হাসির বাকসো

হাসির বাকসো

হাসির বাকসো এপ্রিল ২০১৬

শিক্ষক : বলতো ফরহাদ, মঙ্গল গ্রহ কাকে বলে?
ফরহাদ : যে গ্রহে মানুষ বসবাস করে, তাদের বিভিন্ন কল্যাণ সাধন করে তাকে মঙ্গল গ্রহ বলে।
শিক্ষক : আসিফ তুমি বলতো?
আসিফ : যে গ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উপকার সাধন করে তাকে মঙ্গল গ্রহ বলে।
এই শুনে হাবিব বলল, স্যার ওদের কোনোটাই হয়নি, যে গ্রহ বুধের আগে এবং সোমের পরে অবস্থিত তাকে মঙ্গল গ্রহ বলে।
সংগ্রহে : কাউসার আহমেদ
বোরহানউদ্দিন, ভোলা

স্ত্রী : দেখো, দেখো, ঐ দোকানে কত বড় বড় করে লেখা আছে- বেনারসি শাড়ি ৫ টাকা, সিল্ক শাড়ি ৩ টাকা, সুতি শাড়ি ২ টাকা। এতো সস্তায় ওরা শাড়ি বিক্রি করে! চলো নাগো ১০ টাকায় ৩টি শাড়ি নিয়ে যাই।
স্বামী : গিন্নি! ওটা তো শাড়ির দোকান নয়, ওটা লন্ড্রি। যা দেখলে সেটা শাড়ি ইস্ত্রি করার রেট।
সংগ্রহ : এইচ এম মাহমুদুল হাসান
সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী

শিক্ষক : তুমি কিভাবে বুঝলে পাখির দৃষ্টিশক্তি খুব ভালো?
ছাত্র : কারণ, আমি আজ পর্যন্ত কোনো পাখিকে চশমা পরতে দেখিনি।

বাসে উঠে বাবা ও ছেলে সিট না পেয়ে দাঁড়াতে হলো। এমন সময় একটা পাগল বাসে উঠে পাগলামি শুরু করলো। তখন ছেলে বলল, বাবা লোকটার কী হয়েছে? জবাবে বাবা বললেন, আরে দূর! ও একটা পাগল, ওর মাথায় সিট আছে। ছেলে বলল, তাহলে আমি ঐ সিটেই বসব।

শিক্ষক : বলতো, যদি টেবিলে পাঁচটা মাছি থাকে আর একটা মেরে ফেলা হয় তাহলে আর ক’টা মাছি থাকে?
ছাত্র : একটা থাকবে স্যার।
শিক্ষক : (অবাক হয়ে) একটা থাকবে কিভাবে?
ছাত্র : স্যার, সবগুলো উড়ে যাবে শুধু মরা মাছিটা পড়ে থাকবে।

দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কথোপকথন-
১ম প্রতিবেশী : কী ভাই, এই ভর দুপুরে তুমি কোথায় যাচ্ছ?
২য় প্রতিবেশী : ট্রেনের নিচে পড়ে মরতে যাচ্ছি!
১ম প্রতিবেশী : তো হাতে ওটা কী?
২য় প্রতিবেশী : বর্তমান ট্রেনগুলো অনেক দেরি করে আসে, তাই খাবার নিয়ে এলাম খিদে পেলে খেয়ে নেবো।
সংগ্রহ : মুক্তার হোসাইন
কমর আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, নারায়ণগঞ্জ

মা ছেলেকে বলছেন-
মা : শান্ত পড়ছিস না কেন?
শান্ত : পড়ছি তো।
মা : কোনো আওয়াজ তো পাচ্ছি না।
শান্ত : মা তুমি না বলেছো- ‘পড়ার সময় কথা বলবি না।’

শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষক : পড়া ধরলে তুমি একদিনও পড়া পার না, ব্যাপারটা কী? তোমার বাবাকে জানাতে হবে।
ছাত্র : তাহলে ৩০০ টাকা লাগবে
শিক্ষক : কেন?
ছাত্র : আমার বাবা ডাক্তার। তার চেম্বারে ঢোকার জন্য ৩০০ টাকা ফিস দিতে হবে।

