ভিয়েতনাম ইন্দো-চীন উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। সরকারি নাম ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ভিয়েতনামের উত্তরে গণচীন, পশ্চিমে লাওস ও কম্বোডিয়া, দক্ষিণ ও পূর্বে-দক্ষিণ চীনসাগর অবস্থিত। হ্যানয় ভিয়েতনামের রাজধানী। হোচিমিন সিটি বৃহত্তম শহর।
ভিয়েতনাম ভৌগোলিকভাবে সরু ও লম্বা। এর ভূমিরূপ বিচিত্র। উত্তর প্রান্তে ও মধ্যভাগে ভিয়েতনাম পাহাড়-পর্বতময়। উত্তরের উচ্চ ভূমিগুলো ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে পূর্বদিকের প্রশস্ত, নদীবহুল উপকূলীয় সমভূমির সঙ্গে মিশে গেছে। সমভূমিগুলোতে নিবিড় কৃষিকাজ হয় এবং বহু শতাব্দী ধরে ভিয়েতনামিরা এগুলোতে অনেক বাঁধ তৈরি করে এবং খাল কেটে সেচকাজ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। মধ্য ভিয়েতনাম দেশের সবচেয়ে সরু অংশ; এখানে পর্বতগুলো সাগরপাড়ের অনেক কাছে অবস্থিত, এমনকি কোন কোন জায়গায় এগুলো সাগরের একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে। দক্ষিণ ভিয়েতনাম মূলত মেকং নদীর অববাহিকা দ্বারা গঠিত প্রশস্ত এবং এই সমভূমি উর্বর। এখানে প্রচুর কৃষিকাজ হয় এবং মূলত ধান উৎপাদন করা হয়।
ভিয়েতনামের মোট আয়তন ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৯০ বর্গ কিলোমিটার (১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮২ বর্গ মাইল)। জনসংখ্যা ৯ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার ৯৪৮ জন। জাতিগত গ্রুপের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামি ৮৫.৩২ শতাংশ। সংখ্যালঘু গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে তে, তাই, মুয়ং, হমং, খমার ওনাং। এই গ্রুপগুলোর কোনটিই ২ শতাংশের বেশি নয়। অন্যান্য ৫.৪১ শতাংশ।
ভিয়েতনামের বেশির ভাগ মানুষ নিজেদেরকে ধার্মিক দাবি করে না। এদেশের সবচেয়ে প্রাচীন তিনটি ধর্ম হলো মহায়ন বৌদ্ধধর্ম, কনফুসিয়াসবাদ এবং দাওবাদ। এগুলি ভিয়েতনামে ত্রিধর্ম তথা তামজিয়াও নামে পরিচিত। অধার্মিক ও ঐ তিনটি ধর্মের মোট অনুসারী ৮৬.৩২ শতাংশ। এ ছাড়াও এখানে রোমান ক্যাথলিক ধারার খ্রিষ্টধর্ম, কাও দাই, হোয়াও হো ধর্মের উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে। সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলোতে ভিয়েতনামে প্রোটেস্ট্যান্ট ধারার খ্রিষ্টধর্ম, ইসলাম, হিন্দুধর্ম এবং থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম প্রচলিত হয়েছে।
ভিয়েতনামি ভাষা ভিয়েতনামের সরকারি ভাষা। এছাড়াও ভিয়েতনামে আরও প্রায় ৭০টি ভাষা প্রচলিত আছে। এগুলোর মধ্যে তাই ভাষার বিভিন্ন উপভাষায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ কথা বলে। খমের ভাষা এবং মুওং ভাষায় আরও প্রায় ১০ লক্ষ করে লোক কথা বলে। চীনা ভাষার ইউয়ে উপভাষায় প্রায় ৫ লক্ষ লোক কথা বলে। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ফরাসি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
ভিয়েতনাম একটি কৃষিভিত্তিক সমাজ হিসেবে গড়ে ওঠে। এখনও এখানকার অধিকাংশ লোক গ্রামে বাস করে। ভিয়েতনামে ৫৩টি ভিন্ন জাতিগত ও ভাষাগত গোষ্ঠী বসবাস করে। তবে ভিয়েত বা ভিয়েতনামি জাতির লোকেরাই সর্বতোভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভিয়েতনামি জাতির লোকেরা আদিতে লোহিত নদীর উপত্যকায় বাস করত। নদীটি দক্ষিণ চীনে উৎপত্তি হলেও উত্তর ভিয়েতনামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে টোনকিন উপসাগরে পতিত হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে চীন অঞ্চলটি দখল করে। ৯৩৯ সালে ভিয়েতনামিরা স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তী ১০০০ বছর ধরে ভিয়েতনাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গতিশীল সভ্যতায় পরিণত হয় এবং উপকূল ধরে দক্ষিণ দিকে বিস্তার লাভ করতে থাকে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ফ্রান্স ভিয়েতনাম আক্রমণ করে। ফরাসিরা দেশটিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে এবং অঞ্চলগুলোকে কম্বোডিয়া ও লাওসের সাথে যুক্ত করে ইন্দোচীন ইউনিয়ন তথা ফরাসি ইন্দোচীন গঠন করে। ফরাসিরা নিজেদের সুবিধার জন্য ভিয়েতনামের সম্পদ আহরণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর (১৯৩৯-১৯৪৫), ভিয়েতনামে উপনিবেশবিরোধীরা সাম্যবাদী দলের নেতৃত্বে ফরাসি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ১৯৫৪ সালে দিয়েনবিয়েনফু-তে ভিয়েতনামি সেনারা ফরাসি সেনাদের যুদ্ধে পরাজিত করে। এরপর ভিয়েতনামকে সাময়িকভাবে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে ভাগ করা হয়। উত্তর ভিয়েতনামে একটি সাম্যবাদী সরকার এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামে সাম্যবাদ বিরোধীরা শাসন করা শুরু করে। পরবর্তী ২০ বছর ধরে উত্তর ভিয়েতনামের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম একত্রীকরণের একটি আন্দোলন শুরু হয় এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় তাকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। ১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সরিয়ে নেয় এবং দুই বছর পরে দক্ষিণ ভিয়েতনাম সাম্যবাদীদের করায়ত্তে আসে। ১৯৭৬ সালে দুই ভিয়েতনামকে একত্রিত করে একটি সাম্যবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার রাজধানী হয় হ্যানয়।
ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একটি একদলীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। দেশের সর্বশেষ সংবিধান ১৯৯২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রণীত হয়। ভিয়েতনামের সংবিধান অনুসারে কেবল একটিই রাজনৈতিক দল স্বীকৃত এবং বৈধ, যার নাম ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি। এদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট নগুয়েন ফুত্রং এবং প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন জুয়ানফাক। ভিয়েতনামের পার্লামেন্ট এককক্ষবিশিষ্ট, যার নাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলি বা জাতীয় পরিষদ। এর সদস্য সংখ্যা ৪৯৮ জন। ভিয়েতনামের প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ৫৮টি প্রদেশ এবং ৫টি পৌরশহর নিয়ে গঠিত। পৌরসভাগুলো হলো কান থাও, হাইফং, দা নাং, হ্যানয় এবং হোচিমিন শহর।
ভিয়েতনামের আকৃতি অনেকটা ইংরেজি এস অক্ষরের মত। এটি উত্তরে চীনের সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে থাইল্যান্ড উপসাগর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। দেশের সবচেয়ে সরু অংশ দা নাং বন্দর শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত; এখানে পূর্বের সাগর থেকে পশ্চিমের সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার।
ভিয়েতনাম চারটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উত্তরতম অঞ্চলটি মূলত ঘন অরণ্যাবৃত রুক্ষ পর্বতমালার এক জটপাকানো অঞ্চল; এটি গণচীনের ইউনান মালভূমি থেকে ভিয়েতনামে প্রসারিত হয়েছে। ভিয়েতনামে এই পর্বতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চটির নাম ফানসিপান; ৩,১৪৩ মিটার উচ্চতার ফানসিপান ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ স্থান।
উত্তরের পার্বত্য উচ্চভূমির পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে লোহিত নদীর অববাহিকা; এটি মূলত একটি ত্রিভুজাকৃতির পলিময় সমভূমি যা দক্ষিণ চীনসাগরের একটি বাহুটংকিন উপসাগরের তীরে অবস্থিত।
লোহিত নদীর ব-দ্বীপের দক্ষিণেই রয়েছে ট্রুওং সন উচ্চভূমি, যা ভিয়েতনামের ঊর্ধ্ব-মধ্যভাগ বা মেরুদণ্ড গঠন করেছে। একই এলাকায় আরও আছে কেন্দ্রীয় উচ্চভূমি, যা মূলত কম্বোডিয়া সীমান্ত এবং দক্ষিণ চীনসাগরের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি বিশাল মালভূমি।
ভিয়েতনামের চতুর্থ এবং দক্ষিণতম অঞ্চলটি হলো মেকং নদীর ব-দ্বীপ। জলাময় ও উর্বর এই সমতল ভূমিটি কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির দক্ষিণ প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণের কামাউ উপদ্বীপের ম্যানগ্রোভ জলাভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভিয়েতনামের দুইটি প্রধান নদী হলো উত্তরের লোহিত নদী এবং দক্ষিণের মেকং নদী। দুইটি নদীই সম্পূর্ণ নাব্য। লোহিত নদী দক্ষিণ চীন থেকে উৎপত্তি হয়ে দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে ভিয়েতনামের উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য উচ্চভূমিতে প্রবেশ করে সাগরে পতিত হয়েছে। অন্য দিকে মেকং নদী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি অনিয়মিত গতিপথে প্রবাহিত হয়ে ভিয়েতনামে প্রবেশ করে দক্ষিণ চীনসাগরে পড়েছে।
