স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। ছুটির ঘণ্টা বাজতেই আনন্দে নেচে উঠল শাফিন। তা ছাড়া, আজ ছিল অর্ধদিবস ক্লাস। এ কারণে আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই বৈকি! ক্লাস থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়াল তিন বন্ধু। শাফিন, তালহা ও মাজিন। সবার বাড়ি কাছাকাছি। এ জন্য প্রতিদিন তারা একসাথে আসা-যাওয়া করে।গ্রামের পথ ধরে তারা হেঁটে চলছে। হঠাৎ আজানের সুর ভেসে এলো। জোহরের আজান। আজান শুনেই হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো তালহা। বলল, মসজিদ তো এখনো বেশ দূরে। দ্রুত না গেলে সালাতের জামায়াত পাওয়া যাবে না। চলো।তাড়াতাড়ি চলো! শাফিন ও মাজিন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে। কিছু না বললেও তাদের চোখে বিস্ময়! কারণ, তাদের মাথায় এমন চিন্তা কখনোই আসেনি। তালহার প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে গেল তাদের।
এ বিষয়টা শাফিন তার আব্বুকে শোনাল। তিনিও অবাক হলেন। বললেন, তোমরা সৌভাগ্যবান! তোমাদের মতো এমন ভালো বন্ধু ক’জনেরইবা আছে? এবার একটি হাদিস শোনালেন তাকে। মহানবী (সা) বলেছেন, “ভালো বন্ধু ও খারাপ বন্ধুর উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রেতা ও কামারের মতো। আতর বিক্রেতা হয়তো তোমাকে কিছু আতর দান করবে। অথবা তুমি তার থেকে কিছু কিনে নেবে। এসব না হলেও তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ তো পাবেই! অন্য দিকে, কামার তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দেবে। না হয়, সেখান থেকে তুমি দুর্গন্ধ পাবে!” (বুখারি)
অর্থাৎ, ভালো বন্ধুর কাছ থেকে সবসময় ভালো কিছুই পাওয়া যায়। আর খারাপ বন্ধুর কাছে খারাপ ছাড়া কিছুই মেলে না।
শাফিন ভাবল, এ হাদিসটা সে মাজিনকে শোনাবে। তালহাকে শোনাতেও ভুল করবে না। আচ্ছা! তালহা কি তখন লজ্জা পাবে না?
বিলাল হোসাইন নূরী