এই ঈদে
শফিকুল ইসলাম শফিক
কোরবানি ভাই দিতে পুষি স্বপ্ন কি?
আল্লাহ্ প্রেমে মগ্ন কি?
বসে থাকবে নাকো
হাত বাড়িয়ে থাকো;
সবার হৃদয় জুড়ে
জাগল খুশি ঈদের মধুর সুরে।
কোরবানি ঈদ ধরার বুকে আসছে কি?
মু’মিন বান্দা হাসছে কি?
প্রভুর খুশি নিতে
কোরবানিটা দিতে
নানান পশু কিনি;
হেথায় তথায় নিখুঁত যেন চিনি।
ঈদের সকালবেলা
রিফাত বিন ছানাউল্লাহ্
আজকে খুশির ঈদ
সূর্য উঠেছে নব রূপে পুবাকাশে;
এবার ভাঙো সবে মোহনিদ।
শয্যা ছেড়ে উঠ
ঈদের দিনের দিবাকর ওই ডাকে;
পবিত্র সেই আলোর পেছনে ছুট।
যেতে হবে ঈদগাহে,
ভুলে গিয়ে আজ শ্রেণী ভেদাভেদ সব;
সেথা উল্লাস হবে মিলনের সমারোহে।
আজকে অনেক কাজ
বিনিময় হবে হৃদয়ের ভালোবাসা;
আজকের দিনে থাকবে না কারো লাজ।
বর্ষা মানে
আকরাম ছাবিত
বর্ষা মানে দিন-দুপুরে
কদম ফুলের গন্ধ
কবির মনে নতুন ছড়া
গান কবিতার ছন্দ।
বর্ষা মনে হঠাৎ করে
টাপুর-টুপুর বৃষ্টি,
আকাশ জুড়ে মেঘে-মেঘে
নেয় ছিনিয়ে দৃষ্টি।
বর্ষা মানে রয় লুকিয়ে
লম্বা কালো সাপ টা,
চুপটি করে ব্যাঙের দলে
হঠাৎ মারে ঝাপ্টা।
বর্ষা মানে মেঘের জলে
হঠাৎ পুকুর ভরবে,
চতুরদিকে জলে জলে
শুধুই খেলা করবে।
ঈদের চমক
কে এইচ মাহাবুব
ঈদের হাট ঈদের বাজার
ঈদের কেনা কাটা
ঈদে মামা আনবে জামা
যায় না ভিড়ে হাঁটা।
ঈদের চাঁদ ভীষণ ফাঁদ
দেখতে ভারি বাঁকা
বইয়ের পাতা লেখার খাতা
ছবি তারি আঁকা।
ঈদের চমক মামার ধমক
হঠাৎ আসে বাড়ি
আমি তখন যাই চলে
করে থাকি আড়ি।
বৃষ্টি নামে
মো: আব্দুল আলিম
ঝুমঝুমাঝুম বৃষ্টি নামে
বাজনা বাজে টিনে
বৃষ্টি শব্দে চতুর্দিকে
মুখর সুরের বীণে।
বাঁশ পাতায় হৈ-হুল্লোড়
চুঁয়ে পড়ে বৃষ্টি,
মাটি ভিজে টসটসে
গাঁয়ের ছেলের দৃষ্টি।
নদীর বুকে, অঝোর ধারায়
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি,
রোদ মাখিয়ে ফাঁকফোকরে
লাগে দারুণ মিষ্টি।
ঈদ
হোসাইন আহমদ মৌজুদী
দুই অক্ষরে নাম তার
চেয়ে দেখ ঈদ
ফিরনি সেমাই
সবার ঘরে-
মনের কালিমা
দূর করে-
গাইব খোদার গীত।
ঈদের দিনে দয়ার নবী
নিতেন সবার খোঁজ
অনাথ এতিম দেখে দেখে
করাতেন যে ভোজ।
মোদের পাশে প্রতিবেশী
নিদ হারা যে আছে
ঈদের দিনে সবাই তারে
টেনে নেব কাছে।