Home সায়েন্স ফিকশন স্যাটানিক ভার্সেস

স্যাটানিক ভার্সেস

 মহিউদ্দিন আকবর।

Science-Fictionলিসন টু মি। উই মেইক আ হেল দ্যা ইরান, লাইক এ্যাজ ইরাক অ্যান্ড আফগানিস্তান। হা. হা. হা. হা…
খুবই অহঙ্কারের সাথে কথাগুলো বলে একগাল হেসে নিলো মাইকেল ডগ। তবে ওর হাসিতেও স্বস্থি পেলো না ওবহামা। তাই দাঁতে দাঁত পিষে কট্ কট্ শব্দ তুলে মাইকেল ডগকে নিজের অসন্তুষ্টির কথাটা বুঝিয়ে দিলো। ওবহামার দাঁতের কট্ কট্ শব্দ শুনে ভেতরে ভেতরে চমকে উঠলেও কোনো রকম দুর্বলতা প্রকাশ না করেই মাইকেল ডগ বললো, দিস ইস মাই ডিটারমিনেশন। আইদার ডু অর ডাই। বাট উই মাস্ট মেইক ইরান অ্যাজ আ হেল।
এবার আর জর্জ ওবহামার মাঠ গোলশূন্য থাকতে পারে না, সে আচমকা একটা চাটি মেরে মাইকেল ডগকে ভয় পাইয়ে দিয়ে বলে, দিস ইস ইওর লাস্ট চান্স। আইদার প্রজেক্ট উইল বি ক্লোজড।
ওবহামার কথায় এবার যেন টনক নড়ে যায় ডগের। ও খানিকটা আতঙ্কিত হয়ে বলে, না, না। এবার আর ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা নেই। তবে আপনার বেঁধে দেওয়া সময়টা হয়তো ঠিক থাকবে না। কিন্তু সময়টা একটু বেশি লাগলেও ইরানের পরমানু কেন্দ্র আমরা ধূলায় মিশিয়ে দেবো। দেখবেন ভূকম্পনের মাত্রা এমন পর্যায় নিয়ে যাবো যে, ইরানের অস্তিত্ব নিয়ে টান লেগে যাবে। আর পৃথিবীর কোনো রেক্টর স্কেলেই সেই ভূকম্পনমাত্রা নির্ণয় করা সম্ভবও হবে না। অন্তত দশটা সুনামির আঘাতের মতো সুপার হাইড্রলিক হিটে সত্তর কিলোমিটার গভীর এবং আড়াই হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত ফাটল সৃষ্টি হয়ে যাবে। আর এই ফাটলের পরিধি দাঁড়াবে কমপক্ষে ত্রিশ কিলোমিটার। ফলে পুরো ইরানটাই দুটো ভাগে ভাগ হয়ে দুটি আলাদা ভূখণ্ডে পরিণত হবে। আর তা হবে চিরদিনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং বিনাযুদ্ধেই ইরান খতম।
এবার জর্জ ওবহামা একটু নড়েচড়ে বসে বললো, কথা নয়, কাজে প্রমাণ চাই। যদি ইরানের ব্যাপারে সফল হওয়া যায়, তাহলে দুনিয়ার বাকি মুসলিম দেশগুলোকে ধূলায় মিশিয়ে দিতে আমাদের মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগবে। ইরানের প্রভাব বলয় থেকে এমনিতেই আমাদের ধামাধরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো মুক্ত। তাই ইরানে অপারেশন চালালে ওরা মুখ খুলবে না। ইরানে সফল হলে আমরা পরবর্তী প্রথম অপারেশন চালাবো মালয়েশিয়ায়। ওদের প্যাট্রোনাস টুইন টাওয়ারস আগে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। নিশ্চয়ই আমাদের এই নীল নকশাঁর কথা আপনি ভুলে যাননি।