বক ও কচ্ছপের মধ্যে কথা হচ্ছে-
বক : কচ্ছপ ভাই কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ : নদীর দিকে যাচ্ছি।
বক : কেন?
কচ্ছপ : দেখছো না কী গরম পড়েছে! তাই নদীর পানিতে গা জুড়াতে যাচ্ছি।
বক : কিন্তু এখনতো গ্রীষ্মকাল, নদীতে তো এক ফোঁটা পানিও নেই।
কচ্ছপ : চিন্তা নেই ভাই, আমি যেতে যেতে বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাবে।

আশিক ও আবিরের মধ্যে কথা হচ্ছে-
আশিক : আবির আমি তোর ফেসবুক পাসওয়ার্ড দেখে ফেলেছি
আবির : তাহলে বলতো দেখি?
আশিক : তোর পাসওয়ার্ড ৪টা স্টার (*)
আবির : যা! হয়নি, আমার পাসওয়ার্ড ১০৫২।
সংগ্রহ : কামরুল হাসান
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ

এক মহিলার স্বামী ৫ দিন ধরে নিখোঁজ। তাই সে অভিযোগ করতে থানায় গেল-
মহিলা : স্যার, আমার স্বামী ৫ দিন আগে আলু আনতে বাজারে গেছে কিন্তু এখনো ফিরে আসেনি।
দারোগা : তাহলে, আপনি অন্য কিছু রান্না করে ফেলেন।
সংগ্রহ : আহসানুল হক সুমন
জুড়ী, মৌলভীবাজার

শিক্ষক ছাত্রদের মাধ্যাকর্ষণ বল সম্পর্কে বোঝাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ছাত্রকে প্রশ্ন করে বললেন-
শিক্ষক : বলতো খোকন, আম পাকলে আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে কেন?
খোকন : স্যার, আকাশে তো খাওয়ার কেউ নেই, তাই।
সংগ্রহ : মো: আল জোবায়ের
চান্দিনা, কুমিল্লা

বাসে এক ছিনতাইকারী জনৈক যাত্রীর পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিল। কিন্তু যার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিল তিনি টের পেয়ে বললেন, এই যে ভাই আপনি আমার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছেন কেন?
ছিনতাইকারী : দুঃখিত! আমি মনে করেছিলাম এটা আমার পকেট।
এ সময়ে ঐ যাত্রী ছিনতাইকারীর গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলেন।
ছিনতাইকারী : কী ব্যাপার ভাই, আমার গালে চড় মারলেন কেন?
যাত্রী : দুঃখিত! আমি মনে করেছিলাম এটা আমার গাল।
সংগ্রহ : মো: আল জোবায়ের
চান্দিনা, কুমিল্লা

১ম বন্ধু : বলতো পিয়াজ কেন কাঁদায়?
২য় বন্ধু : না, জানি না তুই বল।
১ম বন্ধু : ছুরি দিয়ে পিয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কাটা হয় তো, তাই। ও কী এত অত্যাচার সহ্য করবে?

তিন বন্ধু থাকেন বিল্ডিংয়ের ২৭ তলায়। একদিন লিফ্ট নষ্ট থাকায় তাদেরকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হলো। এক বন্ধু একটা বুদ্ধি বের করলো। সে বললো, আমাদের মধ্যে দুইজন হাসির গল্প বলবে, আর একজন কষ্টের গল্প বলবে। তাহলে আমরা গল্পগুলো শুনতে শুনতে ২৭ তলায় পৌঁছে যাবো। পরিকল্পনা মাফিক ১ম বন্ধু একটা হাসির গল্প বললো, তারা ১৫ তলায় পৌঁছে গেল। ২য় বন্ধু আরেকটা গল্প বললো, তারা ২৫ তলায় পৌঁছে গেল। ৩য় বন্ধু কষ্টের গল্প শুরু করলো- ‘ফ্ল্যাটের চাবিটা নিচতলায় গাড়িতে ফেলে এসেছি।’
সংগ্রহ : শাফায়াত ইসলাম
মিঠাপুকুর, রংপুর

দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কথোপকথন-
১ম ব্যক্তি : আপনি কি আমার কাছ থেকে টাকা কিনবেন?
২য় ব্যক্তি : সে কেমন কথা!
১ম ব্যক্তি : আপনি যে হাজারে ত্রিশ টাকা সুদ খান।
সংগ্রহ : সাদিয়া সুলতানা রিভা
চরফ্যাশন, ভোলা
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