চলে গেলেন ড. কাজী দীন মুহম্মদ

চলে গেলেন ড. কাজী দীন মুহম্মদ

স্মরণ ডিসেম্বর ২০১১

আহমদ মতিউর রহমান..

তোমরা যারা কিশোরকণ্ঠের নিয়মিত পাঠক তারা তো ড. কাজী দীন মুহম্মদের লেখার সাথে কমবেশি পরিচিত। কত চমৎকার লেখা তিনি উপহার দিয়েছেন তোমাদের জন্য, যা সবাইকে আলোকিত করেছে, জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হয়েছে। যারা ঢাকায় থাকো এবং কিশোরকণ্ঠের অনুষ্ঠানে নিয়মিত আসা যাওয়া করতে তারা হয়তো তাঁকে চাক্ষুষ দেখেও থাকতে পারো। সেই সোনার মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। গত ২৮ অক্টোবর তিনি ৮৪ বছর বয়সে চিরতরে এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন। আজ তাঁর কথাই তোমাদের বলবো।
তিনি ছিলেন খ্যাতিমান পণ্ডিত, লেখক ও বাংলা ভাষার সাধক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর হাত দিয়ে কত শত ছাত্রছাত্রী বের হয়ে গেছে এই বিদ্যাপীঠ থেকে তার সংখ্যা বেশুমার। তাঁর সেসব ছাত্রছাত্রী আজ বিভিন্ন নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান। তিনি ছিলেন শিক্ষকদেরও শিক্ষক। শুধু কি তাই? তাঁর প্রিয় ও স্নেহধন্য অনেক ছাত্রছাত্রী দেশে-বিদেশে এমনকি জাতিসংঘেরও বড় বড় পদে আসীন হয়েছে। আমি নিজেও তাঁর একজন গুণমুগ্ধ ছাত্র। কত স্মৃতি আর কত কথা তাকে নিয়ে! আজ তার কিছু কিছু তোমাদের শোনাব।

