নাসার সহকারী বাংলাদেশের চার বিজ্ঞানী- অভি হাসান, আবির আহসান, লিজন হোসাইন, নুসরাত জাহান-চারজনের নাম তখন সারা পৃথিবীর সবার মুখে মুখে বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে তারা ‘সৌর থিওরি’ নামে সূর্য সম্পর্কে একটি থিওরি বিশ্বের সম্মুখে প্রকাশ করে। এতে তারা প্রমাণ করে যে, একসময় সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
চার বিজ্ঞানীর সাঙ্কেতিক নাম- FORCR OF TRUTH. তারা মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী আল কুরআনের আলোকে তাদের গবেষণা করে। FORCR OF TRUTH এবারও একটা সম্মেলন ডেকেছে। এত তারা নতুন একটি থিওরি প্রদান করবে। থিওরিটির নাম- ডিম আগে নাকি মুরগি আগে।” থিওরির শিরোনামটা খুবই সাধারণ। কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তা আছে। কেউ বলে ডিম আগে কেউ বলে মুরগি আগে। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ এখনো কোন সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এ বিষয়টি নিয়ে তর্ক করে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব বাড়ে।
মানুষ বিস্ময়ে উচ্চতর গবেষণা শুরু করে। অবশেষে তারা তাদের গবেষণায় সফলতা লাভ করে।
থিওরির শিরোনাম শুনে অনেকেই আসতে চায়নি। কিন্তু তারা এটাও ভেবেছে যে আগের থিওরির মতো এবারের থিওরিও নিশ্চয়ই যুগান্তকারী হবে। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সবাই এসেছে।
সারা পৃথিবীর চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশের সেরা চার বিজ্ঞানীর নতুন থিওরি আজ উন্মোচিত হবে।
বাংলাদেশের নাসা মৈত্রী ভবন। উপস্থিত অছেন নাসা প্রধান, নাসার সহকারী, নানা পদে উপবিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন দেশের সেরা সেরা বিজ্ঞানী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং নানান দেশের নানান লোক। আরও উপস্থিত আছেন সকল দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র।
বাংলাদেশের চার বিজ্ঞানী তাদের আসন গ্রহণ করলেন। সবার মাঝেই চাপা উত্তেজনা। হলরুমে মৃদু গুঞ্জন। গবেষণা প্রধান অভি হাসান শুরু করল।
আজকে আমরা বিশ্বের সামনে যে বিষয়টি উন্মোচন করব তা হলো ডিম আগে নাকি মুরগি আগে। বিষয়টি খুবই সাধারণ। আপাতদৃষ্টিতে এটাই মনে হয়। কিন্তু আমরা বলছি, বিষয়টি বিশ্বের অন্যান্য জটিল সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম। কারণ, আজ পর্যন্ত এ বিষয়টির কোন সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মানুষ প্রথমে তর্ক শুরু করে, আস্তে আস্তে কথা কাটাকাটির মাধ্যমে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। মানুষে মানুষে তখন হাতাহাতি মারামারি সৃষ্টি হয়। একের প্রতি অন্যের অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। মানুষে মানুষে বিশ্বাস ও সম্প্রীতি বজায় রখার উদ্দেশ্যেই আমরা এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করি। এবং আমরা সফলও হই।
এবার কথা বলল আবির আহসান।
আমরা ডিম ও মুরগি নিয়ে গবেষণা শুরু করি। ডিমের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে আমরা মুরগির সম্পর্কে খোঁজা শুরু করি। গবেষণায় পাই যে, ডিম নয়, মুরগিই আগে পৃথিবীতে এসেছে।
হলরুমে গুঞ্জন শুরু হলো। বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, “কিভাবে?” ব্যাখ্যা করল লিজন।
আমরা ডিমের গঠনপ্রক্রিয়ার ওপর সুপার কম্পিউটার জুম করি। এতে আমরা ডিমে ওভোক্লেডিডিন-১৭ (ড়প-১৭) নামের এক ধরনের প্রোটিন পাই। এই প্রোটিন ছাড়া ডিমের গঠন অসম্ভব। ওসি-১৭ প্রোটিন ডিমের খোসা তৈরি হতে সাহায্য করে। কুসুমের বৃদ্ধি ও নতুন মুরগির সৃষ্টি হতে এ খোসা ও ফ্লুইড খুবই অপরিহার্য। ডিমের গঠনের জন্য ওসি-১৭ নামক প্রোটিন আবশ্যক।
একমাত্র মুরগির শরীরের ভেতরে থাকলেই এ প্রোটিন তৈরি হওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিকভাবে এটি তৈরি হতে পারে না। এ প্রোটিন ক্যালসিয়াম কার্বোনেটকে ক্যালসাইট ক্রিস্টালে পরিণত করে যা ডিমের শক্ত খোলসের গঠন তৈরি করে।
এবার নুসরাত বলার চান্স পেল।
ওসি-১৭ প্রোটিন মুরগির দেহের ভেতরে সৃষ্টি হয় এবং সেখানেই ডিমের গঠনপ্রক্রিয়া শুরু হয়। ডিমের কুসুম হলো সবচেয়ে বড় নিউক্লিয়স। এর মাঝেও উক্ত প্রোটিন থাকে। কুসুম হতে বাচ্চা তৈরিতে এ প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রোটিন ছাড়া ডিম হতে মুরগির বাচ্চা সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।
ডিমের অস্তিত্ব মুরগির দেহের ভেতরেই থাকতে পারে। তাই মুরগির আগে পৃথিবীতে ডিম সৃষ্টি হতে পারে না। মুরগি পৃথিবীতে আগে এসেছে।
একজন সাংবাদিক দাঁড়িয়ে বললেন, “আপনারা আপনাদের ‘সৌর থিওরি’ কুরআনের অনুপ্রেরণায় করেছিলেন, এটার ক্ষেত্রেও কি তাই ঘটেছে?”
হ্যাঁ। এটাও আমরা আল কুরআন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে করেছি। মহান আল্লাহ তা’আলা আল কুরআনে বলেছেন, “আমি প্রত্যেক প্রাণী জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।”
উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন প্রাণীর কথা। এখানে বস্তুর কথা বলা হয়নি। মুরগিও একটি প্রাণী। তাই ডিমের আগে মুরগিই সৃষ্টি হয়েছে।
সত্যিই, আল কুরআন হলো জ্ঞানের ভান্ডার। মানুষ যে জিনিস আজ জানতে পারল, আল কুরআনে তা বহু আগেই দেওয়া আছে। আল-কুরআনের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ অজানা অনেক রহস্য উন্মোচন করতে পারে। আসলে কুরআন নাজিল হয়েছে মানবকল্যাণের জন্যই।
এই থিয়োরি উম্মোচনের মাধ্যমে পৃথিবী বাসি আজ গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আমরা আশা করব এই বিজ্ঞানিরা আমাদের আরো জটিল বিষয়ের সমাধান দিবে force of truth কে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুশের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
Superb invention!!! i’m impressed!!!