গাঁয়ের নাম মনপুরা- না বনপুরা সে কথা এখন আর ঠিক মনে নেই। তবে সে গাঁয়ের বদি বুড়োর কথা ঠিক মনে আছে। শুধু মানুষটাকেই নয়, তার মুখ থেকে শোনা রহস্যময় সেই গল্পটাও হুবহু এখনো মনের পর্দায় ভাসে। আজ থেকে অনেক বছর আগে, ছোট কাকার শশুরবাড়ি গিয়েছিলাম বেড়াতে। তখন আমি হাইস্কুলের ছাত্র ঢাকাতেই পড়ালেখা করি। কাকার শশুরবাড়িটা গড়াই নদীর ভাটিতে- সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছবির মতো একটি গ্রাম। গ্রামের মধ্যে এলোমেলো কোন পথ নেই। ঢাকার বনানী গুলশানের মতো।
দেবদারু, নারকেল, জারুল ও খেজুর গাছের সারি রাস্তার দুই পাশ দিয়ে। তার মধ্যে সাজানো ঘরবাড়ি। গল্পে গল্পে দু’পা হাঁটলেই নদী। সব দেখে-শুনে এতো ভালো লাগলো যে, সাতদিন গত হওয়ার পরও মনে হচ্ছিল আরো দুটো দিন থেকে যাই। কিন্তু নতুন আত্মীয় বাড়ি, লোকলজ্জা বলেও তো একটা কথা আছে! সে যাই হোক- সেখানে যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছিলেন, তিনি হলেন বদরউদ্দিন সাহেব। যাকে সবাই বদি বুড়ো বলে থাকে। একেবারেই বৃদ্ধ; কিন্তু তাঁর শিশুর মতো সরল প্রাণ আর মন কেড়ে নেয়া কথা বলার ভঙ্গি আমাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো এক মায়াবী জগতে।
গ্রামের মধ্যে বদরউদ্দিন সাহেবের সুন্দর একটা তিনতলা বাড়ি। আমি প্রায়ই যেতাম সেখানে। বৈঠকখানায় বসে আমরা গল্প করতাম। একদিন পশ্চিমা দেশগুলোর গল্প বলতে বলতে কেমন আনমনা হয়ে গেলেন তিনি এবং বললেন, অকৃত্রিম ভালোবাসার ছোঁয়ায় পাথরের পুতুলও কথা বলে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, তাই কি কখনো হয়? এসব কথার কথা। তিনি হাসলেন; বললেন- পৃথিবীতে কতো কিছু ঘটে চলেছে, সবাই কি তার খোঁজ রাখে? এমন অনেক গল্প আছে, যা- রূপকথার মতো শোনায়। আবার অনেক রূপকথা শুধুই রূপকথা নয়। আমি পাথরের পুতুলকে হাঁটতে দেখেছি, কথা বলতেও শুনেছি। এ আমার জীবনের অনেক বড় বিস্ময়।
বদরউদ্দিন সাহেবের কথা শুনে আমি তো অবাক। বললাম, শুনেছি মানুষের তৈরি রোবট নাকি মানুষের মতো কথা বলে, হাঁটা-চলা করে। হয়তো সেটাও একটা রোবট ছিলো। দেখতে পাথরের মতো। তিনি বললেন, তুমি যা ভাবছো তা নয়। পাথরের সেই পুতুলটা আমি নেড়েচেড়েও দেখেছি। প্রতিদিন দেখেছি।
কোথায় দেখেছেন?
পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ তীরে আরব উপদ্বীপে আমার মালিকের বাসায়।
তা’হলে সেটা কি জাদুর পুতুল?
তা হবে কেন !
আপনি কি দীর্ঘদিন সেখানে ছিলেন?
