Home ভ্রমণ ঢাকা টু কলকাতা -আবদুর রহমান

ঢাকা টু কলকাতা -আবদুর রহমান

অদেখাকে দেখার উদ্দীপনা আর অজানাকে জানার আগ্রহ নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার উদ্দেশে মধ্যরাতে বিজনেস ক্লাস আর এম টু বাসযোগে রাজধানী ঢাকা থেকে যাত্রা করে পথিমধ্যে ফরিদপুর কুটুমবাড়ী রেস্টুরেন্টে চা-বিরতি সম্পন্ন করে ভোর ৫টায় পৌঁছাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বন্দর-নগরী বেনাপোল দেশের সবচেয়ে বড়ো এবং প্রধান-স্থলবন্দর এটি।
ভ্রমণ সঙ্গী হয়েছিলাম গুণী মানুষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, শিল্পী সাংবাদিক যাকিউল হক জাকি ভাইয়ের, আমাদের সাথে ছিলেন হেরার আলো কালচারাল একাডেমির পরিচালক জনাব আতাউর রহমান। এতে আমি যারপরনাই আনন্দিত।
বেনাপোলে ইতঃপূর্বে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু এবার যাওয়া ভিন্ন, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন নগরী কলকাতা ঘুরে দেখা ও চিকিৎসার জন্য। একঘেয়ে দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে সাময়িক স্বস্তির অšে¦ষায় ঘুরতে যাওয়া পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়।

২৮ আগস্ট ’২২ রোববার
বন্দর মসজিদে ফজরের সালাত আদায়ের পর নাস্তা করে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়ালাম। তখন প্রায় দু’শর মতো নারী-পুরুষ যুবক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে। কাউন্টারে কাগজপত্র সাবমিট করতেই চেহারার দিকে তাকিয়ে দু-একটি প্রশ্ন করে সিল মারলেন। ব্যাগ স্ক্যান করিয়ে নির্দিষ্ট করিডোর দিয়ে সামনে গিয়ে এবার লাইনে দাঁড়ালাম ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনে, দুটি ফরম পূরণ করে কোভিড সার্টিফিকেট জমা দিয়ে কাউন্টারের কাজ সম্পন্ন করে দুপুর ১২টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে প্রবেশ করি। পেট্রাপোল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগনার অন্তর্গত, বাংলাদেশ তথা বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত চেকপয়েন্ট। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত এটি পশ্চিম বাংলার বনগাঁও মহকুমার অন্তর্গত। মার্কেটের একেবারে পিছনে মসজিদে নামাজ আদায় করে একটি হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সম্পন্ন করে টাকা ভাঙিয়ে রুপি নিয়ে সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ট্যাক্সিযোগে ২০০ রুপি দিয়ে বনগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছাই বেলা ২টায়।
বনগাঁও শহরের একমাত্র রেলস্টেশন বনগাঁও জংশন। পরবর্তী গন্তব্য শিয়ালদহ, বনগাঁও থেকে ৭৭ কিলোমিটার দূরে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করলাম পরবর্তী ট্রেনের জন্য, স্টেশনে চা-আড্ডার পর ট্রেনে উঠলাম, ২০ রুপির টিকিটে ২ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি বেশ উপভোগ্য, দুদিকে ক্ষেত খামার আর এই রুটের ২৪টি স্টেশনে ছোটো ছোটো টঙ দোকান, পরিশ্রমী আর ব্যস্ত মানুষের চলাচল, ভিক্ষুক নেই বললেই চলে। ট্রেন এগিয়ে যাচ্ছে সূর্যের আলোও পশ্চিমে গড়িয়ে পড়ছে, যখন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছাই তখন সূর্য একেবারে পশ্চিমে হেলে পড়েছে। শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন কলকাতা শহরের অন্যতম প্রধান রেলস্টেশন।
শুরু হলো হোটেল খোঁজা, আগে থেকে বুক না করায় বেশ বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে, ট্রেনেই পরিচয় হয়েছিল নওগাঁ থেকে আসা এক ভদ্রলোকের সাথে, পায়ের চিকিৎসার জন্য ভেলোর যাবেন, ট্রেন দু’দিন পরে হওয়ায় আমাদের সাথে থাকতে চাইলেন তার সহকর্মীসহ। শেষমেশ মহাত্মা গান্ধী রোডে নিতান্তই সাদাসিধে এক হোটেল পান্থ নিবাসের চার তলায় ৬ বেডের বিশাল রুমে উঠলাম আমরা ৫ জন।
রাজ্যের ক্লান্তি ভর করেছে শরীরের ওপর, গোসল, খাওয়া, সালাত আদায়ের পর গভীর ঘুম অচেনা এক শহরে।

