হলুদ পরী সিলমী
সিলমী তার আব্বু আম্মুর সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছে। ওরা থাকে আরবের আল-কুন-ফুদাহ শহরে। গেলবার সিলমী যখন বাংলাদেশে এসেছিল তখন বেশ ছোট ছিল। সব সময় সবার কোলে কোলে থাকত। কেউ আদর করলেই সে বিগলিত খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে উঠত। দু-হাত বাড়িয়ে দিয়ে আদুরে গলায় আবদার ধরত আমাকে কোলে নাও না।
ঘরে চাচ্চু, ফুফি সব সময় তাকে কোলে কোলে রাখতেন। শুধু কোলে রাখতে পারতেন না তার দাদা। এ জন্য সিলমী তার দাদা-দাদুকে একদম পছন্দ করতো না। ভীষণ অভিমান ছিল তার দাদা-দাদুর উপর। এবার কিন্তু সিমলী একদম বদলে গেছে। এয়ারপোর্টে নেমেই দৌড়ে এসেছে প্রথমে দাদুর কাছে। কানে কানে বলেছে, দাদু আমি এখন বড় হয়ে গেছি। আর তোমাদের কোলে উঠব না। ছোট চাচ্চু কোলে নেয়ার জন্য হাত বাড়ালে সে দু’হাত পিছিয়ে গিয়ে বলে দেখো দাদা, চাচ্চু আমাকে কোলে নিতে চায়। বড় মেয়েরা কোলে উঠে নাকি। এয়ারপোর্টে যারা ওর কথা খেয়াল করেছে সবাই তার কথায় হাসতো।
গেল সেপ্টেম্বরে মাত্র পাঁচ বৎসর পার হলো সিলমীর। কিন্তু তাকে দেখে কেউ বুঝবে না তার বয়স কত। গা-গতরে যেমন বেড়েছে, তেমন আচার আচরণে, কথা বার্তায় হয়েছে চৌকস, বুদ্ধিদীপ্ত। অল্পক্ষণের মধ্যে সে সবার সঙ্গে ভাব করে নিতে পারে, আদর কেড়ে নিতে পারে। এবার বাংলাদেশে এসে সিলমীর খুব ভাব হয়ে যায় দাদুর সঙ্গে। ঘরে ওর দুই ফুফি আছে। ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সারাদিনই থাকে প্রায় ঘরের বাইরে। চাচ্চুও বাইরে থাকে বেশির ভাগ সময়। ঘরে থাকেন শুধু দাদা-দাদু, আম্মু আর কাজের বুয়া। আম্মুতো ব্যস্ত থাকেন ছোট ভাই আদিলকে নিয়ে। আদিলের খাবার তৈরি করতে হয়, খাওয়াতে হয়, গোসল করাতে হয় আরো কত কাজ। সিলমী এখন কী করবে। তাই সে দাদুর কাছেই থাকে। দাদুই তার সারাদিনের সাথী। রাতেও দাদুর কাছে ঘুমায়। দাদু যখন নামাজ পড়তে বসেন তখন সেও জায়নামাজ বিছিয়ে মাথায় উড়না দিয়ে দাদুর পাশে নামাজ পড়তে বসে। দাদু যখন রান্নাঘরে ঢুকে সেও তখন পিছু পিছু যায় আর পিঁড়ি নিয়ে বসে। দাদুকে তরকারি কুটতে দেখলে বলে আমাকে দাও দাদু, আমি কুটতে পারি।
কিন্তু দা, বঁটি দিয়ে তরকারি কুটা সিলমী পছন্দ করে না। সে দাদুকে বলে তুমি এসব বাজে জিনিস দিয়ে তরকারি কুটো কেনো? আম্মু তোমার মতো বসে বসে তরকারি কুটে না। তুমি ফুড প্রসেসার চেনো না দাদু?
আম্মু ফুড প্রসেসার দিয়ে কতো তাড়াতাড়ি তরকারি কুটে ফেলে। তুমি কিচ্ছু জানো না। তোমার চুলাটাও পচা। আব্বুকে বলব তোমাকে একটা ওভেন কিনে দিতে। আমার আম্মু তো ওভেনে রাঁধে। দাদু-নাতনীর মধ্যে এ ধরনের কথাবার্তা প্রায় সব দিনেই চলে। ভাত খেতে বসলেও দাদুকে ছাড়া সিলমীর চলে না।
দাদুর হাতে ভাত মাখিয়ে না দিলে ভাতের প্লেট সমনে নিয়ে বসে থাকে সে, কিছুতেই ভাতের প্লেটে হাত দেয় না। তার আম্মু মাঝে মাঝে বকা দিয়ে বলে সিলমী, তুমি দাদুকে এতো বিরক্ত করো কেনো? নিজের হাতে ভাত খেতে পার না?
