বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বাহনে আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে গমনকারীকে সালাম করবে; পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং অল্পসংখ্যক লোক বেশিসংখ্যক লোককে সালাম বলবে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকে আমরা আমাদের সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সালাম সম্পর্কে আলোচনা করবো।
আমরা প্রতিদিন অনেক লোকজনের সাথে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাক্ষাৎ করি। সাক্ষাতের সময় আমরা একে অপরকে অভিবাদন জানিয়ে থাকি। ইসলামে এর সুন্দর একটি পদ্ধতি বলে দেয়া হয়েছে এটাই হচ্ছে সালাম। সালাম দ্বারা অপরের কল্যাণ কামনা করা হয়। আর এ জন্য ইসলামে সর্বপ্রথম যিনি সালাম প্রদান করবেন তার অত্যধিক মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে রাসূল (সা) বলেছেন, সব লোকের মধ্যে আল্লাহর নিকটতর হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে লোকদেরকে সবার আগে সালাম প্রদান করে। (আবু দাউদ ও তিরমিযী)
তবে উল্লিখিত হাদিসে সালাম প্রদানের একটি আদব বা শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। সেটা হলো : আরোহী ব্যক্তি তথা যেকোনো যানবাহনে চড়ে গমনকারী ব্যক্তি পায়ে হেঁটে পথচলা ব্যক্তিকে সালাম প্রদান করবে। আবার পায়ে হেঁটে পথচলা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে সালাম প্রদান করবে। আবার কমসংখ্যক লোক বেশিসংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম প্রদান করবে। সর্বশেষে যেটি বলা হয়েছে তাহলোÑ ছোটরা সালাম করবে বড়দেরকে। মূলত এ সালাম যেহেতু একটি দোয়া, তাই এর বরকতও অনেক। সালামের ব্যাপক প্রচলনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আন্তরিকতার এক মধুর সম্পর্ক সৃষ্টি হয় যা আমাদের সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তির পথকে সুগম করে দেয়।
সুতরাং প্রিয় বন্ধুরা, এসো, আমরা নিজেদের আব্বা-আম্মা, ভাই-বোন, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সকলের মাঝে সালাম ব্যাপকভাবে প্রচলনের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং পারলৌকিক কল্যাণ লাভের চেষ্টা করি। এককথায় সালামের ব্যাপারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই।
গ্রন্থনা : মোহাম্মদ ইয়াসীন আলী
i love kishorkantha.