২৯ আগস্ট ’২২ সোমবার
সারাদিন কলকাতা শহরের অলিগলি ঘুরে বিকেলে চলে যাই রেলের সবচেয়ে পুরনো টিকিট কাউন্টার ফেয়ারলি প্লেসে। এ দিনটা কাটল বড্ড ভ্যাপসা গরমে, একেবারে কাহিল অবস্থায় সন্ধ্যায় হাওড়া ব্রিজের কাছে এসে পৌঁছাই, তখনও পুরোপুরি রাত হয়নি, লাইটের আলোয় আলোকোজ্জ্বল ব্রিজসহ তার আশপাশ, একটু ঠান্ডা বাতাসও গায়ে লাগল।
হাওড়া ব্রিজ ‘রবীন্দ্র সেতু’ নামে পরিচিত, প্রসিদ্ধ চমৎকার শৈল্পিক কারুকার্যময় ইস্পাতের তৈরি এই ব্রিজ হুগলি নদীর ওপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পাশেই হাওড়া রেলস্টেশন অপর দিকে বাসস্ট্যান্ড। শহরের প্রতিটি স্থাপত্যে রয়েছে ঐতিহ্যের ছাপ ও নিদর্শন। সাংস্কৃতিক প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকলেই ধর্মাচরণে বেশ সচেতন, এ ছাড়া চলাফেরা ওঠাবসা কথা-বার্তায় সততা, নিষ্ঠা, কর্মস্পৃহার এক অনন্য নজির স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

৩০ আগস্ট ’২২ মঙ্গলবার
রাতে ভালো ঘুম হয়নি, হবেই বা কী করে! এখনও যে, ডাক্তার দেখানো হয়নি, তাই আজ একটাই কাজ ডাক্তার দেখানো। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ৫ রুপি দিয়ে টিকিট কেটে চলে গেলাম সোনারপুর Indian Institute of Liver and Digestive sciences ( A Unit Of Liver Foundation, West Bengal )

ডা. সুপর্ণা পাল রাসভারী মহিলা মনোযোগ সহকারে শুনে আগের রিপোর্টগুলো দেখে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ব্যবস্থাপত্র দিলেন। আবারও ১ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি করে ফিরে এলাম কলকাতায়।
বিকেলে চলে গেলাম ঐতিহাসিক স্থাপনা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধ, তাজমহলের ধাঁচে গড়ে তোলা শ্বেতপাথরের এক অনন্য স্থাপনা, শৈল্পিক বিন্যাস, কারুকার্য, চারিদিকে সৌন্দর্য নন্দনতত্ত্ব চিন্তাশক্তিকে নতুনভাবে জাগ্রত করে।
সন্ধ্যায় চলে আসি বাঙালিদের আড্ডার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান কফি হাউজে, প্রেসিডেন্সি কলেজের উল্টো দিকে কলেজ স্ট্রিটে অবস্থিত এটি কলকাতার প্রাচীনতম কফি হাউজ, এখানকার পাকুড়া আর আইস কফিতে আমাদের মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
পৃথিবীর বৃহত্তম বাংলা বইয়ের বাজার এখানে, বই পড়–য়াদের জন্য একটি তীর্থস্থান, নতুন-পুরাতন সকল প্রকার বইয়ের দেখা মিলে এখানে।
রাতে চলে যাই কলকাতা বিমানবন্দর, এটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। বিমানবন্দরটি কলকাতা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দমদম এলাকায় অবস্থিত।

