মো: অভি হাসান #
আজ নাসার সহযোগী বাংলাদেশের চার বিজ্ঞানী বিশ্বের সামনে সূর্য সম্পর্কে এক জটিল থিওরি উন্মোচন করবে। সারা বিশ্বের সকল টিভি চ্যানেল ও সকল সংবাদপত্রের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে।
বাংলাদেশের চার বিজ্ঞানীর সাঙ্কেতিক নাম হলো Force of truth অর্থাৎ সত্যের বল। কুরআন এর আলোকে তারা এই মহাবিশ্বের সকল বিষয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় সফল হলে তারা বিশ্বের সামনে তাদের থিওরি তুলে ধরে। বিজ্ঞানী চারজনের নাম হলো অভি হাসান (কমান্ডার), আবির আহসান (সহকারী), লিজন হোসাইন (সহকারী), নুসরাত জাহান (সহকারী)। অভির পরামর্শে তা সকলে মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করে একেকটা থিওরি দুনিয়ার সামনে উন্মোচন করে।
বাংলাদেশের নাসা মৈত্রী ভবন। সকলের সামনে মঞ্চে বসে আছে বাংলাদেশের সেরা চার বিজ্ঞানী। সকল সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে সামনে উপবিষ্ট। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে Force of truthয কী বলে তা জানার জন্য। অভি হাসান বলতে শুরু করলো।
– সবার আগে মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে শত কোটি শুকরিয়া তিনি আমাদের জ্ঞান দান করেছেন এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের রহস্য উন্মোচন করছি।
আজকে আমরা ‘সৌর থিওরি’ উন্মোচন করব। সৌর থিওরি হলো সূর্য বিষয়ে এমন এক থিওরি যা আগে কেউ জানতে পারেনি। আমরা সেই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি এখন বিশ্বের কাছে বলব। আমাদের তথ্যটি হলো- সূর্য এক সময় নিপ্রভ হয়ে যাবে। এ কথা বলার সাথে সাথে সবার মাঝে গুঞ্জন সৃষ্টি হলো। কেউ এটাকে বিশ্বাস করতে পারল না। কেউ কেউ তো এটাকে পাগলের প্রলাপ হিসেবে ধরে নিলো।
বাংলাদেশের সাহসী এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, কিন্তু আমরা তো জানি, সূর্য দীপ্তিমান। সূর্য ধ্বংস হতে হলে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হবে। কিন্তু সূর্য তো নিষ্প্রভ হতে পারে না।
লিজন ঘটনাটি ব্যাখ্যা করল-
– আমরা আমাদের গবেষণার মাঝে দেখতে পেয়েছি যে, সূর্যে কোন কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। এর শতকরা ৫৫ ভাগ হলো হাইড্রোজেন, ৪৪ ভাগ হিলিয়াম ও ১ ভাগ অন্যান্য গ্যাস। আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় সূর্যে অনবরত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম এবং হিলিয়াম থেকে শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে।
আমাদের এ গবেষণা করতে সময় লেগেছে চার বছরের মতো। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এ কাজে সফল হতে হয়েছে। এবার মুখ খুলল লিজন-
– এবার আসি আসল কথায়। আমাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা সূর্য সম্বন্ধে নানা ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছি, যার কিছুটা আবির একটু আগেই বলল।
আমার কথা হলো, আমাদের গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, সূর্য এক সময় নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
নুসরাত জাহান এবার কথা বলার সুযোগ পেল-
– আবির একটু আগে বলেছে যে, আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় অনবরত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম এবং হিলিয়াম থেকে শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে।
আমরা আমাদের গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, এক সময় এই আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে তবে এটা হঠাৎ করে হবে না। এটা ধীরে ধীরে হবে।
আগে আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশি সচল ছিল। কমতে কমতে এ অবস্থায় পৌঁছেছে। ভবিষ্যতে কমতে কমতে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কোন শক্তি উৎপন্ন হবে না। ফলে সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
এমন সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, আপনারা এ কাজ করার অনুপ্রেরণা পেলেন কোথা থেকে?
অভি হাসান উত্তর করল, মহান আল্লাহ তায়ালার দান পবিত্র কুরআন থেকে। পবিত্র কুরআনের সূরা ‘জুমার’-এর ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেÑ
‘তিনি সুপরিকল্পিতভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। রাত্রি দ্বারা দিনকে আচ্ছাদিত করেছেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেছেন দিন দ্বারা। তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন। যারা আবর্তিত হবে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। সাবধান, তিনি মহাপরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
এ আয়াতে বলা হয়েছে চন্দ্র ও সূর্য আবর্তিত হবে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কাল শেষ হয়ে গেলে আবর্তনও শেষ হবে, সূর্যও নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
এ ছাড়াও সূরা ‘তাকভির’-এ বলা হয়েছে- ‘যখন সূর্য নিষ্প্রভ হবে।’ (তাকভির:১)। এখানেও সূর্য নিষ্প্রভ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা পবিত্র কুরআন মাজিদ পাঠ করে এর তথ্য জানি এবং সেই তথ্য অনুযায়ী গবেষণা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলন এখানেই শেষ করছি।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের একটি অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারল। অথচ আল কুরআনে এটি অনেক আগেই বলে দেয়া হয়েছে।
আল কুরআনের সুপ্ত তথ্য জানতে পারলেই সকল রহস্য সমাধান করা সম্ভব হবে।