Home মুখোমুখি সফলতার জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা, মননশীলতা ও সাধনা

সফলতার জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা, মননশীলতা ও সাধনা

বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ# প্রশ্ন : স্যার, একজন সাবেক বিচারপতি হিসেবে আপনি কি মনে করেন আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা আরো গতিশীল হওয়া উচিত?
মো: মাহমুদুল হাছান
সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী
উত্তর : অবশ্যই। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারপ্রক্রিয়া যথাসময়েই শেষ হওয়া উচিত। তবে ‘ইনসাফের’ নামে তাড়াহুড়া করে ‘সাফ’ করা অন্যায় হবে। বিচারককে অবশ্যই বিজ্ঞ হতে হবে। জাগতিক সকল প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে, বিবেকের দায়বদ্ধতা মনে রেখেই বিচার করতে হবে। বিচার শুধু আইনের দোহাই দিয়ে করলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয় এবং সাথে সাথে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মনে অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে যে ন্যায়বিচার হয়েছে। অন্যথায় সমাজ সংশোধনে উহা কোন সুফল বয়ে আনবে না। বর্তমান বিশ্বেও, এমনকি তথাকথিত সভ্য দেশেও, বড় বড় বিচারকাজ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হচ্ছে না। আমাদের দেশেও সাধারণ মানুষের ধ্যানধারণা অনেকটা ঐ রকমই। এই দিকটি মনে রেখেই বিচারব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
প্রশ্ন : বিচারপতি হওয়া কি খুব কঠিন আর কখনো বিচার করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন?
মো: মমিনুর রহমান (সাকিব)
চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়
উত্তর : বিচারপতি হওয়া খুব কঠিন নয়, তবে ন্যায়বিচার করাটাই সুকঠিন। ভাগ্যে  লেখা থাকলে একভাবে না একভাবে সুযোগটা আসবেই। এর জন্য প্রচেষ্টাও থাকতে হবে। অবশ্য ইদানীং উকিলদের মধ্যে শোনা যায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েও নাকি বিচারক হওয়া যায়। সত্যিকার অর্থে ন্যায়বিচার করতে সবসময়ই হিমশিম খেতে হয়। বিবেকবান বিচারক সর্বদাই বিচারের স্বার্থে নিজ বিবেকের চাপে থাকেন। আমাকে, বিচারক জীবনে, অসংখ্যবার ঐরূপ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যখন সাক্ষী-সাবুদ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির প্রেক্ষাপটে বিচারকের নিকট সিদ্ধান্তটা উভয় দিকেই নেয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন যত প্রজ্ঞাবান বিচারকই থাকুন না কেন তিনি ভীষণ সঙ্কটে পড়ে যান। সেই মুহূর্তে আল্লাহ আল্লাহ করা ছাড়া উপায় থাকে না। ঐরূপ পরিস্থিতিতে ইয়া হাদিউ, ইয়া হাদিউ বলে আল্লাহকে স্মরণ করতাম। যেন সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ্ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমার মনকে স্থির করে দেন। আমি প্রায় ক্ষেত্রেই আল্লাহ্তায়ালার নিকট থেকে তেমনি সাহায্যও পেয়েছি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার ছোঁয়া কতটুকু পেয়েছি?
মো: আবু বকর সিদ্দিক
রতনপুর গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তর : কিছুই পাইনি সে কথা বলা ঠিক হবে না। অবশ্যই কিছুটা পেয়েছি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবেই পৃথিবীর বুকে পরিচিত হচ্ছি। হ্যাঁ, তবে দেশের ভেতরে প্রায় সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বোধের অভাব হেতু যে আশা নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তার খুব কমই আজ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। তাই বলে ভবিষ্যতে তা কখনই পূরণ হবে না এমনটা ভাবা ঠিক নয়। ছোট দেশ। এতগুলো লোক গাদাগাদি করে বাস করছি। ঝগড়া-ঝাঁটি যা কিছুই করি না কেন আমাদেরকে মিলেমিশে এখানেই থাকতে হবে।
প্রশ্ন : ছোটবেলায় কেমন দুষ্টুমি করতেন? কী হওয়ার ইচ্ছা ছিল ছোটবেলায়?
