটি
খাচ্ছে গিলে গিলে।
মিষ্টি শরৎ হিমের পরশ
শাপলা শালুক ফোটে
শরৎ ঋতুর বার্তা নিয়ে
শিউলি হেসে ওঠে।

শরৎ এলে 
জাহিদ জাবের

শরৎ এলে
দুঃখগুলো
হয়ে তুলো
ঐ আকাশে উড়ে
যায় হারিয়ে দূরে।
শরৎ এলে
কলম হাতে
নিঝুম রাতে
লিখতে বসি ছড়া
বাদ দিয়ে সব পড়া।
শরৎ এলে
নদীর ধারে
দৃষ্টি কাড়ে
কাশ ফুলের ঐ রূপ
গরম যখন খুব।
শরৎ এলে
দাওয়ায় বসে
তালের রসে
মিষ্টি করে মুখ
পায় যে দারুণ সুখ।

শরৎ
নুফরাত জাহান জেরীন

শুভ্র মেঘের ভেলায় চড়ে
শরৎ আসে দ্বারে দ্বারে
নদীর তীরে নতুন চরে
শিউলী কা’শের বন,
শরৎ বাতাস উদাস মনে
চুম দিয়ে যায় কাশের বনে
হিমেল হাওয়া আলতো পরশ
দেয় যে সারাক্ষণ।
আকাশেতে সারা বেলা
ভেসে ভেসে মেঘের ভেলা
মেঘের দেশে হারিয়ে যেতে
জানায় নিমন্ত্রণ,
শরতেরই রাতের বেলা
লক্ষ কোটি তারার খেলা
জোছনার আলো দেয় জুড়িয়ে
সব মানুষের মন।

শিউলী ঝরা সকাল 
হাসানুজ্জামান বকুল

শরৎ নিয়ে লিখছে কবি
শিল্পী বসে আঁকছে ছবি
আকাশ জুড়ে
চলছে উড়ে
সাদা মেঘের ভেলা
শিউলী ঝরা সকাল পেয়ে
হৃদয় আবার উঠল গেয়ে
কাশের ফুলে
দুলে দুলে
বাতাস করে খেলা।

শরৎ 
তানজিনা জান্নাত

শরৎ এলো শরৎ এলো
কাশফুলের বেশে
বিলে ঝিলে সাদা বক
থাকে মিলে মিশে।
আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়ায়
সাদা মেঘের ভেলা
গাঙ চিল, বক মিলে
করে তারা খেলা।

রোজা হলো 
খালেদা আক্তার অনন্যা

রোজা মানে মন থেকে
দূর করা পাপ,
রোজা মানে খুলে যাওয়া
পুণ্যেরই ঝাপ,
যত সব অন্যায়
ছুড়ে দিয়ে আজ
খোদার কাছে চাও ক্ষমতা
করতে ভাল কাজ।
রোজা হলো খোদার দেয়া
অশেষ নেয়ামত
খোদার পথে দৃঢ় থাকার
সবাই নিই শপথ।

মাহে রমজান 
এস এম মাহবুবুর রহমান সুমন

রমজানের চাঁদ উঠেছে
আকাশের এই পানে,
নানান সুরে বিনা বাজে
নানান গজল গানে।
রমজানের রোজার ফলে
সংযমী হয়ে যাই,
সকল বাধা বিভেদ ভুলে
কোন দুঃখ নাই।
বছর শেষে এলো আবার
মাহে রমজান
সকল সময় মোরা সবাই
গাইবো সত্যের গান।

রমজান আসছে 
আ জ ম রশিদ

হাতছানি দিয়ে ডাকছে দেখ
হাতছানি দিয়ে ডাকছে
একটি বছর পেরিয়ে আবার
রমজান মাস আসছে।
বছর ঘুরে আবার ফিরে
আসছে দেখ আসছে
সেই আনন্দে মুমিনরা সব
আনন্দেতে দুলছে।
রহমত বরকত, মাগফিরাত আর
নাজাত লাভের মাস
সব মাসের শ্রেষ্ঠ এ যে
প্রিয় রমজান মাস।

এলো রমজান 
মুহাম্মদ জোহরুল ইসলাম

আকাশ ফুঁড়ে উঠলো দেখো
কাস্তে বাঁকা চান
হৃদ-গভীরে খুশির ঢউ
এলো রমজান।

সিয়াম 
মো: তারেক মনোয়ার

সিয়াম সিয়াম রব উঠেছে
সবার ঘরে ঘরে
পাপের বোঝা ঠেলে দেবো
অনেক অনেক দূরে।
অনাহারীর দুঃখ বুঝে
রইবো তাদের পাশে
মোদের অন্ন তাদের হাতে
দেবো হেসে হেসে।
খোদার রহম মেখে নিয়ে
রাখব রোজা বেশ
কারো মনে থাকবে নাকো
হিংসা-বিদ্বেষ।

