সে অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিলো এক জাদুকর মহিলা। দেখতে এতই বিশ্রী ছিলো যে, মুখ দেখেই বুকে কাঁপন ধরে যেত। ‘পোড়া মুখ’ বলে প্রবাদটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি ছিলো তার বেলায়। কবে যেন কোন দৈত্যের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মুখখানা পুড়িয়ে আসে সে। জটবাঁধা চুল পুড়ে আরো জট লেগে যায়। চোখের পাপড়ি, কপালের ভ্রু পর্যন্ত ঝলসে যায় দৈত্যের মুখ থেকে বেরুনো আগুনের গোলার আঘাতে।
তাই বলে ভেবো না, মহিলার শক্তি কম ছিলো। বরং দৈত্যের চেয়ে ঢের বেশি শক্তি এই বিদঘুটে চেহারার মহিলার। লড়াইয়ে কম যায়নি সেও। দৈত্যের এক হাত ভেঙে, এক পা খোঁড়া করে তবেই ছেড়েছে দৈত্যকে।
ভয়ঙ্কর এই জাদুকর মহিলার একমাত্র মেয়ে শবনম। ভারী সুন্দর নাম তাই না? কিন্তু মেয়েটি মোটেও সুন্দর ছিল না। মায়ের মতই বিদঘুটে চেহারা আর জটপাকানো চুল নিয়ে জন্মেছে। গায়ের রং দেখলে মনে হয় কে যেন আলকাতরা ঢেলে দিয়েছে শরীরে। ঘৃণায় রি রি করে উঠবে তুমিও।
শবনম সবসময় চাইতো কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়?
সারাক্ষণ মেকাপবক্স আর আয়না নিয়েই তার কাজ। সাজে আর আয়না দেখে। আয়না দেখে আর সাজে। কিন্তু সুন্দর আর হতে পারে না।
দিন যতই যাচ্ছে, নিজের বিদঘুটে চেহারা আর আলকাতরা মাখা শরীরের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে শবনম। সারাক্ষণ এক অজানা অস্থিরতায় ছটফট করে দিন কাটে। রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করে ঠিকই কিন্তু পোড়া চোখে ঘুম নামে না। চোখ বন্ধ করলেই নিজের বিদঘুটে চেহারা ভেসে ওঠে মনে। তখন যে কী পাগলামি করে মেয়েটি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করবে না তুমি। কতদিন যে জটপাকানো চুল আরো জটপাকিয়ে, কালো চেহারায় নখের আঁচড় বসিয়ে আরো লালচে কালো করে আরো ভয়ঙ্কর করে ফেলেছে তার হিসাব আমি দিতে পারব না।
অন্য দিনের মত আজো মেকাপবক্স নিয়ে আয়নার সামনে বসে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলো শবনম। শবনমের মা বলল, ‘সোনা মা! আজ ভূতরাজ্যে মিটিং ডেকেছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে।
‘যাও না। তোমাকে নিষেধ করল কে আম্মু!’
আচ্ছা শেনো! চুলোয় পানি গরম বসিয়েছি। পানি ফুটলে সেদিন ধরে আনা মানুষের বাচ্চাগুলো থেকে একটা বাচ্চা ছেড়ে দিও। খুব মজা করে খাবো দু’জনে।
‘ঠিক আছে মাম্মী।’
ইয়া বড় ডেকচিতে পানি গরম হচ্ছে। বড় চামচ হাতে শবনম পানি নাড়ছে। পাশেই একটি বক্সে সাত সাতটা মানুষের বাচ্চা ঝিমুচ্ছে। পানি ফুটা মাত্রই এখান থেকে একটি বাচ্চা ধরে ফ্রাই করা হবে। শবনম ও তার মায়ের প্রিয় খাবার ম্যান ফ্রাই। প্রথমে মানুষটাকে সেদ্ধ করে নেয়। তারপর মশলাপাতি মিশিয়ে তেলে ছেড়ে দেয়। কী যে স্বাদের খাবার! ওই একটা সময়ই শবনম ভুলে যায় বিশ্রী চেহারার কথা। হাম হাম করে খেয়ে প্লেট কড়াই চেটেপুটে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। তারপর লম্বা একটা ঘুম দেয়। ঘুম থেকে ওঠে আবার আয়নার সামনে দাঁড়ায়। চলতে থাকে সুন্দর হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা।
শবনম পানি নাড়ছে। এমন সময় ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। শবনমের মাথার ওপর দিয়ে একটি অনিন্দ্য সুন্দর পরী উড়ে যাচ্ছে। পরীকে দেখে শবনমের চোখ কপালে ওঠে যায়। পরী তো নয় যেন স্বর্গের অপ্সরী। এত সুন্দর পরী বা মানুষ এর আগে কখনো দেখেনি শবনম। ঠিক এমনটিই তো হতে চায় সে।
ছোট্ট শবনম দৌড়ে মায়ের ঘরে চলে যায়। বুকশেল্ফ থেকে জাদুবিদ্যার যত বই আছে সব তন্ন তন্ন করে ঘেঁটে দেখে। প্রতিটি বইয়ে চোখ বুলিয়ে যায় এক নজর। কোথাও অনিন্দ্য সুন্দর হওয়ার রহস্য পেয়ে যেতে পারে হয়ত। কিন্তু না। আশায় গুড়ে বালি পড়ল তার। সুন্দর হওয়ার কোনো ফর্মুলাই পেল না সে।
২.