হ্যাঁ, অনেকদিন আগে স্টিমারে চড়ে আমি আরব দেশে যাই। চাকরির সুবাদে অনেক বিদেশীর সাথেই সুন্দর সম্পর্র্ক গড়ে ওঠে আমার। আরব দেশগুলোতে অনেক ঘুরেছি আমি। আমার সততায় মুগ্ধ হয়ে একদিন ইস্্মাইল নামে এক শেখ আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। মনোমুগ্ধ এক বিশাল বাড়ির মালিক তিনি। মালিকের দু’টি ছেলেমেয়ে। তাদের শাদি হয়ে গেছে। দু’জনের দু’টি বাড়িও আছে। মালিকের স্ত্রী মারা গেছেন। বাড়িতে তিনটি কাজের লোক, আমাকে নিয়ে চারজন। মালিক কাজের লোকদের পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন আমার ওপর। এ কাজ ছাড়াও মালিকের আরো দুটো কাজ আমাকেই করতে হতো। একটা- মালিকের পছন্দ মতো রান্না করা। আর একটি পুতুল পরিষ্কার করা। তিনতলায় বিশেষ একটি ঘরে মালিক থাকেন। ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজানো। ঘরের একপাশে কালো পাথরের গোল একটা বেদির ওপর দাঁড়িয়ে আছে শ্বেতপাথরের একটা নারী মূূর্তি। তার পরনে সাদা নেটের ঘাগড়া। মাথার ওপর হলুদ রঙের ওড়না। মূর্তির ঘাড়টা একটু বাঁকানো। তার চোখের দিকে তাকালে মনে হয় পুতুলটা একেবারেই জীবন্ত। কিছু একটা বলার জন্য সে লাজুক চোখে চেয়ে আছে।
এই ঘরটাতে মালিক কাউকে ঢুকতে দেন না। শুধু আমি প্রতিদিন সারা ঘরখানা একবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করি। মালিক বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন দেশে ব্যবসার কাজে ঘুরে বেড়ান। তখন সেই ঘরের চাবি থাকতো আমার কাছে। আমরা যারা কর্মচারী তাদের জন্য নিচের ঘরগুলোতে থাকার ব্যবস্থা ছিলো। দোতলায় অনেক ঘর। সেগুলো মালিক ব্যবহার করতেন। বাড়ির ছাদটা ছিলো চমৎকার।
আমি বিরক্ত হয়ে বদিউল সাহেবকে বললাম, আপনি পুতুলের কথা বলেন। তিনি বললেন, সে কথাই তো বলছি। তো একদিন গভীর রাতে ছাদের ওপর মালিকের হাসির শব্দ শুনতে পেলাম। ভাবলাম সাহেব কি একাই আছে- নাকি সঙ্গে কেউ আছে। বাড়িতে তেমন কোনো মেহমান এলে আমিই তো আগে জানবো। আবার মনে হলো, সাহেব কি পাগল হয়ে গেলেন। আবার ভাবলাম- হয়তো পুরনো কোনো হাসির কথা তার মনে পড়েছে। আমি চুপচাপই থাকলাম। সকালে নাশতার টেবিলে তাকে বললাম, মালিক আপনার শরীর ভালো আছে তো? মালিক আমার দিকে চেয়ে থেকে বললেন, বদি আমাকে কি অন্য রকম লাগছে? আমি আর কিছু না বলে চেপে গেলাম রাতের কথা।
পরদিন ঘাপটি মেরে থাকলাম। তখন বেশ রাত। মালিকের ঘরের দরজা খুলে গেলো। আর সেই পাথরের পুতুল মালিকের সঙ্গে হাসতে হাসতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলো উপরে। পুতুলটা যত বড় ছিলো- তার চেয়ে মেয়েটি বেশ বড়। ঐ পুতুলের গায়ের পোশাকটাই ছিলো মেয়েটির শরীরে। আমি চুপিচুপি এগিয়ে মালিকের ঘরের মধ্যে উঁকি দিলাম। অবাক কান্ড! সেই বেদির ওপর পাথরের পুতুলটি নেই।
এই অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখার পর থেকে পুতুলটা জীবন্ত দেখার আশায় আমি রাত জেগে অপেক্ষা করি। মালিক দেশের বাইরে চলে গেলে, আমি আগের মতো পুতুলটাকে আর পুতুল ভাবতে পারি না। কেমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাই- আবার ভয়ও করে। তবু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ আমাকেই করতে হয়। তবে পুতুলের রহস্যটা জানার জন্য আমি কেমন ক্ষেপে উঠলাম। কিন্তু কিভাবে জানবো?
একদিন ডিনারের পর কথার ছলে মালিককে বললাম, মালিক একটা কথা বলতে চাই। কথাটা না জানা পর্যন্ত আমি স্বস্তি পাচ্ছি না। মালিক আমার দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে থেকে মৃদু হাসলেন। বললেন, আমি বুঝতে পেরেছিÑ তুমি কী জানতে চাও। কিন্তু সে কথা তো বলার নয়। আমি দু’দিন মন ভার করে থেকে একদিন বললাম, মালিক আমি দেশে চলে যাবো।
কেন? কোনো অসুবিধা?