দুই.
কাজী দীন মুহম্মদ ১৯২৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি সাবেক ঢাকা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের রূপসী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী আলিমুদ্দিন আহমদ, মা মোসাম্মৎ কাওসার বেগম।
গ্রামের নামটা যেমন সুন্দর, তিনি শৈশব ও কৈশোরে দেখতে ছিলেন তেমন সুন্দর। আর ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী। কেমন মেধাবী একটু পরিচয় দিলেই বুঝতে পারবে। তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় (বর্তমানে যা এসএসসি) ঢাকা বোর্ডে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেন। স্কুলজীবনেও তিনি প্রতিটি পরীক্ষাতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৪৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ অনার্স, ১৯৪৯ সালে এমএ ডিগ্রি এবং ১৯৬১ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫১ সালের জুলাই মাসে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলার লেকচারার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি ওই বছরই পহেলা নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সুদীর্ঘকাল শিক্ষকতার পর ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করার পর পুনর্নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৫ বছর এবং সংখ্যাতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে আরো ৩ বছর বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। তিনি ডেপুটেশনে ১৯৬৪-৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাংকে উন্নয়ন অফিসার এবং ১৯৬৭ থেকে ’৬৯ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর পরিচালক (বর্তমানে যা মহাপরিচালক) ছিলেন।
ড. কাজী দীন মুহম্মদ ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (বাংলা) প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকালে তাঁর গবেষণার বিষয়টি ছিল খুবই কঠিন ও জটিল। সে সময় অনেক হিন্দু শিক্ষক-গবেষক তাই সে পথ মাড়াননি। কিন্তু অধ্যাপক দীন মুহম্মদ সেই কঠিন ও জটিল বিষয়ে পিএইচডি করে প্রমাণ করেন মুসলমান ছাত্রছাত্রীরা যোগ্যতার দিক থেকে কম নন। তাঁর এই কাজ ও গবেষণা খুবই প্রশংসিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে ফুলার রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি রাজধানীর কলাবাগানের ১২৯ নম্বর বাসায় নিজ বাড়িতে পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।
বড় হয়ে সিএসপি অফিসার হয়ে দেশ সেবা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। সেটা অবশ্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য খুবই কাজে এসেছে। কারণ তার হাতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে যে ফুল ফুটেছে তা অফুটন্তই থেকে যেত হয়তো।
১৯৪৯ সালের ঘটনা। সে বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসের ছাত্র। ১৯৫০ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার কারণে তার লেখাপড়া শেষ করতে এক বছর দেরি হয়। লেখাপড়া শেষ করে সিএসপি হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ভিসি সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের পরামর্শে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে মনস্থির করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৫১ সালে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। টানা ৩৫ বছর তিনি জড়িয়ে ছিলেন বাংলা বিভাগের সাথে। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত চার বছর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি তাঁর পেশাগত জীবন থেকে অবসর নেন। এর মধ্যে তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর পরিচালকের (বর্তমান ডিজি পদ) দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেয়ার পর কিছুদিন তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রো-ভিসি এবং পরে ভিসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিন.
বাংলা সাহিত্যের এক বহুদর্শী প্রাজ্ঞপণ্ডিত ড. কাজী দীন মুহম্মদ। রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলনের প্রথম দিকের সংগঠক ছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে যুক্ত হয়েছে অজস্র গৌরবোজ্জ্বল মুকুট। এ অঞ্চল থেকে লন্ডনে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে প্রথম উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা এ ভাষাবিজ্ঞানী ও ভাষাসংগ্রামী পরবর্তীতে বাংলা ভাষা গবেষণা ও উন্নয়নে, বাংলা ভাষায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। লেখেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস এবং ইসলামের ওপর ৪০টিরও বেশি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ।
তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছেÑ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, লোকসাহিত্যের ধাঁধা ও প্রবাদ, সমাজ সংস্কৃতি ও সাহিত্য, জীবন সৌন্দর্য, মানবজমিন, সে কালের সাহিত্য, ভাষাতত্ত্ব, মানব মর্যাদা, জীবন সৌন্দর্য, নাস্তিকতা ও আস্তিকতা, বাংলাদেশে ইসলামের আবির্ভাব, সংস্কৃতি ও আদর্শ, ইসলামী সংস্কৃতি, বিধান তো আল্লাহরই, জুমুআর ঘরে, সুফিবাদের গোড়ার কথা, সুফিবাদ ও আমাদের সমাজ ইত্যাদি।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে মানব মর্যাদা ১৯৬০ সালে ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত হয়। ভাষাতত্ত্ব ছিল তার অধ্যাপনার প্রধান বিষয়। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের নতুনতর মূল্যায়ন করেছেন তিনি। তিনি কিছু কিছু কবিতাও লিখেছেন। ‘একুশের আগাছারা’ তাঁর কাব্যগ্রন্থ যা ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। সুফিবাদের গোড়ার কথা, মানব জীবন, সমাজ সংস্কৃতি ও সাহিত্য, বাংলাদেশে ইসলামের আবির্ভাব ইত্যাদি বইও খুবই প্রশংসিত হয়েছে।
চার.
ড. কাজী দীন মুহম্মদ তার কাজে ছিলেন একজন সফল মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এবং তার অপর কর্মস্থল বাংলা একাডেমীই তার প্রমাণ। তিনি বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবেও সফল ছিলেন।
সে সময়ের কিছু কথা বলছি। আমাদের আরেক কৃতী পুরুষ সৈয়দ আলী আহসান ছয় বছরের অধিককাল বাংলা একাডেমীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ ড. দীন মুহম্মদের কাছে দায়িত্বভার দিয়ে নবগঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ঢাকা ত্যাগ করলেন। তিনি ছিলেন ড. দীন মুহম্মদ সাহেবের শিক্ষক। দীন মুহম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বছরের লিয়েন নিয়ে একাডেমীতে যোগদান করেন।
তিনি যোগদানের পর বাংলা একাডেমীকে নতুন করে গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন কার্যক্রম জোরদার করেন। বিভিন্ন দরকারি বইয়ের প্রকাশনা ও গবেষণার সুযোগ করে দেন তার সুযোগ্য সতীর্থ ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য। তাঁর অনেক আইডিয়া ছিল, যা গতানুগতিক ছিল না। তিনি নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন।
তিনি আসার পর বেশ কয়েকজন অফিসার একাডেমী ছেড়ে চলে গেলেন। ছেড়ে গেলেন বলা ঠিক নয়। তাঁদের সৈয়দ আলী আহসান সাহেব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে নিয়ে গেলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবদুল কাইউম, জিয়া হায়দার ও হায়াত মামুদ। পরের দিকে আনিসুজ্জামান পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পদোন্নতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলেন। এঁদের নিয়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ চালু হলো। অনেকে চলে যাওয়ার ফলে একাডেমীর লোকবল কমে গেল। এই শূন্য অবস্থা দূর করার জন্য দীন মুহম্মদ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেন এবং সফল হন। এ ছাড়া বাংলায় পাস করা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়মিত আসতেন। সবাইকে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কাজ দিলেন। তাদের মধ্যে ধৈর্য ও সহ্যশক্তি তিনি দেখেছিলেন। তাদের অনেককেই তিনি নিয়োগ দেন। এভাবে তার একান্ত চেষ্টায় একাডেমী আবার জমে ওঠে।
তাঁর সময়ে খুব বড় করে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিল বাংলা একাডেমীর সংস্কৃতি বিভাগ। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘পূর্ব বাংলার সাহিত্য’। অনেক প্রবন্ধ পঠিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে অনেক প্রবীণ ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এসেছিলেন। সেসব প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হয়ে আছে, যার অনেকগুলোই পরে বই হয়েছে।

পাঁচ.
ড. কাজী দীন মুহম্মদ ছিলেন একজন সচেতন ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ। তিনি বাংলা বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষক হয়েও নিজ ধর্ম পালনে ছিলেন খুবই আন্তরিক। আজীবন তা পালন করে গেছেন নিষ্ঠার সাথে। এ নিয়ে তিনি কখনো আপস করতে রাজি ছিলেন না। তিনি ছিলেন খুবই স্পষ্টবাদী, দোনামোন করা সত্য কথা চেপে যাওয়া মোটেই পছন্দ করতেন না। তিনি জীবদ্দশায় বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বর্ণপদক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রকল্প স্বর্ণপদক। শিশু-কিশোর সাহিত্য পত্রিকা কিশোরকণ্ঠে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন ড. কাজী দীন মুহম্মদ। অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষাজীবনের অধিকারী অধ্যাপক দীন মুহম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন, জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের শিক্ষক ছিলেন ড. কাজী দীন মুহম্মদ। তিনি কাজী দীন মুহম্মদ স¤পর্কে বলেন, ড. কাজী দীন মুহম্মদ স্যারকে আমি তিন দশকেরও অধিককাল ধরে জানি। তাকে কেবল তার নিজ কক্ষ ও ক্লাসরুমেই নিয়মিত পাওয়া যেত না, প্রয়োজনে পরীক্ষার হলে তত্ত্বাবধায়কের কাজ করতেও তিনি ইতস্তত করতেন না। অথচ একটু সিনিয়র হলে অনেকেই পরীক্ষার হলে যেতে উৎসাহ বোধ করতেন না। এমনই ছিল তার কর্তব্যনিষ্ঠা।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