আহমেদ উল্লাহ রিফাত
গুণবতী ডিগ্রি কলেজ, কুমিল্লা
উত্তর : ছোটবেলায় দুষ্টুমি করিনি এমনটা অবশ্য হলফ করে বলতে পারব না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে শৈশব কেটেছে। কাজেই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দুই দলে বিভক্ত হয়ে প্রায়ই যুদ্ধ যুদ্ধ যে খেলেছি তা স্পষ্ট মনে পড়ে। তাতে আঘাত খেয়েছি ও দিয়েছি। তবে আত্মঘাতী কোনো কর্মকান্ড করিনি। আর ছোটবেলার দুষ্টুমিটা মানুষের ¯্রষ্টাপ্রদত্ত সহজাত মানবিক গুণ। এটাকে সর্বদা খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা ঠিক নয়।
কী হওয়ার ইচ্ছে ছিল সেটাও স্বচ্ছভাবে মনে পড়ে না। তবে বড় বোনদের কাছে শুনেছি মাঝে মধ্যেই খড়ের পুঞ্জির ওপর দাঁড়িয়ে সাথীদেরকে শ্রোতা বানিয়ে বিভিন্ন ভাষায় অবোধ্য বক্তৃতা দেয়ার চেষ্টা নাকি করতাম। নেতা-নেত্রীর ভাবও দেখাতাম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাবস্থায়ই ইংরেজ হটাও আন্দোলনে অংশ নিই। ময়মনসিংহ শহর সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কোর্ট-কাচারির পাশে বেড়াতে যেতে যেতে উকিল সাহেবদের পোশাক পরিচ্ছদ, হাঁটা-চলার পরিচ্ছন্নতা ও গাম্ভীর্র্যপূর্ণ ভাব দেখে বড় হয়ে উকিল হওয়ার বাসনাও যে জাগেনি তা নয়। ঢাকায় উকালতি পড়ার সময় ভাবতাম উকালতি করলে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টেই করব। জীবনে সরকারি চাকরি করব না বলে পণ করেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের লেখা কী করে উতরানো যায়। ১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে বিচারপতি পদ গ্রহণ করতে হয়েছিল। ২০ বছরের উকালতি জীবনে কোথাও নির্বাচনে যাইনি। কিন্তু বিচারপতি জীবনের ৯ বছরের মাথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে হলো। সবই আল্লাহ্র ইচ্ছায়।
প্রশ্ন : একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজের ভূমিকা কী? দেশের তরুণ সমাজের এমন নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী কারা এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ কী?
মো: সাদ্দাম হোসেন
পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট
মো: আখতার হোসেন আজাদ
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তর : চরিত্রবান যুবসমাজই জাতির সম্পদ ও ভবিষ্যৎ। তাদের ছাড়া সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে, বর্তমান সময়টা তাদের জন্য এক নাজুক পরিবেশ বহন করে চলেছে। অপসংস্কৃতি ও মাদক তাদেরকে ঘিরে ধরেছে। উত্তরোত্তর এর অশুভ প্রভাব যুবক-যুবতীদের ওপর অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। বিবেকবান নাগরিকরা এ নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিত। যেকোনো মূল্যে তাদেরকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে উত্তম চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে তারা অতি দ্রুতগতিতে ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে সিক্ত নৈতিক চরিত্র গঠনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
প্রশ্ন: ছোটবেলায় কী ধরনের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন?
সাইফুদ্দিন আহমেদ
যাদুচর, হেমায়েতপুর সাভার, ঢাকা
উত্তর : ছোটবেলায় প্রথম দেখেছি ভারতবর্ষ ও বঙ্গদেশ। পরে পূর্ব বাংলা। তারপর পূর্ব পাকিস্তান। যখন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেলাম তখন আমি ৩৭ বছরের যুবক। ছোটবেলা থেকেই এদেশকে ‘সোনার বাংলা’ বলেই ডেকেছি ও গড়তে চেয়েছি। আজও তাই ভাবি। তবে সময়ের বিবর্তনে এখন অনেকটা আশাহত। পরম করুণাময় ¯্রষ্টা আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমিকে মনমত গড়ে তোলার জন্য সকল বাংলাদেশীর মনকে সবল ও সক্রিয় করে দেবেন এটাই কামনা।
প্রশ্ন : ছাত্রদের জন্য আপনার উপদেশ কী? দেশ ও জাতি গঠনে আমরা কিভাবে
অংশ নিতে পারি?
এস.এম.শাহীন
টিবি ক্রস রোড, খুলনা
উত্তর : ছাত্রদের একমাত্র কাজই হচ্ছে জ্ঞানার্জনে নিজেদেরকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রাখা। লেখাপড়া ছাড়া অন্য কোনো দিকেই মন দেয়া ঠিক নয়। নাগরিকদের জ্ঞানের সমৃদ্ধি লাভই জাতীয় সমৃদ্ধির মাপকাঠি। দেশটাকে গড়তে হলে সবার আগে নিজেকে জ্ঞানে, গুণে, কর্মে ও চেতনায় গড়তে হবে।
প্রশ্ন: কিভাবে সেরাদের সেরা হওয়া যায়?
