‘এ্যাই দ্বীপ, দ্বীপ! কোথায় তুই?’ হন্ত দন্ত হয়ে ছুটে এলেন মা।
‘হ্যাঁ, বল।’ পড়া থেকে মাথা না তুলে বললাম আমি।
‘পৌষীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ..এ……।’
‘সাতসকালে জ্বালাতন করনাতো। খুব ভালো হয়েছে। যাও, যাও। এখন যাও। আমাকে পড়তে দাও।’ আম্মুর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললাম আমি।
আম্মু কেমন যেন অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। কোন্ বিশ্বাসে কী বলতে এলেন তা পুরোটাই তালগোল পাকিয়ে গেল। তাই তিনি ফ্যাল ফ্যাল করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
সকাল দশটায় আমার ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষা। এখন বাজে ভোর ছয়টা। পুরো বই রিভাইস এখনও দেওয়া হয়নি। শেষ করতে পারবো কি না সন্দেহ আছে। আর আম্মু কি না এসে খবর দিলেন পৌষীকে পাওয়া যাচ্ছে না। মেজাজ সপ্তমে চড়ল আমার। আম্মু কী বলছে তার কিছুই আমার মাথায় ঢুকল না।
তাই বললাম, ‘বলি, সাত সকালে কি ওকে ভূতে পেল? যাও তো যাও। পড়ার ডিসটার্ব করো না তো। এখন যাও। অনেক পড়া বাকি আমার।’
‘তুই ঠিক আছিস তো? আমার কোনো কথা কি তোর মাথায় ঢুকেছে? তুই কি বলছিস, তা কি বুঝে শুনে বলছিস তো?’ আম্মু যেন তার ছেলেকে চিনতে পারছেন না এমনভাবে বললেন।
পরীক্ষার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। পড়া ছাড়া আমার মাথায় আর কিছু ছিল না। পড়ার ঘোরেই ছিলাম। তাই মূল কথা প্রথমে আমার মাথায় ঢোকেনি। বিষয়টা বুঝতেই, ‘এ্যা..অ..হ্যাঁ।’ উচ্চারণ করলাম আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে।
অবাক বিস্ময়ে মা আমাকে দেখছেন। হয়তো বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, আমি তাকে এতগুলো কথা শোনাতে পারি। আমি ঠিক আছি কি না তাই মা আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। আমার ঘোর পুরো কেটে গেল।
পৌষী আমার ছোটো চাচার ছোটো মেয়ে। চাচাতো বোন হলে কি হবে। ও যেন আমার প্রাণ-ও আমার হৃদস্পন্দন। স্কুলে যাওয়ার আগে ওকে কোলে নিয়ে আমি আদর করি। ফিরে এসে ওকে আগে দেখি, আদর করি। সারা বিকাল ওকে নিয়ে খেলি। ছুটির দিনে সারাদিন ও আমার কাছেই থাকে।
ও সবে দেড় বছরে পা দিল। ওর আধো আধো বোল সত্যি অপূর্ব। ওর আধো বোলে ভাইয়া ডাক আমার প্রাণ জুড়াই। ওর আম্মু ওকে মারলে ও ছুটে আসে আমার কাছে। কান্না ভোলে আমার কোলে বসে। ও তো আমার হৃদয়ের স্পন্দন। ওকে আমি জান বলে ডাকি। আর ওকে কি না পাওয়া যাচ্ছে না?
বোধ উদয় হলো আমার। সব ভুলে মায়ের দিকে মনোযোগ দিলাম। মাথা চুলকাতে চুলকাতে তাকালাম তার দিকে।
‘কী বললে মা! তুমি ঠিক বলছোতো?’ হুঁশ ফিরে পেয়ে মায়ের কাছে জানতে চাইলাম।
‘হুউ।’ মা শুধু মুখে উচ্চারণ করলেন।
‘জানকে পাওয়া যাচ্ছে না? কখন থেকে? কোথায় ছিল ও? কেমন করে হারালো?’ আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। বিশ্বাস হতে চাচ্ছে না আমার। আমার কলিজা, আমার জান, আমার প্রিয় বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এতগুলো প্রশ্নে আম্মু আরো থতোমতো খেয়ে গেলেন। কোনো রকমে বললেন, ‘ওর মা ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে যায়। কাজ সেরে এসে দেখে পৌষী বিছানায় নেই। সারা বাড়ি ওকে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছে। কোথাও নেই।’
আর তর সইলো না আমার। বই-খাতা যেভাবে খোলা ছিল ঐভাবেই পড়ে রইলো টেবিলে। স্যান্ডেলও পায়ে দেবার সময় নেই আমার। হন্তদন্ত হয়ে ছুটলাম পৌষীদের রুমের দিকে।
দুই.