ওবহামার কথায় মাইকেল ডগ সায় জানিয়ে বললো, সে কথা আর বলতে হবে না। আপনি শুধু দেখে যান। আমাদের পরমাণু কেন্দ্র এ পর্যন্ত যেসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে এবং এগুলোর ব্যাটারি চার্জারগুলো যেভাবে মোতায়েন রাখা হয়েছে, তা থেকে অনেক ঝামেলামুক্ত হবে আমার অপারেশনে ব্যবহার করা সাবমেরিন রি-অ্যাকটর। পারস্য সাগরের তলদেশে চলবে আমাদের নেওয়ার্ক। দুনিয়াবাসী টেরই পাবে না। কেবল অনূভব করবে একটা মহাপ্রলয়। হঠাৎ গভীর রাতে কেঁপে উঠবে পুরো ইরান ভূখণ্ড। তারপর ইরানের পরমাণু কেন্দ্র থেকে ছড়ানো মেগা মেগা টন তেজস্ক্রিয়তা স্থবির করে দেবে গোটা ইরানের জনপদ। দুনিয়ার মানুষ ভাববে মহাভূমিকম্প। সে জন্যে এ পর্যন্ত ষোলটি ‘সাবমেরিন রি-অ্যাকটর অ্যামপুল ডেস্ট্রয়য়ার’ রিমোর্টকন্ট্রোল সাবমেরিনে ফিডারিং করা হয়েছে। আর মাত্র চারটি ফিডার করতে হবে। খুব হলে চার দু’গুনে আট দিন সময় লাগতে পারে। তারপর প্রথমে আমাদের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় সাবমেরিন জাম্বু এসএফ-এর এক্সট্রা ভ্যাসেলে করে রিমোর্ট সাবমেরিনটা নিয়ে যাওয়া হবে আটলান্টিক পেরিয়ে পারস্য সাগরের মোহনায়। তাতেও দশদিন লেগে যাবে। সেখানে জাম্বুর এক্সট্রা ভ্যাসেল থেকে রিমোর্টকন্ট্রোল সাবমেরিনটা অবমুক্ত করে পারস্য সাগরে পাঠাতে হবে। তারপর আমাদের অ্যাটাকিং রোডম্যাপ অনুযায়ী রিমোর্টনিয়ন্ত্রিত রি-অ্যাকটর সাবমেরিন থেকে ব্লাস্টারগুলোকে টু-দ্যা পয়েন্ট মোতায়েন করতে হবে। তাতেও প্রায় দশঘণ্টা সময় লেগে যাবে। সো ওভারঅল ঊনিশ দিন সময় প্রয়োজন।
এবার জর্জ ওবহামা একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বললো, ইয়া! প্রোসিড অন। বাট নট মোর দ্যান টুয়েন্টি ডে’জ।
অলরাইট। নিশ্চয় শয়তান আমাদের সাথে আছেন। ডেভিলস হেল্প আজ। অ্যান্ড উই সুড বি সাক্সেস।
অল রাইট। গো অ্যাহেড অ্যান্ড প্রোসিড অন।
থ্যাংকস আ লট, স্যার।
দুই.
