বৃক্ষ ও বৃষ্টি

বৃক্ষ ও বৃষ্টি

ছড়া-কবিতা আফসার নিজাম জুলাই ২০২৪

মাথার ওপর আগুন থালা রুদ্রতাপে জ্বলছে ফসল

গরম হাওয়ায় যাচ্ছে উবে ডোবা নালা পুকুর সজল

বৃক্ষগুলো হচ্ছে উধাও নগর শুধু যাচ্ছে বেড়ে

ইট পাথরের উনুন থেকে শীতল ছায়া যাচ্ছে ছেড়ে

বৃক্ষ লাগাও

বৃক্ষ লাগাও

কেউ বলে না মুখটি খুলে

বাঁচতে হলে সবুজ বাঁচাও মাথার ওপর সূর্য দোলে।


বৃক্ষ কাটার অভিশাপে মেঘবালিকা হারিয়ে গেছে

মেঘ হারানো দুঃখ শোকে বৃষ্টিরাও হারায় শেষে

কেউ তো আবার ভয় দেখালো আসবে না মেঘ তোমার দেশে।

আসবে দেশে মঙ্গা খরা

ঝড় তুফান আর মরার ঝরা

ভূমিকম্প ওটাও হবে ভেঙে পড়বে দালান-কোঠা

থাকতে সময় বৃক্ষ লাগাও নিরাপত্তার হবে খুঁটা।


বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে পুড়ছে দেদার ইট-ভাটাতে

বনজঙ্গল আর যায় না দেখা ধু ধু বালু মরু-তাতে

চাষের জমিও না যায় রোখা মাটি কেটে ইট বানালে

এখন দেখি খাদ্যাভাবে পাই না খাবার আর নাগালে।


শহর বানাও পুকুর ভরে রাস্তা বানাও বৃক্ষ কেটে

এখন কেন রুদ্রতাপে ঘামছো তুমি একটু হেঁটে

সড়কদ্বীপে বৃক্ষ লাগাও সবুজ করো ইটের নগর

সবুজ বনে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেবে রুক্ষ শহর

বৃক্ষগুলো ফুল ফোটাবে

এবং আরো ফল ফলাবে

শীতল বাতাস পরশ দিয়ে গান পাখিদের গান শোনাবে

সতেজ হাওয়ায় নতুন শিশু প্রাণের দোয়ায় মন বোনাবে।


গাছের খোপে গাছের ডালে পাখ-পাখালি বাঁধবে বাসা

লতায় পাতায় পোকামাকড় করতে পারে যাওয়া আসা

বৃক্ষ ছায়ায় শীতল হতে ক্লান্ত পথিক জিরোয় বসে

পশুগুলোও জাবর কাটে বৃক্ষ ছায়ার প্রান্ত ঘসে।


বৃক্ষগুলো অক্সিজেন দেয় ভরিয়ে বিষের হাওয়ায়

বিষগুলোও নেয় শুষে নেয় বিষ বাতাসের আসা যাওয়ায়

দেয় ঠেকিয়ে ঝড় ও তুফান আলগে রাখে বসত বাড়ি

শেকড় দিয়ে মাটি ধরে রক্ষা করে নদীর খাঁড়ি

হাওয়ায় দোলে গাছের পাতা মেঘ ডেকে নেয় নিজের কাছে

মেঘবালিকা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে গাছে গাছে

শহর নগর যায় ভিজে যায় শান্ত শীতল পরশ পেয়ে

পশু-পাখি নগরবাসী প্রেম ঢেলে দেয় সেজদা দিয়ে।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