আমেনা আক্তার বিথী
মেদী আশুলাই উচ্চবিদ্যালয়
রাকিবুল হাসান
গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
উত্তর : সেরাদের সেরা হওয়ার প্রক্রিয়া হলো একটাই, নিজেকে সেভাবে গড়বার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। সঙ্কল্পের দৃঢ়তা, কর্মে অটল, মেধা বিকাশের প্রচেষ্টা, চারিত্রিক মাধুর্যতা ঐরূপ গড়ার পথকে মসৃণ ও সহজ করে দেয়। এ বিশ্বাস রেখেই এগোতে হয়। বাকিটা আল্লাহ্র রহমত।
প্রশ্ন : আপনার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা বলুন।
মো: আবু নাঈম
হাড়িভাসা, পঞ্চগড়
উত্তর : তদানীন্তন ঢাকা হাইকোর্টে আমার উকালতি জীবনের প্রথম মামলাটি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম মাননীয় প্রধান বিচারপতির কোর্টে। খুব খেটেখুটেই কেইসটা তৈরি করেছিলাম। ৪-৫ দিন ধরে রিহার্সেল দিয়ে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি। কিভাবে দাঁড়াব, কোর্টকে সম্বোধন করব, মামলাটি উপস্থাপন করব ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্নভাবে চিন্তা করি। সকাল থেকেই কোর্টে বসে বারবার নথি দেখে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মুখস্থ করে ফেলি। কিন্তু যেই কোর্ট আমার কেইসটি ধরেন সেই মুহূর্তে আমি এমন ভিতু হয়ে যাই যে আমার হাত-পা সবই ভীষণভাবে কাঁপতে থাকে। প্রায় দাঁড়াতেই পারছিলাম না। কোনভাবে একহাতে টেবিল ধরে দাঁড়াই। মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছে না। পাশে থাকা সিনিয়ররা সাহস দেয়ার চেষ্টা করছেন। মনে হয় আমাকে বোবায় পেয়ে বসেছে। চেষ্টা করে কোন শব্দই করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ আমার রিট পিটিশন পড়ে তিনি নিজেই আমার পক্ষে আরগুমেন্ট করে রুল নিশি ইস্যু করে দেন। সেদিন যদি রুল না পেতাম তাহলে জীবনে উকিল হিসেবে দাঁড়াতে পারতাম কি না সন্দেহ ছিল।
প্রশ্ন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবার থেকে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে না। আর এতে করে আমার মত অনেকে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পুড়ছে।
এস.এম.শাহীন
নহাটা, মহম্মদপুর, মাগুরা
উত্তর : প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিতে দ্বিতীয়বার আর একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখাই ভালো বলে মনে করি। স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় ভেঙে পড়লে চলবে না। আল্লাহ্র ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ইনশাআল্লাহ্ আসল মেধার মূল্যায়ন কোন না কোন সময় হবেই। ইচ্ছা থাকলে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই তোমার ইচ্ছা পূরণের মাধ্যম এটা তোমায় কে বললো।
প্রশ্ন : আপনার প্রিয় মানুষ কে এবং কেন?
রফিক, মতলব, চাঁদপুর
উত্তর : আমার প্রিয় মানুষ হজরত নবী করিম (সা:)। তিনি রাহমাতুল্লিল আলামিন, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও মহাপুরুষ। অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় চরিত্রের অধিকারী।
প্রশ্ন : আপনার মত একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কী রকম সাধনা প্রয়োজন?
রাকিবুল হাসান রাব্বি
উত্তর : নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাধনার কোনো বিকল্প নেই। ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’ এই প্রবাদকে সামনে রেখেই অগ্রসর হতে হয়। উকালতি জীবনে এমনও সময় গেছে ৩-৪ দিন আরাম-আয়েশ ঘুমকে পাত্তা দেইনি। শুধু পড়াশুনাতেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। বিচারপতি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেয়ার পূর্বে অনেক বিনিদ্র রজনী পার করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে গড়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা অফিসে থেকেছি।
প্রশ্ন : আপনার মতে একজন ছাত্র হিসেবে আমার দৈনন্দিন রুটিন কী রকম হতে পারে?
ইমরান হাসান মু. শাহরিয়ার
মোহা. আবু সাঈদ বেপারী
বদরপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
উত্তর : সংস্কৃতে একটি প্রবাদ রয়েছে “ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ”। ছাত্রদের তপস্যাই হচ্ছে পড়াশুনা করা। ভালো ছাত্র হতে হলে লেখাপড়ার সাথে সাথে প্রতিদিনের সকল কাজকর্ম রুটিন মাফিক হতে হবে। বিষয় সম্পর্কে লেখাপড়া করার সাথে সাথেই একাগ্রতার সাথে চিন্তাও করতে হয়। তা না হলে বিষয়বস্তু বুঝতে ও মনে গেঁথে রাখতে অসুবিধা হয়। তবে সব সাফল্যের পেছনে একাগ্রতা, মননশীলতা ও সাধনার প্রয়োজন।
প্রশ্ন :  আপনার সফলতার পেছনে অনুপ্রেরণা কে এবং কেন?
মইনুদ্দিন কাউসার
ব্রাহ্মন্ধি, নরসিংদী
উত্তর : আমার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতাই সকল অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তাদের দোয়ার বরকতেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি ও পরম করুণাময় ¯্রষ্টাকে চেনার সুযোগ পেয়েছি। আল্লাহ তাদেরকে বেহেশত নসিব করুন। আমিন।
প্রশ্ন : স্যার আমি একজন বিচারপতি হতে চাই, এর জন্য আমাকে কী করতে হবে?
বাবু রাইয়্যান
মতিঝিল মডেল স্কুল, ঢাকা
উত্তর : প্রথমে আইন সম্পর্কে পড়াশুনা করে ডিগ্রি অর্জন, উদ্দেশ্য সাধনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং সাথে সাথে আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে।

SHARE

Leave a Reply