৩১ আগস্ট ’২২ বুধবার
গতকাল কফি হাউজে যাওয়ার পথেই পরিচয় হয়েছিল ট্যাক্সি ড্রাইভার ইশতিয়াক আলমের সাথে, কথা হলো আমরা সারাদিন ঘুরবো তার গাড়িতে, চুক্তি হলো ৩ হাজার দুশো রুপি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ভাড়া একটু বেশি।
দিনব্যাপী ঘোরার পালা আজ, সকাল থেকেই এক উন্মাদনা কাজ করছে ঘোরাঘুরির নেশায়। নিউ টাউনের প্রশস্ত রাস্তা ধরে আমরা প্রথমে যাই আধুনিক শপিংমল সিটি সেন্টার-২ এখানে শৌখিন মানুষেরা কেনাকাটা করতে আসে, আড্ডা খাবার দাবার কেনাকাটা সব মিলিয়ে একের ভিতর পাঁচ।
বেশ কিছুক্ষণ রবীন্দ্র কর্নারে বসে আমরা চলে যাই অ্যামিটি ইউনিভার্সিটির কাছেই নিউ কফি হাউজে, কলেজ স্ট্রিটে পুরাতন কফি হাউজের আদলে নির্মিত। গানের হালকা সুরের মূর্ছনায় ফ্রেন্সফ্রাই খেয়ে গরম কফিতে চুমুক দেই আমরা। দিলখোলা আড্ডা দেওয়ার অন্যতম জায়গা এটি।
খানিক দূরেই ভিআইপি রোডে পশ্চিমবঙ্গ হজ হাউজ, ১২ তলা বিল্ডিং পিছনে সুপরিসরে বড়ো মসজিদ খুবই নান্দনিক স্থাপনা। ১৫ বিঘা জায়গার ওপর ১০০ কোটি টাকায় নির্মিত একটি মসজিদসহ হজ টাওয়ারটি। ‘মদিনাতুল হুজ্জাজ’ নামক হজ হাউজটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উক্ত মসজিদে সালাত আদায় করে পার্শ্ববর্তী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিউ টাউন ক্যাম্পাস ঘুরে ক্যান্টিনে মধ্যাহ্নভোজ গ্রহণ করি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রাচীনতম আধুনিক শৈলীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
বেলা আড়াইটায় পৌঁছাই ইকো পার্কে, ৪৮০ একর আয়তনের প্রকৃতি তীর্থ ভারতের বৃহত্তম উদ্যান, ঘুরে বেড়ানোর অসাধারণ এক জায়গা। প্রাণ জুড়ানো মনোরম পরিবেশ, ধীরগতির একটি যানে আমরা পুরো উদ্যানটি ঘুরেছি ৩০০ রুপি দিয়ে, লেকের পাশ দিয়ে আইফেল টাওয়ার পর্যন্ত। বিশাল জলাশয়, ঘাসফুল, বাঁশ বাগান, বনসাই বাগান, চা বাগান, প্রজাপতি বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালিতে ভরা এক শহুরে উদ্যান। পার্কটি সুন্দরভাবে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সবুজ শ্যামল ঘাসে ছাওয়া অঙ্গন চোখজুড়ানো নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাঝে মধ্যে পাথরের বেঞ্চ, ছোটো ছোটো সেতু, ফোয়ারা ইত্যাদি। পার্কটির ৬টি গেট, বাগিচার ভেতর দিয়ে হেঁটে ৪ নম্বর গেটের কাছেই বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রতিরূপ দেখতে চলে যাই সেভেন ওয়ান্ডার্সের ভেতর।
সপ্তাশ্চর্যগুলো হচ্ছে চীনের মহাপ্রাচীর, জর্ডানের শেত্রা নগরী, রোমের কোলোসিয়াম, মেক্সিকোর চিচেন ইতজা, পেরুর মাচুপিচু, ভারতের তাজমহল, ব্রাজিলের ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার। এ ছাড়া প্রাচীন আশ্চর্য হিসেবে মিসরের পিরামিড রাখা হয়েছে বিশেষ সম্মান দিয়ে।
এছাড়াও মজাদার ফুডকোর্ট, বিনোদনমূলক কার্যক্রমের মধ্যে সাইক্লিং, তিরধনুক ছোঁড়া, প্যাডেল বোট, ওয়াটার জরর্বিং, গেমিংজোন, কায়াকিং, রবি অরণ্য, ফ্লেটিং মিউজিক ফাউনটেইন, রেইন ফরেস্ট, স্কাল্পচার গার্ডেন, চিলড্রেন্স পার্ক, সবুজ সাথী কাচঘর অ্যাম্ফিথিয়েটার ইত্যাদি। সময় স্বল্পতার জন্য সবকিছু দেখা সম্ভব হয়নি।
