হাসির বাকসো জুন ২০১৫
বাবা তার ছেলেকে বলছেন : ‘আব্বু, ব্রাশ করে নাও, নইলে দাঁতে পোকা লেগে যাবে। ছেলে বললো : ‘আমি যদি আমার পোকা লাগা দাঁতে ব্রাশ করি, তাহলে তো ব্রাশে পোকা লাগবে। সংগ্রহে : মো: আব্দুল্লাহ রাজরামপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাগলাগারদের এক ডাক্তার দেখলেন এক পাগল দীর্ঘক্ষণ একটি দেয়ালে কান পেতে কী যেন শুনছে। কৌতূহলী হয়ে তিনিও দেয়ালে কান পাতলেন। কিন্তু কিছু শুনতে না পেয়ে পাগলকে বললেন, ‘তুমি কী শুনছ? আমি তো কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। পাগল বললো : ‘আমি দুই ঘন্টা ধরে কান পেতে কিছুই শুনতে পেলাম না, আর আপনি তা দুই মিনিটেই শুনতে চান !’ সংগ্রহে : মিরাজ হাসান দক্ষিণ চর্থা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা শাওন রেললাইনে শুয়ে আছে। জাহিদ জিজ্ঞেস করে : ‘শাওন! তুই রেললাইনে শুয়ে আছিস কেন? ট্রেন এলে তো কাটা যাবে।’ শাওন আয়েশি ভঙ্গিমায় বললো, ‘বোকা! কিছুক্ষণ আগে গায়ের ওপর দিয়ে প্লেন গেল তাতেই কিছু হলো না আর এতো সামান্য একটা ট্রেন!’ সংগ্রহে : মো: মাহবুব আলম সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ বাবা : এবার যদি পরীক্ষায় ফেল করিস তাহলে তুই আমাকে আর বাবা বলে ডাকবি না। ছেলে : ঠিক আছে, বাবা। (পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর) বাবা : কিরে, তোর রেজাল্টের খবর কী? ছেলে : আমি দুঃখিত, রফিক সাহেব! সংগ্রহে : আবুল হায়াত সৈকত মাঈজদী, নোয়াখালী এক মাতাল সন্ধ্যার দিকে পকেট থেকে একটা ম্যাচ বের করে একের পর এক কাঠি ঘষে চললো। কিন্তু কোন কাঠিই জ্বলছে না। অবশেষে একটা কাঠি জ্বলে উঠলো। তখন সে অতি যতেœ কাঠিটা নিভিয়ে ম্যাচটা পকেটে রেখে দিল। ‘কিরে, পোড়া কাঠি আবার রেখে দিলি কেন?’ ‘আরে বন্ধু, পুরো ম্যাচে মাত্র একটা কাঠি ভালো। এখনই যদি ব্যবহার করে ফেলি তবে বাসায় গিয়ে হারিকেন জ্বালাবো কী দিয়ে? সংগ্রহে : আবুল হায়াত সৈকত মাঈজদী, নোয়াখালী চুরি করতে গিয়ে চোর দেখলো আলমারির দরজার একপাশে লেখা...‘এই বাটন টিপলে আলমারি খুলে যাবে।’ চোর মুচকি হেসে যখন বাটনটা টিপল তখন সাইরেন বেজে উঠলো। বাড়ির মালিক চোরকে ধরে পুেিশ দিলেন। পুলিশ চোরকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির মালিকের দিকে তাকিয়ে চোরটা বলতে লাগলো, ‘দুনিয়া থেকে মনুষ্যত্ব উঠে গেছে...কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।’ দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছেÑ প্রথম বন্ধু : দোস্ত জানিস আজ আমি উরংপড়াবৎু চ্যানেলে একটা ২২ ইঞ্চি লম্বা সাপ দেখেছি, তুই দেখেছিস? দ্বিতীয় বন্ধু : ইস্ একটুর জন্য দেখতে পাইনি। প্রথম বন্ধু : কেন? কেন? দ্বিতীয় বন্ধু : আমাদের টিভিটা ২১ ইঞ্চি তো তাই! সংগ্রহে : হাসান মাহমুদ বুড়িচং, কুমিল্লা গভীর রাত! শ্মশানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন গোকুলচন্দ্র। ভয়ে তার বুক ঢিপঢিপ করছে। এমন সময় দেখেন তার পাশপাশে আরও একজন লোক হাঁটছে। গোকুলচন্দ্র স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। গোকুলচন্দ্র বললেন : ‘ওহ্, দাদা, আপনাকে দেখে কিছুটা সাহস পেলাম। কী যে ভয় করছিল।’ লোকটা বলল, ‘কেন? ভয় কিসের?’ গোকুলচন্দ্র ফিসফিস করে বলল, ‘কিসের আবার? ভূতের! শুনেছি, এখানে খুব ভূতের উপদ্রব!’ লোকটা বলল : ‘আরে, নাহ্! কে বলেছে? আমার মৃত্যুর পর প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে আছি, কই, কোনোদিন একটা ভূতও তো দেখলাম না! সংগ্রহে : রিফাত রাজ বেড়া, পাবনা প্রথম বন্ধু : জানিস, আমাদের বাসার সবাই বাথরুমে গান গায়! দ্বিতীয় বন্ধু : স-বা-ই? প্রথম বন্ধু : সবাই, চাকর-বাকর পর্যন্ত। দ্বিতীয় বন্ধু : তোরা তাহলে সবাই খুব গানের ভক্ত! প্রথম বন্ধু : দুর, তা নয়, আসলে আমাদের বাথরুমের ছিটকিনিটা নষ্ট তো, তাই। সংগ্রহে : এইচ মাহদি ঠিকানাবিহীন পরীক্ষার হল স্যার : এই কেউ দেখে লিখবে না। তখন এক ছাত্র বললো, স্যার দেখে না লিখে যদি চোখ বন্ধ করে লিখি তাহলে তো লিখতে পারব না। সংগ্রহে : মুসলিম উদ্দিন রানা কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী
আরও পড়ুন...