কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ

কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ

প্রচ্ছদ রচনা মে ২০১৯

আবার এলো ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বসবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের আসর। এটি ১২তম আসর। ৩০ মে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া আসরটি শেষ হবে ১৪ জুলাই। যেদিন লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা উঁচিয়ে ধরবেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। এবারের আসরে কোন দলগুলো শিরোপা জেতার দৌড়ে আছে তা নিয়ে আলোচনা করবো এই লেখায়। তার আগে সংক্ষেপে জেনে নেবো বিশ্বকাপের ইতিহাস ও এবারের আয়োজন সম্পর্কে।

কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ

শুরুর কথা টেস্ট ক্রিকেট শুরুর (১৮৭৭) প্রায় একশো বছর পর জন্ম হয় ওয়ানডে ক্রিকেটের। ১৯৭১ সালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচটির প্রথম চারদিন বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। পঞ্চম দিন দর্শকদের টিকিটের পয়সা উসুলের চিন্তা করে দুই দল মিলে ৪০ ওভারের একটি ম্যাচ খেলে। তখন ৮ বলে এক ওভার হতো। ইতিহাসে সেটিই প্রথম একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ। টেস্ট ক্রিকেটের বিকল্প হিসেবে দর্শকরা লুফে নেয় এই ফরম্যাটটি। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ওয়ানডে ক্রিকেট। জনপ্রিয়তা এতটাই বিপুল আকার ধারণ করে যে মাত্র ৪ বছরের মাথায় আইসিসি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৫ সালে (৭-২১ জুন) ইংল্যান্ডে বসে বিশ্বকাপের প্রথম আসর। অফিশিয়াল নাম ছিলো প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সে আসরে অংশ নেয় ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব আফ্রিকা দল। বর্ণবাদের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিতে পারেনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানে পরাজিত করে শিরোপা জেতে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকায়নি ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি। প্রতি চার বছর পর পর বসছে এই আসর।

কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ

এবারের আয়োজন এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১০টি দল। আইসিসির এই ফর্মুলা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। ১০ দলের একটি টুর্নামেন্টকে কেন বিশ্বকাপ বলা হয় এমন প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। সকল খেলাধুলায়ই যখন ক্রমশ বিশ্বায়নের দিকে যাচ্ছে সেখানে ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি চলছে উল্টো পথে। ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা আগামীতে ৩২ থেকে ৪৮ করতে যাচ্ছে ফিফা। সেখানে ক্রিকেট বিশ্বকাপে কমছে দলসংখ্যা। ২০০৭ বিশ্বকাপে দল ছিলো ১৬টি। ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ১৪ দল; কিন্তু সেখান থেকে হঠাৎ করেই ১০ দলের বিশ্বকাপ করার ঘোষণা দেয় আইসিসি। তার মধ্যে আবার ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের সেরা ৮ দল সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে, বাকি দু’টি দলকে আসতে হয়েছে বাছাই পর্ব খেলে। দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও এবার বাছাই পর্ব খেলতে হয়েছে। বাদ পড়েছে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো দল। আইসিসির এমন অদ্ভুত নীতির ফলে ক্রমশই সঙ্কুচিত হচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দরজা। অনেকেই বলছেন, আইসিসির সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসন এই পরিকল্পনার মূল হোতা। অবশ্য ক্রিকেটে সেরা কয়েকটি দলের সাথে অন্য দলগুলোর দক্ষতার পার্থক্য আকাশ পাতাল; কিন্তু সেই যুক্তিতে তাদের দূরে সরিয়ে রাখা কেন? ‘বড়দের’ সাথে ‘ছোটরা’ খেলতে না পারলে তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বাড়বেই বা কিভাবে?এবারের আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলগুলো লিগ পদ্ধতিতে সবাই সবার বিপক্ষে খেলবে। অর্থাৎ প্রথম পর্বে সব দল অন্য নয়টি দলের সাথে একবার করে খেলবে। সেখান থেকে পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। আগেই কোনো বড় দল যাতে বাদ না পড়ে তাই এমন ব্যবস্থা। ২০০৭ সালে চারটি করে দল নিয়ে গ্রুপভিত্তিক খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেবার ভারত ও পাকিস্তান প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছিল। আইসিসি বলছে, তাতে নাকি বিশ্বকাপের আকর্ষণ কমে গিয়েছিল।