বিকেল সাড়ে ৫টায় ফেরার পথ ধরতে হলো, চলে এলাম বিশ্ববাংলা গেট, কলকাতা মহানগরীর নতুন উপশহর নারকেল বাগান মোড়ে এই গেট অবস্থিত। এর পূর্বনাম কলকাতা গেট। ২৫ মিটার উঁচু আর ২০০ মিটার বৃত্তাকারে ইস্পাত দিয়ে তৈরি গেটটি। নিচে শহর, দুই দিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে দিগন্ত রেখা। বৃত্তাকারের মাঝখানে রেস্তোরাঁ। আমার দেখা অত্যন্ত চমৎকার একটি গেট। ওপরে বলয়াকৃতি অংশে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ।
রাতে চলে এলাম রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়াম, বর্তমানে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গণ। গিরিশ পার্কের কাছে চিত্তরঞ্জন এভিনিউয়ে অবস্থিত বিখ্যাত রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়াম। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ী নামেও পরিচিত যা মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সকল কাজকর্মের সংরক্ষণাগার। এখানেই জন্ম নিয়েছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এই বাড়িতেই কেটেছে শৈশব, মহাপ্রয়াণ হয় এখানেই।
১ সেপ্টেম্বর ’২২ বৃহস্পতিবার
মারকুইস স্ট্রিট, নিউমার্কেট, বড়বাজার ঘুরে ঘুরে কিছু মার্কেট করেছি, আহ্ কলকাতার রসগোল্লা বড়ই মজাদার।
আর মাটির ছোটো ছোটো ভাঁড়ে চা পান স্বাদে অতুলনীয়।
শহরে রিকশা তেমন একটা দেখা মেলেনি, খুব অল্পসংখ্যক রিকশা সামনে লম্বা হাতল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
পায়ে প্যাডেল ঘুরানো রিকশা একেবারেই নেই, সাইকেল, বাস, ট্রাম চলছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। খুব একটা জ্যাম নেই। ট্রাফিক সিগন্যালে লালবাতি জ্বললেই সকল যান দাঁড়িয়ে সবুজ বাতির অপেক্ষা করছে। কলকাতায় আপেল, নাশপাতি, আনারের দাম অনেক কম হওয়ায় মাঝে মধ্যেই এগুলো খেয়েছি। এছাড়া বাদাম, চানাচুর চিপস ইত্যাদি খুচরা ওজনে বিক্রি হয়, এগুলোও বেশ সুস্বাদু।
বেশ ভালো লাগার এক শহর কলকাতা।

২ সেপ্টেম্বর ’২২ শুক্রবার
আজ আমার দেশে ফেরার দিন। আসলে এত অল্প সময়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থান দেখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে যতক্ষণ ছিলাম প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করেছি।
সকাল সাড়ে ৭টায় নাস্তা করে হোটেলের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বনগাঁও স্টেশনে আসি ১০টা ১০ মিনিটে। অটোতে পেট্রাপোল এসে ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে দেশের মাটিতে পা দেই বেলা ২টায়।
সত্যি ভালো লেগেছিল সাতটি দিন। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো এবং ঘুরে ফিরে দেখেছি বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান।
অল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ চিকিৎসা, কেনাকাটা এসব কিছুর জন্য কলকাতা পছন্দের এক শহর।
দেশে ফিরতেই স্বাগত জানায় বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বন্ধুসুলভ ভাই আবু সুফিয়ান, দেশী মুরগি, চিংড়ি মাছ আর আলু ভাজি দিয়ে দুপুরে লাঞ্চ হলো সুফিয়ান ভাইয়ের সৌজন্যে।

SHARE

Leave a Reply