আমাদের ওই বাড়ির পাশে
বাগানটা যে আছে,
আলতো শীতের সকাল বেলা
গেছিলাম তার কাছে।
নরম নরম শীতের সকাল
লাগছিল যে কেমন!
মৌ মৌ মৌ গন্ধে মাতাল
আকুল হৃদয় যেমন!
ফুলগুলো সব আহা কি যে
রঙের সমাহার,
বাগান জোড়া নয়ন ভরা
হরেক ফুলের বাহার!
কোনোটা যে গোলাপি রঙ
কোনোটা যে লাল,
কোনোটাতে সাদা, হলুদ
রাঙে গাছের ডাল!
চোখ জুড়ানো রূপ যে এমন
আছে হৃদয় ছুঁয়ে,
এই অপরূপ স্রষ্টার প্রতি
আসে মাথা নুয়ে।
হঠাৎ দেখি- পুষ্প ঘিরে
কী যেন কী উড়ছে,
ফুলের ওপর ভনভনিয়ে
চক্রাকারে ঘুরছে।
দেখতে পেলাম – মাতোয়ারা
মৌমাছি আর ভোমরা,
বলল ডেকে- এই ছেলেরা!
খেলবে নাকি তোমরা?
দেখছো কেমন ফুল পিন্দেছে
সবুজ পাতার অঙ্গে!
বসন্তে আজ ছেলেমেয়ে
খেলব রে এক সঙ্গে।
ওই যে দেখো পাতার ফাঁকে
পাখিরা গান গায়,
ফুলের ওপর খুশির নাচন
প্রজাপতির পায়!
ফুল পাখি আর প্রজাপতির
অবাক সাড়া পেয়ে
আমরা তখন খেলতে নিলাম
পাড়ার ছেলেমেয়ে।