কবিকে প্রথম দেখা
স্মরণ মে ২০১২
আল মুজাহিদী.. কবি। বিদ্রোহী কবি, কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁকে প্রথম দেখি ১৯৭১ সালে, মে মাসে। মুক্তিযুদ্ধ দিনে, আগুন জ্বলে ওঠা সূর্যঘেরা দিনে। ৭ই মার্চ। শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের আগে থেকেই বাংলাদেশ জ্বলে উঠেছিল। স্বদেশের মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। দেশের সাধারণ জন- সব মানুষই জ্বলে উঠেছিল প্রাণের বহ্নিশিখায়। কে কৃষক? কে মুজুর? কুলি-কামিন? জেলে-মাঝিমাল্লা? কিশোর-যুবা-তরুণ? ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী? উকিল-মোক্তার? কামার-কুমার? কালিকুলি মাখা মেহনতি মানুষ? কেউ আর বাদ ছিল না তখন। মুক্তিযুদ্ধ থেকে কেউ আর পাশ ফিরে থাকেনি। আগুনে-বারুদে বজ্রনির্ঘোষে, সবাই ছুটে চলেছিল একটি নিশান হাতে করে- একই নিশানের দিকে। সে গন্তব্য- মুক্তদিনের গন্তব্য। মুক্তির অন্বেষণায় পাগল হয়ে ছুটে যাওয়া। আমরা কি কেউ তখন এই সংগ্রামের ঐক্যধারা থেকে বাদ পড়তে পারি? না। পারি না বলেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম আমরা সেদিন। ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ। মানিকগঞ্জ থেকে নাগরপুর। নাগরপুর থেকে ধলেশ্বরী নদীর তীরে। নদীর ফেরি পার হয়ে এলাসিন। এলাসিন থেকে টাঙ্গাইল শহর। শহর থেকে গ্রামে। মামার বাড়ি পার হয়ে কতো গ্রামে, কতো শতো ঘরবাড়ি ছায়া মাড়িয়ে ছুটে গিয়েছি কতো স্থানে। জসিহাটি, চিনামুড়া গ্রামে আত্মগোপন করে সূর্যোদয়ের আগে পৌঁছেছিলাম দৌলতপুর গ্রামে, তারপর আগতেরিল্লা, পাহতেরিলা, বানাবাড়ি, নলিন নারুচি। নারুচি আমার নিজের গ্রাম। টাঙ্গাইলে হাইকমান্ড তৈরি করেছিলাম বদিউজ্জামান খানের নেতৃত্বে। খোন্দকার আসাদুজ্জামান, ফজলুর রহমান খান ফারুক, শওকত আলী তালুকদার, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, শামিম আল মামুন প্রমুখ ‘হাইকমান্ড’-এর সঙ্গে সেদিন সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বদেশের বহু পথ, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ধানুয়া জামালপুর পৌঁছালাম। ছাত্রনেতা কায়সার, রিয়াজুল হক, তারেক, ফজলুর রহমানদের নিয়ে বর্ডার ক্রস করে মেঘালয় এস্টেটের মহেন্দ্রগঞ্জ গফুর মামার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। যাকে বলা যায় খানিকটা নিরাপদ আশ্রয়। বেশ ক’দিন কাটালাম মহেন্দ্রগঞ্জ। গফুর মামা বললেন, ‘চলুন ক্যাম্পে যাই। পরিচয় করিয়ে দেব ক্যাম্পের বিএসএফ-এর কর্মকর্তাদের সাথে।’ ‘চলুন।’ রাজি হয়ে গেলাম। ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং কোর। গেরিলা ওয়ার ফেয়ার, ট্যাক্টিস্, ম্যাথডোলজি এসব প্রসঙ্গে ট্রেনিং হয়। গেরিলা যুদ্ধের ইতিহাস, ধারাবাহিকতা, ফিলোসফি এসব বিষয়ই প্রধান আলোচ্য বিষয়। ওখানকার প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন নেগী। গেরিলা ওয়ার ফেয়ার সম্পর্কে সামান্য পড়াশোনা ছিল আমার। আমি বেশ ক’দিন ওখানে কথা বললাম। বক্তৃতা করলাম। প্রথমে ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে। পরে ইংরেজিতে। আরও পরে বাংলাভাষায়। কেউ কেউ বাংলা বুঝতো। এটা পূর্বে জানা থাকলে, অন্য ভাষায় বলার কোনো কোশেশ করতাম না। কেননা, ‘আপন ভাষা আপনি আচরি।’ মহেন্দ্রগঞ্জে বেশ ক’দিন থাকলাম। ওখানে এ ব্যবস্থা করেছিলো ছাত্রনেতা কায়সার, রিয়াজুল হকের সুবাদে। আসলে গফুর মামা, ওর মামা। ওখান থেকে টেলিগ্রাম করলাম মঞ্জুর ভাইকে- ‘Reached, Mohendragonj. Kindly arrange my passage to Calcutta.’ মঞ্জুর ভাই তখন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অর্থসচিব। আসল নাম খোন্দকার আসাদুজ্জামান। তিনি সিএসপি অফিসার ছিলেন। তখনকার ক্যালকাটা এখন কোলকাতা। আমরা একদিন রাতে সিদ্ধান্ত নিলাম, কাল সকালেই কাজী নজরুল ইসলামকে দেখতে যাবো। এটা ছিল আমার অনেক দিনের আকাক্সক্ষা। নজরুলের নাম মুখে উচ্চারণ করলে, স্বাধীনতার হক্কা নিনাদ, কাড়া-নাকাড়া বেজে ওঠে। মুক্তি, সাম্য, মানবিকতার পতাকা উড্ডীন হয় চোখের সামনে। দামামা বেজে ওঠে। শির উঁচু করা মুসলিম জাতির। হিন্দু, বৌদ্ধ, খিষ্টান সকল জাতির সখ্য-সম্প্রীতি, মৈত্রী বন্ধনের বাণী উচ্চকিত হয়ে পড়ে। সেই কবিকে তো দেখতে যেতেই হবে। এই তো সোনালি সুযোগ! সাত সকালেই ঘুম ভেঙে গেলো। আমি তখন মঞ্জুর ভাইয়ের বাসায় থাকি। বাড়িটার নাম ‘কাশানা’। পার্ক সার্কাসের হৃৎপিণ্ডেই ঐ বাড়িটা তখনও ধুকপুক করে বেঁচে আছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চাচা হাসান সোহরাওয়ার্দীর বাড়ি ছিলো ওটা। বাড়িটার দেয়ালগাত্রে নানা এন্টিংস ঝুলে আছে। দামি দামি পেইন্টিংসও। আর দেশ-বিদেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ফটোগ্রাফ্স। সুন্দর-সুরম্য ঝাড়বাতি। এখনো রাত্রির অস্পষ্ট আলো-আঁধারিকে ঝলমল করে তোলে ঐ ঝাড়বাতিগুলো। সকালে উঠেই আশা ভাবীকে বললাম, ‘কাজী নজরুলকে দেখতে যাবো, তুমি যাবে?’ ‘আজ তোরা যা। অন্যদিন আমাকে নিয়ে যাস্।’ বাবুল ও রোমেল, জিতু ও শশী ছোটো। আমি তড়িঘড়ি করে রেডি হলাম। পথে পি-থ্রি (চ-৩) সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ-এ শামিম আল মামুন ও অন্যরা অপেক্ষা করছিলো। ওদেরকে নিয়ে রওনা হলাম কাজী কবির বাড়ির দিকে। কবির বাড়ি পৌঁছলাম যথারীতি। অল্পক্ষণের ভেতরই। বাড়িটা খুব সম্ভবত দোতলায়। কড়া নাড়লাম। কলিংবেলও টিপলাম। নিমিষেই দরোজা খুলে সামনে এসে দাঁড়ালো ফুলপরির মতো একটা মেয়ে। সেই-ই কাজী খিলখিল। কবির নাতনী। প্রশ্ন করার আগেই আমি বললাম, ‘বাংলা থেকে এসেছি আমরা। কবিকে দেখতে। শ্রদ্ধা জানাতে।’ ‘জি, ভেতরে আসুন।’ খিলখিল খুবই খোশমেজাজ আর প্রাণবন্ত স্বরে বলল, ‘দাদুকে দেখতে এসেছেন তো, আসুন। দাদুর মেজাজ আজ বেশ ভালো। এক আধটু শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন। তিনি শুনবেন নীরবে, নিঃশব্দে। কোনো জবাব দিতে পারবেন না কিন্তু। আর আপনার চশমাটা হাতে নিলে ভালো হয়। উনি চশমা সহ্য করতে পারেন না।’ তথাস্তু। চশমাটা খুলে হাতে নিলাম। যাওয়ার পথে কিছু মিষ্টিও কিনে নিয়েছিলাম গড়িয়াহাট থেকে। পোড়াবাড়ির চমচম। তবে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম নয়। কোলকাতার হালইকরের হাতে তৈরি। আর কিছু সন্দেশ। ডেটল পানিতে হাত ধুয়ে কবির মুখে তুলে দিতে চেষ্টা করলাম। কবি আমাদের প্রাণের আকুতি বুঝে যৎসামান্য মুখে তুলে নিলেন। তার ওষ্ঠ-দেশ থেকে কিঞ্চিৎ পড়েও গেল বিছানায়। আমরা ওটুকুতেই তৃপ্ত। এ জন্যে যে, কবি তার বঙ্গভূমি ‘বাংলাদেশ’কে বরণ করে নিলেন তাঁর সীমাবদ্ধ ও সংযত আচরণের মধ্যদিয়ে, দস্তুর মতো। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। আমাদের হাতেও তেমন সময় নেই। কবিকেও বেশি সময় ব্যতিব্যস্ত রাখা যায় না। তিনি অসুস্থ। অসুস্থতা তাঁকে পেয়ে বসেছে দীর্ঘকাল। সৃজনশীলতার জন্যে কাল যেন তাঁর সেটা। আমিও আমার নীরব-নৈঃশব্দ ভাষায় কবির প্রতি উষ্ণ নৈবদ্য নিবেদন করলাম। কবি যেন তাঁর অক্ষিকোটর থেকে অলৌাকিক আচরণের আলোকচ্ছটা বিচ্ছুরিত করলেন আমাদের দিকে। তাঁর চোখে তো প্রমিথিউসের আগুন! সে আগুন তো কখনো নিভবার নয়। জীবদ্দশায় তো নিভবার নয়। জ্বলবার, সে আগুন শুধু জ্বলবার। পুড়িয়ে খাক করে দেবার সব জরা, মরা, কঙ্কাল। খানিকক্ষণ পর পাশের বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলেন কাজী সব্যসাচী। ‘সানি দা’। কোলকাতায় সকল মহলে ‘সানি দা’ নামেই খ্যাত তিনি। নজরুল-পুত্র। একেবারে দিব্যপুরুষ। দিব্য মূর্তি। তবে সচল, সবাক। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা কেত্থেকে এসেছেন? বাংলাদেশ থেকে? বসুন বসুন। বাবাকে দেখতে এসেছেন তো?’ ‘হ্যাঁ, কবিকে দেখতে এসেছি। আপনাকেও।’ ‘আমাকে? আমাকে আবার কেন?’ পাশেই ছিলো খিলখিল কাজী। বলল, ‘বাহ্, তোমাকে দেখতে আসবেন না? তুমি তো কবি-পুত্র। কবি তো আমার দাদু। আমি দাদুর দাদু। আমার সঙ্গেও কথা হয়ে গেলো অনেক। এই সময়টায়। বুঝলে বাবা?’ ‘বেশ। চা-টা ক’রে দিয়েছো তো?’ ‘হ্যাঁ।’ দীর্ঘ। বিশাল বপুধারী কাজী সব্যসাচী। বেশ বড়ো একটা টার্কিশ টাওয়েল জড়ানো শরীরে তার। ‘আপনারা বসুন। আমার একটু তাড়া আছে। বাংলাদেশ শরণার্থীদের জন্য আমরা কোলকাতার রাজপথে নামবো। সাহায্যের জন্য। এই দুপুরেই। ওখানে যোগ দিতে হবে।’ এই বলে অকস্মাৎ চলে গেলেন সব্যসাচী। খিলখিল বলছিলো, গলায় হারমোনিয়াম বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়বেন ভারতের মশহুর-মশহুর ব্যক্তিগণ। খিলখিলের কাছেই শুনলাম সব। ‘কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, গায়ক, শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, নিউজপেপারের জাঁদরেল-জাঁদরেল এডিটর, বলুন, কে না? বাংলাদেশ আমাদেরও প্রাণের দেশ। আমরা খুব ভালোবাসি বাংলাদেশকে।’ খিলখিলের কথা-বার্তায় মুগ্ধ হলাম। মনটা ভরে গেলো। এই সব শুভবার্তা তো বহন করে নিয়ে এলাম। বহন করার মতোই। সিআইটি রোডের ঐ কবি বাড়িটি তেমন কোনো প্রশস্ত বাড়ি নয়। ছোট্ট মতন ফ্ল্যাটবাড়ি। মাথা ঠুকে থাকা। ‘কবি ভবন’ থেকে বেরিয়ে আসার সময় মনে হলো আমাদের কিছু করার আছে কবির জন্যে। দায়িত্ব আছে। কবি আমাদের জন্য প্রেরণা। স্বাধীনতার জন্য ‘ইন্সপিরেশন’। সংগ্রামের পথে, প্রতিদিনকার যাত্রাপথেও আলোর ঝলক। ফিরে আসার সময় কবির দিকে তাকালাম, বারবার- অপলক, অনিমিঘ বিস্ময়ে। নিজের সঙ্গে স্বগোতোক্তি করে প্রশ্ন করলাম: ‘কবি, তুমি কেমন আছো?’ নৈঃশব্দের চরাচর ভেঙে জবাব এলো : ‘কে তোমরা জীবন পথিক? সামনে কদম বাড়াও। সংগ্রামী, স্বাপ্নিক মৃত্যুঞ্জয়ী তরুণেরা, ‘অগ্রপথিক’, ‘নওজোয়ানেরা’ সম্মুখে হাঁকো। অকুতোভয়ে, বুকে হিম্মত নিয়ে। দুঃসাহসে বাঁধো বুক।’ এই যেন ছিলো কবির সেদিনের আবাহন, আগামীর আশীর্বাদ বাণী। কবির পলেস্তারা খসা কামরাটার দিকে আবার তাকালাম। বাড়িটা জীর্ণ-দীর্ণ। কবির চোখে ছিলো তারুণ্যের আগুন। জ্বলজ্বল করছিলো চোখ দু’টো। অক্ষিকোটরে তবু অবসন্নতার ছাপ। আমরা কবির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, ঐকান্তিকতায়। কবিও কেমন অনেকান্তে আমাদের আপনার হয়ে গেলেন। ইতোমধ্যে খিলখিল অন্দর থেকে বেরিয়ে এসে বলল, ‘আরেক পেয়ালা চা হবে?’ বললাম, ‘না। আবার এলে ডবল করে খাবো।’ খিলখিল হাসলো। শামিম আল মামুন বলল, ‘আমরা এখন কোথায় ফিরবো?’ ‘সিকস্পিয়র সরণিতে।’ কায়সার, রিয়াজুল হক, তারেক, ফজলুর রহমান, সুরনুগ্ন দাস ও অন্যরা তখন কবির দর্শনের বিভায় বিভোর হয়ে আছে। আমরা ফিরে এলাম। কবি ভবন থেকে। আগেই একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিলো। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিন আহমদ সাহেবের সাথে। পর পর দেখা করলাম। সৈয়দ নজরুল বললেন, ‘আমরা কবির জন্যে কী করতে পারি?’ ‘আমরা অনেক কিছুই করতে পারি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নজরুল যোগ দিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতার জন্যে কোরাস গেয়েছেন। পৃথিবীবাসীর জন্যে মুক্তি কামনা করেছেন। তাঁর জন্যে কিছু করা তো মানুষের মনুষ্যত্বময় জীবনের জন্যে কিছু করা। ভাই, তাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একটা সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে।’ সৈয়দ নজরুল বললেন, ‘ব্যবস্থা করো। তাজউদ্দিন সাহেব, জেনারেল ওসমানীর সঙ্গে কথা বলো।’ ‘জ্বি, ওখানেও যাবো। পাঁচ হাজার টাকার একটা ভাতার ব্যবস্থা করে দিন।’ ‘ঠিক আছে। তাই হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলো। আজই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিউজ ক্রিয়েট করো। সরকারও প্রজ্ঞাপন জারি করে দেবে।’ আমি ছুটে গেলাম তাজউদ্দিন আহমদের কামরায়। তিনি সম্মতি দিলেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর দফতরে গেলাম। তিনিও স্মিত হাসির ছটা ছড়িয়ে দিয়ে গোঁফে আঙুল রেখে বললেন, ‘তথাস্তু। তাই হোক। আজই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করুন এই সংবাদ।’ সন্ধ্যার নিউজে প্রচার করা হলো। কাজী নজরুল ইসলাম শান্তি, সাম্য ও স্বাধীনতার মহান কবি। আমরা কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবনত। জাতীয়ভাবে বরণ করছি। তারপর। অনেক সংগ্রাম। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, রক্তপাতের পর আমরা স্বাধীনতা পেলাম। কবি ১৯৬২ থেকে ১৯৭২-র ২৩শে মে পর্যন্ত ঐ বাড়িটাতেই ছিলেন। ক্রিস্টোফার রোড- সিআইটি বিল্ডিং- এন্টালি পদ্মপুকুর-এ। স্বাধীন বাংলাদেশে এলেন ২৪শে মে, ১৯৭২। (১২/০৪/২০১২)
আরও পড়ুন...