ঘুরে এলাম নেপাল

ঘুরে এলাম নেপাল

ভ্রমণ ডিসেম্বর ২০১৩

আবদুল কুদ্দুস মাখন| Guraজাতিসংঘের একটি এনজিও সংস্থা ”ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশন” (ইউপিএফ)-এর উদ্যোগে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে গত ১ থেকে ৭ জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “রিলিজিয়াস ইয়ুথ সার্ভিস” প্রোগ্রাম। ইউপিএফ-এর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটি কয়েক ছাত্রকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমরা সিলেকটেড পারসন হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে খুবই ভালো লাগছিল যে নেপাল যাওয়া হবে। পর্যটন কান্ট্রি হিসেবে আমার খুবই পছন্দের একটি দেশ নেপাল। কারণ সেখানে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ “মাউন্ট এভারেস্ট”। মাউন্ট এভারেস্টের কথা শুনলে কার মন না জেগে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের সাথে দেখা করে ৩১ মে দুপুর ১২:২৫ মিনিটে নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হলো । হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছলাম ১:২৫ মিনিটে। আমাদের যাওয়ার মাধ্যম ছিল ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের একটি বিমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা ৪ বন্ধু আবদুল কুদ্দুস মাখন, ইয়াছিন আলম, ওমর ফারুক ও ফরহাদ হোসেন একই প্রোগ্রামের সদস্য হওয়ায় যাত্রাটা ভালই হলো। নিয়ম অনুযায়ী ২ ঘণ্টা সময় নিয়েই এয়ারপোর্টে প্রবেশ করলাম। ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের টিকেট আগেই কেটে রাখা হয়েছিল। বোর্ডিং কার্ড, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি শেষ করে বিমানে উঠলাম। জীবনের প্রথম বিমানে উঠার অভিজ্ঞতা। তাই তার ভাল লাগা অন্য রকম। আকাশে বিমান উড়ল ঠিক বিকাল ৪টায়। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা শূন্যে ঘুরার পর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু পৌঁছলাম বিকাল ৫.১৫ টায়। বিমান থেকে নেমে ভিসা করার জন্য বিশেষ এক ফরম পূরণ করতে হল। এখানে বলে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশ থেকে নেপালের ভিসা করতে হয় না। নেপালের এয়ারপোর্টে গিয়ে ভিসা করতে হয়। কোন ঝামেলা না থাকলে ট্যুরিস্ট হিসেবে এমনিতেই ভিসা পাওয়া যায়। ভিসা করা শেষে এয়ারপোর্ট থেকে বের হলাম। বের হয়েই দেখা হল আমাদের জন্য অপেক্ষমান রিলিজিয়াস ইয়ুথ সার্ভিস প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর পিয়া রতœ মাহারজন এর সাথে। ও বাবা! এ দেখি হিন্দিতে কথা বলছে। আমরা বাংলাদেশী মানুষ, কথা বলি বাংলায়। বাংলা আমার মাতৃভাষা। এখানে এসে দেখি বাংলা বলা আপাতত কিছু দিনের জন্য অফ। নেপালের নিজস্ব ভাষা আছে। যা হিন্দি বাংলা মিশ্রিত। যাক হিন্দি না জানলে কী হবে, মোটামুটি ইংরেজি তো জানা আছে। বুকে সাহস সঞ্চার করে নিলাম। এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো রাজধানীর থামেল এলাকার একটি অভিজাত হোটেল কাঠমাণ্ডু টেরেসে। সেখানে রাত কাটানোর পর খানিকটা অবসর সময় পেলাম। বড্ড ইচ্ছে হল কাঠমাণ্ডু শহরটাকে  ঘুরে দেখতে। তাই সময় নষ্ট না করে বের হয়ে পড়লাম ৪ বন্ধু জুটি বেঁধে। একে একে ঘুরে দেখলাম মাংকি টেম্পল, কাঠমাণ্ডু দরবার, রয়েল পেলেস এবং সার্ক সচিবালয়। দুপুর ২:৩০ মিনিটে  আমাদের মূল কাজ কনফারেন্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হল। পাহাড়ী এলাকা, আঁকাবাঁকা পথ। কখনো পাহাড়ের চূড়ায় আবার কখনো পাহাড়ের নিম্ন স্তরে। এভাবে ছুটে চলছে আমাদের বহনকারী বাসটি। ঝাঁকুনি আর হেলেদুলে পড়া বাসের জার্নি। সে এক রিস্কি মোমেন্ট। সে অভিজ্ঞতা বলে বুঝানো যাবে না। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার জার্নির পর অবশেষে আমরা পৌঁছলাম নেপালের একটি জেলা শহর নুয়াকোটের বিখ্যাত স্কুল শ্রী ভৈরাম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। যেখানে আমাদের ভিনদেশীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে “রিলিজিয়াস ইয়ুথ সার্ভিস” প্রোগ্রাম। ভিনদেশী বলার কারণ হলো আমরা যখন কাঠমাণ্ডু থেকে গাড়িতে উঠলাম তখন দেখা হয়ে গেল রাশিয়ান ক’জন বন্ধুর সাথে। জেলিনা সাজোনোভা, প্রফেসর ডা: ওলগা, আরো ক’জন। যারা আমাদের সাথে প্রোগ্রামের পার্টিসিপেন্ট।  প্রথমে তাদের বয়স দেখে মনে হয়নি যে তারা আমাদের সাথে কনফারেন্সের যাত্রী। কিন্তু তাদের মানসিক শক্তি বলে দিচ্ছে তারা ইয়ুথ সার্ভিসের সদস্য। পরে অবশ্য তাদের সাথে পরিচয় হলো এবং ভালো বন্ধুত্বও হয়ে গেল। নুয়াকোট শ্রী ভৈরাম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পৌঁছানোর পর সে কী আথিতেয়তা! যা কোনাদিন ভোলার নয়। স্কুলের ছেলে মেয়েরা আমাদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে আমাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হলো। তারপর থাংকি  (সর্বোচ্চ সম্মাননা জানানোর বিশেষ কাপড়) গলায় ঝুলিয়ে দিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। শরবত পান, চা পান ইত্যাদি করতে করতে বেলা শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। এরপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো এক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ফ্রেন্ডস রিসোর্টে। যেখানে কাটাতে হবে আমাদের ট্রেনিং পরবর্তী রাতের সময়গুলো। ২ জুন সকাল ৯টায় শুরু হল পরিচিতি প্রোগ্রাম। পরিচয় হল শ্রী ভৈরাম স্কুলের অধ্যক্ষ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সাথে। তারপর স্কুলের ছেলেদের সাথে পিটি ক্লাস, নেপালের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ইত্যাদি। নেপালেরGura জাতীয় সঙ্গীত আমাদের মুগ্ধ করেছে। এরপর আমাদের বলা হল স্কুলে ক্লাস নেয়ার জন্যে। আমার ভাগ্যে পড়ল পঞ্চম শ্রেণী। ভিন দেশে ভিন দেশীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলা, তাদের পড়ানো। ব্যাপারটি ছিল খুবই আনন্দ ও মজার। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ক্লাস নেয়ার পর কিছু সময় ধরে চলল স্কুল পেইন্টিং। দুপুরে লাঞ্চের পর শুরু হল লেকচার। চলল একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত। এভাবে শেষ হলো প্রোগ্রামের ২য় দিন। তৃতীয় দিন ছিল ত্রিসুলী নদী ভ্রমণ, ফটোসেশন,  গোম্বা বৌদ্ধ মন্দিরে মং এর সাথে মেডিটেশন, ত্রিশুলি হিন্দু মন্দির পরিদর্শন, মুসলমানদের ত্রিশুলি জামে মসজিদ, মাদ্রাসা পরিদর্শন ইত্যাদি। চতুর্থ দিন আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নেপালের এক ঐতিহাসিক স্থানে। তিনশত বছর পূর্বে যেখানে বাস করতেন এক সাহসী বীরপুরুষ রাজা পৃথিব নারায়ণ শাহ। সাত