Home ক্যারিয়ার গাইড লাইন বিশ্ব মাঝে শীর্ষ হবো -আহসান হাবীব ইমরোজ

বিশ্ব মাঝে শীর্ষ হবো -আহসান হাবীব ইমরোজ

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
কিশোরকণ্ঠের সুপ্রিয় বন্ধুরা, নিয়মমাফিক জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কেমন আছ?
তোমরা সবাই জান, আমরা এই ধূসর পৃথিবীর অধিবাসীরা ইতিহাসের এক কঠিন ক্রান্তিকাল পাড়ি দিচ্ছি। যাকে সবাই আদর (?) করে নাম দিয়েছে করোনা-কাল। প্রায় দেড় কোটি মানুষ এতে হাবুডুবু খাচ্ছে, আর ৬ লক্ষ ৩০ হাজার বনি আদম ইতোমধ্যেই পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন। আমরা নিজেদেরসহ সবার জন্য দোয়া করছি, পরম-প্রভু যেন আমাদের ক্ষমা এবং হেফাজত করেন।
এর মাঝেই আমাদের পড়ালেখা, পরিবারকে সহযোগিতা এবং আত্ম-উন্নয়নসহ সকল জরুরি কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তবে অবশ্যই তা নিয়ম মেনে এবং ঠাণ্ডা মাথায়। কেননা একটি কথা আছে না, ‘রাগলেনতো হেরে গেলেন’ ।
কিছু গল্প শেয়ার করা যাক, কিছুটা পুরনো তবে চন্দ্র-সূর্যের মতো এক্কেবারে আদ্দিকালের নয়।
এইতো গেল বছরের ঘটনা। সেদিন, ১৪ আগস্ট। শ্রাবণের ‘লাস্ট স্টেশন’ ছুঁইছুঁই। আকাশ ভরা থৈ থৈ মেঘ। ‘আয় বৃষ্টি ঝেপে’ কবিতা যেন হামলে পড়লো রোকেয়া মহলের চাঁদের আঙ্গিনায়। বহু কষ্টে দ্বাদশী চাঁদ তার ঝলমলে হাসি চেপে রেখেছে সন্ধ্যের অপেক্ষায়। কোথা থেকে উড়ে এলো এক দল উচ্ছল খেলোয়াড়, যেন রেফারির বাঁশির অপেক্ষায় তারা ছিল। শুরু হলো জম্পেশ আয়োজন। যার পোশাকি নাম ‘ঈদ-পুনর্মিলনী’। খোলাসা করে বললে বলতে হয় টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী করটিয়ার লাইটহাউজ স্কুলের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের ঈদ-পুনর্মিলনী।
সারা বাংলাদেশে এমনকি আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে আছে এর কৃতী শিক্ষার্থীরা। সেদিনও কানাডা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সবার সাথে মিলিত হয়েছে প্রতিভাবান শিক্ষক মনিরুল হান্নান, জাপান থেকে সাদিয়াটেকের নবীন এমডি সাদিয়া হক। আর আমিও খোঁড়াতে খোঁড়াতে চেষ্টা করেছি তাল মেলাতে। সেদিনের শিক্ষার্থী বন্ধুদের সাথে আমার এলোমেলো কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়? (কী সেই কথা?)

আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

‘বাবা, আমি পিটার বলছি। আমরা এই মাত্র শৃঙ্গে এসে পৌঁছেছি।’ ছোট একটি উক্তি; কিন্তু এর মাধ্যমেই অর্ধশতাব্দীর দুই প্রান্তে এক সেতুবন্ধ রচিত হলো। পিটার হিলারি যখন এভারেস্টের ২৯০২৯ ফুট উঁচু শৃঙ্গে এসে পৌঁছলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে তার বাবা স্যার এডমান্ড হিলারির কাছে এই ছোট বার্তাটি পাঠালেন।
পিটার হিলারি যে এই প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠলেন, তা নয়। তিনি প্রথমবার মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে ৮,০০০ ফুট একটি শৃঙ্গে উঠেছিলেন। এবারের আরোহণের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। এবারের পর্বতারোহণের মাধ্যমে ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফি চ্যানেলের এডমান্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগের পর্বতারোহণের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করল। উল্লেখ্য, ২৯ মে ১৯৫৩ সালে তার বাবা এডমান্ড এবং তার সঙ্গী তেনজিং হিমালয়কে পদানত করেছিলেন।
কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, হিলারি-নোরগের পর্বতারোহণের পর অর্ধ-শতাব্দী কেটে গেছে, পৃথিবী অনেক আধুনিক হয়েছে। যন্ত্রপাতিও আধুনিক হয়েছে, সুতরাং এভারেস্টে ওঠা ঠিক আগের মতো কঠিন নয়; আসলে ঘটনা অতো সহজও নয়। এ যাবৎ মাত্র ৪০০ জন সফলভাবে এই শৃঙ্গে পৌঁছতে পেরেছেন। পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ২৬০ পর্বতারোহী। যাদের অনেকের লাশই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হিলারি, তেনজিং থেকে শুরু করে পিটার পর্যন্ত যারাই সফল হয়েছেন, তারা হাজার হাজার প্রচেষ্টাকারীর মত ব্যর্থ হননি। এমনকি মৃত্যুবরণকারী অভিযাত্রীর মতো চিরতরে হারিয়ে যাননি। এর অন্যতম প্রধান কারণ, তারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাদের সকল মনোযোগকে বিজয়ের জন্য নিয়োজিত করেছিলেন। আর যারাই তাদের সকল মন, মেধা ও শক্তিকে বর্তমানের জন্য নিয়োজিত করতে পারে, সফলতা তাদের পদচুম্বন করবেই করবে।
এক্ষণে, মনে পড়ে গেল রিচ ড্যাড এবং পুওর ড্যাড (জরপয উধফ চড়ড়ৎ উধফ) এর বিখ্যাত লেখক রবার্ট কিয়োসাকি (জড়নবৎঃ করুড়ংধশর) এর কথা। তিনি একজন জাপানিজ অরিজিন আমেরিকান। একজন বিজনেস মোটিভেটর স্পিকার ও লেখক। তার মোট ২৬টি বইয়ের ভেতর এই একটি বই ৫১টি ভাষায় ১০৯টি দেশে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। ভাবা যায়? যারা ভবিষ্যতে সফল ব্যবসায়ী হতে চায় তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
তার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা যেটি হয়তো তিনি এভারেস্ট বিজয়ীদের সাফল্যগাথা থেকে ধার করেছিলেন। পড়ালেখা, ভালো রেজাল্ট, আত্মোন্নয়ন এমনকি সকল উন্নয়নের জন্যই সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সোনার হরফে বাঁধাই করার মতো সে লেখাটি হচ্ছে,
একটি বিষয় নিয়েই লেগে থাকা ভালো
যতক্ষণ না পাবো সাফল্যের পূর্ণ-আলো॥

