Home কুরআন ও হাদিসের আলো কুরআনের আলো মানুষই সুন্দর

মানুষই সুন্দর

পৃথিবীর সবকিছুই সুন্দর। বিশাল আকাশ! কখনো সুনীল। কখনো মেঘে ঢাকা। কখনো সাতরঙা। সবুজ পাহাড়! ঝরনাধারা যেন অবিরত ধুয়ে দেয় তার দেহ। অথবা সাগর। নদী। খাল-বিল। ফুল-পাখি। সবকিছুই সুন্দর। সবকিছু।

তবে এসবের মধ্যে কে বেশি সুন্দর? এ হিসাব মেলানো কঠিন। হয়তো আকাশ। তার বুকে সূর্য আছে। আছে চাঁদ-তারা। কিন্তু সাগরের সৌন্দর্য কি তারচেয়ে কম? ঢেউয়ের ওপর ঢেউ। নীলের ওপর নীল। যেন কোন সুদূরের আহ্বান তার বুকে বেজেই চলেছে। এ চলার শেষ নেই। বিরাম নেই। অথবা বিচিত্রসব ফুল? গন্ধে-বর্ণে একেকটি অন্যটির চেয়ে অপরূপ! আসলে এসব ভেবে ভেবে কোনো কূলকিনারা পাওয়া সম্ভব নয়। এতদিনে এতটুকুই বুঝল জাহিদ।

তবে তার মনে একটা প্রশ্ন বারবারই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুন্দরের উপমায় একটা কথা প্রায়ই উচ্চারিত হয়। ‘চাঁদের মতো সুন্দর কিংবা চাঁদের চেয়েও সুন্দর’। আসলে মানুষ কি চাঁদের চেয়ে সুন্দর হতে পারে? অথবা চাঁদের মতো হতে পারে? চাঁদের আছে অপরূপ জোসনা। শীতল শরীর। কী নির্মল! কী মোহন!

কথাটা বলেই ফেলল আব্বুকে। আব্বু শুধু তার অভিভাবকই নন, তার একজন শিক্ষক। আদর্শ শিক্ষক। আব্বু একটু চিন্তায়ই পড়ে গেলেন। কী সব অদ্ভুত প্রশ্ন করে ছেলেটা! ভাবতে ভাবতে পেয়ে গেলেন উত্তর। বললেন, আচ্ছা বলো তো, আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কেউ আছে কি? অবশ্যই না, বলল জাহিদ। তাহলে শোনো, আল্লাহ কী বলেছেন। “তিনের শপথ। শপথ যাইতুনের। সিনাই পর্বতের শপথ। শপথ এ নিরাপদ নগরীর। আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি সবচেয়ে সুন্দর আকৃতিতে।” (সূরা তিন : ১-৪)

স্রষ্টাই ঘোষণা দিয়েছেন, তার সুন্দরতম সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। কী আকৃতিতে, কী মানসিক দিক থেকে! জাহিদ তো হতবাক! এতদিনের জিজ্ঞাসার উত্তর এত সহজেই পেয়ে গেল সে। তার আনন্দের অন্য কারণ হচ্ছে, সে-ও আল্লাহর সুন্দরতম সৃষ্টির একজন। এমনকি চাঁদের চেয়েও!
বিলাল হোসাইন নূরী

SHARE

Leave a Reply