না। এমনিতেই। বিদেশে আর ভালো লাগছে না।
মালিক মৃদু হেসে বললেন, কিন্তু একজন বিশ্বস্ত লোক না পাওয়া পর্যন্ত তুমি তো যেতে পারবে না। তারপর প্রায় এক মাস কেটে গেলো। লোক খোঁজার ব্যাপারে মালিকের কোনো আগ্রহই আমি দেখলাম না। আমি নিয়মিত আমার কাজগুলো করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বেতন ছাড়াই মালিক আমাকে অনেক টাকা দিয়েছেন। আমি টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বদি আমি এতো টাকা কী করবো? তোমার বাড়িতে টাকার প্রয়োজন হলে আমাকে বলো।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল। একদিন মালিকের ঘরটা খুলেছি মাত্র, দেখিÑ শ্বেতপাথরের মূর্তিটা সেই কালো বেদিটার ওপর নেই। আমি তো চমকে উঠলাম। ভাবলাম মূর্তিটা কি চুরি হয়ে গেলো! তখন মালিকও বাড়িতে নেই, ব্যবসার কাজে দেশের বাইরে গেছেন। আমি জানি এই মূর্তিটাই হলো মালিকের ধ্যান ও জ্ঞান। এটার জন্য মালিক তার সব সম্পদ বিলিয়েও দিতে পারেন। কিন্তু মূর্তিটাকে তিনি হাত ছাড়া করতে রাজি নন। তখন আমার মাথায় কিছুই আসছে না। হঠাৎ কানে এলো- বদি চিন্তা করো না, আমি এ ঘরেই আছি। তুমি এখন যাও। আমি অবাক হওয়ার বদলে ঘাম দিয়ে যেনো আমার জ্বর ছাড়লা।
দুই ঘন্টা পর আবার দরজা খুললাম। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে চোখ চলে গেলো বেদির দিকে। আর তখনই সারা শরীর জুড়ে কেউ যেনো শান্তির পরশ বুলিয়ে দিলো। মূর্তিটা আগের মতো একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে আর বাকি থাকলো না যে- এ কথাগুলো মূর্তিটাই আমাকে বলেছে। আমি অদৃশ্য সেই আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আরো যতœ সহকারে মূর্তিটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নœ করলাম। মনের মধ্যে যে কথাটি ছিলো- সেটা মনের অজান্তেই মুখে চলে এলো।
আমি তোমার সব ইতিহাস জানতে চাই। এমন অভূতপূর্ব কান্ড এ-যে ভাবাই যায় না।
তোমার মালিককে বলো, সেই বলবে।
তারপর একদিন নানান কথার মধ্যে আবার মালিককে মূর্তির কথাটা বললাম। মালিক কোনো উত্তর করলেন না। হঠাৎ একদিন রাতের খাওয়া শেষ হলে মালিক বললেন, বদি একবার ছাদে এসো। আমি বুঝলাম, আমার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আমি ওপরে গেলাম। নিঝুম পরিবেশ। আলো ঝলমল শহরের বিচ্ছুরিত আলোয় বাড়ির ছাদে অপরূপ এক মায়ার আবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মালিক ধীরে ধীরে শুরু করলেন রহস্যময় সেই মূর্তির গল্প।
তিনি বললেন, প্রায় এক যুগ আগে প্যারিস শহরের দোকানগুলোতে আমি আর আমার স্ত্রী ঘুরছিলাম। অনেক কেনাকাটা করলাম। একটা বড় দোকানে দেখলাম, ঘর সাজাবার মতো বড় বড় পুতুল ছাড়াও নানান রকম সামগ্রীতে ঠাসা। কাঠ, পাথর, পিতল, রূপা আরও অনেক ধাতুর তৈরি পুতুল সেখানে। আমার স্ত্রী বললো, শ্বেতপাথরের মূর্তিগুলো সত্যি চমৎকার। আমি বললাম, আমাদের তো ছোট ছেলেমেয়ে নেই, পুতুল নিয়ে কী হবে? দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার স্ত্রী বললো, শ্বেতপাথরের একটা মূর্তি নিলে মন্দ হয় না। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমাদের ঘরে বেশ মানাবে। আমি আবার সেই দোকানে গিয়ে পুতুলটা নিলাম। বাড়িতে আসার পর দেখলাম, পুতুলটার প্রতি আমার স্ত্রীর মায়ার যেনো অন্ত নেই। ঠিক এক সপ্তাহ পর সে নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে যাচ্ছিল তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। গাড়িটা খুব স্পিডে চালাচ্ছিলো সে। হঠাৎ এক্সিডেন্ট। ব্যাস- সব শেষ। স্ত্রীকে কবর দিয়ে শূন্য ঘরে ফিরে এলাম।