শবনমের পছন্দের খাবার রান্না হচ্ছে। তবুও ভয়াবহ রকম মন খারাপ করে বসে আছে সে। বারবার শুধু উড়ে যাওয়া পরীর ছবিটিই মনে ভেসে উঠছে তার। আর ভাবছে, কিভাবে আমি এরকম সুন্দর হতে পারব…!
একে তো মন খারাপ, তারওপর মেজাজ চড়ে আছে। এর মধ্যেই একটি বিড়াল শবনমের পায়ের কাছে এসে চুপটি করে বসল। কখনো পা ঘষে আবার কখনো মুখ ঘষে শবনমকে আদর করতে লাগল।
এটি ছিলো শবনমের আম্মুর বিড়াল। শবনম বিড়ালটিকে একদমই সহ্য করতে পারত না। সে বিড়ালটিকে বারবার তাড়িয়ে দেয়। বিড়ালটি আবার আসে। পায়ের কাছে বসে শবনমকে আদর করে।
এবার আর ধৈর্য রাখতে পারেনি শবনম। বিড়ালটির লেজ ধরে শূন্যে ঘুরাতে থাকে অনেকক্ষণ। তারপর প্রচণ্ড জোরে ছুড়ে মারে। এত জোরে ছুড়ে মারে যে, বিড়ালটি একদিকে পড়ে আর লেজ পড়ে আরেক দিকে।
মিয়াও! মিয়াও! বলে কাঁদতে কাঁদতে লেজহীন বিড়ালটি চলে যায়।
শবনম ফিরেও তাকায় না।
বিড়ালের লেজ খসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটল এক আশ্চর্য কাণ্ড। শবনমের পেছনে গজিয়ে যায় ইয়া বড় একটি লেজ। প্রচণ্ড রেগে থাকার কারণে গজানো লেজ সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারেনি শবনম।
এবার একটি কাক শবনমকে জ্বালাতন করতে শুরু করে। আসলে জ্বালাতন করার কোন ইচ্ছেই ছিলো না কাকটির। কাকটি ছিলো শবনমদের পোষা কাক। শবনমের পেছনে ইয়া বড় লেজ দেখে কাকটা খুব ঘাবড়ে যায়। সে ভাবে এটা বোধ হয় কোন সাপ হবে। শবনমকে কামড়াতে এসেছে। কাকটি লেজকে সাপ ভেবে ঠুকরে ঠুকরে তাড়িয়ে দিতে চাইছে।
এ দিকে শবনমের অবস্থা তো বুঝতেই পারছ। বেচারি এমনিতেই রেগে মেগে আগুন হয়ে আছে। এর ওপর যদি পেছন থেকে কেউ দড়ি লাগিয়ে টানাটানি করে তাহলে কেমন লাগবে বলো তো? কিন্তু শবনমের পেছনে যে ইয়া বড় লেজ গজিয়েছে বোকা মেয়েটি তখনো বুঝতে পারেনি। বুঝবে কিভাবে? রাগের মাথায় কী কারো কোনো হুঁশ থাকে বলো?
