ফুলের নাম চাঁপা

ফুলের নাম চাঁপা

ফিচার মার্চ ২০১৩

আমাদের দেশে চাঁপা নামে যতগুলো ফুল আছে, তার খ্যাতি মূলত সুগন্ধের জন্য। আর ওদের বর্ণবৈচিত্র্য হচ্ছে আমাদের বাড়তি পাওনা। চাঁপার খ্যাতি কিন্তু বিশ্বজোড়া। আমাদের দেশে এই চাঁপা ফুলের সংখ্যা একেবারে কম নয়। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁপা নামের সব ফুলই কিন্তু চাঁপা নয়। প্রচলিত নাম চাঁপা হলেও মূল চাঁপাফুলের সঙ্গে বৈশিষ্ট্যগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রকৃত চাঁপার ইংরেজি নাম ম্যাগনোলিয়া। প্রকৃত চাঁপাফুল এবং শুধুমাত্র নামেই চাঁপা, আমাদের দেশের এমন কয়েকটি ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন মাহমুদ হাসান স্বর্ণচাঁপা একসময়ের উপেক্ষিত গাছটি এখন পার্ক-উদ্যান ও পথপাশে কিছুটা সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ফুলের ক্ষেত্রে এই চাঁপাফুলটি আমাদের অতি সুপরিচিত। এর স্নিগ্ধ বর্ণ ও উজ্জ্বল সৌরভ পবিত্রতার প্রতীক। বৃদ্ধি দ্রুত, জীবন দীর্ঘ, চাষ সহজ এবং প্রস্ফুটন অফুরান। স্বর্ণচাঁপা মূলত পাহাড়ী প্রজাতি। সমতলেও বৃদ্ধি স্বাভাবিক। বৈজ্ঞানিক নাম গরপযবষরধ পযধসঢ়ধপধ.  গাছের কাণ্ড সরল, উন্নত, মসৃণ এবং ধূসর। পাতা চ্যাপ্টা, উজ্জ্বল-সবুজ, একান্তরে ঘনবব্ধ। ফুল একক, কাক্ষিক এবং ম্লান হলুদ, রক্তিম কিংবা প্রায় সাদা। পাপড়ি সংখ্যা প্রায় ১৫। আমাদের দেশে সাদা রঙের ফুল চোখে পড়ে না। ফুলের বর্ণগত বিচিত্রতায় বিভ্রান্ত হবার কোনো কারণ নেই। মাটি, আবহাওয়া, পারিপার্শ্বিক অবস্থা এমনকি তাজা ও বাসি ফুলের ক্ষেত্রেও রঙের তারতম্য হতে পারে। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত চাঁপা তীব্র সুগন্ধি। গ্রীষ্মের প্রথম ভাগ থেকে বর্ষা-শরৎ অবধি ফুল থাকে। ফুল শেষ হলে গুচ্ছবদ্ধ ফল ধরে গাছে। দেখতে অনেকটা আঙুরের মতো। কাক ও শালিকের প্রিয় খাদ্য। চাঁপা ভেষজ গুণেও অনন্য। বাকল ও ফুল বাতরোগের ওষুধ। ফুলের আরক চক্ষুরোগে ব্যবহার্য। বীজ পা-ক্ষতে উপকারী। কাঠ দারুমূল্যযুক্ত। জহুরিচাঁপা যখন ফোটে তখন মনে যেন মুক্ত পাপড়িতে হাসছে। পার্ক-উদ্যানে বেশি চোখে পড়ে। মালিরা বলেন এগ্ প্ল্যান্ট। জহুরিচাঁপা (গধমহড়ষরধ ঢ়ঁসরষধ) মূলত জাভা দ্বীপপুঞ্জের গাছ। প্রায় ২ মিটার উঁচু হয় এই ফুলগাছ। পাতা ভল্গাকার. ৭-১২ সেন্টিমিটার লম্বা, খসখসে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় বেশি ফুল ফোটে, পাতার গোড়া থেকে একেকটি ফোটে সন্ধ্যার আগে আগে। হলদেটে-সাদা, সুগন্ধি, প্রায় ৩ সেন্টিমিটার চওড়া, সবুজ বৃত্যাংশে আংশিক ঢাকা থাকে, বাটিবৎ, পাপড়ি ৬ থেকে ৯টি। কলমে চাষ করা যায়। কাঁঠালীচাঁপা গাছ যতটা সহজলভ্য ফুল ততটা নয়। এর কারণ একাধিক। গাছ পত্রঘন, তার আড়ালেই লুকিয়ে থাকে ফুল। তাছাড়া প্রস্ফুটনকালও সংক্ষিপ্ত। বছরের বাকি সময় পাতার সৌন্দর্য কিংবা কোনো