মাতৃভাষা
জয়নব জোনাকি
পিচ ঢালা পথ লাল করেছি
রক্ত দিয়ে বায়ান্নতে,
বুকের তাজা খুন ঝরিয়ে-
দিনে দিনে দিন গড়িয়ে,
ক্রমান্বয়ে পৌঁছে গেছি
এখন জীবন সায়াহ্নতে।
মুখের ভাষা আনতে ফেরত
ঝাঁপ দিয়েছি আন্দোলনে,
ইংরেজি আর হিন্দি এসে-
গাছের গোড়া কাটছে শেষে,
বাংলাভাষা আটকে গেছে
স্বকীয়তার জান দোলনে।
ফেব্রুয়ারি বহাল কেন
নয় কেন আট ফাল্গুনে,
বাংলা প্রেমে পান্তা ইলিশ-
হাজার টাকায় কিনেই গিলিস,
মাতৃভাষা হয় কি বহাল
ভিন্ন ভাষার তাল গুণে?
গোঁজামিলের ভাষা দিয়ে
যাচ্ছিরে দিন গুজার করে,
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’-
কবে হবে মান যাচাই,
ভাষার জন্য দিতে পারি
জীবনটাকে উজাড় করে।
ভাষার জন্য
সা’দ সাইফ
বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা
দিয়েছিল তাঁদের প্রাণ
বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার
রেখেছিল তাঁরা মান।
তাঁদের তরে লক্ষ-কোটি
দোয়া ও ভালোবাসা
ভাষার জন্য তাঁদের ত্যাগ
থাকবে অমর গাঁথা।
একুশ মানে
মতিউর রহমান মিয়াজি
একুশ মানে গর্ব করে
বুক ফুলিয়ে চলা
দুঃখের কথা সুখের কথা
নিজ ভাষাতেই বলা।
একুশ মানে বীর শহীদের
আত্মত্যাগের কথা
জীবন দিয়ে আনলো যারা
ভাষার সফলতা।
একুশ মানে সকল ভাষা
বাংলা ভাষার পরে
জীবনটাকে বিলিয়ে দেব
এই ভাষারই তরে।
গাঁয়ের মাটি
জাবির মাহমুদ
পদ্মা নদীর গা ঘেঁষা এক বাঁকে
সবুজ ঘেরা নিবিড় গাঁ এক ছিল
স্বপ্নপুরী নাম ধরে সব ডাকে।
দৃষ্টি আমার যায় ছুটে যায় দূরে
আকাশ-কিনার যায় দেখা বনরেখা
নায়ের মাঝি গান গেয়ে যায় সুরে
গহিন বনে পাখিদের যায় দেখা।
খিলখিলিয়ে ফুল হাসে গুলবাগে
বৃক্ষ শাখে নাচ করে টুনটুনি
ছায়ার বনে হারাই অনুরাগে
কল্পনাতে দূর বিলাসী স্বপ্ন বুনি।
ঢেউ খেলা ওই সবুজ জমিন চিরে
যাই হেঁটে যাই, ওড়াই রঙিন ঘুড়ি
তুলো-সাদা মেঘের ভেলার ভিড়ে
মনটা আমার ভরায় মেঘের বুড়ি।
কলকলা খুব কীর্তিনাশার ঢলে
দলবেঁধে সব ইচ্ছে সাঁতার কাটি
এমনি করেই যাচ্ছে সময় পলে
ভালোবাসি ওই দূরাকাশ,
বক্ষে গাঁয়ের মাটি।গাঁয়ের মাটি
জাবির মাহমুদ
পদ্মা নদীর গা ঘেঁষা এক বাঁকে
সবুজ ঘেরা নিবিড় গাঁ এক ছিল
স্বপ্নপুরী নাম ধরে সব ডাকে।
দৃষ্টি আমার যায় ছুটে যায় দূরে
আকাশ-কিনার যায় দেখা বনরেখা
নায়ের মাঝি গান গেয়ে যায় সুরে
গহিন বনে পাখিদের যায় দেখা।
খিলখিলিয়ে ফুল হাসে গুলবাগে
বৃক্ষ শাখে নাচ করে টুনটুনি
ছায়ার বনে হারাই অনুরাগে
কল্পনাতে দূর বিলাসী স্বপ্ন বুনি।
ঢেউ খেলা ওই সবুজ জমিন চিরে
যাই হেঁটে যাই, ওড়াই রঙিন ঘুড়ি
তুলো-সাদা মেঘের ভেলার ভিড়ে
মনটা আমার ভরায় মেঘের বুড়ি।
কলকলা খুব কীর্তিনাশার ঢলে
দলবেঁধে সব ইচ্ছে সাঁতার কাটি
এমনি করেই যাচ্ছে সময় পলে
ভালোবাসি ওই দূরাকাশ,
