আমার ছেলেবেলার ঈদের খুশির দিনগুলো

আমার ছেলেবেলার ঈদের খুশির দিনগুলো

স্মৃতিকথা আবদুল হালীম খাঁ এপ্রিল ২০২৪

আমার ছেলেবেলার ঈদগুলো কী যে আনন্দের ছিল তা বলে কাউকে বোঝাতে পারবো না। আনন্দের বিষয়টা হলো একেক জনের মনের আবেগ অনুভূতিও বোধগম্যতার ব্যাপার। কেউ মনে করে কাড়ি কাড়ি ভালো জামা-কাপড় এবং টাকা পেলেই খুশি হতাম। এক ঈদের আগে যে সামান্য জিনিসটা পেয়ে আমি কী রকম ভীষণ খুশি হয়েছিলাম তা শুনলে আজকালের ছেলেমেয়েরা নিশ্চয়ই হাসবে। লজ্জা না করে বলেই ফেলি।

রোজার পরে ঈদ আসছে শুনে বাবার কাছে নতুন জামা-জুতোর বায়না ধরলাম। বাবা খুব কম কথা বলতেন। কিন্তু যা দিতে চাইতেন তা ঠিক দিতেন। তাকে রাজি করানোটা ছিল কঠিন। মা’র গলা জড়িয়ে ধরে বলে কয়ে তাঁকে দিয়ে বাবাকে রজি করানো হলো। তবে লাল রঙের শার্ট ও হাফ প্যান্ট ঈদের আগেই দেবেন। কারণ কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে তৈরি করতে হবে। জুতো আগামী শনিবার শিয়ালকোল হাট থেকে কিনে এনে দেবেন। বাবার সঙ্গে আমি হাটে যেতে চাইলে বললেন, অনেক দূরের হাট, আসতে অনেক রাত হবে, তুমি যেতে পারবে না। বাবা হাট থেকে ফিরে আসতে বেশ রাত হলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে মা কাগজে জোড়া জুতো বলে যে জিনিসটা হাতে দিলেন তা খুলে না দেখেই খুশিতে হাসতে লাগলাম। কী আনন্দ! কয়দিন পরে ঈদ। এই জুতো পায় দিয়ে নেচে নেচে সবার আগে আগে আমি ঈদগাহে যাবো। কতলোক আমার জুতো চেয়ে চেয়ে দেখবে। অবশেষে কাগজের মোড়ক খুলে আস্ত জুতো জোড়া হাতে নিলাম তখন মনে কী যে পুলক অনুভব করলাম তা কী আর বলবো। রাবারের পাতলা এক জোড়া জুতো। রং কালো মিসমিসে। বর্ডার দিয়ে লাল রাবারের পাতলা একটা প্যাঁচ দেওয়া। অপূর্ব জিনিস আমার কাছে। তাড়াতাড়ি পায়ে লাগালাম। আহ্! এত যে ভালো ঠেকতে লাগলো। কী বলবো! খুশিতে উড়তে ইচ্ছে করলো। মা কিছু খেতে বললেন। কিন্তু এত ভালো জুতো পায়ে দিলে কি আর ক্ষুধা থাকে?

এত সুন্দর জুতা আমার। কাকে দেখাই। পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই-বোনদের দেখানোর জন্য গেলাম। কিন্তু তখনো ফজল, ছোবান, হাসনা ঘুম থেকেই ওঠেনি। দেখি চাচা বারান্দায় বসে কুরআন পড়ছেন আর চাচী উঠোন ঝাড়– দিচ্ছেন। আমাকে এত সকালে জুতো পায়ে দেখে চাচা আমার মনোভাবটা বুঝতে পেরে বললেন- আহ! কী সুন্দর জুতো তোমার। এদিকে এসো এসো দেখি। ছাকির মা, দ্যাখো দ্যাখো, পান্নার জুতো জোড়া কত সুন্দর! চাচী বললেন, ঘরে এসো মুড়ি খাও। আমি দৌড়ে বাড়ি চলে এলাম। সামান্য একটা রাবারের কালো রঙের জুতো পায়ে দিয়ে যে পরিমাণ খুশি হয়ে ছিলাম, এখন একটা হেলিকপ্টার কেউ হাতে দিলেও তেমন খুশি হবো না। ছেলেবেলার সেই কথাটা মনে হলে আজো মনে মনে হেসে লজ্জা পাই।

