Home স্বপ্নমুখর জীবন যত বড় ঝুঁকি তত বড় সাফল্য -আমিনুল ইসলাম ফারুক

যত বড় ঝুঁকি তত বড় সাফল্য -আমিনুল ইসলাম ফারুক

(পার্ট-০২)

খুব কম লোক সাহসী হয়ে জন্মান। নতুন কোন কাজে ঝুঁকি নেয়ার মতো মনোবল এবং সাহস খুব কম লোকেরই থাকে। এমন কিছু মনীষীর আগমন পৃথিবীতে ঘটেছিল, জীবন নিয়ে যাদের ঝুঁকি এবং সাহসিকতাপূর্ণ কাজ গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তেমনি এক বীর পুরুষ ক্রিস্টোফার কলম্বাস (১৪৫১-১৫০৬)। তাঁর চ্যালেঞ্জিং জীবনের কিছু কথা বলছি-
ছোটোবেলা থেকে কলম্বাসের সমুদ্র অভিযানের তীব্র আকাক্সক্ষা ছিল। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মানসে দিনের বেশির ভাগ সময় তাঁর লাইব্রেরিতে কাটতো দেশ-বিদেশের নানান ভ্রমণ কাহিনী পড়ে। যৌবনের প্রায় পুরো সময়টা তাঁর কেটেছে সমুদ্র অভিযানের সব রোমাঞ্চকর কাহিনী পড়ে। এই সময়ে একদিন তাঁর হাতে এলো মার্কো পোলোর লেখা চীন ভ্রমণের ইতিবৃত্ত। বইটি পড়তে পড়তে মনের মধ্যে প্রাচ্য দেশে যাবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন কলম্বাস। এর পেছনে কাজ করছিল মূলত দুটি শক্তি। প্রথমত, রোমাঞ্চকর অভিযানের দুরন্ত আকাক্সক্ষা; দ্বিতীয়ত স্বর্ণতৃষ্ণা। তখন মানুষের ধারণা ছিল প্রাচ্য দেশের পথেঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অফুরন্ত হীরে জহরৎ, সোনা-রূপা, মণি-মুক্তা। সে দেশের মানুষের কাছে তার কোনো মূল্যই নেই। ইচ্ছে করলেই তা জাহাজ বোঝাই করে আনা যায়।
কলম্বাস তাঁর সমুদ্র অভিযানের প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করলেন কিন্তু বিপত্তি বাধলো অন্য জায়গায়। তাঁর ইচ্ছের কথা শুনে প্রায় সকলেই এই অভিযান অবাস্তব এবং অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিলেন। তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা পর্যন্ত উপহাস করল। তাঁর কোনো কোনো বন্ধু তাঁকে ব্যঙ্গ বিদ্রƒপ না করে ছাড়ল না। একটি মানুষও এগিয়ে এলো না তাঁর সাহায্যে। কলম্বাসের অনুরোধে স্পেনের রানী ইসাবেলা সহৃদয় বিবেচনার আশ্বাস দিলেও সম্রাট ফার্দিনান্দ কলম্বাসের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।
ইতোমধ্যে তাঁর জীবনসঙ্গিনী ফেলিপা দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর বিনা চিকিৎসায় মারা যান। কলম্বাসের জীবনের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেল। পরিবারের মায়া ত্যাগ করে এবার নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর আকাশকুসুম অভিযান বাস্তবায়নের জন্য। দেশের প্রায় প্রতিটি ধনী মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ান আর বলতে লাগলেন, জাহাজ চাই; নাবিক চাই; অর্থ চাই। কলম্বাসের দাবি ছিল, যে দেশ তিনি আবিষ্কার করবেন তাঁকে সেই দেশের ভাইসরয় করতে হবে এবং রাজস্বের একটি বড় অংশ তাঁকে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে দুয়েকজন সম্মতি দিলেও কলম্বাসের দাবির কথা শুনে প্রায় সকলেই তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু কলম্বাস হাল ছাড়লেন না। হঠাৎ এরই মধ্যে একদিন কলম্বাসের সাথে পরিচয় হলো ফাদার পিরেজ-এর। ফাদার পিরেজ ছিলেন রাজ পরিবারের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং রানী ইসাবেলা তাঁকে বেশ সম্মান করতেন। কলম্বাসের ইচ্ছের কথা ফাদার পিরেজ রানী ইসাবেলার কাছে বললে ফাদারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না রানী ইসাবেলা। নতুন দেশ আবিষ্কারের সাথে সাথে বহু মানুষকে খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার পুণ্য অর্জন করা যাবে। ফাদার পিরেজ ছাড়া আরও কয়েকজন সুহৃদ ব্যক্তি কলম্বাসের সমর্থনে এগিয়ে এলেন। শর্তসাপেক্ষ কলম্বাসের সব অনুরোধ মেনে নিলেন সম্রাট।
১৪৯২ সালের ১৭-ই এপ্রিল তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কলম্বাস যে দেশ আবিষ্কার করবেন সে দেশের শাসনভার দেওয়া হবে তাঁকে। তার সাথে সেই দেশ থেকে অর্জিত সম্পদের এক-দশমাংশ অর্থ দেওয়া হবে তাঁকে। সম্রাটের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়ে তিন তিনটি বিশাল জাহাজ নির্মাণ করলেন কলম্বাস। সবচেয়ে বড় ১০০ টন ওজনের ‘সান্তামারিয়া’, ‘পিন্টা’ ৫০ টন এবং ‘নিনা’ ৪০ টন। ৮৭ জন নাবিক নিয়ে হতাশার অবসান ঘটিয়ে ৩ আগস্ট ১৪৯২-এ কলম্বাস পাড়ি জমালেন এক নিরুদ্দেশ যাত্রায়। সেদিন বন্দরে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রায় সবাই ভেবেছিল- একজনও আর সেই অজানা দেশ থেকে ফিরে আসবে না। অথৈ সমুদ্রে ভেসে চললেন কলম্বাস। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অতিক্রান্ত হয় কিন্তু কোথাও কোনো স্থলের চিহ্নমাত্র নেই। অধৈর্য হয়ে ওঠেন নাবিকেরা। নাবিকেরা সবাই একত্রিত হয়ে কলম্বাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন- জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