বক্ষে গাঁয়ের মাটি।
ভাষার জন্য
জাকারিয়া আল হোসাইন
বছর ঘুরে আবার যখন
আসে আটই ফাগুন
হৃদয় মাঝে জেগে ওঠে
বাহান্নার ঐ আগুন।
ভাষার জন্য জীবন দেয়া
সহজ কথা নয়
তারপরেও বাংলা ভাষার
আনছি আমরা জয়।
ভাষার জন্য জীবন দিলো
রক্ত দিলো শত
সালাম রফিক বরকতসহ
নাম না জানা কত।
বাংলা আমার জন্মভূমি
বাংলা মাতৃভাষা
কেমন করে মিলে গেছে
মনের যত আশা।
সকল কিছুই আল্লাহ্ তালার
জগৎ ভরা দান
তিনিই হলেন শ্রেষ্ঠ খালিক
শ্রেষ্ঠ মহীয়ান।ভাষার জন্য
জাকারিয়া আল হোসাইন
বছর ঘুরে আবার যখন
আসে আটই ফাগুন
হৃদয় মাঝে জেগে ওঠে
বাহান্নার ঐ আগুন।
ভাষার জন্য জীবন দেয়া
সহজ কথা নয়
তারপরেও বাংলা ভাষার
আনছি আমরা জয়।
ভাষার জন্য জীবন দিলো
রক্ত দিলো শত
সালাম রফিক বরকতসহ
নাম না জানা কত।
বাংলা আমার জন্মভূমি
বাংলা মাতৃভাষা
কেমন করে মিলে গেছে
মনের যত আশা।
সকল কিছুই আল্লাহ্ তালার
জগৎ ভরা দান
তিনিই হলেন শ্রেষ্ঠ খালিক
শ্রেষ্ঠ মহীয়ান।
বইয়ের সাথে
মঞ্জুর মোরশেদ
বইয়ের সাথে জীবন গড়ি
বইকে ভালোবাসি,
বই যে আমার দুঃখ সুখের
স্বপ্ন রাশি রাশি।
বইয়ের সাথে মিলব আমি
ভাল-মন্দ বুঝতে,
বই যে আমার সহায় থাকে
জীবন বাতি খুঁজতে।
আলোর পথে চলতে হলে
বইকে করো সাথী,
যে বই তোমায় দিতে পারে
আঁধার ঘরে বাতি।
বই পড়ো ভাই বই পড়ো
জানবে অনেক কিছু,
বই তোমাকে দিবে মান
করবে নাতো নিচু।বইয়ের সাথে
মঞ্জুর মোরশেদ
বইয়ের সাথে জীবন গড়ি
বইকে ভালোবাসি,
বই যে আমার দুঃখ সুখের
স্বপ্ন রাশি রাশি।
বইয়ের সাথে মিলব আমি
ভাল-মন্দ বুঝতে,
বই যে আমার সহায় থাকে
জীবন বাতি খুঁজতে।
আলোর পথে চলতে হলে
বইকে করো সাথী,
যে বই তোমায় দিতে পারে
আঁধার ঘরে বাতি।
বই পড়ো ভাই বই পড়ো
জানবে অনেক কিছু,
বই তোমাকে দিবে মান
করবে নাতো নিচু।
প্রকৃতি
আবু হাসান মোসাদ্দেক
রাতের আঁধার কেটে গিয়ে
ভোরের আলো ফোটে,
ঘুমিয়ে থাকা পাখিগুলো
হঠাৎ জেগে ওঠে।
গাছে-গাছে পাখিরা সব
কিচিরমিচির ডাকে,
মুখরিত করে তোলে
নিঝুম-নীরব গাঁ-কে।
মসজিদের মিনার থেকে
আজানের সুর ভাসে,
গাছে-গাছে পুষ্পগুলি
মিটমিটিয়ে হাসে।
ভোরের দোয়েল শিস দিয়ে যায়
মনমাতানো সুরে,
ডানা মেলে যায় তো উড়ে
অজানা এক দূরে।
পূব-আকাশে সকালবেলা
সূর্য হেসে ওঠে,
কর্মব্যস্ত মানুষগুলো
নিজের কাজে ছোটে।প্রকৃতি
আবু হাসান মোসাদ্দেক
রাতের আঁধার কেটে গিয়ে
ভোরের আলো ফোটে,
ঘুমিয়ে থাকা পাখিগুলো
হঠাৎ জেগে ওঠে।
গাছে-গাছে পাখিরা সব
কিচিরমিচির ডাকে,
মুখরিত করে তোলে
নিঝুম-নীরব গাঁ-কে।
মসজিদের মিনার থেকে
আজানের সুর ভাসে,
গাছে-গাছে পুষ্পগুলি
মিটমিটিয়ে হাসে।
ভোরের দোয়েল শিস দিয়ে যায়
মনমাতানো সুরে,
ডানা মেলে যায় তো উড়ে
অজানা এক দূরে।
পূব-আকাশে সকালবেলা
সূর্য হেসে ওঠে,
কর্মব্যস্ত মানুষগুলো
নিজের কাজে ছোটে।