আম্মুর কথায় খুব গম্ভীর হয়ে সিলমী বলে, না পারি না। আল কুন-ফুদাতে তো আমি সব নিজে নিজে করি। ভাত খাই, ভাইয়াকে নিয়ে খেলা করি। তোমাকেও কাজে সাহায্য করি। আব্বু কেনো বলে দেশে চলো। দেশে চলো। দেশে তোমার দাদা, দাদু আছে, ফুফিরা আছে, চাচারা আছে। তারা তোমাকে আদর করবে। কই কেউ তো আমাকে আদর করে না। আমি আদর চাই। দাদুই আমাকে ভাত মেখে খাইয়ে দেবে। কাজের বুয়া ও অন্যরা সিলমীর কথার ঢঙে হেসে লুটোপুটি খায়। দাদু সিলমীকে ভাত মেখে খাইয়ে দেন। ভাত খাওয়ার সময় সে দাদুকে সাবধান করে দেয় আমাকে গোশত দিও না দাদু। ডাক্টার আমাকে গোশত খেতে বারণ করেছে।
কেনো জিজ্ঞেস করলে সে কুট কুটিয়ে হেসে ওঠে। বলে, তুমি একদম বোকা। কিছু জানো না। দেখছ না আমার গায়ে ফোস্কা পড়েছে। গোশতে প্রোটিন আছে। এসব হলে গোশত খেতে হয় না।
খাবার খেয়ে দুপুরে শুতে যাওয়ার সময়ও তার আবদার দাদু, তুমি চলো আমার সঙ্গে শোবে। তার আম্মু ডাকে এসো সিলমী, শোবে এখন।
আম্মুর ডাক শুনতে পেলে সে চুপ হয়ে যায়, কতক্ষণের জন্য। তারপর আস্তে আস্তে দাদুকে বলে, দাদু আমি তোমার সাথে শোবো। তুমি আমার পেট চুলকিয়ে দেবে। কান্না জড়ান গলায় বলে আম্মুর কাছে শুলে আম্মু শুধু আদিলের পিঠে হাত বোলায়, আদিলের গায়ের ঘামাচি মারে। আমাকে একটুও দেখে না।
দাদু মাঝে মাঝে সিলমীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন, মাঝে মাঝে আপত্তিও জানান সোনামণি যাও, আম্মুর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ো। আম্মুকে বলব তোমার পিঠ চুলকিয়ে দিতে। আমার অনেক কাজ রয়েছে বোন। গোসল করব, নামাজ পড়ব, ভাত খাব। সিলমী দাদুর কথায় গম্ভীর হয়ে যায়। চোখ দুটি অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। বলে, তোমার সঙ্গে আড়ি, আর কথা বলব না।
রাতে ঘুমাতে গেলে আবদার ধরে, গল্প বলো দাদু। ভূতের গল্প, দৈত্যের গল্প, পেত্নীর গল্প, পরী কাহিনী, রাজ কুমারের কাহিনী। কত গল্প আর বলা যায়। তবুও নাতনীর জন্য তিনি স্মৃতি হাতড়িয়ে প্রতিদিনই কিছু কিছু গল্প যোগাড় করেন। এসব গল্প কাহিনী সব উদ্ভট আজগুবি যার কোনো মাথামুণ্ডু নেই।
তাই শুনে সিলমীর কি আনন্দ, কি যে পুলক। মাঝে মাঝে গল্প বলার মধ্যে সে দাদুকে জড়িয়ে ধরে। ভয়ে, আনন্দে সে রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে। গল্প বলতে বলতে দাদুর চোখের পাতা ভারী হয়ে যায় ঘুম আসে।
সিলমী ডাকতে থাকে দাুদ অ-দাদু। তারপর কী হলো বলছ না যে, সিলমীর গলার আওয়াজ পেয়ে পাশের ঘর থেকে ওর আব্বু এসে সিলমীকে শাসন করে। তুমি যদি এমন আর দাদুকে জ্বালাও তাহলে তোমাকে দাদুর সঙ্গে থাকতে দেব না। দাদু যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তুমি কার সাথে শুবে কার কাছে এমন সুন্দর সুন্দর গল্প শুনবে। আব্বুর কথায় একদম চুপ হয়ে যায় সিলমী।
দাদুর গায়ে আলতো করে হাত বুলিয়ে দেয় সিলমী। দাদুর ঘুম ভেঙে গেলে বলে তুমি রাগ করেছ দাদু? আর তোমাকে বিরক্ত করব না। আবার কখনো কপাল টিপে দিয়ে বলে তুমি ঘুমাও দাদু। আমি তোমার কপাল টিপে দিচ্ছি।