বেশ কিছুদিন পর মনটা একটু শান্ত হলে পুতুলটার প্রতি আমারও কেমন মায়া হতে লাগলো। কেননা আমার স্ত্রী অনেক পছন্দ করে পুতুল মূর্তিটা কিনেছিলো। এসব কথা ভেবেই আমি নিজের হাতে সেটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতাম। হঠাৎ এক রাতে আমার স্ত্রীর কণ্ঠ আমার কানে এলো। সে বলছে তুমি আমার পুতুলটাকে খুব যতœ করো দেখে আমি আর দূরে থাকতে পারলাম না। আর একটা কথা; হোটেলের খাবার না খেয়ে ভালো একজন বাবুর্চি রেখে নাও। কথাটা শোনার পর আমি পাগলের মতো সারা বাড়িটায় তাকে খুঁজলাম, কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পেলাম না। শেষে আমার ঘরে বসে তাকে উদ্দেশ করে বললাম, তুমি কোথায়? উত্তর এলো, আমি তোমার সামনেই আছি। এখন থেকে এখানেই থাকবো।
সামনে মানে কোথায়? যদি সত্যি এখানেই থেকে থাকো তাহলে দেখা দাও। না হলে আমি পাগল হয়ে যাবো।
এতো অস্থির হয়ো না- আমি এই পুতুলটার মধ্যেই আছি।
তুমি আমার সামনে এসো।
হঠাৎ আমার চোখের সামনেই মূর্তিটা নড়ে উঠলো। তারপর সোজা হয়ে বেদি থেকে নেমে এলো আমার দিকে। আমি সত্য-মিথ্যার ঊর্ধ্বে আর একটি জগতে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম। যেখানে ভাবনার কোনো দিক থাকে না, শুধুই এক ঘোরের মধ্যে নিজেকে সঁপে দেয়া। দীর্ঘদিন পর আমি আমার স্ত্রীকে দেখলাম। সে আমাকে ডেকে নিয়ে গেলো খোলা ছাদে পূর্ণিমার জোছ্্নালোকে। সে কেবল মায়া … শুধুই মায়া।
বদরউদ্দিন সাহেবের গল্প ক্রমশ আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল জানা-অজানা এক ঘূর্ণিপাকের গভীরে। তিনি হঠাৎ থেমে গেলেন। আমি ব্যাকুল হয়ে বললাম, তারপর কী হলো? তিনি বললেন, তারপর আমি যেনো এক অন্য মানুষ হয়ে গেলাম। একদিন মালিককে বললাম, দয়া করে আমাকে ছুটি দিয়ে দিন। আমি আমার দেশে চলে যাবো। তিনি আবারও অনেক টাকা দিয়ে বললেন, টাকাগুলো বাড়িতে পাঠিয়ে দাও। আর এ দেশেই তুমি একটা শাদি করে নাও। এই বাড়িতেই তুমি থাকবে। আমি মারা গেলে সবই তোমার ছেলেরা পাবে।
তারপর?
তারপর আমি সে দেশেই শাদি করলাম। মালিকের কথা অমান্য করতে পারলাম না। আমার দু’টি ছেলে হলো। মালিক মারা যাওয়ার পূর্বে আমার ছেলেমেয়েদের নামে সব সম্পত্তি তিনি উইল করে গেলেন।
তারপর?
তারপর একদিন আমিও বৃদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন আমার ছেলেরাও বড় হয়ে গেছে। একদিন ওদের বললাম, তোমরা তো এখন বড় হয়েছো। তোমার দাদুর মতো আমিও কখন মারা যাই তার ঠিক নেই। আমার জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্য মনটা কেমন ছট্্ফট করছে। আমি আমার দেশে চলে যাবো। তখন আমার স্ত্রী বললো, আমাকেও সঙ্গে নিয়ে চলো। ছেলেরা বললো, মা- তুমি চলে গেলে আমরা কার কাছে থাকবো। তা ছাড়া বাবার মাতৃভূমি বাংলাদেশ- আমরা তো এদেশেই জন্মেছি। বাবা যাবে আবার ফিরে আসবে।
আপনি কি সে দেশে আবার গিয়েছিলেন?
বদরউদ্দিন সাহেব কেমন উদাস ভঙ্গিতে বললেন, না- জনভূমি ছেড়ে আমার মন আর সেখানে যেতে চাইলো না। বাংলার মাটিতে চিরনিদ্রা যাবো বলে এখনও প্রহর গুনছি।
আমি পরদিনই ঢাকা চলে এলাম। কতদিন আগের কথা, অথচ এখনো কোনো রূপকথার বই অথবা কোনো গল্প শুনলে আমার মনে পড়ে যায় বদরউদ্দিন সাহেবের কথা। আর সেই রহস্যময় পুতুলের গল্প।
সুন্দর একটা গল্প । পড়ে ভালো লাগলো