আন্টি দরজার সামনে মেঝেয় বসে আছেন। তাকে দেখেই বোঝা যায় বিধ্বস্ত তিনি, শোকে কাতর। মেয়ের জন্য অস্থির তার মন।
আমাকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠলেন। তার দিকে একনজর তাকিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম।
ঘরে পৌষীর সাড়ে সাত বছরের বড বোন ঐষী। ও পড়ার টেবিলেই আছে। আন মনে বইয়ের পাতা উল্টে চলেছে ও। নেই ওর শিশুসুলভ চঞ্চলতা। ঘটনা যে গুরুতর তা হয়তো ও বুঝতে পেরেছে। তাই চুপ ও।
সারা ঘরে একবার নজর বুলিয়ে আন্টিকে লক্ষ্য করে বললাম, ‘কখন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পৌষীকে?’
অনিচ্ছা সত্তে¡ও উত্তর দিলেন তিনি, ‘আমি থালা-বাটি মেজে রান্নাঘর পরিষ্কার করে এসে দেখি ও নেই।’
‘নেই মানে?’ জিজ্ঞাসা আমার।
‘নেই মানে নেই।’ আন্টির মুখ থেকে বেরিয়ে এলো কথাটি। কান্না ঢাকতে তিনি আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকলেন।
‘কোথায় ছিল ও?’ জানতে চাইলাম আমি।
এবার উত্তর দিলো ঐষী।
আমার দিকে ঘুরে ও বলল, ‘বিছানায় ঘুমাচ্ছিল পৌষী।’
‘তুই কী করছিলিরে ঢেপসি।’ একটু মুটিয়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝে ওকে আমি এই নামেই ডাকি। বলা যায় রাগের সময় এই নামটিই বের হয় আমার মুখ থেকে ওর জন্য। পরক্ষণেই মনে হলো শেষের শব্দটা না বললেই বোধ হয় ভালো হতো। শব্দটা বেফাঁস বেরিয়ে গেছে আমার মুখ থেকে। ভেতরে অনুশোচনা জাগলো।
এখনই হয়তো ঐষী চিৎকার করে বোমা ফাটাবে। আর বকা দিবেন ওর মা। ভয়ে ভয়ে তাকালাম আন্টির দিকে।
আন্টি কোনো মন্তব্য করলেন না। আর ঐষীও চিৎকারের বোমা ফাটালো না। ঘটনা গুরুতর তাই পরিবেশ স্বাভাবিকই থাকলো।
শান্ত স্বরে ধীর স্থির ভাবে ঐষী বলল, ‘আমি পড়ছিলাম আর পৌষী বিছানায় ঘুমাচ্ছিল।’ চেহারায় ভাবান্তর না থাকলেও হয়তো ঐষীর কাছেও বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসময় চিল্লা চিল্লি না করাই ভালো মনে করেছে হয়তো ও।
‘আন্টি ছোটো চাচাকে কি জানানো হয়েছে?’ জানতে চাইলাম আমি।
না সূচক মাথা নাড়লেন তিনি। দেখলাম তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রæ ঝরছে। হয়তো মুখ দিয়ে তার কথা বের হচ্ছে না। মেয়ের জন্য তার অন্তরটা ভেঙে যাচ্ছে।
কোথায় গেল ছোট্ট মেয়েটা এই সাতসকালে?
