তোমাদের কবিতা

তোমাদের কবিতা

ছড়া-কবিতা ডিসেম্বর ২০১০

খোকার ঈদ
মেহেনাজ তাবাসসুম
কী যে খুশি লাগছে খোকার
আবার এলো ঈদ
নতুন জামা পরবে সে যে
গাইবে শুধু গীত।
সেমাই-সুজি, কোর্মা-পোলাও
আরও অনেক খাবার
কোনটা রেখে কোনটা খাবে
সব খাবারই মজার!
খোকার হঠাৎ পড়লো মনে
গরিব-দুঃখীর কথা
ছোট্ট হৃদয় পেল যেন
অনেক দুঃখ-ব্যথা!
তাইতো খোকা রাখলো ভেবে
এবার ঈদ এলে
খোকার সঙ্গী হবে যারা
গরিব-দুঃখী ছেলে।
দাওয়াত
বাসুদেব সরকার
তোমার বাড়ি এবার ঈদের
দাওয়াত আমায় দিলে
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি
করবো দু’জন মিলে।
দাওয়াত দিয়ে দেখ তুমি
হাজির হবো হেসে
নাস্তা খাবো, পোলাও খাবো
এক টেবিলে বসে।
ঈদের দিন
মুনির হেলাল
ঈদের দিনে বাবার সাথে
ঈদগাহেতে যাবো
সালাম দিয়ে ঈদের বোনাস
মুঠি মুঠি পাবো!
গরিব-দুঃখীর খবর নেবো
তাদের কাছে গিয়ে
দুঃখে-সুখে শরিক হবো
মুখে খাবার দিয়ে।
নামাজ শেষে হাত উঠিয়ে
করবো মুনাজাত
সুখ-শান্তিতে কাটে যেন
সবার দিন-রাত।
ঘরে ঘরে ঈদ
কাজী শামসুন নাহার
হালিমের ঘ্রাণে ঘ্রাণে মন ভরে যায়
মরিয়ম খেজুরটা বাবা বেশি খায়।
ঈদ আসে রুমঝুম তালেতালে পায়
সেই ছোঁয়া লাগে বুঝি সকলের গায়।
কতো কিছু কেনা হয় বাকি কতো কিছু
ঘরে ঘরে ঈদ এসে হাসে পিছু পিছু
বনে বনে কতো ফুল ডালে ডালে পাখি
হাসি-খুশি সারাদিন করে ডাকাডাকি।
দোলা জাগে চারপাশে মাখা-মাখা ভাব
প্রজাপতি ঢেলে দেয় সুখী জলছাপ
সারা দিন ঘোরাঘুরি টিভি দেখা রাতে
গুরুজন গুঁজে দেন সেলামিটা হাতে।
কেমন খুশির দিন
সাদিয়া আনহা (তামান্না)
ঈদের দিনে সবার মনে
খুশির হাওয়া বয়
সবাই যায় ঈদগাহে
নতুন জামা গায়।
সবার গায়ে নতুন জামা
আমরা বস্ত্রহীন
কেমন করে বল এটা
সবার খুশির দিন!
চাঁদের হাসি
ইসমাইল হোসেন
খোকা খুকি সবাই খুশি
বুড়ো তাকায় একটু কাশি
তাকায় নারী তাকায় পুরুষ
ছোট-বড় সকল মানুষ।
কামার আসে কুমার আসে
মুসল্লিরা নামাজ শেষে
জেলে আসে মুটে আসে
সাহেব এসে দাঁড়ায় পাশে।
ধনী-গরিব সব একাকার
বছর শেষে দেখছে আবার
নীল আকাশে উঠল ভাসি
কাস্তে বাঁকা চাঁদের হাসি।
বাঁকা চাঁদের হাসি
শুভেন্দু দাশ
খোকা খুকির ছোটাছুটি
নতুন জামা হাতে
কোরমা পোলাও ফিরনি সেমাই
উঠবে সবার পাতে।
কাঁধে কাঁধে নামাজ শেষে