উদ্যানকর্মীর শৈল্পিক আদলে গড়া ভিন্ন কোনো অবয়ব দেখেই কাটাতে হয়। ব্যাংকক বা অন্যান্য দেশে এর বেশ যতœ-আত্তি হলেও আমাদের দেশে কাঁঠালীচাঁপার (অৎঃড়নড়ঃৎুং ড়ফড়ৎধঃরংংরসঁং) অতটা যতœ-আত্তি হয় না, তবে বেশিরভাগ বাগানেই চোখে পড়ে। কাষ্ঠল লতা, বড় ঝাড়, ছেঁটে দিলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, বড় হলে নুয়ে পড়ে। ছোট ছোট ডাল কাঁটায় রূপান্তরিত। পাতা উজ্জ্বল সবুজ, আয়ত-ভল্গাকার। ফুল ফোটে গ্রীষ্ম ও বর্ষায়, অন্যান্য সময়েও হঠাৎ দু’একটির দেখা মেলে। পরিণত হলে পাকা কাঁঠালের গন্ধ ছড়ায়। এই সূত্র ধরেই অনেকে ফুল সনাক্ত করেন। রঙ হলদেটে বা সোনালি হলুদ, কাক্ষিক, পাপড়ি সংখ্যা ৬, খোলা। ফুলের বোঁটা বাঁকা, আঁকশির গড়ন। গুচ্ছবদ্ধ ফল গোলাকার, পাখিদের বেশ প্রিয়। এই ফুলের আদি আবস ইন্দো-মালয়। কনকচাঁপা কনকচাঁপা আমাদের অতি পুরনো ও দু®প্রাপ্য ফুল। দুর্লভ হওয়ার কারণে ফুলটি আমাদের কাছে নামে যতটা পরিচিত, অবয়বে ঠিক ততটা নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কনকচাঁপা কোনো চাঁপা নয়, উদ্ভিদিবজ্ঞানের মাপকাঠিতে এ দুয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। কনকচাঁপা ছোটখাটো ধরনের গাছ। এর কাণ্ড মসৃণ ও বাকল ধূসর রঙের। মাথার দিকে ডালপালাগুলো কিছুটা ছড়ান ধরনের। শীতের শেষে সব পাতা ঝরে পড়ে। আবার বসন্তের একটু ছোঁয়া পেলেই যেন প্রাণ ফিরে আসে। তখন তামাটে রঙের কচিপাতাগুলো হাওয়ায় দোল খায়। তার পরপরই হলুদ সোনালি রঙের সুগন্ধি ফুলগুলো ফুটতে শুরু করে। পরাগরেণু প্রলোভনে ছুটে আসে ভ্রমরার দল। এদের মঞ্জরি ছোট হলেও সংখ্যায় অজস্র। হলুদ পরাগচক্রে বহু কেশরের সমাহার। কিন্তু দিন কয়েক যেতে না যেতেই নিঃশেষ হয়ে আসে ফুল। গাছতলায় তখন শুধুই ঝরাফুলের রোদন। ফুল ঝরে পড়ার পর লালচে ঢাকনার ভেতর গোল গোল ফল হয়। এই গাছের শিকড় দীর্ঘ ও আঁকা বাঁকা। ছালের রস হজমিকারক। কাঠ শক্ত, লাঠি ও খুটি ইত্যাদির উপযুক্ত। কনকচাঁপার আদিনিবাস আমাদের দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ ‘ওকনা’ গ্রীক শব্দ যার অর্থ নাশপাতি। এর কোনো কোনো প্রজাতির সঙ্গে নাশপাতির পাতার সদৃশ থেকেই এই নামকরণ। শেষ অংশ ‘স্কোয়ারোজা’ ল্যাতিন শব্দ, অর্থ হলো রুক্ষ। গুলঞ্চচাঁপা এর অন্য নাম কাঠগোলাপ। সুদূর মেক্সিকো থেকে আসা এই ফুলটি এখন আমাদের দেশে দারুণ জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তার কারণে তার নামও অনেকÑ গুলাচি, গোলাইচ, গোলকচাঁপা, চালতাগোলাপ, গরুড়চাঁপা ইত্যাদি। কঠাগোলাপ (চষঁসবৎরধ ংঢ়ঢ়) দারুণ সুগন্ধিও। শীতের শেষ দিকে এই গাছের সব পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শেষভাগে পাতাহীন ডালপালার মাথায় দু’এক থোকা করে ফুল ফুটতে শুরু করে। ফুল ও পাতার পরিপূর্ণতা আসে গ্রীষ্মকালে। তখন দূর থেকে মনে হয় গাছটি যেন প্রকৃতির বিশাল এক