আমি নিচু হয়ে পালঙ্কের তলে উঁকি মারলাম পৌষীকে খোঁজার জন্য। না পেয়ে বাথরুমের দিকে চললাম। দরজায় হাত দিতেই ঐষী বলল, ‘ভাইয়া, আম্মুও পালঙ্কের তল, সোফার পাশে, টেবিল-চেয়ারের তলে, আলমারির পাশে, বাথরুমে দেখেছেন। আম্মুর পরে আমিও সব জায়গায় দেখেছি। কিন্তু নেই। পুরো হাওয়া আমাদের পৌষী।’ একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের মতো করে কথাগুলো বলল ও।
‘রাস্তায় যায়নি তো আমাদের সোনাটা।’ বললাম আমি।
‘শোন ভাইয়া, কেউ এখনও গেইটই খোলেনি।’ বলল ঐষী।
‘হুম, তাই।’ বললাম আমি।
‘তবুও আমি তা দেখে এসেছি। তাছাড়া বড়োদের সাহায্য না নিয়ে আমিই গেট খুলতে পারিনে। সেখানে ও খুলবে কেমন করে?’ সমস্ত কথাগুলো বড়োদের মতো সুন্দর করে গুছিয়ে বলল ও।
ঐষীর কাছে এসে ডানহাত দিয়ে ওর মাথার চুল এলো মেলো করে দিয়ে মুখে বললাম, ‘গেল কই আমাদের ছোট্ট আপুটা? কোথায় যেতে পারে?’
কারো কাছ থেকে আমার কথার কোনো জবাব এলো না।
আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম পালঙ্কের কাছে। উঠে বসলাম পালঙ্কে। হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেলাম পৌষী যেখানে ঘুমিয়েছিল অর্থাৎ ওর ছোট্ট বালিশওয়ালা জায়গাটা স্পর্শ করে বোঝার জন্য যে, ও কত আগে জায়গাটা ছেড়েছে।
ধীরে ধীরে আমি এগিয়ে গেলাম ও যেখানে ঘুমিয়েছিল সেখানে। আর বিপত্তি ঘটলো ঠিক তখনই যখন ওর ছোট্ট শোয়ার জায়গায় আমার পুরো দেহ চলে এলো।
মুহূর্ত মাত্র। শুনতে পেলাম ঐষীর অসম্পূর্ণ চিৎকার।
নিজের অবস্থান দেখে আমার মুখ থেকেও চিৎকার বেরিয়ে এলো।
তিন.
আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে মহাশূন্যের কোনো গোলক ধাঁধায় আমি আনাড়ি সাঁতারুর মতো সাঁতরে বেড়াচ্ছি। বড়ো জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এখন আমি।
আচ্ছা মহাশূন্যেতো অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র আছে। কই কিছুই তো দেখছিনে। সেগুলো গেল কোথায়? চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। তাহলে কি আমি কোনো কৃষ্ণ গহŸরে প্রবেশ করছি!
ভাবনা বেশি দূর এগোলো না। থপাত করে বসে পড়লাম মাটিতে। মনে হলো কোমর যেন আমার ভেঙে গেছে। উঠার চেষ্টা করলাম। কোমর ব্যথা করে উঠলো। চোখের সামনে তখন সরিষার ক্ষেত। সেখানে ফুটে আছে অসংখ্য ফুল। ফুলগুলো কিন্তু সব হলুদ নয়। লাল, সাদা, কমলা, বেগুনি, আসমানিসহ আরো অনেক রঙের ফুল আছে। তাহলে সরিষার ফুলও ভিন্ন রঙের হয় নাকি! কি জানি, কিছুই বুঝতে পারছিনে।
এখন আস্তে আস্তে আমার চোখের সামনে থেকে ফুল কমে আসছে। সাথে রঙ ও।
কমতে কমতে এক সময় এগারোটিতে এসে থমলো। আরে ফুলগুলোতো মানুষের মুখের আদল ধারণ করছে। হ্যাঁ…হ্যাঁ আমি ঠিকই দেখছি। আমার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে এগারো জন মানুষ।
আমি চোখ বন্ধ করে মাথাটা একটু ঝাঁকি দিলাম। তারপর আবার তাকালাম সামনের দিকে। কিন্তু মানুষ মানুষই রইল। তারা অন্য কিছুতে রূপান্তরিত হলো না।
আমি ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। এগারো নম্বরে এসে আমার চোখ আটকে গেল। দশজনের গঠন একই রকম। চেহারা এবং পোশাকও এক। প্রত্যেকে প্যান্ট-শার্ট এবং টাই পরা। পায়ে সু। তবে হলুদ রঙের।
