১. ইখলাস বা আন্তরিকতা
যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। সেটা স্মৃতিশক্তি বাড়ানো হোক অথবা অন্য যে কোনো কাজেই হোক। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়্যত। নিয়্যতের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররম জাহ মুরাদ (১৯৩২-১৯৯৬) বলেন- ‘উদ্দেশ্য বা নিয়্যত হলো আমাদের আত্মার মতো অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মতো। বেশির ভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একই রকম। কিন্তু বীজ লাগানোর পর সেগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে ওঠে এবং ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। একইভাবে নিয়্যত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও ততো ভালো হবে।’
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তাদেরকে এ ছাড়া কোনো নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা বিশুদ্ধ নিয়্যতে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামাজ কায়েম করবে এবং যাকাত প্রদান করবে এটাই সঠিক এবং একমাত্র দ্বীন। (সূরা আল বায়্যিনাহ-৯৮ : ৫)
তাই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের নিয়্যত এমন বিশুদ্ধ হতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেনো একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন।
২. দুআ ও জিকির করা
মানুষ সৃষ্টিগতভাবে যতটা না সীমাবদ্ধ তার চেয়ে বেশি সীমাবদ্ধ মানুষের চিন্তা। আমরা জীবনে যত সাফল্যই অর্জন করতে চাই না কেন আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই পূর্ণাঙ্গ সফল হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য তোমাদের উচিত সর্বদা মহান আল্লাহর কাছে দুআ করা যাতে তিনি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এ ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে নি¤েœাক্ত দুআ দুটি নিয়মিত পাঠ করতে পারো। এক. ‘হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।’ (সূরা ত্বহা-২০ : ১১৪) দুই. ‘যখন ভুলে যাও, তখন তোমার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন।’ (সূরা আল কাহাফ-১৮ : ২৪)
৩. চেষ্টা করো বিভিন্ন উপায়ে
একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখবে, তোমাদের সকলের মুখস্থ করার সময় ও পদ্ধতি এক নয়। কারো চেয়ার টেবিলে বসে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো হেঁটে হেঁটে আবার কারো শুয়ে পড়লেও মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে কেউ বা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। সুতরাং একটি ভালো উপায় ও একটি ভালো সময় ফিক্সড করো যখন ভালো মুখস্থ হয়। ঐ নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার ফলে তোমার মস্তিষ্কের মধ্যে একটি ছাপ পড়ে যাবে এবং মুখস্থকৃত অংশটি অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে যাবে।
৪. স্থির করো কতটুকু মনে রাখবে
স্থির করো তুমি ঠিক কতটুকু মনে রাখতে চাও। জীবনের অনেক কিছুই তুমি এক সাথে মনে রাখতে চেয়েছিলে যা তোমার জন্য অপ্রয়োজনীয় ছিল। প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো একীভূত হবার কারণে জট পাকিয়ে দুটোই তোমার নিউরন থেকে বেরিয়ে গেছে। সুতরাং তুমি যে বিষয়গুলো মনে রাখতে চাও তার একটি তালিকা তৈরি করো এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মস্তিষ্ক থেকে ঝেড়ে ফেলো। এবার তালিকা ধরে একটি একটি করে মেমোরাইজ করো।
৫. পাপ থেকে দূরে থাকো
প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ শাফিঈ রাহিমাহুল্লাহ বলেন- আমি আমার শাইখ ওযাকিকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন, আমি যেন পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি। তিনি বলেন- ‘আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি অপরিসীম আলো এবং আল্লাহর আলো কোনো পাপাচারীকে দান করে তার অন্তরলোক আলোকিত করেন না।’
একবার মালিক ইবনে আনাসকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘স্মৃতিশক্তিকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়?’ জবাবে ইবনে আনাস বলেছিলেন- ‘যদি কোনো কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ কাজ ছেড়ে দেওয়া।’
