জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি

জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি

মোশারফ হোসেন ফাহাদ comment 178 views comment 0 comments

জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (ফার্সি: جلال‌الدین محمد رومی‎‎; ৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩), যিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলভি রুমি নামে তবে শুধু মাত্র রুমি নামেও পরিচিত, ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি[৭][৮] সুন্নি[৯] মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী ছিলেন।[১০] রুমির প্রভাব দেশের সীমানা এবং জাতিগত পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়েছে; ফার্সি, তাজাকিস্তানি, তুর্কি, গ্রিক, পশতুন, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা বিগত সাত শতক ধরে বেশ ভালভাবেই তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে যথাযথভাবে সমাদৃত করে আসছে।তার কবিতা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ধারায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের “সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি” এবং “সর্বাধিক বিক্রীত কবি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।


রুমির সাহিত্যকর্ম বেশিরভাগই ফার্সি ভাষায় রচিত হলেও তিনি অনেক স্তবক তুর্কি, আরবি এবং গ্রিক ভাষায়ও রচনা করেছেন। তার লেখা মসনবী-কে ফার্সি ভাষায় লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হয়। বৃহত্তর ইরান এবং বিশ্বের ফার্সি ভাষী জনগোষ্ঠী এখনও তার লেখাগুলো মূল ভাষায় ব্যাপকভাবে পড়ে থাকে। অনুবাদসমূহও খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে তুরস্ক, আজারবাইজান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ এশিয়ায়। তার কবিতা ফার্সি সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে, শুধু তাই নয় তুর্কি সাহিত্য, উসমানীয় তুর্কি সাহিত্য, আজারবাইজানি সাহিত্য, পাঞ্জাবের কবিতা, হিন্দী সাহিত্য, উর্দু সাহিত্যকেও অনেক প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও অন্যান্য ভাষার সাহিত্য যেমন তুর্কীয়, ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, চাগাতাই, পশতু এবং বাংলা সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে। তার জীবনদর্শনের উপর শিবলী নোমানীর রচিত “সাওয়ানেহে মাওলানা রুমী” অন্যতম।

জীবনী

রুমি ফার্সি ভাষী মাতাপিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বর্তমান আফগানিস্থানের বালখের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি হয় ওয়ালখ্‌স যা বৃহৎ বালখ্‌ সাম্রাজ্যের বালখ্‌স নদীর কাছে একটি গ্রাম যেটি বর্তমানে তাজাকিস্তান, অথবা বর্তমান আফগানিস্থানের বালখ্‌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বৃহৎ বালখ্‌ তখন ছিল ফার্সি সংস্কৃতি সুফি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু, যা বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। রুমির পিতা ছাড়াও রুমির উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন তখনকার ফার্সি কবি আত্তার এবং সানাই। রুমি তাদের গুণগ্রাহিতা করেছেনঃ “আত্তার হচ্ছে আত্মা, সানাই হচ্ছেন তাঁর দু’চোখ, এবং এরপরে আমরা তাঁদের লাইনে এসেছিলাম” এবং আরেকটি কবিতাতে স্মৃতিচারণ করেছেন “আত্তার ভালবাসার সাতটি নগরই ভ্রমণ করেছেন আর আমি এখনও একটি গলির প্রান্তে অবস্থান করছি”। তার পৈতৃক দিক থেকে তিনি নাজিম উদ্দিন কুবরা এর বংশধর ছিলেন। তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় রুম সালাতানাত এর পারস্যতে কাটিয়েছেন। যেখানে তিনি তার কাজ রচনা করেছেন এবং ১২৭৩ ঈসায়ীতে ইন্তেকাল করেছেন। তাকে কোনিয়ায় সমাহিত করা হয় এবং সেটি এখন একটি তীর্থস্থান হয়ে উঠেছে। রুমির মৃত্যুর পর তার ছেলে সুলতান ওয়ালাদ এবং তার অনুসারীরা “মৌলভী ক্রম” স্থাপন করে, এটিকে ঘূর্ণায়মান দরবেশও বলা হয়, যেটি সুফী নৃত্যে “সামা” এর জন্য বিখ্যাত। তাকে তার পিতার কাছে শায়িত করা হয় এবং তার দেহাবশেষ এ একটি জমকাল দরগাহ নির্মাণ করা হয়। শামস উদ্দিন আহমদ আফলাকী এর “মানকিব উল-আরিফিন”(১৩১৮ এবং ১৩৫৩ এর মধ্যে লেখা)তে এর বিস্তারিত রয়েছে। এই ঐতিহাসিক জীবনীগ্রন্থকে অত্যন্ত মূল্যবান বলা হয় কারণ এতে রুমি সম্পর্কে কিংবদন্তি এবং সত্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো এর প্রফেসর ফ্রাঙ্কলিন লুইস এর লেখা রুমি এর জীবনী গ্রন্থে ইহা সম্পর্কে আলাদা একটি অধ্যায় রয়েছে।