পু®পস্তবক। তারপর শীত অবধি পর্যায়ক্রমে ফুল ফুটতে থাকে। বর্ণে গন্ধে প্রাচুর্যে এবং অক্লান্ত প্রস্ফুটনে এমন পুষ্পতরু সত্যিই বিরল। এই গাছটি ৮-১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পুরনো কাণ্ড রুক্ষ, অমসৃণ ও খসেপড়া বাকলের চিহ্নে ধূসর। ডালপালাগুলো নরম ও দুধকষভরা। প্রজাতিভেদে পাতার গড়ন নানারকম। কোনো কোনোটির গোড়া ও আগার দিক সরু, কোনোটির আগার দিকটা বড় ও মাথা গোল। বিচিত্র গড়ন ও বর্ণবৈচিত্র্য এই ফুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো ফুল একেবারে দুধের মতো সাদা, কোনোটিতে সাদা পাপড়ির কেন্দ্রে স্পষ্ট হলুদ দাগ, আবার কোনোটি লালচে গোলাপি রঙের। আবার সাদা রঙের কিছু ফুল দীর্ঘ মঞ্জরিদণ্ডের আগায় ঝুলে থাকে। হিমচাঁপা অন্য নাম উদয়পদ্ম। এর পোশাকি নাম ম্যাগনোলিয়া। এই গণে পৃথিবীজুড়ে অসংখ্য প্রজাতি ছড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিকদের মতে ম্যাগনোলিয়া হিমালয় অঞ্চলের আদি উদ্ভিদপ্রজাতি। বর্তমান ফুলটি অবশ্য সুদীর্ঘ সময়ের বিবর্তিত রূপ। আমাদের দেশে এই ফুল সংখ্যায় কম। তাছাড়া উচ্চতার দিক থেকেও ততটা উঁচু হয় না। কিন্তু ঠাণ্ডাপ্রবণ অঞ্চলে গাছ বেশ উঁচু হতে দেখা যায়। এরা অবশ্য আমাদের দেশী ম্যাগনোলিয়া নয়, আমাদের একমাত্র দেশী ম্যাগনোলিয়ার নাম দুলিচাঁপা। জন্মে সিলেটের পাহাড়ে। কিন্তু আলোচ্য উদয়পদ্ম সারাদেশেই বিক্ষিপ্তভাবে চোখে পড়ে। গাছ ১৫-২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড শক্ত ও কালচে ধরনের। কুঁড়ির রঙ বাদামী ও রোমশ। পাতা ঊর্ধ্বমুখী, দেখতে অনেকটা কাঁঠাল পাতার মতো। তবে আগা সরু নয়, আয়তাকার। পিঠের রঙ খয়েরি ও বুকের দিকটা সবুজ রঙের। এমন বৈশিষ্ট্যের কারণে অন্যান্য গাছ থেকে একে (গধমহড়ষরধ মৎধহফরভষড়ৎধ) খুব সহজেই আলাদা করা যায়। সাদা, সুগন্ধি ও বড় আকারের ফুলগুলো ফোটে বসন্তের শেষ ভাগে, ১৫-২০ সেন্টিমিটার চওড়া, পাপড়ি ৬-১২টি। পরিপূর্ণ মৌসুম গ্রীষ্মকাল। একদিনের ব্যবধানেই বাসি হয়ে ঝরে পড়ে। ফুল থেকে কাঁঠালের আঁটির মতো মুঠো সমান বীজ হয়। এই গাছ রোদ পছন্দ করে। তবে চারা তৈরি করতে হয় ছায়ায়। বংশবৃদ্ধি গুটিকলমে। নাগেশ্বর নাগেশ্বর বাংলাদেশের অনেক পুরনো ফুল। হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের অনেক স্থানেই নাগেশ্বর সহজলভ্য। তবে আমাদের দেশে সিলেটের পাহাড়ী এলাকায় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি দেখা যায়। দৃঢ়তা, গঠনসৌষ্ঠব, দীর্ঘ জীবন, ফুল ও পাতার সৌন্দর্য এই গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি দীর্ঘাকৃতির বৃক্ষ। কাণ্ড গোল, সরল, মসৃণ ও ধূসর রঙের। দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো। সারা বছর নতুন নতুন পাতা গজানো এই গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নতুন পাতার রঙ উজ্জ্বল তামাটে হয়। পাতা