আমার ছেলেবেলার ঈদ আজ থেকে সত্তর বছর আগের ঈদ। তখন থেকে বর্তমানে  সামাজিক অবস্থা আকাশ-পাতাল পার্থক্য। মা চাচীরা রোজার ঈদের হিসাব করতেন চন্দ্রমাস গুনে গুনে। এটা তো রজবের চাঁদ। এরপরে উঠবে শাবানের চাঁদ। তারপর উঠবে রমজানের চাঁদ (রোজার মাস)। রোজার পরেই ঈদ। ‘ঈদ’ শব্দের অর্থ কী, কিছুই জানতাম না। কেন এ ঈদ কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু ‘ঈদ’ শব্দটা শুনলেই মনের ভেতর আনন্দ বিদ্যুতের মতো ঝিলিক দিয়ে উঠতো। মনটা আনন্দে দোয়েলের মতো অসীম আকাশে পাখা মেলতো। রোজা শুরু হলেই বলতাম, মা, আমি রোজা থাকবো, আমি রোজা থাকবো। সাহরি খাবার সময় আমাকে ডাক দিও। ডাক দিয়ে তুলে সাহরি না খেতে দিলে কিন্তু না খেয়েই রোজা থাকবো। রোজা যে থাকতে পারবো না তা মা জানতেন। তবু ডাক দিতেন। সাহরি খেতাম খুব আনন্দ করে। কই মাছ ভাজি। দুধ আর সবরিকলা। গরুর বেপারি সুতু মিয়া দুদিন পর পরই একটা গরু জবাই করে আমাদের চার ভাগ গোশত দিতো। গোশত তখন দাঁড়ি পাল্লায় মেপে বিক্রি করতো না। ভাগ করে করে বিক্রি করতো। চার ভাগে এক ডাম ভরে যেত। দাম নিতো এক টাকা মাত্র। বাপ চাচারা গোশত খেতো পাল্লা করে। আমিও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতাম।

এখন তো বাজারে নানারকম সেমাই কিনতে পাওয়া যায়। তখন এ রকম এত দোকান ছিল না। সেমাইও ছিল না। মা চাচীরা ঈদ আসার আগেই চালের আটা দিয়ে হাতে সেমাই তৈরি করে শুকিয়ে বড়ো পাতিল ভরে রাখতেন। ঈদের দিন খুব সকালে সেই সেমাই রান্না করতেন আখের গুড় দিয়ে, কখনো রান্না করতেন চিনি দিয়ে। তখন আমরা প্রতি মাসে রেশনে চিনি, তেল, কাপড় পেতাম। তখন চিনি আসতো জাভা থেকে। সে চিনি ছিল লালচে রঙের। সে চিনি কী যে মিষ্টি ছিল আর তার স্বাদ ছিল! বর্তমানে আমরা যে সাদা চিনি খাই, এটা তো আখের চিনি নয়, তেমনি মিষ্টি নয়, স্বাদ ও তেমন নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা সেমাই ও তেলের পিঠা খেতাম। মা প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে সেমাই আর তেলের পিঠে দিয়ে আসতেন। তারাও আবার আমাদের দিয়ে যেতেন। সকালবেলা খাওয়ার একটা ধুম পড়ে যেত। তারপর ভাইবোন আমরা সবাই নতুন জামা কাপড় বের করে দেখতাম আর অন্যকে দেখাতাম দ্যাখো দ্যাখো, আমার কাপড় কত সুন্দর! এই আমার জুতো। একটু পরে গোসল করে মাথায় তেল দিয়ে সিঁথি করতাম কখনো আঁকাবাঁকা করে, সোজাসুজি করে। কার মাথার চুল কত বড়ো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতাম। তারপর শরীরে আতর মাখতাম। ঈদের দিন সকাল থেকেই মনের ভেতর কী যে আনন্দ অনুভব করতাম। আনন্দে বারবার আয়নায় দেখতাম মুখ-মাথার চুল আর শার্ট-প্যান্ট। বর্তমানে বাজারে নানারকম ও নানা রঙের জামা-কাপড় পওয়া যায়। একটার চেয়ে আরেকটা তার চেয়ে আরেকটা ভালো। ভালোর অন্ত নেই। আমাদের সময়ে এত রংবেরঙের ভালো কাপড় ছিল না। প্রায় সবই ছিল এক রঙের। সবুজ, হলদে, নীল, লাল, কালো, সাদা বা খাকি রঙের। সেই সব এক রঙের নতুন কাপড় পেয়েই আমরা খুশিতে নাচানাচি করতাম।