রমজান 
শেখ নাসির

রমজান আবার এলোরে
বিশ্ব-ধরা মাঝেরে
খোদার প্রেমে তাইতো এ প্রাণ
তাক ধিন ধিন নাচেরে।
খোদার দেয়া বিধান মত
রাখলে রোজা সকলে
সবার পরে খোদার রহম,
ঝরবে সকাল বিকেলে।

মাহে রমজান 
এইচ এম মুনীর আল হাদী

কাস্তে বাঁকা চাঁদ উঠেছে
দূর আকাশে ঐ
ছেলে বুড়ো সবার মাঝে
পড়েছে হইচই।
মেঘের বুকে ফিনকি হেসে
নতুন চান
বিশ্ব সভায় নিয়ে এলো
মাহে রমজান।

নতুন জীবন 
মো: জাহাঙ্গীর আলম

জীবনটাকে গড়বো মোরা
শান্তি সুখের পথটি বেয়ে
ধনী-গরিব মিলবো মোরা
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে।

আমার দেশে 
মো: আব্দুর রউফ

আমার দেশে শাপলা শালুক
বিলে ঝিলে ফোটে
আমার দেশের পালতোলা নাও
নদীর বুকে ছোটে।
আমার দেশে গাছে গাছে
পাখপাখালি ডাকে
শিশুর বুকে মা-বাবা
স্নেহের ছবি আঁকে।
আমার দেশে পাহাড় সাগর
ঝরনা ধারা আছে
আমার দেশে চাওয়া অনেক
মানুষ জনের আছে।

মেঘপরী 
সোহানুর রহমান অনন্ত

মেঘের বালতি কাঁধে করে
কোন সে পরী যায়
সাত রঙেরি নূপুর পরা
রাঙা দু’টি পায়।
চলতে গিয়ে মেঘপরী
যদি কোথাও থামে
বালতি থেকে ঝুমুর ঝুমুর
বৃষ্টি তখন নামে।
তাই না দেখে সূর্য মামার
ঘুমটা হয় ভারী
মেঘের সাথে রোদের সাথে
চলতে থাকে আড়ি।
নদীর পানি খালের পানি
তখন ওঠে ভরে
পুঁটির ঝাঁক এপার ওপার
ছোটাছুটি করে।
সূর্য মামার ঘুম ভেঙেছে
চোখ দু’টি সে খুলে
মেঘপরী বালতি কাঁধে
জল আনতে চলে।

স্বদেশ আঙিনায় 
এইচ এম রফিকুজ্জামান রণি

এই নদী আর
গাছের মিনার
ক্লান্তিহরণ গাঁয়
কে হারাতে চায়!
পাখির সংলাপ
ফুলের আলাপ
প্রজাপতি ধায়
মধু-জলে নায়।
সূর্য ওঠে
রৌদ্র ছুটে
ভোমরা গান গায়
স্বদেশ আঙিনায়।
চাঁদ দেয় উঁকি
তাই ছোট খুকি
জানালা খুলে চায়
খুশির তরী বায়।
ঝরনা নাচে
পাহাড় বাঁচে
পাখপাখালির ছায়
হৃদয় ভরে যায়।

কোলাব্যাঙ 
আবিদ হাসান রাজু

কোলাব্যাঙ কোলাব্যাঙ
ডাকো শুধু ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
ডোবা জলে তোমার বাস
হয় না তুবও সর্দি-কাশ।
দেখবো তোমায় ইচ্ছে খুব
কাছে গেলে দাও যে ডুব।

দেখা হলে 
ইসমাইল হোসেন

দেখা হলে সালাম দিও
মোসাফাতে হাতটি দিও
দুঃখে ভরা মন হলেও
একটা মিষ্টি হাসি দিও,
সুখের দুটো কথা বলে
একটু তাকে শান্তি দিও।
নিজের কষ্ট বের কর না
অন্যজনকে ভাগ দিও না
পারলে তার কষ্ট নিও
সান্ত্বনাতে স্বস্তি দিও;
একটু ভালবাসা দিয়ে
হাসি মুখে বিদায় নিও।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