তলাবিশিষ্ট কাঠের ঘরে পাহাড়ের সর্ব উপরে তিনি থাকতেন। তার ছিল দুই রানী। রাজপ্রাসাদ। সভামঞ্চ, বিশ্রামের জন্য পৃথক কামরা। তার যুদ্ধ বল্লম, পোশাক-আসাক, ঘরের কারুকাজ দেখে মনে হয় সত্যিই তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত রাজা। আর যারা এত সুন্দর কাঠের শৈল্পিক নিদর্শন তৈরি করেছেন তারা শিল্পীর চেয়েও বড় শিল্পী। এ স্থানকে এক নামে বলা হয় কিং-পেলেস। রাজা পৃথিব নারায়ণ শাহ-এর বংশের যুদ্ধ-বিগ্রহ নিয়ে বিখ্যাত একটি ছবিও তৈরি করা হয়েছে। ছবির নাম ’মাগাধিরা’। কিং-পেলেস ভ্রমণ শেষে আমাদের পাড়ি দিতে হলো এক দূর্গম গিরিপথ। যে পাহাড়ের চূড়ায় আমরা উঠেছিলাম বাসে চড়ে সে পথ এখন আমাদের পাড়ি দিতে হবে পায়ের গাড়িতে। বিলিভ ইট অর নট, সে পাহাড় থেকে নামতে আমাদের টোটাল সময় লেগেছে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা। জীবনে যা ভোলার মত নয়। সে দিন বিকালে চমৎকার এক লেকচার পেলাম ফিলিপাইন নাগরিক রিসেল গেলিফার কাছ থেকে। এর সাথে চমৎকার প্রেজেন্টেশন পেলাম ইউপিএফ-এর এশিয়ান পরিচালক- ড. রবার্ট এস কিটেল-এর কাছ থেকে। এদের সাথে আরো বক্তব্য রাখলেন প্রফেসর উপাধেয়া, নরেদ্র পান্ডে প্রমুখ। পঞ্চম দিনে সকালে স্কুল পেইন্টিং হলো, বিকালে হলো আবারো লেকচার এবং শেষ বিকেলে আমাদের সৌজন্যে আয়োজন করা হলো এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে আমাদের বাংলাদেশীদের বলা হল কিছু একটা পারফরমেন্স করতে হবে। সুযোগ পেয়ে সেদিন আমরা সবাইকে মাতিয়ে দিলাম। ষষ্ঠ দিন ছিল আমাদের ভ্রমণের আরো একটি স্বরণীয় দিন। এই দিন খুব মজা হয়েছিল। বিশেষ করে ডেভিঘাট ভ্রমণ, রাজা পৃথিব নারায়ণ শাহ-এর মূর্তি পরিদর্শন, টেম্পল পরিদর্শন, পিপলটার ভ্রমণ ইত্যাদি। সবশেষে বিকাল নেমে এলো আমাদেরও ঘুরার সময় শেষ হয়ে গেল। আমরা ফিরে এলাম শ্রী ভৈরাম স্কুল মাঠে। এসে দেখি আমাদের “রিলিজিয়াস ইয়ুথ সার্ভিস” প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে। সমাপনী অধিবেশন শুরু হলো। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের ফিলিংস ব্যক্ত করলাম। অবশেষে আমাদের পার্টিসিপেন্টদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করলেন রিলিজিয়াস ইয়ুথ সার্ভিস প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালকGura পিয়া রতœ মাহারজন। সপ্তম দিন আমাদের কনফারেন্সের শেষ দিন। কনফারেন্স শেষ করে আমাদের নিয়ে আসা হলো নুয়াকোট থেকে কাঠমাণ্ডুতে, কাঠমাণ্ডু থেকে আমরা চলে গেলাম রাজধানী থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে পোখারা নামক স্থানে। যেটাকে বলা হয় হেভেন অব দ্যা নেপাল। এটা হলো নেপালের শ্রেষ্ঠ পর্যটন নগরী। সমগ্র পৃথিবী থেকে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। আমাদের সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে বেশি সময় পাইনি ঘুরার জন্য। স্থানীয় একটি হোটেলে উঠেছিলাম  আমরা ৪ বন্ধু। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইনস্ট্রাকশন নিয়ে আমরা একটি টেক্সি ভাড়া করলাম যাতে স্বল্প সময়ে অনেক স্থান পরিদর্শন করা যায়। ১০টি প্লেস ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ সারাংকোট। সারাংকোটে উঠতে প্রায় ১৫৯২ মিটার পাহাড়ী রাস্তা পাড়ি দিতে হয়েছিল আমাদের। সেখানে পেলাম নতুন অভিজ্ঞতা। এখান থেকে দেখতে পেলাম অন্যপূর্ণা। ২য় স্থান ছিল  হিন্দুদের এক বিখ্যাত টেম্পল ওশো। ৩য় ছিল সেতি রিভার জর্জ। যেখানে অনেক গভীর করে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে নদী। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ৪র্থ স্থান ছিল- গোরখা মিউজিয়াম, ৫ম স্থান ছিল ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেইন মিউজিয়াম। যেখানে রয়েছে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন পাহাড়ের বিস্তারিত তথ্য। মাউন্ট এভারেস্টে এ পর্যন্ত কারা উঠেছেন, এভারেস্টে উঠতে কী কী প্রয়োজন, পোশাক সজ্জিত পুতুল তৈরি করে রাখা আছে। ষষ্ঠ স্থান ছিল মাহেন্দ্র ডেভ। এটি মূলত একটি গুহা। এখানকার আবহাওয়া ঠাণ্ডা। পাহাড়ের তলদেশ দিয়ে গুহা চলে গেছে। যেখানে কৃত্রিম আলো তৈরি করা হয়েছে। ৭ম স্থান ছিল গুপ্তসর মহাদেভ কেভ। দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করতে করতে খুব ক্ষিধে পেয়ে গেল। তাই আমরা ৪ বন্ধু, আমাদের গাইড পোখারার অধিবাসী ভগবতী  এবং ড্রাইভারসহ একটি স্থানীয় হোটেলে ঢুকলাম দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিব বলে। হোটেলে ঢুকে বাংলা খাবার অর্ডার করা হল। সেকি যখন খাবার খেতে শুরু করব খাবারের মেন্যু দেখে আমরা সবাই অবাক। ভাজি-সবজি, মাছ-গোশত সব মিলিয়ে মোট চৌদ্দ আইটেম খাবার সরবরাহ করল আমাদের জন্য। খাচ্ছি আর ভাবছি না জানি আজ খাবারের বিল কত হয়? বিল পেইড করতে এসে দেখি জনপ্রতি মাত্র ৩৩৩ টাকা করে পড়েছে। সেই মুহূর্তটি ছিল খুবই ইস্টারেস্টিং। আমরা সবাই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। নেপালের খাবারেরGura বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গেলে বলতে হয় সেখানকার খাবার-দাবারে অনেকটা বাঙ্গালী ছাপ রয়েছে। তবে অন্যান্য খাওয়া-দাওয়ায় আমাদের দেশীয় স্বাদ পেলেও সকালের নাস্তাতে বাঙ্গালী ভাজি-পরোটার স্বাদ পাইনি। হিন্দু দেশ বলে কোন গরুর গোশতের দেখা পাইনি। বাংলাদেশে নেপালী কলার অনেক আমদানি দেখেছি কিন্তু এখন মৌসুম না হওয়ায় তার দেখা পেলাম না। সস্তা দামে পাওয়া যায় এমন খাবার হলোÑ নেপালী ড্রিংস, আলুবোখারা, খুরপানী, নানা প্রজাতির ফলমূল ইত্যাদি। এভাবে খাওয়া দাওয়া আর ঘোরাফেরার মধ্য দিয়ে পোখারার সময়গুলো কেটে গেল। এবার কাঠমাণ্ডু রওয়ানা দেয়ার সময় হয়ে এলো। কারণ পরের দিন ৯ জুন আমাদের বিমানের ফিরতি ফ্লাইট। আর পোখারা থেকে কাঠমাণ্ডু পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৮ ঘণ্টা। আমরা মাইক্রো করে রওয়ানা হলাম। দীর্ঘ সময় জার্নি করার পর কাঠমাণ্ডু পৌঁছলাম রাত ১১টায়। রাতটা কাটালাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু কেনাকাটা করে নিলাম। নেপালের শহরটাকে আরো একটু ঘুরে দেখে বিকাল ৩টায় রওয়ানা হলাম এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। বোর্ডিং কার্ড, ইমিগ্রেশনের কাজ যথারীতি সেরে বিমানে উঠে বসলাম। বিমান ছাড়ল বিকাল ৫.৪০টায়। বাংলাদেশে এসে ল্যান্ড করল সন্ধ্যা ৭টায়। বাসায় পৌঁছলাম রাত ৯টায়। এভাবে আমাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে গেল। হৃদয়ের মনিকোটায় তৈরি হলো গভীর হৃদ্যতা, অন্যরকম ভালোবাসা। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত হলো মনে। যা স্মৃতিতে থাকবে অম্লান।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