ক্রিকেট ২০১৯

কে জিতবে বিশ্বকাপ যে কোনো ক্রীড়া আসর শুরুর আগেই বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ দর্শক- সবাই হিসাব কষতে শুরু করে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর শুরুর আগেও ফেবারিট দল নিয়ে চলছে আলোচনা। যদিও ক্রিকেট সবচেয়ে অনিশ্চয়তার খেলা, এখানে সমীকরণ উল্টে যেতে সময় লাগে না। তথাপি ক্রীড়াপ্রেমীদের তো আর থামিয়ে রাখা যায় না! বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রীড়া বিশ্লেষকরা যে মতামত দিচ্ছেন তার আলোকে ফেবারিটদের কথা তুলে ধরা হলো।

[caption id="attachment_13358" align="alignleft" width="151"]কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ ব্যাটিং বোলিং উভয় সেক্টরেই বেশ
ভারসাম্যপূর্ণ দল ইংল্যান্ড[/caption]

টপ ফেবারিট ইংল্যান্ড অনেক দিন পর এবার বিশ্বকাপে টপ ফেবারিট হিসেবে খেলতে নামবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ১৯৯৯ সালেও ইংল্যান্ড ছিল স্বাগতিক দল, কিন্তু সেবার তাদের কেউ ফেবারিট হিসেবে রাখেনি। এবার তাদের সাম্প্রতিক দুর্দান্ত ফর্মই এগিয়ে রাখছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার পরই দলটি ওয়ানডে ক্রিকেটের দিকে বিশেষ নজর দেয়। ফলস্বরূপ সেই বিশ্বকাপের পর খেলা ৫৮ ওয়ানডের মধ্যেই ৪৩টিই জিতেছে। আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়েও শীর্ষে রয়েছে ইয়ন মরগানের দল। ব্যাটিং বোলিং উভয় সেক্টরেই বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, জেশন রয়, ইয়ন মরগান, জশ বাটলার বিশ্বের যে কোন বোলিং আক্রমণকে রুখে দাঁড়াতে পারেন। বোলিংয়ে বড় তারকা না থাকলেও আছেন কার্যকরী পেসার ক্রিস ওকস, মার্ক উড ও বেন স্টোকস। তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন ক্রিস জর্ডান। দারুণ ফর্মে আছেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। সেই সাথে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস আর মইন আলি- ব্যাট বল দুই ভূমিকাই দলের জন্য অবদান রাখতে পারবেন। নিজেদের মাটিতে তাই ব্যাট বলে ঝড় তোলার জন্য ইংল্যান্ডই এবার সবচেয়ে কার্যকরী দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চেনা কন্ডিশনে দলটি বিশ্বকাপ শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার।

অলটাইম ফেবারিট ভারত অনেক দিন ধরেই দারুণ ছন্দে আছে বিরাট কোহলির ভারত। এক সময় ভারতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিলো বোলিংয়ে, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির যুগে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে ভারত। এখন ভারতের বোলিং লাইনআপ বেশ সমৃদ্ধ। দারুণ ফর্মে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহর সাথে ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মাদ শামি। এই তিন পেসারের সাথে আছেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদ্বীপ যাদব, কেদার যাদব। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হারদিক পান্ডিয়াও ওয়ানডেতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। তাই ইংলিশ কন্ডিশনে চার পেসার আর দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারে ভারত। আবার এই দলটির অন্তত ৮ জন ব্যাট হাতেও ম্যাচ জেতাতে পারেন।

[caption id="attachment_13357" align="aligncenter" width="514"]কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ অনেক দিন ধরেই দারুণ ছন্দে আছে বিরাট কোহলির ভারত[/caption]

ভারতের ব্যাটিং নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। শেখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অম্বতি রাইডু, এমএস ধোনির সাথে তরুণ ঋষভ পান্ত থাকতে পারেন বিশ্বকাপ দলে। কোহলি এখন বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান। ধোনি বুড়িয়ে গেলেও এখনো সেরা ফিনিশার। তাই ভারত যে শিরোপার দৌড়ে এগিয়েই থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও দেশের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই হেরেছে কোহলি বাহিনী। এটা মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে দিতে পারে দলটিকে।

[caption id="attachment_13360" align="aligncenter" width="621"]কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ পুরোমাত্রায় পেশাদার দল অস্ট্রেলিয়া আবার ঠিকই ঘুরো দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে[/caption]

ঘুরে দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়া গত এক বছর ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে খুব বাজে সময় পার করছে অস্ট্রেলিয়া। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হওয়ায় দলটি পথ হারিয়েছে। যদিও পুরোমাত্রায় পেশাদার দল অস্ট্রেলিয়া আবার ঠিকই ঘুরো দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া সেটিই করে দেখিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে হারিয়ে তারা বার্তা দিয়েছে- ‘আমরা প্রস্তুত’। অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাজা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা ফর্মে আছেন। বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন পেসার মিচেল স্টার্ক, তার সাথে প্যাট কামিন্সের বোলিং জুটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথকে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপের মাঠে। সেটি হলে ৫ বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের হাতে আবারো উঠতে পারে এই ট্রফি।

আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান পাকিস্তান দলকে নিয়ে পূর্বানুমান করার সাধ্য কারো নেই। ফর্ম আর কন্ডিশন যেমনই হোক দলটি যে কোন সময় যে কোন কিছু করে বসতে পারে। টপ ফেবারিট থাকতেও যেমন গো-হারা হারতে পারে, তেমনি কেউ হিসাবে না ধরলেও আবার সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়ে বাজিমাত করতে পারে। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই যেমন র‌্যাংকিংয়ে সবার নিচের দল হিসেবে অংশ নিয়েছে পাকিস্তান; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই জিতেছে শিরোপা। আবার গত এশিয়া কাপে ফেবারিট হিসেবে গিয়েও, ফাইনালে খেলতে পারেনি সরফরাজ বাহিনী।

[caption id="attachment_13359" align="alignleft" width="179"]কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ পাকিস্তান দলকে নিয়ে পূর্বানুমান
করার সাধ্য কারো নেই[/caption]

বরাবরের মতোই পাকিস্তান বোলিং আক্রমণনির্ভর দল। সবচেয়ে কার্যকরী বোলার হাসান আলি অভিষেকের পর থেকেই দারুণ ফর্মে আছেন। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এবারের পিএসএলেও ২৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাকে সঙ্গ দেবেন মোহাম্মাদ আমির। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর নিজেকে পুরোপুরি ফিরে না পেলেও মঞ্চ পেলেই জ্বলে ওঠেন আমির। সেই সাথে তরুণ শাহিন শাহ আফ্রিদি আর উসমান শিরওয়ানি থাকতে পারেন দলে। লেগ স্পিনার শাদাবের পাশাপাশি বাঁহাতি অফস্পিনার ইমাদ ওয়াসিম থাকতে পারেন দলে। ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজম। এ ছাড়া তরুণ ফখর জামান, ইমাম উল হকের পাশাপাশি শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজের অভিজ্ঞতা পাকিস্তানকে সুবিধা দেবে। আবার বোলিংয়েও মালিক, হাফিজ দলকে জয় এনে দিতে পারেন।

হিসাবের বাইরের হিসাব লেখার শুরুতেই বলেছি ক্রিকেট এমন এক খেলা যেখানে আগে থেকে কিছু অনুমান করা যায় না। তাই ওপরে যাদের কথা বলা হয়েছে এর বাইরে কেউ বিশ্বকাপ জিতলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড যেমন সব সময়ই শক্তিশালী দল হিসেবে বিবেচিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় প্রতিটি টুর্নামেন্টেই শক্তিশালী দল হিসেবে খেলেও শেষ মুহূর্তে কোনো কারণে ছিটকে যায়। তাই দলটির নামই হয়ে গেছে ‘চোকার’। এবারও তারা ইংল্যান্ড যাবে ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহিরদের সমন্বয়ে গড়া বোলিং আক্রমণ নিয়ে। ব্যাটিংয়ে হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস, কুইন্টন ডি কক, জেপি ডুমিনি বিশ্বসেরাদের কাতারে। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের অবস্থাও অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো। তবে গত বিশ্বকাপে তারা ফাইনাল খেলেছে। এবারো দলে আছে একদল পারফরমার। কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, মার্টিন গাপটিলের মতো তারকা ব্যাটসম্যান আছেন দলে। দলে আছে একগাদা কার্যকরী পেসার। তাই ইংলিশ কন্ডিশনে তারা জ্বলে উঠতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্রিস গেইলসহ একগাদা পাওয়ার হিটার আছে। ইংল্যান্ডের সাথে বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে (২-২) সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে তারা।

[caption id="attachment_13361" align="alignright" width="225"]কে জিতবে বিশ্বকাপ । আবু আবদুল্লাহ বাংলাদেশ দলও যে কোন ম্যাচ
জেতার ক্ষমতা রাখে[/caption]

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দলও যে কোন ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছেন টাইগাররা। নিদাহাস ট্রফি ও এশিয়া কাপে খেলেছে ফাইনাল। তাই বাংলাদেশ দল শিরোপার দৌড়ে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। শ্রীলঙ্কা তারুণ্যনির্ভর দল। বড় তারকা না থাকলেও তরুণরা সম্মিলিতভাবে পারফর্ম করে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিতে পারে। চমক দিতে পারে আফগানিস্তান। নতুন দল হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলটিতে বেশ কয়েকজন পারফরমার রয়েছেন। ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান। শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও আফগানরা বিশ্বকাপে আপসেট ঘটিয়ে কোনো ‘বড় দলের’ বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