রুমির পিতা বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন বালখ্‌ এর একজন ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, এবং একজন অতীন্দ্রিয়বাদী, যিনি রুমি এর অনুসারীদের কাছে “সুলতান আল-উলামা” নামে পরিচিত। সবচেয়ে জনপ্রিয় জীবনীগ্রন্থ লেখকদের মতে তিনি ছিলেন খলীফা আবু বক্কর এর বংশধর, যদিও আধুনিক গবেষক-পণ্ডিতরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মায়ের দিক থেকে খোয়ারিজমীয় বংশধর দাবি করা হয়েছিল রাজবংশের সাথে যুক্ত করার জন্য কিন্তু এ দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয় কালানুক্রমিক এবং ঐতিহাসিক কারণে। সবচেয়ে সম্পূর্ণ বংশতালিকা করা হয়েছে তার পরবিরারে যা ছয় থেকে সাত প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত যেটি যুক্ত হয়েছে হানাফি ফকীহগণের সাথে। আমরা বাহা উদ্দিন এর মায়ের দিক থেকে নামের উৎস জানতে পারিনা, কিন্তু শুধুমাত্র তিনি তাকে “মামি”(ফার্সি ভাষায় মা এর চলিতরূপ)বলে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি ছিলেন খুবই সাধারণ একজন মহিলা যিনি ১৩ শতকে বাস করেছেন। রুমি এর মা ছিলেন মুইমিনা খাতুন। তার পারিবারিক কাজ ছিল কয়েক প্রজন্ম ধরে ইসলাম ধর্মের হানাফী মাজহাবের প্রচারণা করা এবং পরিবারের এই ঐতিহ্যকে রুমি এবং সুলতান ওয়ালাদ অব্যাহত রেখেছেন। যখন মঙ্গোল মধ্য এশিয়া দ্বারা আক্রান্ত ১২১৫ এবং ১২২০ সাল এর মধ্যে, বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ তার পুরো পরিবার এবং একদল শিষ্যসহ পশ্চিমাভিমুখে রওনা হন। ঐতিহাসিকদের মতে যেটি রুমির শিষ্যদের দ্বারা একমত না, রুমির সাথে তখন পারস্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় রহস্য কবি আত্তার এর দেখা হয় ইরানিয়ান শহর “নিশাপুর” এ। আত্তার সাথে সাথেই রুমির আধ্যাত্নিক বৈশিষ্ট্য চিনতে পেরেছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন রুমি তার পিতার পিছনে হেঁটে যাচ্ছেন এবং বললেন, “একটি হ্রদের পিছনে একটি সমুদ্র যাচ্ছে”। তিনি বালককে একটি বই প্রদান করলেন “আসরারনামা” নামে যেটি ইহজগতে আত্মাকে জড়িয়ে ফেলা সম্বন্ধে। এই সাক্ষাত আঠারো বছরের রুমির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং পরবর্তিতে তার কাজের উৎসাহ হিসাবে কাজ করেছে। নিশাপুর থেকে ওয়ালাদ এবং তার লোকজন বাগদাদ এর দিকে রওনা হন এবং অনেক পণ্ডিত ও সুফীদের সাথে সাক্ষাত করেন। বাগদাদ থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কায় হজ্জ পালন করেন। এরপর অভিযাত্রী কাফেলার দলটি দামেস্ক, মালাত্যেয়া, এরজিকান, শিবাস, কায়সেরি