“উভয় উদ্যানের প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদানকে অস্বীকার করবে? তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।”
(সূরা আর-রাহমান, আয়াত : ৫২-৫৪)
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
মহান আল্লাহতায়ালা তার বান্দার জন্য যেসব নেয়ামতের ব্যবস্থা করেছেন ফল তার মধ্যে অন্যতম। ফল আল্লাহর এমন এক নেয়ামত যা অন্য কোন নিয়ামতের সাথে তুলনা হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফলের মধ্যে এমন এক কারিগরি ক্ষমতা এঁটে দিয়েছেন যা দুনিয়ার কোন কারিগরের কারিগরির সাথে মিলবে না। স্রষ্টা হিসেবে বান্দার জন্য এটা এক অনুগ্রহ। ফল আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শনও বটে। ফলের মৌসুমে ফল না খেলে যেন মন ভরে না। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি সুস্বাদু ফল। এই ফল যেমন মানুষের খাবারের চাহিদা মেটায়, তেমনি রোগের প্রতিষেধকও বটে। তাই এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মহান প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতার মস্তক অবনত করা দরকার।
আল্লাহর এই শ্রেষ্ঠ নিয়ামতের অধিকারী হতে হলে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে হবে। যারা সৎকর্মপরায়ণ মুমিন হবে এবং জান্নাতবাসী হবে মহান আল্লাহতায়ালা তাদের জন্য এমন সুস্বাদু নাজ-নিয়ামত দেয়ার ওয়াদা করেছেন। যার বর্ণনা আলোচ্য আয়াতে এভাবে এসেছে যে, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান হবে ঘন শাখাপল্লববিশিষ্ট বাগান, যেখানে থাকবে নানা স্বাদযুক্ত ফলমূল। এই ফলের দু’টি করে প্রকার হবে। একটি হবে শুষ্ক অন্যটি হবে আর্দ্র অথবা একটি হবে সাধারণ স্বাদযুক্ত অন্যটি হবে অসাধারণ স্বাদযুক্ত।
জান্নাতবাসীদের জন্য নির্মিত বাগানের বর্ণনায় বলা হয়েছে – সেখানে থাকবে দু’টি উদ্যান। একটি হবে স্বর্ণনির্মিত। অন্যটি হবে রৌপ্য নির্মিত। যারা আল্লাহর একান্ত নৈকট্য লাভ করবে তাদের জন্য স্বর্ণনির্মিতটি।
আর যারা হবে সৎকর্মপরায়ণ তারা পাবে রৌপ্য নির্মিতটি। পার্থিব জীবনে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে এবং পরকালে জান্নাতবাসী হবে মহান আল্লাহপাক তাদের অবশ্যই উক্ত নিয়ামতের অধিকারী করবেন।
প্রিয় বন্ধুরা,
এসো আমরা মহান আল্লাহর এমন নৈকট্য লাভ করি যাতে জান্নাতে তিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ নিয়ামতের অধিকারী করেন।
গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন