Home কুরআন ও হাদিসের আলো কুরআনের আলো নদীর তীরে, ঝরনাতলায়

নদীর তীরে, ঝরনাতলায়

আজ আবার নতুন করে বসেছে মুহসিনা আপুর গল্পের আসর। কুরআনের গল্প। মুনীরা বলল, আজ কিসের গল্প শোনোবে আপু? আপু বললেন, নদীর গল্প। ঝরনার গল্প। তবে পৃথিবীর নয়, জান্নাতের! আয়েশা, মালিহা সবাই বলল, তাহলে তো বেশ মজার গল্প হবে আজ! আপু বললেন, গল্প শুনতে হলে চুপ থাকতে হবে। একদম চুপ। মনোযোগ দিয়ে শোনো-

আল-কুরআনে জান্নাতের নদী ও ঝরনার কথা বারবার এসেছে। নদীর কথা এসেছে আল-কুরআনের ২২টি সূরার ৩৬টি আয়াতে। নদীগুলো জান্নাতের অট্টালিকা, কক্ষ ও উদ্যানসমূহের পাদদেশে প্রবাহিত। পৃথিবীর মতো জমিনের নিম্নভাগে নয়। এ নদীগুলোর উৎস হচ্ছে জান্নাতুল ফিরদাউস। সব নদীতেই রয়েছে ‘পানীয়’ কিন্তু তার সবই ‘পানি’ নয়। কোনোটিতে রয়েছে সফেদ দুধের ঢেউ, কোনোটিতে বিশুদ্ধ মধু, কোনোটিতে রয়েছে সুস্বাদু শারাব, কোনোটি আবার নির্মল পানির। জান্নাতের সবচেয়ে বড় নদীর নাম ‘আল-কাউসার’।
আর জান্নাতের ঝরনাসমূহেরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম! একেক ঝরনার একেক বৈশিষ্ট্য। যেমন, এক ধরনের ঝরনা থাকবে কর্পূরমিশ্রিত। তবে তা দুনিয়ার কর্পূর নয়। এ কর্র্পূর ঘ্রাণযুক্ত। যাতে কোনো স্বাদ নেই। ‘সালসাবিল’ নামে আরেকটি ঝরনা আছে। এতে আছে আদার সুগন্ধ। ‘তাসনিম’ নামক জান্নাতের একটি ঝরনারও উল্লেখ রয়েছে আল-কুরআনে।
সাবিহা বলল, এগুলো কাদের জন্য আপু? আমরা কি এসব নদী ও ঝরনা থেকে পান করতে পারবো?
আপু বললেন, কেন নয়? তবে এর আগে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। হতে হবে মুমিন। আল্লাহ বলেছেন, “যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন এমন জান্নাতের, যার পাদদেশে প্রবাহিত হচ্ছে নদীসমূহ।” (সূরা আল-বাকারাহ : ২৫) চলো, আমরা এখন থেকে ভালো ভালো কাজ করব। দূরে থাকব অন্যায় থেকে। তাহলেই পাবো জান্নাত। জান্নাতে আমরা ঘুরে বেড়াব নদীর তীরে, ঝরনাতলায়!
আনন্দে সবাই একসাথে বলে উঠল- ইনশাআল্লাহ!
– বিলাল হোসাইন নূরী

SHARE

Leave a Reply