পর্বতকে নয় বরং
নিজেকেই জয় করেছি

২০ জুলাই ১৯৬৯। আজ থেকে ৫১ বছর আগে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে সর্বপ্রথম চাঁদের বুকে পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, “এটি চাঁদের বুকে ছোট্ট মানবের একটি ক্ষুদ্রতম পদক্ষেপ; মানবতার জন্য বৃহত্তম এক পদক্ষেপ।” আর্মস্ট্রং ছয় বছর বয়সে বাবাসহ প্রথম বিমানে চড়েন। যুবক জীবনে ছিলেন মিলিটারি পাইলট। নাসা থেকে অবসর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লাইট মেকানিকস ও এয়ারক্রাফট ডিজাইনের ওপর শিক্ষকতার দায়িত্ব নেন। এমনকি বাচ্চাদের জন্য কবিতাও লেখেন। তিনি ১৬ বছর আগে হিলারির ‘এভারেস্ট বিজয়’ দ্বারা যেমন প্রভাবিত হয়েছিলেন, হাজারো মানুষ তেমনি আর্মস্ট্রং দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন এবং হবেন।
২০ জুলাই ১৯১৯। চাঁদে মানুষের পদক্ষেপ ফেলার ঠিক গুনে গুনে ৫০ বছর আগের কথা, পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলেন এডমান্ড হিলারি, যিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন। সেদিন ছিল ১৯ মে, ১৯৫৩। সেই দম আটকানো মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, “আমরা পর্বতকে জয় করিনি বরং নিজেকেই জয় করেছি।”
নেপালিরা তাকে ডাকে সাগরমাতা (ঝধমধৎসধঃযধ) অর্থাৎ আকাশের কপাল। আর তিব্বতে স্থানীয়ভাবে এর নাম চোমোলাংমা (ঈযড়সড়ষধহমসধ) অর্থাৎ বিশ্বমাতা। উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার বা ২৯০২৯ ফিট। এর জাস্ট চাদির ওপর দিয়ে জেটবিমান উড়ে। বয়স মাত্র ৬ কোটি বছর। বলতে পারো কে এই মহামান্য? এখন তার বিশ্বখ্যাতি ‘মাউন্ট এভারেস্ট’ হিসেবে।
জর্জ এভারেস্ট ছিলেন সার্ভেয়ার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ১৬ বছর বয়সে ভারতে এসে ১৮৩০ থেকে ’৪৩ পর্যন্ত উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি দক্ষিণ ভারত থেকে নেপাল পর্যন্ত ২,৪০০ কিলোমিটার সার্ভে করেন।
জর্জ এভারেস্টের উত্তরসূরিরা তার নামে পর্বতটির নামকরণ করেন। যদিও এতে তার আপত্তি ছিল, কেননা মহা আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনি নিজ চোখে এভারেস্টকে কখনও দেখেননি। আসলে এটি ছিল উপনিবেশবাদীদের কূটবুদ্ধি। আসুমুদ্র-হিমাচলে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়া।
ব্রিটিশ সরকার প্রেরিত সাবেক আর্মি অফিসার যোহান হান্টের নেতৃত্বে শুরু হয় এডমান্ড হিলারিদের এভারেস্ট অভিযান। মোট অভিযাত্রী ছিল প্রায় ৪০০ জন। কিন্তু তারা দুই টিমে মোট চারজন সর্বোচ্চ শৃঙ্গের কাছাকাছি যেতে পারেন। আরেকটি টিম প্রথম চেষ্টা করে ৩০০ ফিট বাকি থাকতে আর উঠতে পারেনি। এরপর হিলারিদের পালা। তারা ৪০ ফিট উঁচু একটি শিলা; বর্তমানে যার নাম হিলারি স্টেপ, তার সামনে এসে থমকে দাঁড়ান। অতঃপর অনেকটা হামাগুড়ি ও চিতার মতো ছোট্ট লাফ দিয়ে সকাল ১১.৩০ মিনিটে এভারেস্টের শীর্ষে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তারা মাত্র ১৫ মিনিটকাল অতিবাহিত করেন। হিলারি বরফ কুঠার হাতে তেনজিংয়ের ছবি তুলেন। কিন্তু তেনজিং ছবি তুলতে পারতেন না বলে হিলারির কোন ছবিও নেই। তোমরা হয়তো আফসোস করে বলবে হায়! সে সময় যদি অটো ক্যামেরা কিংবা সেলফি চালু থাকত! কিন্তু না আজকের সেলফিবাজ কিংবা অতিমাত্রায় ফটোপ্রেমিকদের বলছি, এতে করে কিন্তু হিলারি পিছিয়ে যাননি। নিউজিল্যান্ড জাতীয়ভাবে তাদের পাঁচ টাকার কারেন্সিতে তার ছবি ছাপিয়ে দিয়েছে। তুমি আমি প্রতিদিন নিজের হাজারো ছবি তুললেও জাতীয় কারেন্সিতে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? তাই ছবির চাইতেও লক্ষ গুণ বড় হচ্ছে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেগুলো মানবতাকে এগিয়ে দেয়।