তার নরম হাতের মোলায়েম স্পর্শে দাদুর মনটা অপার্থিব আনন্দ অনুভূতিতে ভরে উঠে। সিলমীর বাংলাদেশ আসা দেখতে দেখতে পনেরো দিন পার হয়ে গেল। সামনে মাত্র পনেরো দিন বাকি। তার পরেই আবার ফিরে যাবে আরব দেশে। আম্মুর সাথে কয়েকদিনের জন্য নানার বাড়ি গেল সিলমী।
সেদিন ফিরে এলো মুখখানা বেজায় বিষণœ, মলিন। চাচ্চু, ফুফুরা তাকে ডেকে আদর করতে চায়। সে মুখ ফিরিয়ে থম থম করে অন্যদিকে চলে যায়। দাদা ডাকেন, কোনা সাড়া দেয় না। দাদু কাছে টেনে এনে জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে আমার সোনামণিটার? মুখটা ভার কেনো? খুব গম্ভীর হয়ে সে বলে আব্বু আমাকে বকেছে। কেনো বকেছে, দাদু জানতে চায়।
আমি বলছিলাম আমি ঢাকায় যাবো না। তানজিলাদের কাছে থাকব। চোখ ডলতে ডলতে বলে এখানে আমার একটুও ভালো লাগে না। ফুফিরা, রানা চাচ্চু সবাই সকালে ওঠে বাইরে চলে যান। দাদা সব সময় পড়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকেন। আর বাবু চাচ্চু ঘরে থাকলে শুধু আমাকে ভূত পেত্নীর ভয় দেখায়।
মুখ ভ্যাঙচায়। ছোট মানুষরা বুঝি না খেলে থাকতে পারে। সিলমীর বিষণœ মুখের কারণ বুঝা গেল এতক্ষণে। দাদু আদর করে তাকে আশ্বাস দেন আমি তোমাকে আবার তোমার নানুর বাড়ি পাঠিয়ে দেবো তানজিলার কাছে, হাসানের কাছে। দাদুর কথায় সিলমী হাততালি দিয়ে বলে উঠে কি মজা, কী মজা!
তার আব্বুকে ডেকে বলে দাদু আবার আমাকে পাঠিয়ে দেবে। তুমি আর আমাকে বকতে পারবে না। ওর আব্বু হাসে। নানার বাড়ি থেকে আসার দু-দিন পর সিলমী দাদা দাদুর সঙ্গে এক বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে।
তার আম্মু খুব সুন্দর করে তাকে সাজিয়ে দিচ্ছে। সেজে গুজে সে দাদুর ঘরের সামনে এসে থমকে দাঁড়ায় অবাক চোখে দাদুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে তুমি বিয়ে বাড়ি যাবে না দাদু, হ্যাঁ যাব, দাদু বলেন।
তাহলে তুমি সুন্দর কাপড় পরনি কেনো। খোঁপা বাঁধনি, শাড়িতে পিনও লাগাওনি। ও মা এমন করে কেউ বুঝি বিয়ে বাড়িতে যায়। দাদু উত্তরে বলে বুড়ো মানুষরা তোমার ফুফুদের মতো, তোমার আম্মুর মতো, বিয়ে বাড়িতে সেজে গেলে মানুষ মন্দ বলবে।
দাদুর কথা শুনে সিলমী এই ব্যাপারে আর কিছু বলে না। কিন্তু তীক্ষè চোখে বারবার দাদুকে দেখতে থাকে।
বিয়ে বাড়িতে সিলমীর বিস্ময়ের সীমা নেই। বিরাট হলঘরের এক কোনায় কনেকে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কনের বান্ধবীরা তার চারদিকে ভিড় করে বসে আছে। কে একজন কনের জন্য প্লেটে করে ভাত এনে দিয়েছে। বান্ধবীরা খাইয়ে দিচ্ছে গ্রাস গ্রাস করে। সিলমী অবাক চোখে কনের খাওয়া দেখতে দেখতে এক সময় দাদুর কানে মুখ লাগিয়ে বলে বৌ বুঝি ভাত খাইতে জানে না দাদু! ওরা খাইয়ে দেয় কেন? দাদু লা জওয়াব। এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবেন ভেবে পান না।
ঘরে এসেও বিয়ের কনেকে নিয়ে তার অনেক গল্প ফুফুদের কাছে। জড়িদার লাল ওড়নায় বৌকে বেশি সুন্দর লাগেনি আরবে চুমকি বসানো সাদা ওড়নার দুলহীনকে অনেক সুন্দর লাগে। তবে বিয়ে বাড়ির বিরিয়ানিটা খুব মজা লেগেছে। বিরিয়ানির কথা বলতেই চোখ দুটো অশ্রুসজল হয়ে উঠে বলে আমি বিরিয়ানি পছন্দ করি। তোমরা আমাকে বিরিয়ানি দাও না কেন? ফুফুদের কাছ থেকে বিরিয়ানি রেঁধে দেয়ার কথা নিয়ে সে শান্ত হয়। দেখতে দেখতে সিলমীদের বিদায়ের দিন এসে যাচ্ছে।
