চ্যালেঞ্জ

চ্যালেঞ্জ

তোমাদের গল্প মার্চ ২০১৪

ওমর আল ফারুক

Chalengeএকবার আলোচনা উঠলো ক্লাসের ফার্স্টবয় হাসানকে নিয়ে। ‘ও অপ্রতিরোধ্য!’ পলাশের শর্টকাট মন্তব্য। ঠিকই বলেছিস, আমরা যা পড়েও পারি না, ও এসব না পড়লেও কিভাবে পেরে যায়। বকর বলল বিস্ময়ভরা কণ্ঠে! ‘আমার তো মনে হয় না কেউ ওকে পেছনে ফেলতে পারবে।’ বলল আরেকজন। সবার সব কথাই শুনল তৌফিক, সে ক্লাসের ফার্স্ট বয় না হলেও ছাত্র হিসেবে কখনোই খারাপ নয়। তা ছাড়া স্বভাব-চরিত্র ও তার যথেষ্ট মার্জিত। সে উঠে গিয়ে বলল, আসলে কোনো প্রতিপক্ষই অজেয় নয়। যদি সঠিক মনোবল, সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং পর্যাপ্ত পরিশ্রমসহ কেউ সামনে চলে। আমি কিন্তু হাসানের প্রতিভাকে অস্বীকার করছি না। বরং এটাই বাস্তবতা। সন্দেহ নেই তৌফিকের উৎসাহ প্রদানের এই পদ্ধতিটি মন্দ নয়। তবুও কতিপয় ইঁচড়ে পাকা একে ভিন্ন চোখে দেখলো। ততক্ষণে আবু বকর বলেই ফেলেছে ‘খুবই তো শুনলাম একগাদা লেকচার; তাহলে তুই-ই করে দেখা, তোর মনোবল প্রমাণ করতে একবার অন্তত ফার্স্ট হয়ে দেখা!’ সবাই হাততালি দিয়ে তার এই চ্যালেঞ্জকে আরো শক্তিশালী করে দিলো। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেরিয়ে গেলো তৌফিক, আনমনে বলল, ‘আই অ্যাকসেপ্ট ইউর চ্যালেঞ্জ।’ বাড়ি এসেই পড়তে বসলো তার মামার দেয়া বইটি। ‘শিব খেরার’ লেখা ‘ইউ কেন উইন’-এর বাংলা অনুবাদ ‘তুমিও জিতবে’। সময় পেলেই বইটি নিয়ে বসে পড়ে। তৎক্ষণাৎ আত্মশক্তি বেড়ে যায় এবং তার মনোবল হয় আরো শক্তিশালী। তার মামা বলতেন, ‘একটি ভালো বই একজন দরদি বাবা।’ বইটি পড়তে পড়তে এর প্রমাণ উপস্থিত। এখন সে লেখাপড়ায় অনেক বেশি মনোযোগী, তার মা-বাবা তাই খুব খুশি। এ দিকে দেখতে দেখতে পরীক্ষাও চলে এলো। পরীক্ষাকে গ্রহণ করে সে মজার খেলা হিসেবে। কারণ পরীক্ষাই তো জীবনযুদ্ধে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। সব পরীক্ষাই ভলো হয় তৌফিকের। পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হলে তার ক্লাসমেটসহ শিক্ষকবৃন্দ তো বটেই, সে নিজেও বেশ অবাক হয়। কারণ রেজাল্ট ভালো হবে শুধু এতটুকুই সে জানত। কিন্তু এতটা ভালো হবে সে কল্পনাও করতে পারেনি। সারা স্কুলে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে। তাই এবার সে ক্লাস এইটের সম্ভাবনাময় ছাত্র।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