Home কুরআন ও হাদিসের আলো কুরআনের আলো উজ্জ্বল মুখ

উজ্জ্বল মুখ

আজ আমরা জান্নাতের কোন্ গল্প শুনছি? মুহসিনা আপুর কাছে জানতে চাইল মুনীরা। আপু বললেন, দেখি কী নিয়ে বলা যায়। চলো, আয়েশা-মালিহার কাছে গিয়ে বসি। আয়েশা-মালিহা সাজু-গুজু নিয়ে ব্যস্ত! ভীষণ ব্যস্ত! আপু কাছে যেতেই সালাম দিলো। আর কিছুটা লজ্জাও পেল যেন। আপু মুনীরাকে বললেন- গল্পের বিষয় পেয়ে গেছি!
আজ আমরা কথা বলব জান্নাতিদের রূপ-লাবণ্য ও পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে!

আয়েশা বলল, আচ্ছা আপু জান্নাতে কি আমরা মেক-আপ করতে পারব? তার কথা শুনে হেসে উঠল সবাই।
আপু বললেন, বুড়ি শোনো! জান্নাতে তুমি এতটাই সুন্দর হবে- বাড়তি কোনো কিছুরই প্রয়োজন হবে না। আল্লাহ বলেছেন- ‘সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল!’ (সূরা আল-কিয়ামাহ : ২২)। এ উজ্জ্বলতা প্রতিদিন বাড়তেই থাকবে। জান্নাতে একটি বাজার আছে। প্রত্যেক জুমাবার জান্নাতিরা সেখানে মিলিত হবেন। তখন উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হলে তাদের চেহারা ও পোশাক সুরভিত হয়ে উঠবে। বৃদ্ধি পাবে রূপ-লাবণ্য!

মুনীরা, আয়েশা ও মালিহা একসাথে বলে উঠল- সুবহানাল্লাহ!
আপু বললেন- এবার জান্নাতিদের পোশাক ও সাজ-সজ্জার কথা শোনো! ‘সেখানে তাদের অলঙ্কৃত করা হবে সোনার কাঁকন ও মুক্তা দিয়ে। এবং তাদের পোশাক হবে রেশমের।’ (সূরা আল-হাজ্জ : ২৩)। জান্নাতিদের জন্য রূপার অলঙ্কারের কথাও বলা হয়েছে কুরআনে। তাদের রেশমি পোশাকের রঙ হবে সবুজ!
মালিহা বলল- আপু! সোনা-রূপা-মুক্তা তো মেয়েদের অলঙ্কার। ছেলেদের জন্য কী থাকবে?
আপু বললেন- চমৎকার প্রশ্ন করেছো! জান্নাতে ছেলেরাও এ ধরনের অলঙ্কার পরবে। মাথার মুকুট, হাতের কাঁকন হচ্ছে রাজকীয় ভূষণ! প্রাচীন রাজা-বাদশাহদের মধ্যে এসব পরার প্রচলন ছিল। আর জান্নাতে তো সবাই রাজা, তাই না? মুনীরা মালিহার হাতে চিমটি কেটে বলল, এবার বুঝতে পেরেছো, রানি? সবাই হেসে উঠল আবার।

আপু বললেন- আরেক দিন, অন্য বিষয়ে কথা হবে- ইনশাআল্লাহ!

– বিলাল হোসাইন নূরী

SHARE

Leave a Reply