ব্লাক হাউস থেকে একটা বুলেটপ্র“ফ প্রাদো-২৬ ছুটে চলছে ‘ফর-ওয়াড সেকশন’ এর দিকে। দুনিয়াকে ফাঁকি দেবার জন্যে মাইকেল ডগ তার পরমাণ সাবমেরিনে ফিডার দেবার অ্যামপুল তৈরির ল্যাবরেটরির নাম দিয়েছে ‘ফর-ওয়াড সেকশন’। বিশাল বিশাল চারটি শয়তানের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তার এই ল্যাবের চত্বরে। একেকটার একেক রূপ। তবে সবচেয়ে বীভৎস রূপ দিয়ে যে শয়তানের মূর্তিটা বানানো হয়েছে তার নাম রাখা হয়েছে জর্জবুশ! অন্য মূর্তিগুলোর নাম জোসেফ স্টালিন, রুডলফ হিটলার এবং জামাল আব্দুন নাসের। শয়তানের এইসব রূপের ভাবনাটা অবশ্য মাইকেলকে ধার দিয়েছে খোদ জর্জ ওবহামা। প্রতিটি শয়তান মূর্তির নামকরণে মাইকেল ডগের ভূমিকাই ছিলো প্রধান।
তাই মাঝে মাঝে শয়তানের মূর্তিগুলোর পাদদেশে ফুল দিয়ে ডগ প্রার্থনা করেÑ ‘হে ডেভিলস! তুমি যে দায়িত্ব নিয়ে দুনিয়াতে এসেছো, আমি তারই অনুসারী। আমিও তোমার মতো ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার জন্যে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। তুমি আমাকে সফলতা দান করো। আমি যে তোমারই অনুগ্রহ চাই।’
দেখতে দেখতে ল্যাব চত্বরে চলে আসে বুলেটপ্র“ফ প্রাদো-২৬। ছোট্ট রিমোর্ট হাতে নেমে আসে মাইকেল ডগ। রিমোর্টের বাটন টিপতেই বিষধর সাপের মতো ফোঁস ফোঁস শব্দ তুলে ল্যাবের চার পাশ ঘেরা কোবাল্ট এর তৈরি মাউন্টিং কভারটা ঠিক পদ্মফুলের পাপড়ির মত খুলে যায়। অমনি ল্যাবের সামনের দিকের স্লাইডিং ডোর খুলে বেরিয়ে আসে প্রশস্ত স্কেলেটর। দেখে মনে হলো যেন একটা ভয়ঙ্কর কুমিরের মুখ থেকে লকলকে জিহ্বা বেরিয়ে পড়েছে। মাইকেল তার প্রান্তে উঠে দাঁড়াতেই স্কেলেটরটা মাইকেলকেসহ ঠিক যেন কুকুরের জিহ্বার মতই গুটিয়ে চলে গেলো ল্যাবের ভেতরে। সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেলো ল্যাবের ফটক। তার পর-পরই কোবাল্ট কভার ঢেকে দিলো পুরো ল্যাব ভবনকে। এ এক অবাক করার মত ব্যবস্থা! হঠাৎ দেখে মনে হবে, ল্যাবটা স্রেফ একটা মনুমেন্ট মাত্র। কোবাল্ট কভারের ডিজাইনটাও আকর্ষণীয়।
ল্যাবের ভেতরটা আসলে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড চ্যানেল। যার শেষ মাথা গিয়ে পৌঁছেছে নৌবাহিনীর সাবমেরিন পোতাশ্রয়ে। আন্ডারগ্রাউন্ড চ্যানেলের এই দূরত্ব প্রায় একশ’ ত্রিশ কিলোমিটার। অথচ সেখানে পৌঁছতে লাগলো মাত্র আট মিনিট। হাইস্পিড স্কেলেটরের গতির কারণে এটা সম্ভব হলেও মাইকেল ডগ কিন্তু একটু দুলুনীও অনুভব করেনি। কারণ, পুরো চ্যানেলটাই স্কেলেটর চলাকালে অটোমেটিক মাধ্যাকর্ষণ শক্তিশূন্য হয়ে যায়।
সাবমেরিন পোতাশ্রয়ে পৌঁছতেই মাইকেলকে স্বাগত জানায় ওলমার্ট ফক্স। সে নৌবাহিনীর সাবমেরিন স্টাফ কমান্ডার। একইসাথে সে একজন ঝানু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। পরমাণু সমৃদ্ধিকরণেও তার উচ্চতর প্রশিক্ষণ আছে। তাছাড়া ব্যাটা একটা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞও। নামটা যেমন ওলমার্ট ফক্স তেমনি সে শিয়ালের মতোই ধূর্ত! তাই কোনো কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সে মাইকেল ডগকে জানালো, তুমুল সাবধানতায় কাজ এগিয়ে চলছে স্যার! বাকি রি-অ্যাকটরগুলো ফিডার দিতে মাত্র কয়েকটা দিন লাগবে।
ওলমার্ট ফক্সের ফিরিস্তি শুনে শিয়াল দেখে কুকুর যেমন ক্ষেপে যায় তেমনি মারমুখো কুকুরের মতো হুংকার মেরে মাইকেল ডগ বললোÑ সাটাপ! উনি আমাকে তুমুল সাবধানতার কথা শুনাচ্ছেন। তুমুল সাবধানতা আবার কিহে মিস্টার? আসলে কাজের গতিতো একেবারেই শ্লথ! আপনাদের এই কাজের গতির জন্যেই তো আমাকে দিনের পর দিন মিস্টার জর্জ ওবহামার কথা শুনতে হচ্ছে। এবার তিনি লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে বলেছেন, আমাদের অপারেশন সাক্সেস না হলে প্রজেক্ট বাতিল করে দেবেন। আর প্রজেক্ট বাতিলের অর্থ তো বুঝতেই পারছেনÑ আমরা দু’জনই হয়ে যাবো ওএসডি। আর গুরুত্ব বেড়ে যাবে সেনাপ্রধানের। এয়ার মার্শালও আমাদের ওপর গোঁফ তা দিয়ে বেড়াবেন। ওফ্ অসহ্য!