অতীতে মেকং ব-দ্বীপ অববাহিকায় চাষাবাদ বেশ কষ্টসাধ্য ছিল, কেননা দক্ষিণ চীনসাগরের লবণাক্ত পানি প্রায়ই নিম্নভূমিগুলোকে প্লাবিত করত। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে ফরাসিরা বিংশ শতাব্দীতে এখানে বাঁধ নির্মাণ করে। বর্তমানে বাঁধ ও খালের এক জটিল ব্যবস্থার মাধ্যমে মেকং ও লোহিত নদীর ব-দ্বীপগুলোতে প্লাবন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ভিয়েতনামের অন্যান্য প্রধান নদীর মধ্যে হুয়ে শহরের পাশ দিয়ে বয়েযা ওয়াহু ওং নদী এবং ভিনহ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালং ওং নদী উল্লেখযোগ্য।
ভিয়েতনামের সমুদ্রতট রেখা উত্তরে চীন সীমান্ত থেকে দক্ষিণে থাইল্যান্ড উপসাগরে কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত পর্যন্ত ৩,৪৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে কিছু এলাকায়, যেমন কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির পূর্বে এবং লোহিত নদীর ব-দ্বীপের উত্তরে পর্বতমালা সাগরের একেবারে তীর ঘেঁষে উঠে গেছে। এর ফলে জাহাজ পরিবহনের জন্য অনুকূল বেশ কিছু সুরক্ষিত প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় সৃষ্টি হয়েছে; এগুলোর মধ্যে দা নাং, কুই ন্হোন এবং ন্হাট্রাং বন্দর শহরগুলো উল্লেখযোগ্য। পর্বতগুলো উপকূল এলাকায় সুন্দর পটভূমির সৃষ্টি করেছে এবং এ কারণে দা নাং ও ন্হাট্রাং ভিয়েতনামের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম। বাকি তটভূমিগুলো মূলত নদীর বয়ে নিয়ে আসা পলি নিয়ে গঠিত সমতল, ত্রিভুজাকৃতির ব-দ্বীপ।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র। মধ্য ও দক্ষিণ ভিয়েতনামে ঋতুভেদে আবহাওয়ার পরিবর্তন সামান্য এবং এখানে মূলত শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই ধরনের ঋতু বিদ্যমান। মেকং অববাহিকায় জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ১৭-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং জুলাই মাসে ২২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। মধ্যভাগের উপকূলে তাপমাত্রা জানুয়ারিতে ১৮-২৮ ডিগ্রি এবং জুলাইয়ে ২৪-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের সমভূমিতে ঋতুভেদে আবহাওয়ার পার্থক্য অনেক বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে; এখানে জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি বা তার নিচে থাকে এবং জুলাইয়ে তাপমাত্রা ২৫-ঊর্ধ্ব ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।
সারা ভিয়েতনামেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। দক্ষিণ ও মধ্য ভিয়েতনামে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়। মেকং অববাহিকায় মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাত হয়। মধ্য ভিয়েতনামে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। উত্তর ভিয়েতনামেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মধ্যভাগের উপকূলে মাঝে মাঝে টাইফুন আঘাত হানে।
চীনা ও ভিয়েতনামি রাজতন্ত্রের সময় ভিয়েতনামের সমাজ ছিল কৃষিভিত্তিক। ধান ছিল এর প্রধান কৃষিপণ্য। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় কৃষির আধিপত্য বজায় থাকলেও সাধারণ চাষাবাদের চেয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানির ওপর জোর দেয়া হয়। ফলে ধানের পাশাপাশি কফি, চা, রবার এবং অন্যান্য ক্রান্তীয় শস্য উৎপাদন শুরু হয়। ভিয়েতনামের মুদ্রার নাম ডং (ভিএনডি)।
ভাত ভিয়েতনামিদের প্রধান খাদ্য। ভাতের সাথে এক ধরনের মাছের গাঁজানো সুরুয়া, যার নাম নুমক, ব্যবহার করা হয়। একই সুরুয়াতে অন্যান্য বিশেষ খাবার ডুবিয়ে খাওয়া হয়। আঞ্চলিক খাবার দাবারও সুপ্রচলিত। ভিয়েতনামিরা সুপজাতীয় খাবার খেতে চামচ ব্যবহার করে এবং অন্যান্য খাবারের জন্য চপস্টিক্স ব্যবহার করে।
ভিয়েতনামিরা ভলিবল, ফুটবল, ইত্যাদি দলগত খেলা পছন্দ করে। ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, সাঁতার এবং টেনিসও জনপ্রিয় খেলা। এদেশে মার্শাল আর্টও ব্যাপকভাবে চর্চা করা হয়।