বিদ্রোহী কবি
ছড়া-কবিতা মে ২০১৩
বিদ্রোহী কবি এ কে আজাদ একটা ছেলের রুটির থালায় দুঃখ বেজায় হাসতো, আহা! ছেলের চোখ দু’টো যে অশ্র“জলে ভাসতো; সেই ছেলেটির ছিল না তো টাকা কড়ি দিনার, কষ্টেরা সব এতিম-বুকে গড়লো দুখের মিনার। অত্যাচারীর খড়্গ এসে রক্ত ঝরায় আরও ব্যথার পাহাড় এমন বল সয় কি প্রাণে কারও? দুঃখগুলো জড়ো হলো এক মোহনায় এসে, তারই পাশে অগ্নিগিরি উঠলো তখন হেসে। ছোট্ট ছেলের চোখের তারায় স্বপ্ন আগুন জ্বললো! সেই ছেলেটির ‘অগ্নিবীণায়’ জালিম শাহী টললো; বেজায় কঠিন ‘বিষের বাঁশি’ সুর তুলে রোজ কান্তো ‘শিকল ভাঙার গান’ তো কেবল সেই ছেলেটিই জানতো। সবার বুকে সেই ছেলেটি জ্বাল্লো দ্রোহের আগুন, অধীনতার মাঘ পেরিয়ে আসলো শেষে ফাগুন। ফাগুন তো নয়, স্বাধীনতা- স্বাধীনতার সূর্য, সেই ছেলেটিই বাজালো যে সত্য ন্যায়ের তুর্য। ডঙ্কা বাজে কাব্যে-গানে বাবড়ি দোলে সাথে, আঁধার টুটে আনলো আলো সেই ছেলে নিজ হাতে। জাগলো সাড়া সবুজ মাঠে, জাগলো নদীর ঘাটে, জাগলো সাড়া গঞ্জ-গ্রামে, জাগলো সাড়া হাটে। জাগলো কিশোর, ছাত্র-যুবা, জাগলো কিষাণ-বালা, বৃদ্ধ, নারী জাগলো সবাই, জাগরণের পালা। সেই ছেলেটি বিদ্রোহী নয়, বিপ্লবী সে বটে, নইলে কি আর মনের মাঝে বিপ্লব এমন ঘটে!
আরও পড়ুন...