পেছনে ঘুরে হাতের চামচ দিয়ে খুব জোরে কাকের মাথায় আঘাত করল শবনম। বেচারি কাক উপকার করতে এসে যেন বলির পাঁঠা হলো। চামচের গায়ে লেগে থাকা গরম পানি পড়ে চামড়া ঝলসে গেছে কাকের। পশম উপড়ে গেছে শরীর থেকে। কা কা কা কা বলতে বলতে চলে গেল কাকটি। এদিকে রাগি শবনমের বারোটা বেজে তেরোটা হয়ে গেছে। সুন্দর হওয়ার চিন্তায় সারাক্ষণ ডুবে থাকা মেয়েটির গা ভর্তি লোম গজিয়ে উঠেছে। কী যে বিশ্রী দেখাচ্ছিলো বলে বোঝাতে পারব না তোমাদের। কিন্তু তখনো শবনম বুঝে উঠতে পারেনি ঠিক কী হচ্ছে তার সঙ্গে।
এমন সময় শবনমদের ছাগলটি এসে শবনমের শরীর জিহবা দিয়ে চাটতে শুরু করল। ছাগল বোঝাতে চাচ্ছে, ও শবনম! আমার খুব মাম খেতে ইচ্ছে করছে। আমায় একটু মাম দেবে? নিরীহ ছাগলটিই রাগি শবনমের পরবর্তী শিকার হলো। পানির বদলে পেল কষে এক লাথি। লাথি খেয়ে গড়াতে গড়াতে পড়ল অনেক দূরে গিয়ে। ভয়ে আর ব্যথায় ছাগলটির মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। আর শবনমের মুখে গজিয়ে উঠেছে ছাগলের মত দাড়ি। মাথার সব চুল কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। সেখানে এখন খড়ের বোঝা দেখা যাচ্ছে। মুখে দাড়ি আর মাথায় খড়ের মত চুল ওঠায় শবনমকে একদম জোকার জোকার লাগছিল।
শবনমের মাথায় খড় দেখে গরু মামা তো বেজায় খুশি। আয়েশ করে খড় খাওয়া যাবে- এই ভেবে আনন্দে লাফাতে লাফাতে গরু আসছে শবনমের দিকে। শবনম ভাবছে, গরুটা আবার এদিকে কেন আসছে? নিশ্চয় তাকে বিরক্ত করতে।
গরুটাকে কোনোভাবেই কাছে ঘেঁষতে দেওয়া যাবে না। যেই ভাবা সেই কাজ। চুলোর ভেতর থেকে একটি পোড়া কাঠ নিয়ে ছুড়ে মারল গরুর দিকে। কাঠ গিয়ে লাগল গরুর শিং বরাবর। গরু মামাতো ভয়ে পড়িমড়ি করে কোনরকম ছুটে বাঁচল।
কিন্তু শিং দুটো আর আস্ত রইল না। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। শিং গেছে তো কী হয়েছে, বেঁচে তো ফিরেছি- স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল গরু মামা।
এ দিকে গরু মামার শিং ভেঙেছে। আর ওদিকে শিং গজিয়েছে রাগি শবনমের মাথায়।
শবনমের বিশ্রী হওয়ার ষোলকলা পূর্ণ করল পোষা কুকুর এসে। কিম্ভূতকিমাকার শবনমকে দেখে কুকুর ভাবল, এই অদ্ভুত প্রাণীটা আবার কে? ঘেউ ঘেউ করে ঘুরতে লাগলো শবনমের চারপাশে। শবনম তো রাগে ক্ষোভে যেন ফেটে পড়তে চাইছে। বড় ঢাকনাটি একহাতে তুলে আরেক হাতে কুকুরের মাথা শক্ত করে ধরে দ্রিম দ্রিম মারতে শুরু করল। মার খেয়ে বেচারা কুকুরের গেল দাঁত ভেঙে।
সঙ্গে সঙ্গে শবনমেরও দাঁতগুলো গেলো পড়ে।
৩.
পুরো ব্যাপারটা দূর থেকে দেখছিলো শবনমের পোষা টিয়া পাখি। শবনমের এই শোচনীয় অবস্থা দেখে আর চুপ থাকতে পারেনি সে। টিয়া জানত, এখন কিছু বললেই অন্য সবার মত তারও বারোটা বেজে যাবে। তাই একটু কৌশলে শবনমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সে। হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলো।
এবার শবনম নিজেই টিয়া পাখির কাছে এসে বলল, কী হয়েছে তোর? এভাবে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছিস কেনো? পাখিটি আরো জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে বলল, ও শবনম! প্রিয় শবনম আমার! তোমাকে এবার সত্যি সত্যি খুব বিশ্রী দেখাচ্ছে। প্লিজ! একবার আয়নায় নিজেকে দেখো!
এতক্ষণ পর্যন্ত যা ঘটল, শবনম কিছুই বুঝতে পারেনি। আয়নায় নিজেকে দেখার পর তো ভয়ে চমকে ওঠে সে। নিজেকে দেখে নিজেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা। ‘ওহ নো’ বলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ল শবনম।
একটু পর সে শুনতে পায় আকাশ পথে কে যেন উড়ে যাচ্ছে। সেই পরীটি নয়ত? দৌড়ে বাইরে আসে। হ্যাঁ! ওই পরীটিই। যার মত সুন্দর হতে চেয়ে এখন এই দশা হয়েছে তার। এবার আর শবনম নিজেকে মানাতে পারেনি। পরীটির দিকে হাত পা ছুড়ে পাগলের মত বকতে শুরু করে। চিৎকার করে বলতে থাকে, তোমার জন্য! তোমার জন্যই আজ আমার এ দশা হয়েছে। তুমি কেনো আমাকে দেখা দিলে? আমি তোমার মত সুন্দর হতে চেয়েছিলাম। এখন আমার এই পরিস্থিতির দায়ভার তোমাকেই নিতে হবে। তুমি অবশ্যই আমাকে বলবে সুন্দর হওয়ার গোপন রহস্য কী…?
