হাসির বাকসো

হাসির বাকসো

হাসির বাকসো আগস্ট ২০১৩

হাসিব : জানিস, আমি গোয়েন্দা উপন্যাস সব সময় মাঝামাঝি থেকে পড়া শুরু করি। তাতে মজাটা বেশি হয়। আফজাল : কিভাবে? হাসিব : কারণ তখন শুধু উপন্যাসের শেষ না, শুরুটা জানারও কৌতূহল থাকে! সংগ্রহে : ওলিউল্লাহ উজ্জ্বল নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দাপ্রধান : চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে? গোয়েন্দা সহকারী : অবশ্যই, স্যার! গোয়েন্দাপ্রধান : ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো? গোয়েন্দা সহকারী : অসম্ভব। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকে গেছি। গোয়েন্দাপ্রধান : কিসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে? গোয়েন্দা সহকারী : স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে। গোয়েন্দাপ্রধান : কী?! হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেয়ার কথা না! গোয়েন্দা সহকারী : হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। সংগ্রহে : হাবীবুর রহমান, রানিয়াচং, হবিগঞ্জ ভিক্ষুক : মা, দয়া করে দু’টো টাকা দেবেন? পাঁচদিন ধরে কিছু খায়নি। মহিলা : কিন্তু মাত্র দুই টাকা দিয়ে কী হবে? ভিক্ষুক : না মা, কিছু খাবো না, মেশিনে ওজন করে দেখব পাঁচদিনে আমার ওজন কত কমেছে। সংগ্রহে : উম্মে রুম্মান সাচিবুনিয়া, বটিয়াঘাটা, খুলনা নিবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সোহান। পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলো। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল সোহান, ‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস এবং কপি-পেস্ট কে...’ সংগ্রহে : সিয়াম বিল্লাহ ফুরকান খাতাপাড়া, লালমনিরহাট মা ও তার এক বোকা টাইপের ছেলের মধ্যে কথোপকথনÑ মা : কিরে হাবু, তোকে না বলেছি দোকান থেকে দেয়াশলাই কেনার আগে জ্বলে কিনা টেস্ট করে নিবি। এখনতো একটা কাঠিও জ্বলছে না। হাবু : কিন্তু মা, আমি তো দেয়াশলাই কেনার আগে প্রত্যেকটা কাঠি টেস্ট করে দেখেছি। সংগ্রহে : মো: রায়হন ফেরদৌস হামিদপুর, সদর, যশোর নিজেকে খুব পাকা শিকারী হিসাবে জাহির করে মামা ভাগ্নেকে নিয়ে শিকার করতে গেলেন। একঝাঁক উড়ন্ত বক দেখে মামা বললেন, দেখিস, ওখান থেকে গুলি করে একটাকে ফেলে দেব। মামা গুলি করলেন, কিন্তু একটা বকও পড়ল না। ভাগ্নে : কই মামা, গুলি তো লাগল না। মামা : পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনাটাই এখন ঘটেছে। গুলি লাগার পরও বক উড়ে যাচ্ছে! সংগ্রহে : মাহফুজুর রহমান খান কানাইঘাট, সিলেট এক লোক নাপিতের দোকানে ঢুকে খুব হম্বিতম্বি করে বলল, আমার চুলটা নেইমারের মতো করে কেটে দিন তো। শুনে নাপিতও চুল কাটতে শুরু করল। একটু পরেই লোকটি দিব্যি নাক ডেকে ঘুমোতে শুরু করে দিল। উঠে দেখে, চুলের যাচ্ছেতাই অবস্থা! রেগেমেগে হুঙ্কার দিয়ে উঠল, এ কী! আমার চুল নেইমারের মতো করে দিতে বললাম। আর আপনি আমার চুলের এ কী হাল করেছেন? নাপিত হাত চুলকোতে চুলকোতে বলল, ভাই, নেইমার তো আর আমাদের এখানে চুল কাটায় না। কাটালে তার চুলের স্টাইলও এমনই হতো! সংগ্রহে : আব্দুল্লাহ আল মামুন সয়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ মা তার ছেলেকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছেন, এই খোকা, ওঠ। তাড়াতাড়ি উঠে পড়। তোর স্কুলের টাইম হয়ে যাচ্ছে তো! একটা বিশাল হাই তুলে ছেলে জড়ানো গলায় বলল, বিরক্ত করো না তো মা! আজ আমি স্কুলে যাব না। মা : এভাবে অকারণে প্রতিদিন স্কুলে যাব না বললে তো হবে না। কেন স্কুলে যাবি না তার অন্তত দুইটা কারণ দেখা। ছেলে : ঠিক আছে, কারণ দেখাচ্ছি। প্রথম কারণ, কোনো ছাত্রছাত্রী আমাকে দুইচোখে দেখতে পারে না। আর দ্বিতীয় কারণ, শিক্ষক-শিক্ষিকাও আমাকে পছন্দ করে না। মা : এটা কোনো জোরালো কারণ না, এসব বলে তুই স্কুল ফাঁকি দেতে পারবি না। ছেলে : আচ্ছা, তাহলে তুমি আমাকে দুইটা কারণ দেখাও, আমার কেন স্কুলে যাওয়া উচিত? মা : ঠিক আছে, বলছি। প্রথম কারণ, তুই এখন আর কচি খোকা না। তোর বয়স চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। আর দ্বিতীয় কারণ, তুই হচ্ছিস স্কুলের হেডমাস্টার। তুই না গেলে চলবে কী করে? সংগ্রহে : মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন ফুলগাজী, ফেনী এক পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল। তা দেখে ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, ওই পাগল, তুই ঝুলিস কেন? পাগল : আমি তো বাল্ব! ডাক্তার : তাহলে তুই জ্বলিস না কেন? পাগল : (মুচকি হেসে) আরে পাগলের পাগল, তুই কোন্ দেশে আছস? ভুইলা গেছস এইটা বাংলাদেশ! এখন লোডশেডিং চলতাসে, তাই জ্বলতে পারতাছি নারে ভাই!! সংগ্রহে : কাউছার হোসেন মুরাদ রায়পুর, বাবুরহাট শিক্ষক : পৃথিবীতে মোট কয়টা দেশ? ঝন্টু : (তাড়াতাড়ি) একটাই দেশ। শিক্ষক : মানে? ঝন্টু : হ্যাঁ স্যার, বাকিগুলো তো সব বিদেশ! সংগ্রহে : আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ সিপাহীবাগ, খিলগাঁও, ঢাকা প্রচণ্ড গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল পিয়াল। পথে ট্রাফিক পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল। ট্রাফিক পুলিশ : তোমার মদো বেয়াড়াদের ধরতেই দিনভর এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, বুছলে বাছাধন? পিয়াল : সে জন্যই তো যত দ্রুত সম্ভব আপনার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছিলাম। সংগ্রহে : কামারুল ইসলাম বিজয়নগর, বি-বাড়িয়া

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