Home গল্প তোমাদের গল্প অচিনপুরের রাজকন্যা -রাজু মিয়া

অচিনপুরের রাজকন্যা -রাজু মিয়া

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল রাজ্য। রাজ্যের নাম অচিনপুর। রাজ্যের রাজা অচিন কুমার। তার কোনো সন্তান ছিল না। তার এত বড় রাজ্যের কে দেখা শোনা করবে। এই নিয়ে রাজার খুব দুশ্চিন্তা। হঠাৎ একদিন তার রাজ্যে এক সাধু বাবা আসলেন। সাধু বাবা সবার মনের কথা জানেন। রাজা সাধু বাবার সামনে দাঁড়াতেই সাধু বাবা বলে উঠলেন, বাবা তোমার কিসের দুঃখ?
রাজা বললেন, বাবা আপনি তো সবই জানেন আমার কোনো সন্তান নেই। আমার এত বড় রাজ্যের দেখা শোনা করবে কে? সেই সব ভেবে মন খারাপ থাকে সবসময়।
তখন সাধুবাবা বললেন, কোনো চিন্তা করো না বাবা সব ঠিক হয়ে যাবে। এই বলে সাধুবাবা রাজাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে বললেন, রানিকে এই পানি খেয়ে ঘুমাতে বলবে। রাজা ঠিক তাই করল। কিছুদিন পরে রানি বুঝতে পারে সে এবার মা হতে চলেছে। সারা রাজ্যে খুশির ধুম পড়ে গেল। রাজা গোটা রাজ্যের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ালো। তারপর হঠাৎ একদিন রানির এক ফুটফুটে মেয়ে সন্তান জন্ম নিলো। রাজ্যের সবার মুখেই হাসি। সবার ভালোবাসায় রাজকন্যা বড় হতে লাগলো। আজ রাজকন্যার জন্মদিন। বারো বছর পূর্ণ হবে আজ। প্রতিবারের মতো এবারও অনেক ধুমধাম করে উদযাপন করা হবে রাজকন্যার জন্মদিন। এক দুষ্ট রাক্ষস সেই রাজ্যেই বাস করত। রাক্ষসের মাথায় কূটবুদ্ধি দেখা দিলো। সে রাজকন্যাকে নিয়ে রাক্ষসপুরে চলে গেল। সারা রাজ্যে কান্নার রোল পড়ে গেল। এখন কী করে রাজকন্যাকে ফিরিয়ে আনবে। রাজা সারা রাজ্যে ঢোল পিটিয়ে দিলো। যে রাজকন্যাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজ্য ও রাজকন্যার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে। খবর শুনে পাশের রাজ্যের রাজপুত্র দ্বীপকুমার আসলো রাজকন্যাকে উদ্ধার করবে বলে। দ্বীপকুমার ছিল যেমনি সাহসী তেমনি যোদ্ধা। সবার কাছে অনুমতি নিয়ে রাজপুত্র চলে গেল রাজকন্যাকে ফিরিয়ে আনতে। রাক্ষসপুরে গেলে ঘোর যুদ্ধ শুরু হলো রাক্ষসদের সাথে। রাজকুমার ছিল সুদক্ষ বীর। রাক্ষসদের পরাজিত করল। রাজকন্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলো। রাজা তার কথামত অর্ধেক রাজ্য ও রাজকন্যার সাথে তার বিয়ে দিলো। আবার সারা রাজ্যে ফিরে আসলো সুখ আর শান্তি।

SHARE

Leave a Reply