এবং নিগদি পাড়ি দেয়। এরপর তারা কারামান এ সাত বছর থাকে। রুমির মা এবং ভাই উভয়েই সেখানে মারা যায়। ১২২৫ সালে,কারামানে রুমি বিবাহ করেন গওহর খাতুনকে। তাদের দুটো ছেলেঃ সুলতাম ওয়ালাদ এবং আলাউদ্দিন চালাবী। যখন তার স্ত্রী মারা যান রুমি পুনরায় বিবাহ করেন এবং তার এক ছেলে, আমির আলিম চালাবী ও এক মেয়ে মালাখী খাতুন। ১২২৮ সালের ১ মে, আনাতোলিয়া শাসক আলাউদ্দিন কায়কোবাদ তাদেরকে আমন্ত্রণ জানান, বাহা উদ্দিন আনাতোলিয়া আসেন এবং আনাতোলিয়া এর কোনিয়াতে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন যেটি রুম সালাতানাত এর পশ্চিমাঞ্চল। বাহা উদ্দিন মাদ্রাসা এর প্রধান শিক্ষক হন এবং যখন তিনি মারা যান রুমির বয়স পঁচিশ বছর, উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি তার পিতার পদ পান একজন ইসলামিক মৌলভি হিসাবে। বাহা উদ্দিন এর একজন ছাত্র, সৈয়দ বুরহান উদ্দিন মোহাক্কিক তীরমিযি, রুমিকে শরীয়াহ এবং তরীকা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে থাকেন বিশেষ করে তার পিতার দিকগুলো। নয় বছর ধরে তিনি সুফীবাদ শিক্ষা গ্রহণ করেন বুরহান উদ্দিন এর শিষ্য হিসাবে যতদিন না তিনি মারা যান ১২৪০ বা ১২৪১ সালে। এরপর রুমির জনজীবন শুরু হয়ঃ তিনি একজন ইসলামী ফকিহ্‌ বা আইনজ্ঞ হন, ফতওয়া প্রকাশ করেন এবং কোনিয়ার মসজিদে নৈতিকতা সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে থাকেন। তিনি মাদ্রাসাতে একজন মৌলভি হিসাবে কাজ করেন এবং তার অনুগামীদের শিক্ষা দেন। এই সময়কালে রুমি দামেস্ক ভ্রমণ করেন এবং বলা হয়ে থাকে তিনি সেখানে চার বছর অতিবাহিত করেন। দরবেশ শামস তাবরিজি এর সাথে সাক্ষাৎ হয় ১৫ নবেম্ভর ১২৪৪ সালে যেটি তার জীবন সম্পূর্ণরুপে বদলে দেয়। একজন সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষক এবং আইনজ্ঞ থেকে রুমি একজন সাধুতে রূপান্তরিত হন। শামস মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র ভ্রমণ করে খুঁজছেন এবং বলছেন “কে আমার সঙ্গ সহ্য করিবে”। একটি কন্ঠ তাকে বলিল, “বিনিময়ে তুমি কি দিবে?” শামস উত্তর দিলেন, “আমার শির!!” কন্ঠটি আবার বলল, “তাহলে তুমি যাকে খুঁজছ সে কোনিয়ার জালাল উদ্দিন”। ১২৪৮ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে রুমি এবং শামস কথা বলছিলেন, এমন সময় কেউ শামসকে পিছনের দরজায় ডাকে। তিনি বের হয়ে যান এবং এরপর আর কোথাও কখনো দেখা যায়নি। গুজব শোনা যায় যে রুমির পুত্র আলাউদ্দিন এর মৌনসম্মতিতে শামসকে হত্যা করা হয়, যদি তাই হয় তাহলে শামস এই রহস্যময় বন্ধুত্তের জন্য তার মাথা দিয়েছেন।


