এখন ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির যুগ। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হলো, কম্পিউটারের মাধ্যমে সৃষ্ট কৃত্রিম বাস্তবতা বা রিয়্যালিটি। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেট ব্যবহার করে কৃত্রিম ছবি, সাউন্ড এবং অন্যান্য অনুভূতি সৃষ্টি করে। এই হেডসেট পরিধান করে আমরা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির জগতে প্রবেশ করতে পারব। আমাদের চারপাশের সকল কিছু চোখের সামনে ভেসে উঠবে এবং আমরা অনুভব করতে পারব কম্পিউটার দিয়ে সৃষ্ট নতুন জগৎ। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আমরা শুধু এই নতুন জগৎ দেখতেই পারবো না বরং সেই সাথে তা স্পর্শ করতে পারবো, দীপ্যমান হবে, দৃশ্যমান হবে এবং অনুভূতির সাথে মিশে এক শিহরণ জাগাবে। এ এক অনন্য অবস্থা, আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাল্পনিক বা অদৃশ্য জগতের ছোঁয়া পাব যা কখনো কল্পনাই করা যেত না, তা এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমাদের ইন্দ্রিয়কে ছুঁয়ে যাচ্ছে। এ এক বিস্ময়কর নতুন জগৎ।
আর এই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি থেকে খাবারই বা কেন বাদ যাবে! দেখতে এবং খেতে একদম আসল শরবতের মতো, কিন্তু মূলত সেটি ভার্চুয়াল শরবত। এটি তৈরি করেছেন সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক। সংবাদমাধ্যমের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, স্বাদ ও রং শরবতের মতো হলেও এটি আসলে পানি। পানিতে শরবতের স্বাদ আনতে ইলেকট্রোড আর রংয়ের জন্য এলইডি বাতি ব্যবহার করেছেন গবেষক দল। গবেষক দলের প্রধান নিমেশা রানাসিংগে জানিয়েছেন, আমাদের বর্তমান ডিজিটাল যোগাযোগব্যবস্থায় খাদ্য ও পানীয় আদান প্রদানের ব্যবস্থা নেই। যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুবই সাধারণ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে এর থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা আসে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এবং জাপানের কেইও ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এ গবেষণা চালানো হয়। এই পরীক্ষা চালানোর জন্য আপাতত শরবতের টক স্বাদকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এই টেকনোলজিতে আসল শরবতের মধ্যে একটি সেন্সর ডোবানো হয়। সেন্সরটি শরবতের অম্লতা এবং রঙ ধারণ করে ব্লুটুথের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শরবত গ্লাসের রিমে লাগানো ইলেকট্রোড স্ট্রাইপে প্রেরণ করে।
আপাতত টক স্বাদকে বেছে নেয়া হলেও এই প্রযুক্তিতে তিক্ত এবং নোনা স্বাদও আনা সম্ভব বলে জানা গেছে। যেসব ব্যক্তি ক্যালোরি কমাতে খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারও যদি শরবতের প্রতি আগ্রহ থাকে এবং তার কাছে যদি ভার্চুয়াল শরবত থাকে তবে তিনি কোনো ক্যালোরি গ্রহণ করা ছাড়াই একই রকমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। ভার্চুয়াল এই শরবত পরীক্ষা করে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, এখনও এতে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে যদিও আসল শরবতের তুলনায় এতে টক কম।