মা যে আমার
মাসুম বিল্লাহ
মা যে আমার এক পৃথিবী
দুই নয়নের আলো
মাকে ছাড়া আমার জীবন
মেঘে ঢাকা কালো।
মা যে আমার সবুজ জমিন
ভালো বাসার নদী
স্নহ সুধার শীতলধারা
বইছে নিরবধি।
মা যে আমার জীবন মাঝে
কান্না হাসি গান
মাকে আমার ভালো রেখো
ওগো রহমান।
একটি ছড়ার জন্য
ফরিদ আহমদ ফরাজী
এমন একটি ছড়া লিখে দিন
যে ছড়াটি খোকন সোনা
পড়বে রাত-দিন।
যে ছড়াতে থাকবে স্বদেশপ্রীতি
রাসূল প্রেম থাকবে খোদাভীতি।
ফুল-ফসল আর স্বদেশ প্রেমের গান
সে ছড়াতে থাকে যেন পাখির কলতান।
ও কবি ভাই একটি ছড়া দাও
যে ছড়াতে থাকবে পালের নাও।
গগন চূড়ায় মেঘের ভেলা
নদীর তীরে কাশের মেলা
এ ছড়াটি পড়ে আমার
কাটবে সারা বেলা।
ঘুম
সাহেদুজ্জামান সাকিব
ঘুম তোমাকে এবার আমি
করাই হুঁশিয়ার
পড়ালেখার সময় তুমি
আসবে নাকো আর।
যখন আমি অবসর থাকি
পাই না তোমার খোঁজ
আমি যখন পড়তে বসি
তুমি আসো রোজ।
তুমি আমার পড়ার সময়
আসবে নাকো আর
পড়ার সময় পেলে তোমায়
করবো তিরস্কার।
তুমি আমার রাতের সাথী
আসবে গভীর রাতে
চলে যাবে আবার তুমি
ভোর ফজরের প্রাতে।
বাল্যস্মৃতি
মনে পড়ে হায়, সে সময়ের কথা
যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই বাল্যবেলা
সময়ের দড়িখান যদি কেটে দিতে পারতাম
তবে বুঝি চিরকাল সেই বালকই থাকতাম।
গোল্লাছুট, হা ডু ডু আরও কত কি খেলতাম
চুরি করা সুপারির টাকায় সাইকেল দৌড়াতাম
দিন শেষে হায় বাসা ফিরতাম
মায়ের বকুনি খেয়ে বই নিয়ে বসতাম
শপথ করিয়ে মা খাওয়ার অনুমতি পেতাম।
রাত শেষে সকাল হয়,শপথখানি হারিয়ে যায়
সারাদিন হিন্দুমেলায় ঘুরে ফিরে চষতাম
সুযোগ ফেলেই দুইএকখান জিনিস সরিয়ে ফেলতাম
মেলা থেকে ফিরে এসে বড়াই করতাম
যে যা এনেছি ভাগ করে নিতাম।
মক্তবের হুজুর ছিলেন বেজাই কড়া
নামাযে না দেখিলে বেত মারিত মেলা
সাধে কি আর ভাই নামাযে দাড়াই
হুজুরের সেই মার এখনও ভুলি নাই।
আজ কতবছর পর গ্রামে আসলাম
মক্তবখানাকান আজো আছে সেরকম
সবুজ গ্রামখানি সবুজই আছে
জোয়ারে খালখানি এখনও ভাসে
গাছে ভরা সুপারি এখনও আছে
নিষ্টুর সময় ঘড়ি মুচমুচিয়ে হাসে
স্মৃতিগুলো এখন শুধু স্বপ্ন হয়ে ভাসে।