Home ছড়া-কবিতা তোমাদের ছড়া-কবিতা

তোমাদের ছড়া-কবিতা

পুরাণ বুড়ি
আবদুল্লাহ নূর

আয়রে খোকা আয়রে খুকি
ময়ুর পঙ্খি নায়-
নাও চলে যায় তেপান্তরে
অচিন সোনার গাঁয়।
সোনার গাঁয়ে পুরাণ বুড়ির
গল্পে ভরা মন,
গল্প শেষে ঘুমান বুড়ি
রাতে অনুক্ষণ।
ঘুমের ঘোরে এমন জোরে
ডাকেন বুড়ি নাক,
নাকের ডাকে যায় পালিয়ে
সোঁদর বনের বাঘ।

পথশিশু
সাজিদ হাসান

পথ শিশুদের মনে থাকে
দুঃখ কষ্টের দৃশ্য,
কেউ ওদের খোঁজ করে না
হাজার বিপদে নিঃস্ব।
সারাটা দিন ঘুরে বেড়ায়
একটু খাওয়ার আশায়
কেউ ওদের দেয় না খাবার
কেঁদে বুক ভাসায়।
সারা রাত কাটে ওদের
খোলা আকাশ তলে
নেইতো ওদের খাট পালঙ্ক
মাটিতেই ওদের চলে।

তফাৎ
আয়েশা সিদ্দিকা আতিকা

তুমি আমি সবাই মানুষ
তবে কেন তফাৎ?
হাসি খুশির মাঝেই তুমি
কাটাও দিন রাত।

তোমার মতো তারাও মানুষ
খুব কষ্ট করে
দিন রাত হাজার কষ্টে
কত্ত ঘাম ঝরে!

একটু কাজে দেরি হলে
বকা ঝকা করো!
কাজের মাঝে এত কেন
শুধু ভুল ধরো?

তফাৎ যখন থাকবে নাকো
রইবে না আর দুখ
ধরার মাঝে আসবে ফিরে
শান্তি আর সুখ।

কৃষকের কান্না
আকরাম সাবিত

বৃষ্টির বানে ভাসল জমিন বৈশাখ আসার আগে
বৈশাখের সেই খুশির জোয়ার আর কি প্রাণে জাগে?
ধান নিয়েছে বানে
কান্না এলো প্রাণে
হাসতে হলেও এখন যেন কেমন কেমন লাগে!

কাঁদতে থাকে গাঁয়ের কৃষক
ক্ষেতের দিকে চেয়ে
বুক ফেটে যায় অশ্রু ঝরে
চোখের পাতা বেয়ে।

ধান ভেসেছে জান ভেসেছে আর ভেসেছে হাসি,
কান্না করেন মা-বাবা আর আমার প্রতিবেশী।
কান্না করেন দাদা
সবুজ হলো সাদা
আর্তনাদে উঠলো কেঁদে গাঁয়ের গরিব চাষি!

আর্তনাদের সুর উঠেছে আজকে প্রাণে প্রাণে
মন ভরেনি পাকা ধানের মধুর ঘ্রাণে ঘ্রাণে!
বান উঠেছে মেতে
সোনার সবুজ ক্ষেতে
বৈশাখী সুখ করলো মাটি প্রলয়কারী বানে!

রোজ ভোরে
সাব্বির হোসাইন

রোজ ভোরেতে গভীর ঘুমে
ফজর যখন হয়
আব্বু ডাকে আম্মু ডাকে
আর ঘুমানো নয়।

ঘুমের ঘোরে থেকো না আর
এবার ওঠ তবে
ফজর জামাত শুরু হবে
মসজিদে যাও সবে।

মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে
বাসায় যখন আসি
আম্মু তখন মিষ্টি করে
একটু দেয় হাসি।

দৃপ্ত পায়ে
তৌহিদুল ইসলাম

দৃপ্ত পায়ে যাই যে হেঁটে
শিশির ভেজা মাঠে,
চোখ ফেরানো যায় না ভাই
নীল সবুজের হাটে।

SHARE

Leave a Reply