ঈদ হোক সফলতার চাবিকাঠি
“নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করবে সেই ব্যক্তি, যে সদকা-ফিতর দান করেছে এবং ঈদের নামাজ যথাযথভাবে আদায় করেছে।” (সূরা আ’লা : ১৪-১৫)
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
ঈদ আসে বারবার। ঈদ আসে নানা রঙের পোশাকের সমাহার নিয়ে। ঈদ আসে সফলতার সুসংবাদ নিয়ে। রোজাদার বান্দার জন্য ক্ষমা ও নাজাতের বার্তা নিয়ে ঈদ এলো আবার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশির সওগাত নিয়ে আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে বহু কাক্সিক্ষত মেহমান- পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ হলো আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ ও খুশির দিন। এটা মহান রবের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নিয়ামত পরিপূর্ণ এক বিশেষ পুরস্কার। সুতরাং আমাদের উচিত ঈদের দিনে মহান রবের বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা, মেহমানের সাথে সদ্ব্যবহার করা। যারা এর সদ্ব্যবহার করবে তাদের জন্য রয়েছে সফলতা। তাই নিজের সফলতার জন্য সুযোগ মনে করে এ পবিত্র মাসকে কাজে লাগাতে হবে আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে। রবের দরবারে করতে হবে আত্মসমর্পণ।
প্রিয় বন্ধুরা,
ঈদের দিন সফলতার দিন। এসো আমরা সফলতার দিনকে যথাযথভাবে কাজে লাগাই।
গ্রন্থনায়: আবদুল কুদ্দুস মাখন
এই সাইটের প্রথম বাংলা কমেন্ট। ধন্যবাদ একুশে টিমকে, চমৎকার এই প্লাগিন এর জন্য।
সুরা ‘আলা-র ১৪ এবং ১৫ আয়াত হলো “নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়। এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।”
আপনারা কেন ঐ রকম বিকৃতভাবে আয়াতটি উপস্থাপন করলেন ? যদি মনে করেন ঐ আয়াতের তাফসীরে “শুদ্ধ হওয়া” বলতে সদকা-ফিতর বোঝানো হয়েছে এবং ঈদের নামাযের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, তাহলে আলাদাভাবে লেখা উচিত ছিলো। আল্লাহর আয়াত পালটে দিয়ে বিকৃত করা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ পাঠক ভাই বিষয়টি আমাদের নজরে আনার জন্য, আমরা এই ব্যাপারে লেখকের সাথে যোগাযোগ করছি। কিশোরকন্ঠের পাঠকরাই এর প্রান, এটি আপনি আবারও প্রমান করলেন।
আপনি সম্ভবত কুরআনের উক্ত আয়াতটির শুধু অর্থই পড়েছেন। ব্যাখ্যা পড়েননি। অনুরোধ করবো ব্যাখ্যাটা পড়ে নিতে। এবং আগেপিছের আয়াতগুলোও পড়ে নিতে। তাহলে বিষয়টি কিয়ার হবে। এখানে শুদ্ধ হওয়া বলতে সাদকা-ফিতরকেই বুঝানো হয়েছে। এখানে সহজ অর্থটাই প্রদান করা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
পবিত্র কোরআন অনুবাদ করতে গেলে প্রথমে সরাসরি অনুবাদই দেয়া উচিত। তারপরে হয়তো বলা যেতে পারে – অমুক মুফাসসির / ভাষ্যকারের মতে এই আয়াতের অর্থ হলো …ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি সেই কথাটাই বলতে চেয়েছি।
একটা উদাহরন দেই। সুরা ফাতিহার শেষ আয়াতের অনুবাদ হলো :
“সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।”
এখন,অনেক মুফাসসিরের মতে গজবের শিকার হওয়ার উদাহরণ হলো ইহুদি জাতি, আর পথভ্রান্ত হওয়ার উদাহরণ হলো খৃষ্টানেরা। তাই বলে আমরা কি বলবো যে, সুরা ফাতিহার শেষ আয়াতের অনুবাদ হলো – ” সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। ইহুদি-খৃষ্টানের পথ নয়” ? ? ? ?
অনুবাদ “সহজ” করার নামে আমরা কি আল্লাহর বানীকে পরিবর্তিত ভাবে উপস্থাপন করতে পারি ?