সরু ও মসুণ, আগা তীক্ষè। পাতার বিন্যাস এতই ঘনবদ্ধ যে এই গাছ সবসময় ছায়া সুনিবিড় থাকে। নাগেশ্বর (গবংঁধ হধমধংংধৎরঁস) ফোটার প্রধান মৌসুম হচ্ছে বসন্ত। তবে বছরের অন্যান্য সময়েও ফুল থাকে। পাপড়ির রঙ দুধ-সাদা। মাঝখানে থাকে একথোকা সোনালি বর্ণের পরাগ কেশর। সব মিলিয়ে এই ফুল বর্ণে গন্ধে অনন্য। গৃহসজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয়। ফলের রঙ প্রথমে তামাটে পরে ধীরে ধীরে বাদামী রঙ ধারণ করে। বীজ তেল জ্বালানি ও বাতের মালিশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফুল থেকে তেরি আতরও উৎকৃষ্ট মানের। এই গাছের কাঠও বেশ উৎকৃষ্ট মানের। ডুলিচাঁপা ডুলিচাঁপা (গধমহড়ষরধ ঢ়ঃবৎড়পধৎঢ়ধ) বেশ বড় এবং চিরসবুজ গাছ। মাথা গোলাকার, পাতা বড়, ২০ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা, মাথার দিক চওড়া, বোঁটার দিকে ক্রমান্বয়ে সরু, চার্ম ও মসৃণ, আগা ভোঁতা, বোঁটা খাটো। ডালের আগায় পুরুষ্টু বোঁটায় একক ফুল ফোটে। ফুল বড়, ১০ সেন্টিমিটার চওড়া, সাদা ও সুগন্ধি। পাপড়ি সংখ্যা ৬, ডিম্বাকৃতি ও পুরুষ্টু। ফলগুচ্ছ ১২ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা, ৪ থেকে ৬ সেন্টিমিটার চওড়া। ছোট আকৃতির এই ফলগুলোর আগা সামান্য লম্বা ও চোখা। বীজ কমলা রঙের। সিলেট ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক বনেও দেখা মেলে এদের। এরা গধমহড়ষরধপবধব পরিবারের সদস্য। চারা কিংবা কলমের মাধ্যমে এই গাছটি আমাদের চারপাশে ব্যাপক পরিমাণে রোপণ করা প্রয়োজন। দোলনচাঁপা দোলনচাঁপা (ঐবফুপযরঁস পড়ৎড়হধৎরঁস) কন্দজ, বর্ষজীবী গাছ। ৬০-৮০ সেন্টিমিটার উঁচু, কাণ্ডের পাশে কয়েকটি লম্বা লম্বা পাতা থাকে। আড়ায় থাকে সাদা ফুলের থোকা। ফুলটি বেশ সুগন্ধিযুক্ত। গড়ন প্রজাপতির মতো। পাপড়ি দু’টি এবং বড়। এটি বর্ষার ফুল, ফোটে সন্ধ্যায়। ছায়া ও ভেজা মাটি গাছটির পছন্দ। ভূঁইচাঁপা বর্ষজীবী এই ভূঁইচাঁপার (কধবসঢ়ভবৎরধ ৎড়ঃঁহফধ) অন্য নাম ইন্ডিয়ান ক্রকাস, পিকক জিন্জার ইত্যাদি। দু’এক পশলা বৃষ্টি হলে মাটি ফুঁড়ে পাতাগুলো বেরিয়ে আসে। এর পাতা চ্যাপ্টা, শিরা স্পষ্ট। ফুলের পাপড়ি বিক্ষিপ্ত, কেন্দ্রে বেগুনি রঙের ছোপ দেখা যায়। দূর থেকে দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো মনে হয়। সুলতানচাঁপা সুলতানচাঁপার আরেকটি নাম কন্ন্যাল। উপকূলীয় জেলাগুলোতে সহজলভ্য। গাছটি চিরসবুজ। বৈজ্ঞানিক নাম ঈধষড়ঢ়যুষষঁস রহড়ঢ়যুষষঁস. গাছের গড়ন লম্বাটে, ১২ মিটার উঁচু হতে পারে। পাতা ঝলমলে সবুজ, আগা গোল। স্থানানুসারে গ্রীষ্মের শেষ থেকে শীত অবধি সুগন্ধি ফুল ফোটে। শাখায়িত মঞ্জরিতে ছোট ছোট সুগন্ধি সাদা ফুল দুই ধরনের। ৪-গুচ্ছের পুংকেশর হলুদ রঙের। ধারণা করা হয় আগেকার সুলতানদের মন জয় করেছিল এই ফুল। তাই এমন নামকরণ।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