হাসির বাকসো
হাসির বাকসো জুন ২০১৬
ডাক্তার : ট্রাকে ধাক্কা খেয়ে সামান্য ব্যথা পেয়েছেন। কিন্তু এখন তো সুস্থ। তারপরও কাঁদছেন কেন? রোগী : যে ট্রাকে ধাক্কা খেয়েছি তাতে লেখা ছিল ‘আসি বন্ধু আবার দেখা হবে’। আবার যদি দেখা হয়। তাই! আহসানুল হক সুমন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ স্যার : বলতো, মন্টু মরুভূমি কেমন হয়? ছাত্র : মরুভূমি হচ্ছে ঐটা যেটা ফাঁকা কিছুই থাকে না। স্যার : একটি উদাহরণ দে। ছাত্র : কেন স্যার, আমার দাদার মাথার টাক। মারুফ আহম্মেদ নাঈম ৬ষ্ঠ শ্রেণী, কালিনগর উচ্চবিদ্যালয় একজন অতিথি একটি মহিলা কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বললেনÑ আমি তোমাদের রেজাল্ট শুনে অত্যন্ত আনন্দিত। তাই আজ তোমাদের নিয়ে আমি যত না বেশি গর্ববোধ করি তার চেয়ে বেশি গর্ববোধ করতাম, যদি আমি এই কলেজের ছাত্র হতে পারতাম। মুহাম্মদ নেজামুল ইসলাম পুইছড়ি, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম একদিন শিক্ষক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেনÑ বলতো দেখি মুরগি কেন জিরাফের মতো লম্বা হয় না? ছাত্র মাথা চুলকে বলল, স্যার তাহলে তো মুরগি ডিম পাড়ার সাথে সাথে ডিমটা মাটিতে পড়ে ফেটে যেত। মো: আরিফ বিল্লাহ, শ্রীবরদী, শেরপুর জনৈক শিক্ষক বাংলা টিচারের পরিবর্তে ক্লাস নিতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে প্রবেশ করলেন : প্রথম বেঞ্চে দুষ্টু ছাত্রটি বসাÑ শিক্ষক : এই তোমাদের পড়া কী? ছাত্র : স্যার আবুল তাবুল পড়া। শিক্ষক : একটা থাপ্পড় দেবো (মনে মনে ভাবল ছাত্রটি দুষ্টুমি করে বলছে)। বই খুলে দেখলেন, সত্যিই কবিতার নাম আবুল তাবুল। সংগ্রহে : হোসাইন আহমদ মৌজুদী তাহিরপুর এনই মাদ্রাসা নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জ স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে কথা হচ্ছে... স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না? স্বামী : না, ঠিক তা নয়। স্ত্রী : তাহলে? স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না। সংগ্রহে : মো: তোফিজুল ইসলাম আমতলা, কালিয়াগঞ্জ, বোদা, পঞ্চগড় দুই পাগলের কথোপকথনÑ ১ম পাগল : (দুই হাত একসাথে মুষ্টিবদ্ধ করে) বলতো আমার হাতে কী? ২য় পাগল : তোর হাতে, তোর হাতে (অনেক ভেবেচিন্তে) তোর হাতে একটা হাতি! ১ম পাগল : যাহ! তুই দেখে বলেছিস। সংগ্রহে : বোরহান উদ্দিন ভূইয়া কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পল্টু : ডাক্তার বাবু পেট খারাপের কিছু ওষুধ দিন তো? ডাক্তার বাবু পল্টুকে দেখার পর একটা সিরাপ দিয়ে বললেন, প্রতিদিন চার চামচ খাবেন। পল্টু : কিন্তু ডাক্তার বাবু আমাদের বাড়িতে তো মোটে তিনটে চামচ আছে! সংগ্রহে : মো: তোফিজুল ইসলাম আমতলা, বোদা, পঞ্চগড় এক চাকরিজীবী এবং এক ভিক্ষুকের মধ্যে কথোপকথনÑ ভিক্ষুক : স্যার, দুই দিন পর ঈদ, কিছু সাহায্য করুন। চাকরিজীবী : এই নাও পাঁচ টাকা। ভিক্ষুক : স্যার, মাত্র পাঁচ টাকা দিলেন। ঈদের বকসিস দেবেন না। রবিন : আমার দাদার ২৫০টি পাখি ছিল। সেখান থেকে পাঁচ পঞ্চাশটি পাখি চলে গেলে আর কয়টি পাখি থাকে? মালেক : শূন্যটি। রবিন : (অবাক হয়ে) কিভাবে? মালেক : পাঁচ পঞ্চাশ কোনো সংখ্যা নেই। আছে পঞ্চান্ন। পাঁচ পঞ্চাশে ২৫০। ২৫০ থেকে ২৫০ গেলে (শূন্য)। জাবেদ ইকবাল কমলনগর, লক্ষ্মীপুর গণিত শিক্ষক : বলতো নেপাল ২ সের দুধে গোয়ালা যদি ১ সের পানি দেয় তাহলে ৩ সের হয়। ৬ সের দুধে ৩ সের পানি দিলে কয় সের হয়? নেপাল : স্যার দুধে পানি দিলে লাভ হবে গোয়ালার, আমার হিসাব করে লাভ কী? সংগ্রহে : মুকাররিবা কাউসারী দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে : ১ম বন্ধু : জানিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফুটবল খেলতেন। ২য় বন্ধু : তাই নাকি? ১ম বন্ধু : হ্যাঁ। তিনি ফুটবল পছন্দ করতেন। ২য় বন্ধু : তা তুই জানলি কী করে? ১ম বন্ধু : তিনি গানে লিখেছেন না, বল দাও মোরে বল দাও? ডাক্তারের কাছে একজন লোক এসে বলল : লোক : ডাক্তার সাহেব, আমি মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু মাছ খেলে লোকজন আমাকে পাগল বলে। ডাক্তার : কেন? পাগল বলবে কেন। মাছ খাওয়া তো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। লোক : তবে চলুন দু’জনে একসাথে পুকুরে নেমে পড়ি। মো: আরমান আজাদ নাফিজ ভাঙ্গা, ফরিদপুর গণিত প্রাইভেট শিক্ষক দুইজন ছাত্রকে পড়াতে গিয়ে- শিক্ষক যখন ছাত্রদেরকে কিছুতেই অংক শিখাতে পারছিলেন না, তখন বুদ্ধি করে হাতে সাতটি আম নিয়ে বললেন : বলতো সুমন আমার হাতে কয়টি আম আছে। তখন ইমন সুমনকে বলল : কয়টি আম আছে বলিস না, স্যার আমাদেরকে অংক শিখাচ্ছেন। মো: আব্দুল জব্বার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর রোগী : ডাক্তার সাব আমাকে বাঁচান। ডাক্তার : কী হয়েছে খুলে বলুন তো? রোগী : রাতে স্বপ্নের মধ্যে মজা করে অনেক রুট খেয়েছি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি সত্যি সত্যি আমার পেট ভর্তি, মোটেই খিদে পাচ্ছে না। ডাক্তার : বলেন কী! এটা কি করে সম্ভব? রোগী : সম্ভব, সম্ভব, ডাক্তার সাব। ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার কাঁথার অর্ধেকটাই নেই, আমাকে বাঁচান! সংগ্রহে : উম্মে হাবিবা মারুফা
আরও পড়ুন...