মিস্টার ডগের হুংকারে মিস্টার ফক্স একটু দমে গিয়ে কাচুমাচু করে বললোÑ না, না। এটা কথার কথা নয়। প্রাকটিক্যালি কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। আপনি স্যাংগুইন থাকতে পারেন, আমরা আগামী ৩০ অগাস্ট অপারেশনে যাচ্ছি। নিশ্চয় প্রভু ডেভিল আমাদের সাথে আছেন। ডেভিল হেল্প আজ।

তিন.
খুবই দ্রুত এবং সর্বোচ্চ সাবধানতা ও গোপনীয়তার সাথে সর্বমোট বিশটি সাবমেরিন রি-অ্যাকটর অ্যামপুল ডেস্ট্রয়য়ার ফিডারিং করা হয়েছে রিমোর্টকন্ট্রোল সাবমেরিনের ফায়ারিং চেম্বারে। কাঁটায় কাঁটায় জিএমটি (সময়) ধরে রাত তিনটায় রিমোর্টকন্ট্রোল সাবমেরিনটি নিয়ে আটলান্টিক সাগরের প্রায় পাঁচ হাজার দুইশত নব্বই নটিকেল মাইল পাড়ি জমাবে নৌবাহিনীর জাম্বু এসএফ সাবমেরিন। সে অনুযায়ী সমুদ্রের তলদেশের ক্যাবল সিগন্যাল এবং নৌকমান্ডো পোতাশ্রয়ের সকল সিগন্যাল টাওয়ারে লাল ও হলুদ লাইটগুলো জ্বলছে-নিভছে। ওদিকে প্রায় দম বন্ধ করে সিগন্যাল অফিসার কর্নেল লিভার হল্ অপেক্ষা করছে। জর্জ ওবহামার রেডিয়েশনপ্র“ফ গ্লাভস আঁটা হাতে ধরা কমান্ডিং চার্জার থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই লিবার হল্ তার রিভলবার থেকে পর পর তিনটি ফায়ার করবে। সাথে সাথে সিগন্যাল টাওয়ারগুলোর নীল বাল্ব জ্বলে ওঠবে। আর চোখের পলকেই মিস্টার মাইকেল ডগ এবং মিস্টার ওলমার্ট ফক্সের নিয়ন্ত্রণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটবে কমান্ডো সাবমেরিন জাম্বু এসএফ।
পুরো কমান্ডিং এরিয়ায় পিনপতন নীরবতা। হঠাৎ সাইরেন শুনা যায় এরিয়ার প্রধান ফটকে। তার মানে, প্রেসিডেন্ট আসছেন। সবাই আরো সতর্ক হয়ে ওঠে। দেখতে দেখতে গ্রান্ড পোর্টে এসে বুলেটপ্র“ফ ফোর্ড-র‌্যাম্পার থেকে নামেন খোদ প্রেসিডেন্ট রডহ্যাম ক্লিনডন। তারপর অনেকটা রোবটের মতোই অপারেশন শুরুর প্রটোকল ফাইলে তিনটি অনুমতি স্বাক্ষর করেই আবার ফোর্ড-র‌্যাম্পারে চেপে ফিরে যান ব্লাক হাউসের উদ্দেশে। আবারো প্রধান ফটকে সাইরেন বেজে ওঠে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ফিরে গেছেন।