কলম্বাসের চোখে পড়ল ভাঙা গাছের ডাল। সবুজ পাতা। অনুমান করতে আর কষ্ট হলো না, তারা কোনো স্থলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছেন। নাবিকদের কাছে শুধু একটি দিনের প্রার্থনা করেন কলম্বাস। দিনটি ছিল ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর। একজন নাবিক, নাম রডরিগো প্রথম দেখলেন স্থলের চিহ্ন। আনন্দ আর উল্লাসে মেতে উঠলেন সকলে। তারা যে দ্বীপটিতে প্রথমে পা রাখেন তার নাম ছিল বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। পরবর্তীকালে তিনি সেই দ্বীপের নাম রাখেন ‘সান সালভাদর’ যার বর্তমান নাম ওয়েস্টলিং আইল্যান্ড। এই দিনটি আজো উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় কলম্বাস দিবস হিসেবে অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করা হয়।
কলম্বাসের সমুদ্র অভিযানের এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না, ছিল দুর্গম ও কণ্টকাকীর্ণ। তাঁর সমুদ্র যাত্রার এই ঝুঁকিও কোনো সাধারণ ঝুঁকি নয়। কিন্তু কলম্বাস সমুদ্র জয় করবেন এটা ছিল তাঁর সারা জীবনের স্বপ্ন। কলম্বাস সে স্বপ্নের কথা তাঁর জবানীতে এভাবে বলেছেন- ‘এড়ধষং ধৎব ংরসঢ়ষু ঃড়ড়ষং ঃড় ভড়পঁং ুড়ঁৎ বহবৎমু রহ ঢ়ড়ংরঃরাব ফরৎবপঃরড়হং, ঃযবংব পধহ নব পযধহমবফ ধং ুড়ঁৎ ঢ়ৎরড়ৎরঃরবং পযধহমব হবি ড়হব ধফফবফ ধহফ ড়ঃযবৎং ফৎড়ঢ়ঢ়বফ.’
সমুদ্র অভিযান নিয়ে তিনি আরও একটি অসাধারণ কথা বলেন- ‘ঞযব ংবধ রিষষ মৎধহঃ বধপয সধহ হবি যড়ঢ়ব, ধহফ ংষববঢ় রিষষ নৎরহম ফৎবধসং ড়ভ যড়সব.’
মনে রাখবে, জীবনের গতিপথে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। যেগুলো অতিক্রম করে সামনের দিকে এগোতে হয়। ঝুঁকি নেয়াটা না যত বড় বিপদ, তারচেয়েও বড় বিপদ ঝুঁকি না নিয়ে বেঁচে থাকা। যে মানুষ জীবনে ঝুঁকি নেয় না বলা চলে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। সে নিজে কিছু শেখে না অন্যকেও শেখাতে পারে না। নিজে পরিবর্তন হয় না এবং অন্যকেও পরিবর্তন করতে পারে না। সে কাউকে ভালোবাসতে পারে না এবং কারো ভালোবাসা পায় না। সর্বোপরি শেষ পর্যন্ত সে আর বাঁচে না। বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা ও মানবতাবাদী নেতা মুহাম্মদ আলী ক্লে বলেছেন- ‘ঐব যিড় রং হড়ঃ পড়ঁৎধমব বহড়ঁময ঃড় ঃধশব ৎরংশং রিষষ ধপপড়সঢ়ষরংয.’
ঐতিহাসিক ইবনে খালদুন একটি দারুণ কথা বলেছেন- ‘খরভব রং ধষষ ধনড়ঁঃ ঃধশরহম ৎরংশং, রভ ুড়ঁ হবাবৎ ঃধশব ধ ৎরংশ ুড়ঁ রিষষ হবাবৎ ধপযরবাব ুড়ঁৎ ফৎবধসং.’
সবচেয়ে মজার কথাটি বলেছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত লেখক পাওলো কোহেলহো- ‘ইব নৎধাব ঃধশব ৎরংশং. ঘড়ঃযরহম পধহ ংঁনংঃরঃঁঃব বীঢ়বৎরবহপব.’
এই চারটি ঝুঁকি জীবনে
সবারই নেয়া উচিত

