বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম
হযরত সাইদ ইবনে জাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে জুলুম করে অপরের এক বিঘৎ পরিমাণ জমি আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক জমি ঝুলিয়ে দেয়া হবে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
প্রিয় বন্ধুরা,
জুলুম মহান আল্লাহর নিকট এমন একটি জঘন্য অপরাধ; যা তিনি কোনো অবস্থায় বরদাশত করতে পারেন না। তাই বলা হয়েছে, জোর জবরদস্তি করে সামান্য পরিমাণ জমিও যদি কেউ আত্মসাৎ করে তবে তার পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। বিচার দিবসে এরূপ জঘন্য কাজের শাস্তিস্বরূপ তাকে সাত তবক জমিনের নিচে নিক্ষেপ করা হবে। মজলুম ব্যক্তির ফরিয়াদ মহান আল্লাহর দরবারে অতি দ্রুত পৌঁছে থাকে। এমনকি তা সাথে সাথে মঞ্জুরও করা হয়ে থাকে। জুলুম সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, জালেমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহকে কখনো উদাসীন মনে করো না। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত বিলম্বিত করেন।
প্রিয় বন্ধুরা,
জুলুম এমন একটি অন্যায় যা সমাজের সবাই ঘৃণা করে। একজন প্রতিবেশী হিসেবে আরেকজন প্রতিবেশীর ওপর অনেক হক বা অধিকার রয়েছে। সে হক আদায় করা তার কর্তব্য।
আমরা অনেক সময় মনের ভুলে হয়তো অন্যায় করে ফেলতে পারি। কখনো এ জাতীয় অপরাধ হয়ে গেলে সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়া জরুরি। কারণ কিয়ামতের দিন এ জাতীয় অন্যায়ের জন্য ঐ ব্যক্তির পেছনে ছুটতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত মহান প্রভুও ক্ষমা করবেন না।
সুতরাং এসো, আমরা সবাই সকল প্রকার অন্যায় জুলুম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।