সেই সব কাপড় চোপড় যদি জাদুঘরে তুলে রাখা হতো, আজকালের বাচ্চারা দেখে হেসে মরতো। বর্তমানে ঈদের দিন সেলামির রীতি চালু হয়েছে। সকালবেলা ছেলেমেয়েরা সামনে এসে সালাম দিয়ে সেলামি দাবি করে। সেলামি দিতেই হয়। এই সেলামির রেট এখন অনেক বেড়ে গেছে। আগে কিছু হাতে দিলেই খুশি হয়ে নিত। এখন এ সময়ে বাচ্চাদের সেলামি দিয়ে খুশি করা যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলামির দাম অনেক গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের সময় এ রকম সেলামি রীতি চালু ছিল না। তবে মা-বাবা, চাচা-চাচি, দাদা-দাদিরা কিছু কিনে খাবার জন্য ইচ্ছে করেই হাতে দিতেন, না চেয়ে পেয়ে আনন্দ আরো বেড়ে যেত।

তারপর আবার আরো কিছু খেয়ে বাবার হাত ধরে ঈদগাহে রওনা হতাম। আমাদের সময়ে ঈদগাহ তেমন কোনো ভাবে সাজানো হতো না। চারদিকে বাঁশের খুঁটি গেড়ে রশি বেঁধে ঘিরে তার মধ্যে রঙিন টুকরো টুকরো কাপড় বেঁধে রাখা হতো। আমরা তাই দেখে ভীষণ খুশি হতাম। আহ্! কী আনন্দের স্থান এটা। গ্রামের ছোটো বড়ো সকল মানুষ হতো। সবাই হাসি মুখে পরস্পরকে সালাম দিতো- ভাই কেমন আছেন? চাচা কেমন আছেন। মামা কেমন আছেন? বড়োরা আমাদের মাথায় হাত দিয়ে আদর করতেন। 

আমাদের গ্রামের ঈদের জামায়াত হতো খুব বড়ো। পাশের আরো চারটা গ্রামের লোক এসে আমাদের ঈদগাহে এসে নামাজ পড়তো। এজন্য আমাদের ঈদগাহ হতো বড়ো মিলনমেলা আনন্দের মেলা। সকলের মুখে দেখতাম হাসি আর শুনতাম ভালোবাসার কথা, সম্প্রীতির কথা। সবার মধ্যে অনুভব করতাম গভীর আন্তরিকতা!

ঈদগাহে দেখা হতো আমার খেলার সাথী ও সহপাঠীদের সাথে। তাদের ডেকে নিয়ে আসতাম বাড়িতে। মা তাদের খেতে দিতেন সেমাই। পায়েস আর তেলের পিঠে। ওরা আবার আমাকে ডেকে নিয়ে যেতো ওদের বাড়ি। আমরা আট জন। সবসময় হাত ধরাধরি করে আর গলাগলি ধরে হই হই করে ছুটে চলতাম। এক বাড়ি থেকে আরেক জনের বাড়ি। কোনো জনের বাড়ি যাওয়ার বাদ দিতাম না। বাদ দেওয়ার উপায়ও ছিল না। সবার বাড়ি যেতাম। সবার মা-ই খেতে খুব পীড়াপীড়ি করতেন। খেতে হতোই। কারো বাড়িতে একটা তেলের পিঠা, কারো বাড়ির এক চামচ ক্ষীর, কারো বাড়িতে এক চামচ পায়েস। একদিনে একসময়ে এক মুখে কত আর খাওয়া যায়। বিশুর মাকে ফুফু ডাকতাম। তিনি যে কত আদর করতেন। তিনি তাঁর ছেলের চেয়ে আমাকে বেশি আদর করতেন। তার হাতের তৈরি সব খাবার কিছু কিছু খেতে হতোই, না খেয়ে উঠতে দিতেন না। এভাবে বাড়ি বাড়ি মিষ্টি খাবার খেতাম। এরপর আর মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে হতো না। 

মা দুপুরে খাসির গোশত দিয়ে বিরিয়ানি পাকাতেন। সেটাকে বলা হতো কাচ্চি বিরিয়ানি। বিরিয়ানি খাবার লোভে আমি আগ থেকেই রান্নাঘরের আশপাশে ঘুর ঘুর করতাম। মা আমার মতলবটা বুঝতে পারতেন। তাই চুলোর ওপর পাতিল থাকতেই এক থালে আমাকে কিছু তুলে দিতেন। আমি মায়ের পাশে বসে গরম বিরিয়ানি ফুঁ দিয়ে দিয়ে খাওয়া শুরু করতাম। কী যে সুঘ্রাণ ছিল সেই বিরিয়ানির। সারা বাড়ি বাতাসে আমোদিত হতো বিরিয়ানিতো সুঘ্রাণ। 