সবার আপন সবে
ধনী-গরিব সবাই সমান
মিলন মেলা হবে।
ঈদের খুশি
গোলাম মেহেদী হাসান
ঈদের খুশি দাও ছড়িয়ে
সকল শিশুর মনে
মহৎ হবার দীক্ষা দাও
প্রতি জনে জনে।
ঈদের খুশি দাও ছড়িয়ে
সকল দুঃখীর ঘরে
দুঃখগুলো দাও মুড়িয়ে
সুখের চাদরে।
ঈদের খুশি বছর জুড়ে
এমন করেই থাক
সবার মনের শঙ্কা-কালো
আজকে মুছে যাক।
মল্লিক ভাই তোমার জন্য
জিয়া হক
হৃদয় ছিঁড়ে কান্না ঢালি আজ
বকুল বনে নামলো আঁধার সাঁঝ
পাখির ঠোঁটে গান ঝরে না আর
চাঁদের মুখে করুণ হাহাকার!
ব্যস্ত বাতাস থমকে দাঁড়ায় ইস
দুধের থালায় উপচে পড়ে বিষ
সবুজ সবুজ মনটা অবুঝ হয়
চোখের তারায় জমছে সংশয়।
গন্ধ হারায় গন্ধরাজের ডাল
পায় না কবি ছন্দ-ছড়ার তাল।
মল্লিক ভাই তোমার শোকে এইÑ
হৃদয় যেন হারায় সকল খেই!
আলোর ভোর
আল জাবিরী
আমরা আঁধার টুটে
আনব নতুন আলোর ভোর
আমরা মশাল হয়ে
করব বিনাশ আঁধার ঘোর।
আমরা তুলব বান
ঝিমে ধরা সমাজটাতে
আমরা সত্য ন্যায়ের
ফুল ফুটাব এই ধরাতে।
পাখির গান
সোহানুর রহমান অনন্ত
রাতের গায়ে জোনাক পোকার
মিটি মিটি আলো
আকাশ জুড়ে নীলের খেলা
মেঘের রঙটি কালো।
বাগান জুড়ে ফুলের মেলা
ভ্রমর আসে বলে
আঁকা বাঁকা পথটি ধরে
রোদের গাড়ি চলে।
বাতাসেতে ধানের গন্ধ
ভরে ওঠে প্রাণ
রোজ বিহানে ঘুম ভেঙে যায়
শুনে পাখির গান।
ভালবাসি
রাবিয়া সুলতানা পলি
ভালবাসি আকাশ বাতাস
ভালবাসি ফুল
ভালবাসি সাতরঙ
সবুজ অতুল।
ভালবাসি গাছপালা
ভালবাসি ছায়া
ভালবাসি প্রকৃতির
অপরূপ মায়া।
ভালবাসি রাত দিন
ভালবাসি পাখি
ভাললাগা স্মৃতিগুলো
বুকে ধরে রাখি।
আলোর আহ্বান
নাছরিন আক্তার
এসো হে কিশোর এসো হে নবীন
তোমরা হও আগুয়ান
মুক্তির পথে চলবো মোরা
সকল নওজোয়ান।
মোরা চলবো সত্যের পথে
মহাসত্যের পথ ধরে
মোরা চলবো আলোর পথে
আলোক অভিসারে।
লুটবো আলো মাখবো গায়ে
আলো ছড়াবো আলো
কালো সবই করবো দূর
আনবো ডেকে ভালো।
মায়ের সেবা
মহসিন মিজি
মায়ের আদর সোহাগ পেতে
কার না চায় মন
ভালোবাসার মানুষ ধরায়
আছেইবা ক’জন?
সবুজ তরুর ছায়া যেন
মায়ের আঁচলখানি
নাই জুড়ি নাই তার মমতার
আমরা সবাই জানি।
মা ছাড়া যে মিথ্যা ভুবন
মিথ্যা জীবন এই
মায়ের সেবা করবো সবাই
আজকে শপথ নেই।
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