এডমান্ড হিলারি মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। মায়ের ইচ্ছায় ভালো স্কুলে পড়তে গিয়ে টানা সাড়ে তিন বছর প্রতিদিন প্রায় ১০০ মিনিট ট্রেন জার্নি করতে হতো। এ সময়টা তার পড়ায় কাটতো। কিছুটা লাজুক প্রকৃতির। দুষ্টো বন্ধুদের খোঁচা থেকে বাঁচতে নিজেকে সর্বদা বইয়ের সাগরে ডুবিয়ে রাখতেন তিনি। বই আর বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন, এই দুটিই ছিল তার একমাত্র পুঁজি। মাধ্যমিকে পড়া অবস্থাতেই তিনি শুধু স্বপ্ন দেখতেন বিশ^ভ্রমণ ও পর্বতারোহণের। স্কুলজীবনে বক্সিং লড়তেন। ১৬তে পা দিয়েই প্রথম চেষ্টায় বন্ধুদের সাথে মাউন্ট রোয়াপিহুর চূড়ায় ওঠেন। অতঃপর ২০ বছর বয়সেই তিনি মাউন্ট অলিভারের শীর্ষে ওঠেন।
হিলারির পিতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একজন আর্মি অফিসার ছিলেন। তিনি যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সময় একজন সাংবাদিক ও পরবর্তীতে একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। হিলারিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে এয়ারফোর্সে যোগ দেন। তারা ছিলেন দুই ভাই ও এক বোন। সে সময় পিতার সঙ্গে তারা দুই ভাই মৌমাছি চাষ করতেন। প্রতিদিন প্রায় ১৬০০ মৌচাকের কাছে যেতে হতো। প্রায় হাজার খানেক ৯০ পাউন্ড ওজনের মৌমাছি-বাক্স ওঠা নামা করাতে হতো। এতে করে প্রতিদিন কমছে কম ১০০ মৌমাছির বিষাক্ত হুল ভাগ্যে জুটতো। এভাবে তিনি নিজেকে পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী ও কষ্টসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন শারীরিক শক্তি ও কষ্টসহিষ্ণুতায় বন্ধুদের ভেতর তিনিই সেরা। তিনি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারই তাকে ব্যাপকভাবে পাল্টে দিল। এরপর শুধু তার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পালা। বিজয়, পদক আর খ্যাতি অর্জনের পালা ।
তাই যে কোনো ক্ষেত্রে নিজের ‘সাফল্যের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিজকে পূর্ণভাবে আবিষ্কার’। নিজের সেরা দিকগুলো খুঁজে পাওয়া। তারপর প্রভুর ওপর ভরসা করে সেই ক্ষেত্রে সাহসী রয়েল বেঙ্গলের মতো ঝাঁপিয়ে পড়া ।
হিলারি ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি লম্বা ছিলেন, কিন্তু এজন্য তার খ্যাতি হয়নি। শিক্ষকতা না করেও তিনি স্যার হয়েছিলেন রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় থেকে নাইট উপাধি পেয়ে। নিউজিল্যান্ড তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়, তাদের পাঁচ টাকার কারেন্সিতে তার ছবি ছাপায়। নেপাল তাকে সর্বপ্রথম বিদেশী হিসেবে নাগরিকত্ব দেয়।
হিলারি হিমালয় এলাকাটিকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। ১৯৮৫-৮৮ সালে একাধারে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তার সব দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি প্রায় ১১টি বই লেখেন।
তিনি পৃথিবীর প্রথম মানুষ, যিনি সবচেয়ে দুর্গম তিনটি এলাকা জয় করেছেন; মাউন্ট এভারেস্ট, উত্তর ও দক্ষিণ মেরু। তার ছেলে পিটারও বাবার মতোই এ তিনটি জায়গা জয় করেছেন। এক্কেবারে বাপকা বেটা।

আসলে, একটি গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যকে শক্ত-সিঁড়ি বানাতে পারলে তার ওপর ভর করে নিজেকে এমনকি পরবর্তী প্রজন্মকেও সাফল্যের সিংহাসনে বসিয়ে দেওয়া যায়। হ

SHARE

Leave a Reply