প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছো।
এখন চলছে জ্যৈষ্ঠের দাবদাহ! কী প্রচণ্ড গরম! কিন্তু রসে টইটম্বুর ফলফলাদিতে ভরা গাছের দিকে তাকালে কোথায় যে চলে যায় গরমের সেই কষ্ট! সত্যিই জিভে পানি এসে যায়। যাবারই তো কথা। রসে ভরপুর আম, জাম, কাঁঠালসহ কত্ত না মজাদার ফল! এজন্যই তো জ্যৈষ্ঠকে বলে মধুমাস।
মজাদার ফল শুধু আমরাই যে খাবো তা কিন্তু নয়। আমাদের চারপাশে যেসব বন্ধু আছে, যাদের ফলের গাছ নেই, আবার কিনে খাবারও সামর্থ্য নেই তাদেরকেও দেবো। দু’হাতে বিলিয়ে দেবো। তাদের সাথে নিয়ে মিলেমিশে খাবো। তাহলে মধুরসের মজাটাও পাবো বেশি।
জ্যৈষ্ঠ কেবল মধুমাসই নয়, এ মাসে ফোটে বিচিত্র সব ফুল। মনকাড়া দৃশ্য। কোনোটার সৌরভে তো ভরে যায় হৃদয়। জ্যৈষ্ঠের ফুল সম্পর্কেও আমরা জানার চেষ্টা করবো।
১১ জ্যৈষ্ঠ! আমাদের প্রিয় কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। এজন্য জ্যৈষ্ঠ এলেই মধুমাসের সাথে স্মরণে আসে আমাদের প্রাণপ্রিয় কবি নজরুলের নাম। তিনি তো শুধু কবি নন, তিনি আমাদের ঘুম ভাঙানো ও ঘুম তাড়ানো পাখি। যে পাখির ডাকে জেগে ওঠে মুহূর্তেই ঘুমন্ত হৃদয়। আড়মোড়া ভেঙে দাঁড়িয়ে যায় দামাল কিশোরও। এমন কবিকে কি কখনো ভোলা যায়! যায় না। তাই তো নজরুল জেগে আছেন আমাদের হৃদয়জুড়ে।
হ্যাঁ, শুধু ১১ জ্যৈষ্ঠেই নয়, বরং বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত আমরা জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করবো এই বিশ্বনন্দিত কবিকে। তাহলে আমাদের হৃদয়ের চাতালটাও বিশাল হবে। জেগে উঠবে আমাদের সাহসী সবুজ প্রাণ। নজরুলের গান, কবিতাসহ তাঁর সামগ্রিক রচনার মধ্যে রয়ে গেছে জাগরণের উপাদান। সাহসের ঢেউ। নবতরঙ্গের দোলা।
এসো, কবি নজরুল সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করি। তাঁর রচনার গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করি। তাহলে আমরাই সমৃদ্ধ হবো। সমৃদ্ধ হবে এই জাতি।
আজ এই পর্যন্তই!
আল্লাহ হাফিজ।