শামস এর জন্য রুমির ভালবাসা এবং তার মৃত্যুতে শোকের প্রকাশ তিনি করেছেন “দেওয়ান-এ শামস-এ তাবরিজী” কাব্যগ্রন্থে। তিনি নিজে শামসের খোঁজে বের হয়ে গেছেন এবং দামেস্ক ভ্রমণ করেছেন। সেখানে তিনি বুঝতে পারলেনঃ


“আমি কেন তাকে খুঁজব?

সে আর আমি তো একই

তাঁর অস্তিত্ব আমার মাঝে বিরাজ করে

আমি নিজেকেই খুঁজছি!”


রুমি অনায়াসে গজল রচনা করতে শুরু করলেন এবং সেগুলো “দেওয়ান-ই কবির” বা দেওয়ান শামস তাবরিজীতে সংগৃহীত করা হয়। রুমি আরেকজন সঙ্গী খোঁজে পান সালাউদ্দিন-ই জারকুব, একজন স্বর্ণকার। সালাউদ্দিন এর মৃত্যুর পর রুমির কেরাণী এবং প্রিয় ছাত্র হুসাম-এ চালাবি রুমির সঙ্গীর ভূমিকা পালন করেন। একদিন তারা কোনিয়ার বাইরে একটি আঙুরক্ষেতে বিচরণ করছিলেন তখন হুসাম রুমিকে একটা ধারণা বললেনঃ “যদি আপনি একটি বই লিখেন যেমন সানাই এর “এলাহিনামা” বা আত্তার এর “মাতিক উত-তাইর” এর মত, যেটি অনেকের সঙ্গ দেবে। তারা আপনার কাজ থেকে হৃদয়পূর্ণ করবে এবং সংগীত রচনা করবে এটিকে সহবর্তমান থাকতে। রুমি মুচকি হাসলেন এবং এক টুকরো কাগজ বের করে তার “মসনবী” এর প্রথম আঠারো লাইন লিখলেন:


“বাঁশের বাঁশি যখন বাজে, তখন তোমরা মন দিয়া শোন, সে কী বলে,

সে তাহার বিরহ বেদনায় অনুতপ্ত হইয়া ক্রন্দন করিতেছে…”


হুসাম রুমিকে মিনতি করতে লাগলেন আরো লিখার জন্য। রুমি তার পরের বারটি বছর আনাতোলিয়ায় তার সেরা কাজ “মসনবী” এর ছয়টি খন্ডের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ১২৭৩ সালের ডিসেম্বর এ রুমি অসুস্থবোধ করতে লাগলেন। তিনি তার নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং অনেক জনপ্রিয় হওয়া একটি গজল রচনা করেন যার শুরু হয়ঃ


“কীভাবে জানব কোন ধরনের রাজা আমার মধ্যে আছে আমার সহচর হিসাবে?

আমার উজ্জ্বল মুখে দৃষ্টি দিও না আমার বদ্ধ পাগুলোর জন্য।”


১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩ সালে রুমি কোনিয়ায় মারা যান। তাকে তার পিতার কাছে সমাহিত করা হয় এবং যেটি একটি চমকপ্রদ ঘর, “ইয়াসিল তুর্ব”(সবুজ সমাধি, قبه الخضراء; যা বর্তমানে মাওলানা মিউজিয়াম), তার কবরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তার সমাধিফলকে লেখাঃ


“যখন আমি মৃত, পৃথিবীতে আমার সমাধি না খুঁজে, আমাকে মানুষের হৃদয়ে খুঁজে নাও।”


জর্জিয়ার রাণী গুরসু খাতুন ছিলেন রুমির উৎসাহদাতা এবং কাছের বন্ধু। তিনি কোনিয়াতে রুমির সমাধি নির্মানে তহবিল প্রদান করেন। ১৩ শতকের মাওলানা মিউজিয়ামসহ তার মসজিদ, থাকার জায়গা, বিদ্যালয় এবং মৌলভি তরীকার অন্যান্য ব্যক্তিদের সমাধি দেখতে আজকেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম-অমুসলিমরা ছুটে যান। জালাল উদ্দিন যিনি রুমি নামে পরিচিত, তিনি ছিলেন ইসলামের একজন দার্শনিক এবং মরমী। তার উপদেশ সমর্থন করে ভালবাসার মাধ্যমে অসীম পরমতসহিষ্ণুতা, ইতিবাচক যুক্তি, ধার্মিকতা, দানশীলতা এবং সচেতনতা। তিনি এবং তার শিষ্যদের কাছে সকল ধর্মই অধিক বা কম সত্য। মুসলিম, খৃষ্টান এবং ইহুদীকে একই দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন, তার শান্তিপূর্ণ এবং সহিষ্ণু শিক্ষাদান বা উপদেশ সকল ধর্মের মানুষের অন্তর স্পর্শ করেছে।


জন্ম

৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭

য়াখশ অথবা বাল্‌খ খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য

উপাধি

মাওলানা, মৌলভী

যুগ

ইসলামি স্বর্ণযুগ

জাতিভুক্ত

ফারসি

মৃত্যু

ডিসেম্বর ১৭, ১২৭৩

কোনিয়া, রুম সালতানাত

সমাধি স্থান

কোনিয়া, রুম সালতানাত


আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