সাথে সাথে জর্জ ওবহামার হাতে ধরা কমান্ডিং চার্জারের সবুজ বাতি জ্বলে ওঠে। কর্নেল লিভার হল্ মুহূর্ত বিলম্ব না করে রিভলবার থেকে পর পর তিনটি ফায়ার করতেই সকল সিগন্যাল টাওয়ারে জ্বলে ওঠে নীল বাল্ব। জর্জ ওবহামা শেষবারের মত হাত দুলিয়ে এন্টি-ম্যাগনেটিক মাস্ক এবং ফায়ারপ্র“ফ ইউনিফর্ম পরা মাইকেল ডগ ও ওলমার্ট ফক্সকে সি-অফ করে। তখন গ্রিনিচমান সময় রাত দুইটা ঊনষাট মিনিট পঞ্চাশ সেকেন্ড। আর মাত্র দশ সেকেন্ডের মাঝেই সাবমেরিন জাম্বু এসএফ ছুটবে ইরানকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে।
কাঁটায় কাঁটায় জিএমটি থ্রি এএম। ওলমার্ট ফক্স স্রেফ ভুল করেই জাম্বু এসএফ-এর ফরোয়ার্ড ডিজিট বাটনের বদলে জাম্বুর ভ্যাসেল থেকে রিমোর্টকন্ট্রোল সাবমেরিন অবমুক্ত করার ডিজিট বাটনে চাপ বসিয়ে দেয়।  মুহূর্তেই প্রচণ্ড গতিতে জাম্বু এসএফ-এর ভ্যাসেল থেকে পারমাণবিক অ্যাম্পুলবাহী আর-সি সাবমেরিনটি বেরিয়ে ছুটতে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে মাইকেল ডগ রিমোর্টের বাটন চেপে সাবমেরিনটিকে নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ প্রয়াস চালায়। কিন্তু ততক্ষণে সাবমেরিনটি তার মেমোরি কোড অনুযায়ী প্রথম অ্যাম্পুলটি নৌ-কমান্ডিং এরিয়ার সমুদ্র তলদেশে ড্রপ করে দিয়েছে। সাথে সাথে ত্রিশ মিলিয়ন টিএনটি সমতুল্য পারমাণবিক বিস্ফোরণের প্রলয় শুরু হয়ে যায়। একইসাথে দশ মাত্রার রেক্টর স্কেলের ভূমিকম্পের তোড়ে আটলান্টিকের বুকে চল্লিশ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসসহ ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। আর তার তোলপাড়ে ভেসে যায় আটলান্টিকের উপকূলবর্তী শতশত কিলোমিটার জনপদ। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় জর্জ ওবহামাদের নৌ-কমান্ডের পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রসহ পুরো নৌ-ঘাঁটি। আটলান্টিকের বুকে মিশে যায় ওবহামাদের উপকূলবর্তী দুই দু’টি প্রদেশও। এসবের কারণে মাইকেল ডগ এবং ওলমার্ট ফক্সসহ ওদের সাবমেরিনটা যে কোথায় হারিয়ে গেছে তারও হদিস নেই। প্রেসিডেন্টের মনে শুধু স্মৃতি হয়ে আছে ওবহামা-মাইকেল আর ওলমার্টের সেই স্যাটানিক ভার্সেস ওরা প্রায়ই বলতো, ‘নিশ্চয়ই ডেভিলস মানে শয়তান ওদের সাথে আছে!’ যত্ত সব…।

SHARE

Leave a Reply