এক. ভয় মোকাবেলার ঝুঁকি
যে বিষয় তোমার অত্যন্ত ভয় কাজ করে তেমন একটি ভয়কে আজই মোকাবেলা করা শুরু করো। এটি তোমাকে নিজের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করবে।
যেমন, ধরো তুমি গণিতে দুর্বল, গণিত বই দেখলেই ভয়ে কুঁকড়ে যাও, তো আজই গণিত প্র্যাকটিস শুরু করো। প্রয়োজনে একজন শিক্ষকের সাহায্য নাও। সেটা সম্ভব না হলে ইউটিউব এর সাহায্য নাও। এভাবে তিন মাস চালিয়ে যাও। দেখবে নিজের ভয় তো দূর হবেই এবং তুমি গণিত করতে বেশ আনন্দ পাচ্ছো।

দুই. ব্যতিক্রম কিছু করো
যে কাজটি কেউ করেনি এবং যা অন্যের কাছে হাস্যকর হতে পারে তুমি সেটাই করো। অন্যেরা যে কাজকে ভয় করে, অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেয় তুমি তেমনই একটি কাজে এগিয়ে যাও। এ কাজটি যে উঁচু কোনো পর্বত জয় করা কিংবা দুঃসাহসী কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে করতে হবে ব্যাপারটি এমন নয়। এটি হতে পারে নতুন কোনো বিষয়ে শিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়া কিংবা পেশাদারি বড় কোনো কাজে ঝুঁকি নেয়া।
এমন একটি কাজে যদি তুমি সফল হতে পারো তাহলে তোমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণ। এটি তোমাকে আরও বড় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।
তিন. ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করো
অনেকেই বড় কোনো ভুলের দায় স্বীকার করতে চায় না, করে না। বড় কোনো ভুল হয়ে গেলে একে অপরকে দায়ী করার প্রবণতা দেখা যায়। তবে তুমি যদি এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড় তাহলে সে ভুলের জন্য অকপটে দায় স্বীকার করে নেবে। এটি তোমার জন্য একটি অত্যন্ত সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, তবে এ ঝুঁকি তোমার উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। অবশ্য এ কাজ সবাই পারে না, এটি করতে উন্নত চরিত্র ও বুকে হিম্মত লাগে। এ ছাড়া পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যে, অন্যকে দায়ী করার পরও দোষ তোমার নিজের দিকেই ইঙ্গিত করতে পারে। এক্ষেত্রে ভুল হয়ে গেলে আগেই দোষ স্বীকার অত্যন্ত বুদ্ধিমানের কাজ। পরিস্থিতি যতই নাজুক হোক না কেনো, বড় কোনো ভুলের পর তা থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়। ভুল স্বীকার করে নেয়ার কারণে হয়তো ঐ সমস্যাটির একটি স্থায়ী সমাধান হয়ে যেতে পারে। এটি যেমনিভাবে তোমার মানসিকতার যথেষ্ট উন্নতি করতে সাহায্য করবে তেমনি ভবিষ্যতে অনেক ভুল থেকে বাঁচিয়ে দেবে।

চার. অন্যকে সাধ্যমতো সাহায্য করো
তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন, এর তুলনায় বহু মানুষের অবস্থা যে খারাপ তা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। তোমার হয়তো আক্ষেপ তোমার জুতো নেই অথচ তোমার পাশের অনেকের পা নেই। চশমা কিনতে পারো না বলে হয়তো তোমার আক্ষেপ অথচ তোমার পাশের বন্ধুটিরই চোখ নেই। সুতরাং যে মানুষ সমস্যার ভেতর আছে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করা। তোমার একটু সহানুভূতি ও প্রচেষ্টা একজনের যে উপকার করতে পারে তার মূল্য অন্য কোনোভাবে প্রকাশ করা যায় না। এ জন্য কিছু কিছু বিষয় একটু ভিন্নভাবে ভাবা প্রয়োজন। অন্যদের দিকে একটু সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকানো প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে এ পরিস্থিতি তোমারও একদিন হতে পারে এবং হবেই। নবী (সা.) বলেছেন- ‘যে পেটপুরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী না খেয়ে কষ্ট পায় ঐ ব্যক্তি মুমিন নয়।’ (আল আদাবুল মুফরাদ-১১২)
নবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ্ তায়ালা ও আখিরাতের প্রতি যে ঈমান রাখে সে যেনো প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (সহিহ মুসলিম-১৮৩)
প্রতিটি মানুষের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে একটি মেধাবী মানুষ। ঠিক তুমিও এর বাইরে নও। যে মানুষটির সফল হবার ক্ষমতা তোমার থেকেও অনেকগুণ বেশি। শুধু সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যার অভাবে সে মানুষটির বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয় না। মনের দুর্বলতার প্রাচীর ভেঙে তাকে বাইরে বের হয়ে আসতে দাও। হয়তো সব সময় সবার সে সাহস এবং সুযোগ হয় না, তাই সে সফলতার প্লাটফর্মে উঠতে পারে না। সফলতার সিঁড়িতে আরোহণের জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যেখানে পৌঁছতে শুধু জ্ঞান নয়, মুখ্যত ভূমিকা পালন করে তোমার ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণ।
সুতরাং যার জীবনে কোন ঝুঁকি নেই তার জীবনে সাফল্যেরও কোনো গল্প নেই। তোমার জীবনটাই হচ্ছে তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটি খেলার আসর। বিজয়ী হবার মনোভাব নিয়ে হয় তোমাকে ভালো খেলতে হবে, আর না হয় মাঠ ছেড়ে পালাতে হবে। তোমার স্থির দাঁড়িয়ে থাকবার কোনো সুযোগ নেই। যদি জীবনকে এগিয়ে নিতে চাও তাহলে নিজের আরামদায়ক এলাকা থেকে বের হয়ে আসো। ঝুঁকি নাও এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও যতক্ষণ না সফল হচ্ছো। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে।

SHARE

Leave a Reply