আনন্দ, উল্লাস ও কর্মব্যস্ততার মধ্যে মাসটা যে কেমন করে পার হয়ে গেছে টেরও পাওয়া যায়নি। সুরেলা সঙ্গীতের মোহন মূর্ছনায় যেনো আবিষ্ট ছিল সবাই।
এবার বিদায়ের পালা। সিলমীর মনও খারাপ। ফুফিরা, চাচ্চু বাড়ির সবাই সিলমীকে জিজ্ঞেস করে আমাদের ফেলে চলে যাবে তুমি? সিলমী সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, না। তারপর কিছুক্ষণ কী যেন ভাবে। তারপরে বলে আমি তো ওখানে স্কুলে পড়ি। আমি না গেলে স্কুলে যাব কেমন করে। সিলমী আসার পর কিছু কিনে দেওয়া হয়নি। দাদু ঠিক করলেন সিমলীকে নিয়ে নিউমার্কেটে যাবে। ওর পছন্দমতো কিছু কাপড় চোপড় কিনে দেবেন। কিন্তু যাবেন কি করে। তার তো গাড়ি নাই। তাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা ভিআইপি রোড। রিকশা চলে না। কোথাও গেলে বেবিট্যাক্সিতে যেতে হয়। মহা ফ্যাসাদে পড়লেন দাদু। এখন নিউমার্কেটে কী করে যান তিনি। সিলমী বেবিট্যাক্সিতে উঠতে পারে না। ভীষণ ভয় তার বেবিট্যাক্সিতে। সে বলে আমি বেবিটেক্সিতে উঠতে চাই না। তোমার গাড়ি নাই কেন? এবার আমি কুফুদায় গেলে তোমার জন্য গাড়ি পাঠাব এখন রিকশায় নিউমার্কেটে যাবো।
অনেক বলে কয়ে তাকে বেবিট্যাক্সিতে যাওয়ার জন্য রাজি করানো গেল। নিউমার্কেটের বাইরে হরেক রকম কাপড়ের দোকান বসে। সিলমী তার দাদুর হাত ধরে বেবিট্যাক্সি ধরে নামে। নানা রকম তৈরি পোশাকে কাপড়ের দোকান সব ভর্তি। কয়েক দোকান ঘুরে সিলমীর পছন্দমতো একটা জামা কিনে দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে পাশের দোকানের দোকানদার ডাক দেয় ও চাচী এ দিকে আহেন। আমাদের দোকানে ছোট মেয়েদের বেলাউজের কাপড়সহ সুন্দর জামদানি শাড়ি আছে। শাড়ির কথা শুনতেই সিলমী আবদার ধরে দাদু আমাকে শাড়ি কিনে দাও। আমি শাড়ি পরব। নাতনীর আবদার। উপায় নাই। তাকে আবার দোকানে ঢুকতে হয়।
অনেক রকমের বাহারি জামদানিতে বোঝাই দোকান। প্রায় সবগুলো চোখ কেড়ে নেয়। এর মধ্যে হলুদ রঙের একটা জামদানি সিলমী ধরে বলে এটা আমি নেব দাদু, দর দস্তর করে শাড়িটা কিনে নিলেন তিনি। শাড়ি পেয়ে সিলমী মহাখুশি। বাড়িতে এসে বলে দাদু! আমি শাড়ি পরব। তুমি ব্লাউজ আর পেটিকোট তৈরি করে দাও। ওর যাওয়ার দিন ব্লাউজ ও পেটিকোট তৈরি হয়ে আসলো। সিলমীর এখন আবদার সে যাওয়ার দিন শাড়ি পরে যাবে। তার আব্বু আম্মুর আপত্তি জানালো পথে অসুবিধা হবে বলে। কিন্তু কে কার কথা শুনে। সে শাড়ি পরবেই। ফুফিরা খুব সুন্দর করে তাকে শাড়ি পরিয়ে দিলো। সে মাথায় কাপড় দিয়ে লাজুক বৌয়ের ঢঙে আস্তে আস্তে হেঁটে দাদুর কাছে এসে কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বলে দাদা। আমি হলুদ পরী হয়েছি, না? আমি হলুদ পরী হয়ে উড়তে উড়তে তোমার কাছে চলে আসব। তুমি মন খারাপ করো না। সিলমী হলুদ শাড়ি পরে হলুদ পরীর বেশে সত্যি সত্যি চলে গেলো আকাশ পথে। সিলমীর দাদা-দাদু, ফুফিরা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় দিযে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঘরে ফিরে আসে। ঘরে ঢুকতে তাদের মনে হয় ঘরটা যেন সিলমীর বিদায় ব্যথায় হাহাকার করছে।
আরও পড়ুন...