শান্ত মাথায় শবনমের সব অভিযোগ শুনল পরীটি। এসবের একটিও যে সঠিক এবং যৌক্তিক নয় পরীটি জানে। তারপরও সে শবনমের এই শোচনীয় অবস্থা দেখে খুব আফসোস করল। খুব মায়া হলো বোকা শবনমের জন্য। মিষ্টি করে বলল, প্রিয় বন্ধু আমার! তুমি কি সত্যি সুন্দর হতে চাও? ঠিক আমার মতোই?
অবশ্যই চাই। বলল শবনম।
তাহলে মন দিয়ে শোনো, সুন্দর হওয়ার গোপন রহস্য। তুমি যদি অন্যকে ভালোবাসো, হৃদয় উজাড় করে তাদের সেবা করো, সুন্দর আর ভালো ভালো কাজ করো- তাহলেই তুমি সুন্দর হয়ে উঠবে। একটু আগেই কতগুলো দুর্বল প্রাণীর সঙ্গে তুমি খুব খারাপ ব্যবহার করছিলে। কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল তুমি নিজেই দেখতে পাচ্ছো। এখনো তোমার চোখে-মুখে-শরীরে তার ফল জ্বল জ্বল করছে। কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে আসলে নিজেকেই অসুন্দর আর বিশ্রী করা হয়। আমরা অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারি না। তোমাকে অবশ্যই অন্যদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে যদি তুমি নিজেকে সুন্দর দেখাতে চাও।
খুব মনোযোগের সঙ্গে কথাগুলো শুনল শবনম। চোখে-মুখে এক ধরনের অনুতপ্তের ছাপ ফুটে উঠেছে। ব্যাকুল সুরে সে জিজ্ঞস করল, তাহলে এখন আমি কী করব বন্ধু?
একটু আগে তুমি যাদের কষ্ট দিয়েছো তাদের কাছে ফিরে যাও। মন থেকে তাদেরকে স্যরি বলো। সেবা করে তাদের দুঃখ ভুলিয়ে দাও। তাদের সঙ্গে মিষ্টি স্বরে কথা বলো। তাহলে দেখবে তোমার এই কর্কশ ভয়েস খুব মিষ্টি হয়ে গেছে। শুনতে বেশ লাগছে।
শবনম এক মুহূর্তও দেরি করে না। ছুটে যায় বিড়াল কাক ছাগল গরু আর কুকুরের কাছে। সবাইকে কাছে বসিয়ে নিজ হাতে তাদের ক্ষতে ওষুধ লাগিয়ে দেয়। এত নির্দয়ভাবে আঘাত করার জন্য বারবার স্যরি বলে ওদেরকে। শবনমের আন্তরিক ব্যবহার আর মিষ্টি কথা শুনে সবার মন আনন্দে ভরে ওঠে। সবার মুখে সুখের হাসি ফোটে।
শবনম যখন ওদের সেবা করছিলো, তখন আস্তে আস্তে সে সুন্দর হতে শুরু করে। মাথার শিং পড়ে যায়। খড়ের মত চুলের জায়গায় গজিয়ে ওঠে দীঘল কালো চুল। দাড়ি পড়ে গিয়ে মুখ হয়ে ওঠে আরো সুন্দর। আরো চমৎকার। শরীর থেকে ঝরে পড়ে বিদঘুটে লোমগুলো। সবকিছু মিলিয়ে শবনম হয়ে ওঠে সত্যিকারের পরী। পরীদের মতই পেছনে দুটি ডানা গজায় শবনমের। এতদিনে শবনম সত্যিকারের সুন্দর হতে পেরেছে। পেরেছে আসল পরী হতে।
তারপর থেকে সে আর কখনো কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে না। কাউকে কষ্ট দেয় না। হ
জোনাকি সোরিয়ারাচ্চি। শ্রীলংকার জনপ্রিয় এই শিশুসাহিত্যিক মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে লেখালেখি শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম বই ‘অ্যা ব্যালেড’ প্রকাশ হয়। এখন পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২ শ’ ছাড়িয়েছে। বাঙ্কা অ্যাওয়ার্ড ২০০৫ (জাপান), স্ট্যাট লিটারেরি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ (সিংহলি) এবং স্ট্যাট লিটারেরি অ্যাওয়ার্ড ২০০৭ (ইংরেজি) ছাড়াও লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ আরো অনেক পুরস্কার তিনি অর্জন করেন। ‘দ্য ওয়েচ ডটার’ বা ‘জাদুকরকন্যা’ তার অন্যতম সেরা গল্প।