এগারোতম জন খুব ছোটো অন্যদের তুলনায়। ও একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে। ওর থেকে কান্নার শব্দ আসছে। এতক্ষণ অন্যদিকে খেয়াল থাকায় বুঝতে পারিনি।
‘আরে ওতো…।’ আমার ঘুম লাগছে কেন? আচ্ছা আমি এখানে কেন? আমারতো সকাল দশটায় পরীক্ষা। পরীক্ষার কথা মনে পড়তেই সাইক্লোনের বেগে পালালো ঘুম আমার।
আরে ওই ছোট্ট মেয়েটাইতো আমার জান। মানে আমাদের আদরের পৌষী।
সমস্ত ব্যথা ভুলে উঠে দাঁড়িয়ে এক লাফে এগিয়ে গিয়ে ওকে কোলে তুলে নিলাম। ওকে তো পাওয়া গেছে। আরে আমাদের ছোট্ট আপুকে পাওয়া গেছে।
‘আন্টি …।’ দিগি¦দিক জ্ঞান শূন্য হয়ে চিৎকার দিলাম।
আন্টির কোনো সাড়া পেলাম না।
ওই দশজন পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো।
পৌষী আমার গলা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
দৃষ্টি দিলাম দশ ব্যক্তির দিকে। ওরা এক ধ্যানে আমার দিকে তাকিয়ে কী যেন করছে।
ঘুমের ভাবটা আবারও এলো আমার ভেতর। কীভাবে যেন পৌষীর এক ফোঁটা চোখের নোনা পানি আমার চোয়ালে পড়লো। ঘুমের ভাব দূর হয়ে গেল।
আচ্ছা ওরা কি আমাকে জাদু করতে চাচ্ছে। না কি অন্য কিছু। যখন ওরা ধ্যান মগ্ন হচ্ছে তখন যেন আমার ঘুম পাচ্ছে। ঘুমের ভাব দূর হতেই মনে পড়লো সবাই পৌষীকে খুঁজছে।
ঐ দশ ব্যক্তির মধ্যে এবার নড়াচড়া লক্ষ করলাম। ভাবখানা এমন যে, ওদের জাদুতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
আমি দৃষ্টি দিলাম চারিদিকে। ভোঁতা হয়ে ফিরে এলো চোখ। অসীম শূন্যতা যেন চারিদিকে খা খা করছে। কোথায় আমরা? কিছুইতো বুঝতে পারছিনে!
একজন এগিয়ে এসে ধরতে চাইলো আমার হাত। ঝাড়া মেরে হাত ছাড়িয়ে সরে দাঁড়ালাম আমি। বললাম, ‘কী চান আপনারা? কেন একে ধরে এনেছেন? আপনারাতো ছেলেধরা। আপনাদের পুলিশে দেব।’
‘শুধু পৌষীকে নয়। আমরা তোমাকেও এনেছি।’ বলল এগিয়ে আসা লোকটি। ‘আচ্ছা ছেলে ধরা কী জিনিস।’
‘ন্যাকা সাজা হচ্ছে তাই না?’ রাগ বাড়ছে আমার।
‘আসলে দ্বীপ …।’ বলল লোকটি।
‘ও। আচ্ছা, আচ্ছা। থামেন থামেন।’ লোকটিকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, ‘আপনি আমার নাম জানলেন কী করে? একটু আগে পৌষীরও নাম বললেন। আমাদের পৌষী অপরিচিত কারো সাথে তো কথাই বলে না। তাহলে নাম জানলেন কী করে?’
‘আসলে এই মানুষ জাতটা বড্ড বেশি বোঝে।’ অধৈর্য হয়ে বলল অন্য একজন।
প্রচণ্ড রাগ হলো আমার। ওরা যদি আমার বয়সী হতো তাহলে এক একটাকে ধরে ধরে মারতাম। বড়ো হওয়ায় মুখে বললাম, ‘এই জাতের ভেতর তো আপনারাও।’
‘মোটেও না।’ বলল প্রথম জন।
‘তাহলে উনারা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আকাশ থেকে টুপ করে পড়েছেন।’ তাচ্ছিল্যের সুর বের হলো আমার কণ্ঠ থেকে।
‘সেটাই।’ সংক্ষিপ্ত উত্তর দ্বিতীয় জনের।
‘ছেলে ধরা আপনারা। হাতে নাতে ধরা পড়ে এখনতো ন্যাকা সাজবেনই।’ সিরিয়াস হলাম আমি।
ওরা সংখ্যায় দশজন। পেরে উঠবো না ওদের সাথে। আব্বুকে খবর দেওয়া দরকার। কিন্তু আশপাশে কাউকে তো দেখছিনে। কী যে করি?
[ আগামী সংখ্যায় সমাপ্য ]