যখন কোনো মানুষ উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত হয়।’ সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞানার্জনের মতো কল্যাণকর আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই তোমাদের উচিত পাপ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা এবং অতীতের পাপের জন্য এখনই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কারণ মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের পাপ আমার অনুগ্রহের থেকে বেশি নয়। আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দেবো।’ (সূরা জুমার- ৩৯ : ৫৩)
উক্ত আয়াত থেকে এটা বুঝা যায় যে, লোকেরা তার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবে আর তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন, এটা আল্লাহর নিয়ম নয়।’
৬. পরিমিত বিশ্রাম নাও
আমরা যখন ঘুমোতে যাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মতো কাজ করে। এটি তখন সারা দিনের সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে। অনেকেই মনে করেন, যারা বেশি পড়ালেখা করে তাদের কম ঘুমালেই চলে। কিন্তু এ ধারণা পুরোটাই ভুল। বরং তাদেরই ঘুমের দরকার হয় বেশি। দু’টি কারণে তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। প্রথমত, এতে কর্টেক্সের নিউরনগুলোর পরিপূর্ণ বিশ্রাম ঘটে। দ্বিতীয়ত, নিদ্রাকালে রক্ত নিজে পরিশোধিত হয় এবং বাতাস থেকে প্রচুর পরিমাণে বাড়তি অক্সিজেন সংগ্রহ করে নেয়। যার ফলে এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বেশ কাজে দেয়।
বিজ্ঞান বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। সাথে দুপুরের পর সামান্য ভাত ঘুমও চলতে পারে যা তোমাদের মন মেজাজ ও অনুভূতিকে চাঙ্গা রাখবে। এটি একটি সুন্নাহও বটে। অতিরিক্ত রাতজাগা কোনোভাবেই উচিত হবে না। রাত এগারোটার পর জেগে থাকাকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করব না। ভোর পাঁচটায় উঠে যাওয়া আইডিয়াল। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল নব্বই বছর বয়সেও দৈনিক বারো থেকে পনেরো ঘণ্টা মানসিক পরিশ্রম করতে পারতেন। কারণ তিনি সেই বয়সের নিয়মিত নয় ঘণ্টা নিদ্রা যেতেন।
আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডা: মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এই ৯৫ বছর বয়সেও তিনি নিজেকে যুবক ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাঁর এত ভালো স্বাস্থ্যের রহস্য নিয়ে সাংবাদিকরা একবার প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি দু’টি কথা বলেছিলেন- এক. আমি যেকোনো খাবার খাই না এবং যখন তখন খাই না। দুই. আমি দৈনিক দশ ঘণ্টা বিশ্রাম নিই।
৭. নিয়মিত ব্যায়াম করো
ব্যায়াম শুধু তোমার শরীরকেই সচল করে না, এটি তোমার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন তোমার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলোয় চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করবে, সচল রাখবে তোমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও মস্তিষ্ক।
৮. পুনরাবৃত্তি করো
যা কিছু মুখস্থ করেছো তা কাউকে শোনাতে পারো। অথবা অন্যকে শেখাতে পারলে আরও ভালো হয়। আরেকজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবে তোমার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছো। আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে নিজেরও চর্চা হবে। তোমার নতুন কোনো চিন্তা আরেক জনের সাথে শেয়ারও করতে পারো। তাতে সেটা তার স্মৃতিতে যতটা না স্থায়ী হবে তার চেয়ে বেশি স্থায়ী হবে তোমার স্মৃতিতে।
তা ছাড়া নিজে নিজেই তোমার পড়াটা বারবার আবৃত্তি করতে পারো। কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তির একটা মস্ত ভূমিকা রয়েছে। অবসর সময়ে কল্পলোকে বাজে চিন্তা না করে ভালো কিছু চিন্তার মাধ্যমে স্মৃতিটাকে ঘষেমেজে নাও। টানা কয়েক ঘণ্টা একটি বিষয় না পড়ে বারবার পড়লে এবং মাঝখানে পনেরো বিশ মিনিট বিশ্রাম নিলে পড়াশোনাকে আর একঘেয়ে বলে মনে হবে না।
