আমার ভাবনা  -আনিসুর রহমান

আমার ভাবনা -আনিসুর রহমান

তোমাদের গল্প ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাড়ির পাশেই ধানক্ষেত। ফাতেমা কী যেন ভাবছে অনেকক্ষণ ধরে। কাউকে কিছু বলছে না। ভাবতে ভাবতে বিকেল হয়ে গেল। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ল। কুয়াশায় চারদিকে অন্ধকার নেমে এলো খুব তাড়াতাড়ি। ফাতেমার মা বলল, হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বস। কিন্তু তার তেমন ভাল লাগছে না। তারপরও হাত মুখ ধুয়ে পড়তে চলে গেল। সে পড়ার টেবিলে বসে আছে, কিন্তু পড়ছে না। কিছুক্ষণ পর মা বলল, ফাতেমা তুমি পড়বে না?
ফাতেমা : আজ পড়তে ইচ্ছে করছে না।
মা বলল, তুমি কী চিন্তা করছ?
ফাতেমা : আল্লাহ যে কত সুন্দর করে এই পৃথিবীটাকে সাজিয়েছেন তা নিয়ে চিন্তা করছি। কত সুন্দর নদ-নদী, খাল-বিল, আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, কত সুন্দর আমাদের এই প্রকৃতি। কতই না সুন্দর! তা দেখে মন ভরে যায়। আবার প্রকৃতি বদল করে এলো শীত। পৃথিবীটা দেখতে সত্যি কতই না বিচিত্র। হেমন্তের বাতাস প্রকৃতিকে দিয়েছে নতুন সাজ। গাছে গাছে নতুনের সমাহার। তা দেখে মন ভরে যায়। এখন আবার এলো শীত। মা এতক্ষণ ধরে তার কথা মন দিয়ে শুনলেন। এবার মা বললেন, সত্যি তোমার চিন্তার কোনো শেষ নেই। সে আবার বলতে লাগল, হেমন্ত শেষে শীতের আগমনে বাড়িতে বাড়িতে উঠেছে পিঠা পুলির ধুম। সকালের মিষ্টি বাতাসে সবাই শরীরে জড়াবে নতুন শীতের কাপড়। পুকুর, খাল-বিল শুকিয়ে যাবে। এলো আবার পিঠা তৈরির দিন। একই সাথে বলল, মা আমাদের বাড়িতে কাল ভাপা পিঠা বানাবে? সবাই মিলে খাবো। মা বললেন, ঠিক আছে কাল তৈরি করব, এখন পড়তে বস। কালকের ক্লাসের পড়া তৈরি কর। ঠিক আছে মা, ফাতেমা এই বলে পড়তে বসল। কিছুক্ষণ পর মা ডাক দিলেন রাতের খাবার খেতে। তোমার ভাইদের নিয়ে খেতে এসো। সে মোদ্দাচ্ছির, নোমান সবাইকে নিয়ে খেতে গেল। ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল। পরদিন সকালে মাকে খুব সকালে ডেকে দিল পিঠা তৈরি করার জন্য। মা উঠে পিঠা তৈরি করলেন। সে সবাইকে নিয়ে পিঠা খেয়ে মাদরাসায় চলে গেল।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