আবদুল হাই শিকদারের কবিতা
কাঁদছে নদী বুড়িগঙ্গা
গডফাদার এই দানবকুলের ভূমির খায়েস সকলের,
হিংস্র দাঁতের সব আয়োজন এখন নদী দখলের।
রহমতের এই পানির ধারা শুকায় ঘাতক উল্লাসে,
ব্যাপার দেখে স্তব্ধ নদী শোক হাহাকার দুঃখে ভাসে।
ভূমিলিপ্সু স্বার্থ শকুন খুবলে খাবে বক্ষ নদীর,
ধ্বংস হবে সভ্যতা এই ছাই উড়াবে সংস্কৃতির।
শ্যামল সবুজ জীর্ণ হবে দানবকুলের তাতেই কি,
দানব দলন কর্ম যাদের তাদের তো সব পাতেই ঘি।
ঘাতককুলের বন্ধু তারাও ঘাতককে দেয় আশকারা,
মাসল্-মানি যোগায় যারা তাদের বাধা দেয় কারা!
ব্যস্ত তারা সিম্পোজিয়াম রাজনীতি আর ফরাসে,
আর অসহায় বুড়িগঙ্গা কাঁপছে তাদের তরাসে।
বর্জ্য দিয়ে ভরছে নদী ট্রাক প্রতিদিন লক্ষ টন,
মরছে নদী বুড়িগঙ্গা কাঁদে না তাও কারোরই মন।
বুড়িগঙ্গার কষ্ট দেখে বাতাস ফোঁপায় দুই পাড়ে,
দেখেও মানুষ দেখছে না কেউ এই বেদনা কই কারে।
রূপাল নদীর রূপ দেখে আর আবদুল আলীম কেউ হবে না,
নিগুম কথায় রঙিলা নাও ফেরার কথা কেউ কবে না।
বুড়িগঙ্গার কান্না শুনে গান করে না পাখিরা কেউ,
বুদ্ধি বিবেক লোপ পেয়েছে এ দেশে নেই মানুষ কেউ।
ঘাতককুলের সঙ্গে খাতির নাম্বার ওয়ান বগলের,
সেই কারণে নেই প্রতিকার এই মহাপাপ প্রবলের।
I want to kishorkonta
তুমি তোমার এলাকার কিশোরকন্ঠের এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পার।
অথবা,
স্থানীয় লাইব্রেরীতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পার।
সমস্যা হলে আবার যোগাযোগ করো।
ধন্যবাদ।