৯. সোস্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলো
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে যতটা সম্ভব সোস্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলা দরকার। বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আমরা নিজেদেরকে সোস্যাল মিডিয়ায় বেশি ব্যস্ত রাখি। ফলে কোনো কাজেই আমরা গভীর মনোযোগ দিতে পারি না। মাঝে মধ্যে আমাদের কারও কারও অবস্থা এমন হয় যে, সালাতের কিছু অংশ আদায় করার পর মনে করতে পারি না, ঠিক কতটুকু সালাত শেষ করেছি। এমনটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদেরকে সোস্যাল মিডিয়ায় বেশি ব্যস্ত রাখার ফলে, মুভি দেখা, গান বাজনা শোনা, গেইম, ফেসবুকিং, চ্যাটিং ইত্যাদি নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেদেরকে যুক্ত করে ফেলেছি। তাই সোস্যাল মিডিয়া থেকে যতটা এড়িয়ে চলা যায় ততই ভালো। কারণ গান বাজনার এই ফিতনা নিয়ে ইমাম ইবনুল কায়্যিম (১২৯২-১৩৫০) বলেছিলেন- ‘গান বাজনার প্রতি ভালোবাসা এবং কুরআনের প্রতি ভালোবাসা কোনো ব্যক্তির অন্তরে একসাথে থাকতে পারে না। একটি অবশ্যই আরেকটিকে বের করে দিবে।’
১০. বিষয়গুলো লিখে ফেলো
যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চাও তা লিখে রাখার অভ্যাস করো। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ে। তাই লিখে রাখো ডায়রিতে, ই-মেইল বা ব্যক্তিগত ব্লগে। মনে রাখবে, দশবার পড়া একবার লেখার সমান। লেখার একটি বাড়তি সুবিধা হলো প্রতিটি কাজ তোমার অন্তরে ভিজুয়ালাইজ হবে।
১১. মানসিক চাপমুক্ত থাকো
মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করো। কেননা মানসিক চাপের দরুন ব্রেইনের নিউরন সেল তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা পরিচালনা করতে পারে না। মানসিক চাপের মধ্যে বিষণœতা মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। বিষণœতা তোমার রক্তে করটিসেলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। সুতরাং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে যতটা সম্ভব মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চেষ্টা করো।
১২. কল্পনা করতে শেখো
কল্পনা এবং মেমোরি একটি অপরটির সাথে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তোমার নিজের ভাবনাকে কাজে লাগানোই হচ্ছে কল্পনা। তোমাকে জীবনের একটি ঘটনার বর্ণনা করতে বলা হলে প্রথমে তুমি সেটা কল্পনা করবে তারপর বলবে। কল্পনা করতে পারলেই কেবল ভালো বর্ণনা করা সম্ভব। তাই নতুন কোনো কিছু পড়ার সময় বিষয়টিকে নিজের মতো করে কল্পনা করার চেষ্টা করো। কোনো বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন দিতে গেলেও ঐ বিষয়টি মনের মধ্যে এনে আগে কল্পনা করতে শিখো, দেখবে কিছুদিন পর সেগুলো পর্যায়ক্রমে স্মৃতিতে গেঁথে গিয়েছে।
কোনো কাজ করার আগে সেটা যদি একটি কল্পনার ফ্রেমে নিয়ে আসতে পারো তাহলে কাজটা বাস্তবে রূপ দেয়া সহজ হয়ে যায়। একজন চিত্রশিল্পী যখন কোনো ছবিকে রঙ তুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে আঁকেন তার আগে কিন্তু ঐ ছবিটা তার কল্পনায় নিয়ে আসতে হয়। কল্পনার ভাষাকে সে ফুটিয়ে তুলতে থাকেন তার বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলে। কেবল এভাবেই রূপ নেয় একেকটি কালজয়ী চিত্রকর্ম। আলবার্ট আইনস্টাইন এজন্যই জ্ঞানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কল্পনাকে। তিনি বলেছেন- ‘ওসধমরহধঃরড়হ রং সড়ৎব রসঢ়ড়ৎঃধহঃ ঃযধহ শহড়ষিবফমব’ অর্থাৎ জ্ঞানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কল্পনা করতে জানা। বিংশ শতাব্দীর এই সেরা মানুষটি কেন এই কথাটি বলেছিলেন জানো? কারণ, আইনস্টাইন যতটা না ল্যাবে কাজ করতেন তার চেয়ে বেশি মস্তিষ্ক খাটাতেন। আইনস্টাইনের মতো তোমাদেরও উচিত কোনো কাজ করার আগে কল্পনা করতে শেখা। চলো নিজেদেরকে পরিবর্তনে ভাগ্যকে দায়ী না করে প্রো-অ্যাকটিভ হই, কল্পনা করতে শিখি, আর দূর করি আমাদের মস্তিষ্কের দারিদ্র্য। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে। আল্লাহ হাফিজ।