আমার ভাইবোনেরা খাবারে এত লোভী ছিল না। ওরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতো। সব কিছু খাবার ব্যাপারে মা আমাকে বেশি বেশি খাওয়াতেন সব সময়ই। আমার মনে হয় আমার ভাইবোনদের চেয়ে মা আমাকে বেশি আদর করতেন আর সব কিছু বেশি বেশি খাওয়াতেন। আমার এ কথাও মনে হয় আমার মা আমাকে যত আদর করতেন। অন্য কারো মা তাদের ছেলেমেয়েদের এত বেশি আদর করেনি। জানি সব মা তাদের ছেলেমেয়েদের বেশি আদর করে কিন্তু আমার মায়ের মতো এত অধিক আদর পৃথিবীর আর কোনো মা-ই তাদের ছেলেদের করেনি। এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। 

যাক বিরিয়ানির মধ্যে গোশত ছাড়াও প্রত্যেকের জন্য একটা করে মুরগির ডিম থাকতো। আমরা ডিমকে আণ্ডা বলতাম। তখন এক হালি আণ্ডার দাম ছিল ‍দু-আনা। বিরিয়ানি খাওয়ার পর সবাই কিছু দই খেতাম। ‍দই ঘরেই পাতা হতো। সে দইকে বলা হতো গামছা বাঁধা দই।

এখনো ঈদে তেলের পিঠা ক্ষীর পায়েস খাই। পোলাও বিরিয়ানি খাই। কিন্তু তখন যেমন স্বাদ পেতাম আর আনন্দ অনুভব করতাম এখন তেমন আর পাই না। তখন সাথীদের সাথে দেখা হলেই গলা জড়িয়ে ধরতাম। এখন সাথীদের তেমনভাবে গলা জড়িয়ে ধরতে পারি না। কখনো হয়তো কারো সঙ্গে কোলাকুলি করি কিন্তু তেমন টেকে না, তেমন হয় না। আগেকার চেয়ে বর্তমানে সব কিছুর আয়োজন বেশি হয়, জাঁকজমকও  বেশি হয় কিন্তু তেমন আনন্দ পাই না। 

বিকেলে পাড়ার ছেলেমেয়েরা আমাদের বাহির বাড়ি এসে হাজির হতো। সবাই মিলে কানামাছি, গামছা বড়ি, কইতর কইতর খেলতাম। গাগোজানি, চোখপলান্টি খেলতাম। কী যে আনন্দ লাগতো। 

ঈদের দিনের সেই মধুর স্মৃতিগুলো আজো মনের আকাশে মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে। তখন মনটা হঠাৎ কেমন যেন আকুল ব্যাকুল হয়ে যায়। যদি আবার সেই ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারতাম। যদি সেই সাথীদের কাছে পেতাম। 

আমাদের জীবন ও সমাজ অগ্রসর হতে হতে মানুষ চাঁদে-গ্রহে গ্রহে গিয়ে পৌঁছেছে। মানুষ হয়তো একদিন চাঁদে গিয়ে ঈদ করবে। আমি যদি কোনো দিন চাঁদে গিয়ে ঈদ করার সুযোগ পাই, মনে হয় সেখানে তবু পরিপূর্ণ আনন্দ পাবো না, আমার মা-বাবা-ভাইবোন-খেলার সাথীদের পৃথিবীতে রেখে গিয়ে। যাদের সাথে আমার মনপ্রাণ জড়িয়ে রয়েছে। কারণ-

আমার আজো ইচ্ছে করে ছেলেবেলায় ফিরে যেতে

মায়ের পাশে পিড়িতে বসে তেলে ভাজা পিঠে খেতে।

ইচ্ছে করে সারা দিন মায়ের আঁচল ধরে থাকি

ইচ্ছে করে দিন রাত শুধু আমার মাকে ডাকি।

ইচ্ছে করে যাই ফিরে ছেলেবেলার ঈদের দিনে

বাবার কাছে বায়না ধরি লাল জামা দাও কিনে।

দাদিকে বলি ওগো দাদি পয়সা দাও চার আনা

হাটে গিয়ে খাবো কিনে টেপের মোয়া বাদাম টানা।

জহুরা ডেকে বলি জহুরা তুই কোথায় গেলি

আয় দু’জনে কানামাছি টুক্কুরু টুক খেলি।

চাচার গাছে কাঁচা আম পেড়ে এন ভর্তা করে

মজা করে খাই দু’জনে বসে বসে রান্না ঘরে।

ইচ্ছে করে সারাদিন বড়শি দিয়ে মাছ ধরি

কলার ভেলা নিয়ে সাঁতার কেটে খেলা করি। 

ইচ্ছে করে সারাদিন মাঠে মাঠে  ওড়াই ঘুড়ি 

ইচ্ছে করে একাই আমি থাকি সারা বিশ্বজুড়ি। 

মন চায় আমার আগের মতো ছোট্ট হতে

নাতির সাথে ভর্তি হয়ে পড়তে চাই ক খতে।

আজো আমার মনটা এমন অবুঝ কিযে

আমারই মন অথচ আমি বুঝি না নিজে।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